• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মেসি জাদুতে সরাসরি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক

  ১১ অক্টোবর ২০১৭, ০৮:০৩

হোর্হে সাম্পাওলি বলেছিলেন, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বাঁচামরার ম্যাচে ‘অবিশ্বাস্য’ লিওনেল মেসিকে দেখবে বিশ্ব। অবশেষে তার কথায় প্রমাণিত হলো। বাঁচামরার ম্যাচে ‘অবিশ্বাস্য’ মেসিকেই দেখলো বিশ্ব। একা কাঁধে বইলেন পাহাড় সমান বোঝা। দেবদূত হয়ে উদ্ধার করলেন দলকে। তার জাদুকরী হ্যাটট্রিকে ইকুয়েডরকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এর সুবাদে সব শঙ্কাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সরাসরি রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করল দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ল্যাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের শেষ রাউন্ডে দিনের অন্য ম্যাচে চিলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। কলম্বিয়া-পেরু ম্যাচটিও ড্র হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের তৃতীয় দল হয়ে সরাসরি ২০১৮ বিশ্বকাপে উঠেছে সাম্পাওলির শিষ্যরা।

বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় কুইটোতে বাঁচামরার ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। তবে শুরুতেই ঝটকা খায় অতিথিরা। ম্যাচের ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল খেয়ে বসে তারা। ওই সময় সতীর্থকে হেডে পাস দেন রোমারিও ইবাররা। পরে ফেরত পেয়ে কোনাকুনি শটে সার্জিও রোমেরেকো পরাস্ত করে বল জালে জড়ান এ মিডফিল্ডার।

এরপরই শুরু হয় মেসি ‘শো’। প্রতি আক্রমণে উঠে আসে আর্জেন্টিনা। এতে সমতায়ও ফিরে আসতে দেরি হয়নি তাদের। ম্যাচের ১২ মিনিটে ডি মারিয়াকে বল বাড়িয়ে দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন খুদে জাদুকর। পরে ফেরত পেয়ে বাঁ পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান তিনি।

সমতায় ফেরার পর আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়দের মধ্যে দারুণ সমন্বয় গড়ে উঠে। ওয়ান টু ওয়ান পাস খেলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে ফেলে। ফলে এগিয়ে যেতেও সময় লাগেনি তাদের। ২০ মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ভুলে বল পেয়ে যান মেসি। তারপর যা করেছেন তা মুগ্ধতা জাগানিয়া। বলের ওপর দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখে ক্ষীপ্র গতিতে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে জালে জড়ান পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

এর কিছুক্ষণ পর প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের মুখে ঢুকে পড়েন মেসি। তবে ইকুয়েডর ডিফেন্ডাররা তাকে মার্ক করে ফেলে। এতে বল ঠেলে দেন ডান প্রান্তে থাকা ডি মারিয়াকে। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি এ উইঙ্গার। নইলে প্রথমার্ধেই ৩-১ এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। এতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দলটি।

বিরতি থেকে ফিরে গোল পেতে মরিয়া আক্রমণ চালায় ইকুয়েডর। বার বার আক্রমণে উঠে এসে আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে স্বাগতিকরা। তবে অতিথিদের রক্ষণভাগ ভেদ করতে পারেনি তারা।

উল্টো ৬২ মিনিটে ফের গোল হজম করতে হয় ইকুয়েডরকে। ওই সময় প্রায় ৪০ গজ দূরে বল পান মেসি। এরপর যা করেছেন তা ভুলতে অন্তত বেশ কিছুদিন সময় লাগবে ফুটবল ভক্তদের। সতীর্থের পাস নামান বুক দিয়ে। সামনে ইকুয়েডরের তিন ডিফেন্ডার। রোজারিও নদীর বহতা স্রোতের মতো তাদের এঁকেবেঁকে পাশ কাটিয়ে টপকে যান। এরপর গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে সেই চিরচেনা মসৃণ ‘লব’ ও গোল।

এরই সঙ্গে আর্জেন্টিনার জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। বাকী সময় শুধু বল নিজেদের দখলে রাখার চেষ্টা করেছেন মেসিরা। শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানের দুরন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাম্পাওলির দল।

ম্যাচ শুরুর আগে অনেকেই বলাবলি করছিলেন, এটি হতে যাচ্ছে মেসির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে হ্যাটট্রিক করেই এর জবাব দিলেন ম্যাজিক বয়। বিশ্বকাপে না খেলার ঘোর অনিশ্চয়তার অবসানও ঘটালেন তিনি।

দেশের জার্সিতে এটি মেসির পঞ্চম হ্যাটট্রিক। সব মিলিয়ে ৪৪তম হ্যাটট্রিক।

এদিন আরো একটি রেকর্ড নিজের দখলে করে নিয়েছেন ওয়ান্ডারম্যান। হ্যাটট্রিক ল্যাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেছেন তিনি।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প এবার স্টার সিনেপ্লেক্সে!
মেসিকে নিয়ে সুখবর দিলো মায়ামি
শীর্ষে আর্জেন্টিনা, দুঃসংবাদ পেলো বাংলাদেশ
মেসিকে নিয়ে সুখবর জানালেন মায়ামি কোচ
X
Fresh