'বিপর্যস্ত শেয়ারবাজারে বেহালাবাদকের মতো ছিলেন মিসবাহ'
কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে আসছে টেস্ট সিরিজ শেষেই দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি। এ সময়ে দেশটির ক্রিকেটে তার অনন্য অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলেন স্পিডস্টার শোয়েব আখতার।
তিনি বললেন, পাকিস্তান ক্রিকেটে বিপর্যস্ত শেয়ারবাজারে বেহালাবাদকের মতো ছিলেন মিসবাহ্-উল-হক।
২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক ঘটে মিসবাহর। ২০০২ সালে একই দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়। আর টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ঘটে ২০০৭ সালে। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছিলেন তিনি। সবশেষ এ ফরম্যাটকেও বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন মিস্টার ফিফটি।
এ সময়ে নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট। অনেকে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে নিষিদ্ধ হয়েছেন। বয়সের ভারে অনেক তারকা ক্রিকেটার অবসর নিয়েছেন। ২০০৯ সালে টিম শ্রীলঙ্কার ওপর হামলার পর দেশ থেকে ক্রিকেট গেছে নির্বাসনে। এতো কাণ্ডের পরও নিজে থেকেছেন সৎ, অন্যদের অনুপ্রাণিত করেছেন সৎপথে থাকতে। অধিনায়কত্ব পাবার পর শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন দলের হাল। তার অধীনেই ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্যও ছিলেন তিনি।
একটি দেশের ক্রিকেটে যার এতো অবদান তাকে কি কেউ সহজে ভুলতে বা অশ্রদ্ধা করতে পারে? অন্তত শোয়েব আখতার নন। কেউ মিসবাহর প্রতি মাথা নোয়াক আর না নোয়াক, বিশ্বে সবচে’ দ্রুতগতির বল করা তারকা কিন্তু সেই দলে।
দেশের ক্রিকেটে অতুলনীয় অবদান রাখায় তাই টুইটারে মিসবাহর প্রতি শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শোয়েব আখতার। লিখেছেন, পাকিস্তান ক্রিকেটে বিপর্যস্ত শেয়ারবাজারে বেহালাবাদকের মতো ছিলেন মিসবাহ-উল-হক। যিনি সততা ও শান্তির সুর তুলেছেন। আশেপাশে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করলেও নিজে থেকেছেন শান্ত। সেইসব স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ।
পাকিস্তানের হয়ে ৭২ টেস্ট খেলে ৪৫.৮৪ গড়ে ৪ হাজার ৯৫১ রান করেছেন মিসবাহ-উল-হক। রয়েছে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৩৬টি হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৬১*। তার অধিনায়কত্বে ৫৩ টেস্টে ২৪টিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। ১৬২ ওয়ানডেতে ৪৩.৪০ গড়ে করেছেন ৫ হাজার ১২২ রান। কোনো সেঞ্চুরি না পেলেও রয়েছে ৪২টি হাফসেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৯৬*। আর ৩৯টি-টোয়েন্টিতে ৩ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে ৩৭.৭৫ গড়ে করেছেন ৭৮৮ রান। এ ফরম্যাটে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৮৭*।
ডিএইচ
মন্তব্য করুন