• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিলেন সাব্বির-মুমিনুল

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:০২

ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সম্প্রতি শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজে রানের মধ্যেই ছিলেন সাব্বির রহমান। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ছন্দে রয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। সিরিজের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বেনোনিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে হাঁকিয়েছিলেন দুর্দান্ত ফিফটি। দ্বিতীয় ইনিংসে যেন তারই অনুবাদ করলেন। এ হার্ডহিটার তুলে নিয়েছেন উড়ন্ত ফিফটি।

এদিন সফরকারীদের হয়ে ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিয়েছেন ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইমরুল। মুমিনুল করেছেন ৩৩। প্রথম ইনিংসে ফিফটি হাঁকান তিনি। পয়েট অব ডায়নামো খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস।

শনিবার ৯ উইকেটে ২৩৫ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ৩০৬ রান। আর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩১৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ। এতে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের সামনে সফরকারীদের টার্গেট দাঁড়ায় ২২৮ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা ব্যাট করতে অস্বীকৃতি জানালে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

সার্বিকভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংস মিলে ভালোভাবে নিজেদের ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিলেন সাব্বির ও মুমিনুল।

উইলোমুর পার্কে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৯ রানে ফিরে যান লিটন দাস (২)। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুলকে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নেন ইমরুল।

এরপর হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। ৮০ রানে ১ উইকেট থেকে ৯৬ যেতে খোয়ায় আরো ৩ উইকেট। এর মধ্যে ফিরে যান ইমরুল (৫১), মুশফিকুর (৩) ও মুমিনুল (৩৩)।

এ অবস্থায় ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে পথ দেখান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাব্বির রহমান। তারা এগুচ্ছিলেনও বেশ। তবে হঠাৎই পথ হারিয়ে বসেন মাহমুদুল্লাহ (১৫)। দলীয় ১৪৮ রানে ডু প্লুই’র শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি।

পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন সাব্বির। ধীরে ধীরে তারা বিপর্যয় কাটিয়ে উঠেন। প্রোটিয়া শিবিরে চোখ রাঙাতে থাকে এ জুটি। তবে এক পর্যায়ে থেমে যান মিরাজ (১৪)। দলীয় ১৭৮ রানে ফেরেন এ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

মিরাজ ফিরে গেলে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে ধীরেসুস্থে দলের রান ২০০-এর দোরগোড়ায় দাঁড় করান সাব্বির। এবার অবশ্য থেমে যান এ হার্ডহিটার নিজেই। দলীয় ২০০ রানেই ফেরেন তিনি। ফেরার আগে খেলেন ৯৮ বলে ৮ চারে ৬৭ রানের ঝলমলে ইনিংস।

পরে ক্রিজে এসেই রানের খাতা না খুলে ফেরেন শফিউল ইসলাম। শেষ পর্যন্ত নবম উইকেটে তাসকিনের অপরাজিত ১৫ ও শুভাষিস রায়ের অপরাজিত ৩ রানের সুবাদে ২৩৫-এর সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দেন ভন ভার্গ। ২ উইকেট নিয়ে তাতে সামিল হন ডু প্লই। আর ১টি করে উইকেট নিয়ে তাদের সহযোদ্ধা ছিলেন প্রেটোরিয়াস, বোকাকো ও কোহেন।

সময় থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেনি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ। এতে ম্যাচটি ড্র ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈদে হানিফ সংকেতের ‘আলোকিত অন্ধকার’
জলদস্যুদের কবলে টাঙ্গাইলের সাব্বির, উৎকণ্ঠায় পরিবার
বলাৎকারের ঘটনা প্রকাশ করায় সাব্বিরকে হত্যা করেন চাচা
X
Fresh