তামিমদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখলো বৃষ্টি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখলো বৃষ্টি। গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মাত্র ১০০ রান। এরপরই হানা দেয় বৃষ্টি। নিয়মানুযায়ী দু’পক্ষের কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলা না হলে ম্যাচের কোনো রেজাল্ট হয় না। সে অনুযায়ী মাশরাফি-তামিমদের স্বপ্নও টিকে থাকলো। দু’দলই পেলো দু’পয়েন্ট করে।
লন্ডনের কেনিংটন ওভালে দিবা-রাত্রির ‘এ’ গ্রুপের এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি।
৪৪ ওভার ৩ বলে মাত্র ১৮২ রানে অলআউট হয় মাশরাফির দল। ফলে অজিদের টার্গেট দাঁড়ায় ১৮৩ রান।
অজিদের দু’ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার আর অ্যারন ফিঞ্চ দেখে শুনে শুরু করেন।
সপ্তম ওভারে মাশরাফি পেসার রুবেল হোসেনকে বল তুলে দিলে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ ফাঁদে পরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফিঞ্চ। দলীয় স্কোর তখন ৪৮ রান।
এরপর ওয়ার্নারের সঙ্গে যোগ দিয়ে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ এগিয়ে নিতে থাকেন।
১৬ ওভার পর ১ উইকেট হারিয়ে দলের রান যখন ৮৩ ঠিক তখনই বৃষ্টি হানা দেয়।
৪৪ বলে ৪০ রান সংগ্রহ করেন ওয়ার্নার। আর স্মিথ করেন ২৫ বলে ২২ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ১ উইকেট নেন রুবেল। সময় গড়াতে থাকলে বৃষ্টি না থামায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আইসিসির ম্যাচ অফিসিয়ালরা।
বাংলাদেশের পরের ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আর সে ম্যাচে অবশ্যই জিততে হবে তাদের। আর ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডকে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া দু’ দলকে হারাতেই হবে। তাহলেই মাশরাফির দলের সম্ভাবনা থাকবে সেমিতে যাবার।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হয় ম্যাচটি।
এদিন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি হাত ছাড়া করেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪৩তম ওভারে ১১৩ বলে ৯৫ রান করা মিচেল স্টার্কের বলে হ্যাজেলউডের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
আর দুই বলে পরেই বোল্ড হলেন অধিনায়ক মাশরাফি। আর এর পরের বলেই আউট হয়ে ফেরেন রুবেল হোসেন। ফলাফল ওভারটি ৩ উইকেটে মেইডেন।
এক ওভার পর দলীয় স্কোর যখন ১৮২ তখন ২৬ বলে ১৩ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ ওই স্টার্কের বলেই বোল্ড হয়ে সঙ্গে দলও অল আউট হয়। ৪ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে ১১ বলে মাত্র ৮ রান করে বোল্ড হন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আর ১৩ বলে ৮ রান করে অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাব্বির রহমান। দুটি উইকেটই পেয়েছেন স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা।
অফ ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান ৪৮ বলে ২৯ রান করে প্যাভিলিয়েনে ফেরেন ট্রাভিস হেডের বলে। এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন তিনি।
দলীয় ২২ রানের সময় হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ আউটের শিকার হন ওপেনার সৌম্য সরকার। বিদায় নেয়ার আগে ১১ বল মোকাবেলা করে তিনি সংগ্রহ করেন মাত্র ৩ রান।
এরপর দলীয় ৩৭ রানের সময় ওয়ান ডাউনে নামা ইমরুল কায়েসও পথ ধরেন সৌম্যের। কামিন্সের বলে ফিঞ্চের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে তিনি ১৬ বলে সংগ্রহ করেন মাত্র ৬ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্টার্কে। ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন জাম্পা। এছাড়া কামিন্স, হ্যাজেলউড, হেড ও হেনরিকেস নেন একটি করে উইকেট।
তবে কদিন আগে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। তাই ‘এ’ গ্রুপের দুই দলকে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে। রোববার পাকিস্তান-ভারত ম্যাচেও হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে।
একই কারণে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটি মাঠে নিয়েও ছিল শঙ্কা। আবহাওয়া পূর্বাভাসে আগেই বলা হয়েছিল যে এতে হামলা করতে পারে বৃ্ষ্টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১৮২ (৪৪.৩)
অস্ট্রেলিয়া ৮১/১ (১৬.০)
ফলাফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত
ওয়াই/সি
মন্তব্য করুন