• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তামিম-মুমিনুলই এখন বাংলাদেশের ভরসা

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:১৬

তিন উইকেটে ৪৯৬ রান করে পচেফস্ট্রম টেস্টের দ্বিতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। রানের পাহাড়ে চাপা পড়া বাংলাদেশ দিন শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছে। ২৮ রান নিয়ে মুমিনুল হক এবং ২২ রান নিয়ে তামিম ইকবাল অপরাজিত রয়েছে। এখনো স্বাগতিকদের চেয়ে ৩৬৭ রানে পিছিয়ে আছে টাইগাররা। ভরসা এখন তামিম-মুমিনুল।

এদিন বাংলাদেশ ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতেই হারায় দুই ওপেনারকে। সাত রান করে ওপেনার ইমরুল কায়েস কাগিসো রাবাদারের বলে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন। মরনে মরকেলের বলে হাশিম আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ২৫ রান করা লিটন দাস।

ছয় রানের জন্য অর্ধশতক বঞ্চিত হয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনি ৪৪ রান করে মাঠ ছাড়েন কেশব মহারাজের বলে মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণাটা একরকম অপ্রত্যাশিতই ছিল সফরকারীদের জন্য। টেম্বা বাভুমা ৩১ ও ফাফ ডু প্লেসিস ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এ টেস্টের প্রথম দিন একেবারে ধারহীন কাটে বাংলাদেশের। সেই হতাশার রেশ সরিয়ে দ্বিতীয় দিনে টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায় ছিলেন দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। তাতেও গুঁড়েবালি। দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি মুশফিকদের।

বোলিংয়ে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি টাইগাররা। ফিল্ডিংয়েও কোনো ধার ছিল না। তদুপরি নিষ্প্রাণ উইকেট। এর পুরো সুবিধা নেন ডিন এলগার ও হাশিম আমলা। এরইমধ্যে দেড়শ’ রান অতিক্রম করে ফেলেন এলগার।

এ ওপেনারের দেড়শ’ স্পর্শ করার ওভারেই দুই রান নিয়ে তিন অংকের ঘর স্পর্শ করেন আমলা। ১১ চার ও এক ছক্কায় ১৪৩ বলে এ ঘর স্পর্শ করেন তিনি।

এটি আমলার টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৭তম সেঞ্চুরি। এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবদন্তি বাঁহাতি ওপেনার গ্রায়েম স্মিথের পাশে বসেছেন তিনি। ১১৭ টেস্ট খেলে ২৭ সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। সেখানে ১০৮ টেস্ট খেলেই সেই কীর্তি গড়লেন আমলা।

ধীরে ধীরে এলগার-আমলা জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে। তারা স্টিমরোলার চালাতে থাকেন টাইগার বোলারদের ওপর। ওভার প্রতি চারের ওপর রান তুলতে থাকেন এ জুটি। অবশেষে থামেন আমলা।

দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে শফিউলের বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে খেলেন ১৭ চার ও এক ছক্কায় ১৩৭ রানের ইনিংস। এরই সঙ্গে এলগারের সঙ্গে তার ২১৫ রানের জুটি ভাঙে।

সঙ্গী হারিয়ে অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি এলগার। তবে দুর্ভাগ্য বলতে হয় তার। মাত্র এক রানের জন্য ক্যারিয়ারে ডাবল সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি। দলীয় ৪৪৫ রানে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।

ফেরার আগে ১৫টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৯৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন এ ওপেনার। আমলা ও এলগার ফিরে গেলেও স্বস্তি ফেরেনি বাংলাদেশ শিবিরে। তাদের বিদায়ের পর জুটি গড়ে তোলেন বাভুমা ও ডু প্লেসিস।

ধীরে ধীরে রান পাহাড়ের পথে দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে নিয়ে যায় তারা। এক পর্যায়ে তিন উইকেটে ৪৯৬ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এসময় ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা।

কে/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৪ এপ্রিল)
দায়িত্ব নিয়েই যে চ্যালেঞ্জ নিলেন মুশতাক আহমেদ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে যা জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
X
Fresh