• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জয়ের সৌরভ জাগিয়ে ফিরে গেলেন তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৯ মে ২০১৭, ২০:৩৯

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশের জন্য জয়ের সৌরভ ছড়াচ্ছেন তামিম-সৌম্য। দুজনই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ভালো সূচনায় দৃঢ়তার সাথেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। * ৪৭ রানে আউট হয়ে গেলেন তামিম। কেভিন ও’ ব্রায়ানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ৯৫ রানে থামল উদ্বোধনী জুটি। বাংলাদেশ: ১৪ ওভারে ৯৫/১ (তামিম ৪৭, সৌম্য ৪০*)।

এর আগে ওয়ালটন ত্রিদেশীয় সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৮২ রানের টার্গেট দিয়েছে আয়ারল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩.৬২ গড়ে এ রান করতে হবে মাশরাফি বাহিনীকে।
শুক্রবার ডাবলিনের মালাহাইডে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টায়। প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আয়ারল্যান্ড। দলীয় ১ রানে টাইগার পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমানের বলে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন স্বাগতিক ওপেনার পল স্টার্লিং (০)।
স্টার্লিংয়ের বিদায়ের পর দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন এড জয়েস ও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। তারা এগিয়েও যাচ্ছিলেন বেশ। অষ্টম ওভারে মাশরাফির বলে পোর্টারফিল্ডের ক্যাচ মিস করে সাময়িকভাবে সেই পথ পরিস্কার করে দেন মোসাদ্দেক হোসেন। অবশ্য দায় শোধ করতে সময় নেননি এ তরুণ সৈনিক। পরের ওভারে বল করতে এসেই কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান স্বাগতিক অধিনায়ককে। বিধ্বংসী পোর্টারফিল্ড করেন ২২ রান।
এরপর অ্যান্ডি ব্যালবিরনিকে নিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই চালিয়ে যান এড জয়েস। তবে সেই যাত্রায় তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন ব্যালবিরনি (১২)। দলীয় ৬১ রানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
ব্যালবিরনি ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন নিল ও ব্রেইন। তাকে নিয়ে দলকে টেনে তুলতে থাকেন এড জয়েস। তাকে যোগ্য সমর্থনও দেন ব্রেইন। ধীরে ধীরে তাদের জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে। তবে ১১৬ রানে নিল ব্রেইনকে (৩০) তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সেই রথযাত্রা স্তব্ধ করে দেন মুস্তাফিজ।
একে একে সবাই ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন এড জয়েস। এক পর্যায়ে সেই বিষদাঁত ভেঙে দেন বাংলাদেশের অভিষিক্ত বাঁ-হাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম।দলীয় ১২৬ রানে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাকে ফেরান তিনি। ফেরার আগে ৭৪ বলে ৩ চারে ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন জয়েস।
এ ওপেনারের ফেরার সঙ্গে চাপে পড়ে আইরিশরা। সেই চাপের মধ্যে তাদের আরো চেপে ধরেন বাংলাদেশ পেস সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। দলীয় ১৩৪ রানে অসাধারণ স্লোয়ারে মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ড্যাশিং ব্যাটসম্যান কেভিন ও ব্রেইনকে (১০) ফিরতে বাধ্য করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর সদ্য ক্রিজে আসা গ্যারি উইলসনকে (৬) অফকাটারে বোকা বানিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরিয়ে আয়ারল্যান্ডের লাগাম টেনে ধরেন বোলিং বিস্ময়।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। পরে যাওয়া-আসার মধ্যেই থাকেন আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ১৭১ রানে সানজামুল ইসলামের এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফেরেন ব্যারি ম্যাককার্থি (১২)। তিনি ফিরে গেলে আয়ারল্যান্ডের লেজ গুটিয়ে দেয়ার কাজটুকু সারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তার সপ্তম ওভারে জর্জ ডকরিল (২৫) ও পিটার চেজ (০) ফিরে গেলে ৪৬.৩ ওভারে ১৮১ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সানজামুল ইসলাম। ১টি করে উইকেট দখলে যায় সাকিব ও মোসাদ্দেকের।
ডিএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • খেলা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh