• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ওয়ান্ডারম্যান মেসি সমাচার

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৫ জুন ২০১৭, ১৪:১৭

লিওনেল মেসি একদিন গোটা ফুটবল বিশ্ব শাসন করবেন। তার শৈশবেই এমন আভাস পাওয়া যায়। একজন দু’জন নয়, জানালেন খুদে জাদুকরের শৈশবকালীন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কোচ, চিকিৎসক ও প্রতিবেশিরা।

গেলো শনিবার ছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকার ৩০তম জন্মদিন। ওই দিন তার কৈশোরের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন তারা। এরই ফাঁকে এ কথা জানান ম্যাজিক বয়’র শৈশব দেখা বিশিষ্টজনেরা।

পুরো নাম লিওনেল আন্দ্রেস লিও মেসি। জন্ম, আর্জেন্টিনার রোজারিওতে। বাবা হোর্হে হোরাসিও মেসি, মা সেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি। রয়েছে বড় দু’ভাই ও এক ছোট বোন।

হাঁটতে শেখার পর থেকেই ফুটবলের প্রতি ভীষণ ঝোঁক ছিল মেসির। তবে সেই শিশুটির পথচলা হঠাৎই থমকে যেতে থাকে। গ্রোথ হরমোনের অভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার বেড়ে ওঠা। স্থানীয় ক্লাব রিভার প্লেটের পক্ষে তার চিকিৎসা খরচ বহন করা সম্ভব ছিল না।

তবে কথায় আছে না, জহুরি জহর চেনে; বেদে চেনে সাপের হাঁচি। তখনকার বার্সেলোনা ক্রীড়া পরিচালক কার্লেস রেক্সাচ ঠিকই চিনতে পারেন ওয়ান্ডারম্যানকে। তাই তার চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করতে চেয়ে তাকে বার্সায় নিয়ে আসেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লিওকে।

সেই খর্বকায় ছেলেটিই এখন পদতলে নিয়েছে পুরো ফুটবল বিশ্ব। অসাধারণ ড্রিবলিং, প্রতিপক্ষের ডিফেন্স গুঁড়িয়ে একক প্রচেষ্টায় গোল, সতীর্থদের দিয়ে গোল করানো, বল দখল, নিয়ন্ত্রণ ও থ্রো, কিকসহ জাদুকরী সব ফুটবলীয় দক্ষতায় প্রায় এক যুগ মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন বিশ্বের ফুটবল পাগলদের।

এরই মধ্যে পকেটে পুরেছেন ফুটবলের প্রায় সব রেকর্ড। গড়েছেন সব বিরল কীর্তি। জিতেছেন পাঁচবার বিশ্বসেরার খেতাব। শুধু জেতা হয়নি দেশের হয়ে প্রিয় বিশ্বকাপ। অনেক ধারাভাষ্যকার, কোচ ও খেলোয়াড় তাকে বর্তমানের সেরা এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা হিসেবে দাবি করে থাকেন।

অবশ্য লিওনেল মেসির কীর্তিগাঁথা দু-এক মিনিটে সন্নিবেশন সম্ভব নয়। ফুটবলপ্রেমীরাও এ সম্পর্কে অবগত। যা জানেন না তা হলো তার শৈশববেলার কেচ্ছাকাহিনী। তাই-ই জানা গেলো তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কোচ, চিকিৎসক ও প্রতিবেশিদের কাছ থেকে।

কোচ এনরিক দোমেমিঙ্গুয়েজ বলেন, মেসি কখনোই কোচিং মিস করতো না। সে সবসময়ই নিজের নিয়ন্ত্রণে বল রাখতে পছন্দ করতো। তার একমাত্র টার্গেট ছিল প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করা।

প্রধান শিক্ষক সান্দ্রা দায়াজ বলেন, মেসি স্কুলে থাকার পরও সবসময় বিরতির জন্য অপেক্ষা করতো। সারাক্ষণ মাঠে ফুটবল নিয়ে পড়ে থাকতো। তার সতীর্থরা অভিযোগ করতো, সে কাউকে পাস দিতে চায় না। সবসময় একাই গোল দিতে চায়।

প্রতিবেশী হোসে ম্যানিকেবল বলেন, মেসির মা সবসময় তার ওপর ক্ষেপে থাকতো। কারণ সে সারাক্ষণই ফুটবল নিয়ে পড়ে থাকতো। সেই শিশুকাল থেকেই তার প্রিয় সঙ্গী ছিল ফুটবল। এখনো তাই আছে।

বিশ্বের কোটি ফুটবলপ্রেমীর প্রত্যাশা, তার জাদুকরী পায়ের ঝলক দেখা যাক অন্তত আরো কয়েক বছর।

জন্মদিনে ভক্ত সমর্থকদের অপরিমেয় ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন মেসি। এ রেশের মধ্যেই দীর্ঘদিনের বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন ভিনগ্রহের ফুটবলার। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার রোজারিওতে হবে তাদের বিয়ে।

২০০৮ সাল থেকে একই ছাদের তলায় বসবাস করে আসছেন মেসি-রোকুজ্জো। তাদের ঘরে রয়েছে দু’ছেলে। বড় ছেলে থিয়াগো আর ছোট ছেলে মাতেও।

ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেসির আগমন নিয়ে যা বললেন পাপন
পাঁচ গোল করে ভাইরাল মেসি পুত্র
মেসির ঝলকে মায়ামির জয়
মেসি গোল পেলেও জেতেনি ইন্টার মায়ামি
X
Fresh