মাতাল হয়ে ইতিহাস গড়েন গিবস
একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচে’ বেশি রান তাড়া করার ম্যাচটি ক্রিকেটপ্রেমীদের ভোলার কথা নয়। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৩৪ রান তাড়া করতে নেমে ১ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১২ মার্চ জোহানেসবার্গে হওয়া ম্যাচটিতে ১৪২ বলে ১৭৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ম্যাচের নায়ক হন প্রোটিয়াদের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবস।
তবে চমক জাগানিয়া তথ্য হচ্ছে, ১৫৭.৬৫ স্ট্রাইক রেটে ২১ চার ও ৭ ছক্কায় হাঁকানো ইনিংসটি খেলার সময় মাতাল অবস্থায় ছিলেন তিনি। এমনকি ম্যাচটি খেলার আগেও আনফিট হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল তাকে।
৪৩ বছরের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানের আত্মজীবনি ‘টু দ্য পয়েন্ট: দ্য নো-হোল্ডস ব্যারেড অটোবায়োগ্রাফি’তে বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, আগের রাতে পার্টিতে অধিক মদ পান করেন তিনি। ম্যাচের দিন সকালেও মদের নেশা কাটেনি। সেই অবস্থাতেই খেলেন গিবস।
ওই ম্যাচে ৭৫ বলে ৮১ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে সহায়তা করেন মাইক হাসি। তার নিজের বায়োগ্রাফিতে জানান, ম্যাচের আগের রাতে বিছানায় যাবার ঘণ্টাখানেক পর রেলিং দিয়ে তাকিয়ে নিচে তাকে (গিবস) দেখতে পাই।
গিবস তার বায়োগ্রাফিতে এও উল্লেখ করেন, তখনবকার কোচ মিকি আর্থার ও দলের অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ সকালের নাস্তার টেবিলে তার ব্যবহারে বিরক্ত ছিল। যেহেতু আমি মাতাল ছিলাম তাই আমাকে ওই ম্যাচে না খেলানোর চিন্তাও মাথায় এসেছিল তাদের।
১৭৫ রানের ইনিংসটি তার ক্যারিয়ার বাঁচিয়ে দিয়েছিলো বলে নিজের আত্মজীবনিতে উল্লেখ করেন হার্শেল গিবস।
আলোচনা-সমালোচনায় ঘটনাবহুল ক্যারিয়ারের জন্য অনেকবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন হার্শেল গিবস। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্টিভ ওয়াহ’র সহজ ক্যাচ হাত থেকে ফেলে দেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফিল্ডার। ২০০০ সালে ভারত সফরে থাকাকালীন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগও আনা হয় তার নামে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয় তাকে।
দলের হয়ে ২৪৮ ওয়ানডে ম্যাচে ৩৭ টি হাফ সেঞ্চুরি ও ২১টি সেঞ্চুরিসহ ৮ হাজার ৯৪ রান করেন হার্শেল গিবস। জন্টি রোডসের পর তাকেই দক্ষিণ আফ্রিকার সবচে’ সেরা ফিল্ডার হিসেবে গণ্য করা হয়।
ওয়াই/ডিএইচ
মন্তব্য করুন