শতবার্ষিক বিশ্বকাপ আয়োজনে আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে
ফুটবল বিশ্বকাপের ১ শ’ বছর পূর্তি হতে আরো ১৩ বছর বাকি। মাইলফলকের সেই বিশ্বকাপটি যৌথভাবে আয়োজন করতে চায় আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে কোমর বেঁধে নেমেছে দেশ দু’টির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
ইসএসপিএন জানাচ্ছে, সেই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় চীন ও আরো ক’টি দেশ। তবে যেকোনোভাবেই সেই আসর নিজেদের ঘরে বসাতে চায় আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এজন্য আঁটসাঁট পরিকল্পনা করেই এগোচ্ছে তারা।
ফুটবল ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল উরুগুয়ে। ১৯৩০ সালে সেই আসরের ফাইনালে প্রতিবেশি আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে উরুগুয়ানরা।
আর্জেন্টিনার ক্রীড়া সচিব কার্লোস আলিস্তার বুধবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ল্যাতিন আমেরিকার দেশ দু’টির প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় ফুটবল সংস্থার নেতারা সেই বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছেন। তারা সবাই একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য ফুটবল স্টেডিয়াম তৈরিতে শ’ শ’ কোটি ডলার খরচ করতে হবে। এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে দেশ দু’টির রাজনীতিবিদদের।
২০১৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল ব্রাজিল। ২০১৬ অলিম্পিক আসরও বসে সাম্বা নৃত্যের জন্য বিখ্যাত দেশটিতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল উন্নয়নে না করে ওই দু’টি আসরের জন্য ক্রীড়া ভেন্যু এবং অবকাঠামো তৈরিতে ব্যয় করায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রাজিলের নেতারা।
২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাওয়া দক্ষিণ আমেরিকার দেশ দু’টি দু’বার করে বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা এবং ১৯৩০ ও ১৯৫০ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে।
বিশ্বকাপের আসছে আসর বসবে ২০১৮ সালে রাশিয়ায়। পরের আসর বসবে কাতারে ২০২২ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপ কোথায় হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ দেখালো আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এখন দেখা যাক তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)?
ডিএইচ
মন্তব্য করুন