• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩২

১১ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার ফলটা মধুর হলো বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিলো টাইগাররা। ঢাকা টেস্টে তাদের জয় ২০ রানের। এতে ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেলো মুশফিক বাহিনী।

এ জয়ে প্রথমবার টেস্টে অজি বধ করলো বাংলাদেশ। এতে সামন থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। বল হাতে দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৮৯ রান করেছেন সাকিব। আর ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে ১৪৯ রান করেছেন তামিম।

চতুর্থ দিনে ২ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ। তারা দুর্দান্ত গতিতে ছুটে চলছিলেন। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ান সাকিব। দলীয় ১৫৮ রানে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে তাদের গতি রোধ করেন তিনি। ফেরার আগে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন অজি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ বলে ১৬ চার ও ১ ছক্কায় ১১২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

সঙ্গী হারিয়ে অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি স্মিথ। এবারো শিকারী সাকিব। তার বলে দলীয় ১৭১ রানে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক (৩৭)।

এরপর ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন হ্যান্ডসকম্ব। তবে তাদের সেই চেষ্টা ভেস্তে দেন বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দলীয় ১৮৭ রানে হ্যান্ডসকম্বকে (১৫) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফেরান তিনি।

এর মিনিট পাঁচেক পর ম্যাথু ওয়েডকে (৪) সাকিব ফেরালে দুর্দান্তভাবে খেলায় ফেরে টাইগাররা। এতে ভীষণ চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। এ চাপের মধ্যে অ্যাস্টন অ্যাগারকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে অজিদের টুঁটি চেপে ধরেন তাইজুল।

অ্যাগার ফিরে গেলে কামিন্সকে নিয়ে লড়ার চেষ্টা করেন ম্যাক্সওয়েল। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন কামিন্সও। ফের রুখে দাঁড়ান সাকিব। পথের বাধা হয়ে থাকা ম্যাক্সওয়েলকে (১৪) তিনি ফেরালে জয়টা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের।

এতে এ টেস্টে ১০ উইকেট পেলেন সাকিব। প্রথম ইনিংসে ৫টি নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সমানসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে টেস্টে দ্বিতীয়বার ১০ উইকেট পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

শেষদিকে বাংলাদেশকে কিছুটা ভোগান নাথান লায়ন ও প্যাট কামিন্স। তারা গড়েন ২৯ রানের জুটি। দলীয় ২২৮ রানে লায়নকে (১৪) ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন মিরাজ। লায়ন ফিরে গেলে জয় পেতে টাইগারদের বিলম্ব করেন কামিন্স। রীতিমতো দুঃস্বপ্ন হয়ে দাড়ান তিনি। তবে শেষ উইকেট হিসেবে হ্যাজেলউডকে শিকার করে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন তাইজুল।

শেষ পর্যন্ত ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশের হয়ে সাকিবের ৫ উইকেটের পাশাপাশি তাইজুল নিয়েছেন ৩ উইকেট, মিরাজ ২টি।

এর আগে বাংলাদেশের দেয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যে তৃতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে ২৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২৭ রানে মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন রেনশো (৫)। দলীয় স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই সাকিবের শিকার হয়ে ফেরেন উসমান খাজা (১)।

পরে ভাগ্যের সহায়তা ও টেকনিক বলে সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে সফরকারীরা। নায়কের ভূমিকা পালন করেন সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তারা গড়েন ১৩০ রানের জুটি।

অবশ্য এর মধ্যে ফিরতে পারতেন ওয়ার্নারও। তবে স্লিপে তার ক্যাচ মিস করেন সৌম্য সরকার।

এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ২২১ রান তোলে মুশফিক বাহিনী। আর প্রথম ইনিংসে করে ২৬০ রান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। এতে জয়ের জন্য সফরকারীদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৫ রান।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৫ এপ্রিল)
খেলাপি ঋণ ও ভর্তুকি কমানোর পদক্ষেপ জানতে চায় আইএমএফ
X
Fresh