রাজকীয় সেঞ্চুরিতে সমালোচনার জবাব মুশফিকের
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করায় কাঠগড়ায় উঠেছিল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্ব। প্রশ্ন উঠেছিল তার ব্যাটিং ফর্ম নিয়েও। দুই টেস্ট সিরিজের কোনোটিতেই ফিফটির দেখা পাননি। তবে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে সব সমালোচনার জবাব দিলেন তিনি। তুলে নিয়েছেন রাজকীয় সেঞ্চুরি। তার ১১৬ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১১০ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ২৭৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে টাইগাররা। ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর।
লড়াকু সেঞ্চুরি করার পথে অনন্য কীর্তি গড়েছেন মুশফিক। এবার তার হাত ধরেই ঘুচল অপূর্ণতা। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। এই নিয়ে সব দেশের বিপক্ষেই বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সেঞ্চুরি করার ষোলকলা পূর্ণ হলো।
এর আগে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা ছিল সৌম্য সরকারের ৯০ রানের ইনিংস। ২০১৫ সালে চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে এই ইনিংস খেলেন তিনি।
অবশ্য এই ম্যাচের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে মুশফিকের পারফরম্যান্স ছিল বিবর্ণ। তাদের বিপক্ষে আগের পাঁচ ইনিংসে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের রান ছিল যথাক্রমে ৬, ১, ২, ৩ ও ২৪ রান। অবশেষে উপহার দিলেন দুর্দান্ত ইনিংস।
ডেন প্যাটারসনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫২ বলে ফিফটি করেন মুশফিক। সেই ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন তিনি। কাগিসো রাবাদার বলে ২ রান নিয়ে তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেন। ১০৮ বলে সেঞ্চুরি করতে হাঁকান ১০ চার ও ২ ছক্কা। এটি মিস্টার ডিপেন্ডেবলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। দুটি সেঞ্চুরি আছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। একটি করে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে।
দক্ষিণ আফ্রিকাতেও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক। এর আগে দেশটিতে সেরা ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের ৭৩ রানের ইনিংস। পঞ্চম সেঞ্চুরি করে শাহরিয়ার নাফীসকে (৪) ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের। তামিমের ৯টি ও সাকিবের আছে ৭টি সেঞ্চুরি।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন