• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
সন্তান বিক্রির পর অনুশোচনায় ৯৯৯ নম্বরে মায়ের ফোন, অতঃপর..
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে সন্তান বিক্রি করার পর অনুশোচনায় ৯৯৯ নম্বরে এক মায়ের ফোন কলের পর বিক্রিত সন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মর্চ) দুপুরে কোনাবাড়ি থেকে ওই নারী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।  পুলিশ জানায়, ফোনে ওই নারী বলেন, ‘আমি একটা ভুল কইরা ফালাইছি। তিন দিন আগে আমার এক মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। আমার স্বামী নাই। তারে মানুষ করতে পারমুনা ভাইব্বা পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি কইরা দিছি। আগের ঘরের ছয় বছর বয়সী আরেকটা মেয়ে আছে। প্রথম ঘরের মেয়েরে মাইন্না নেয়না দেইখা দ্বিতীয় স্বামীর লগে তিন মাস আগে ছাড়াছাড়ি হইয়া গেছে। মেয়ে বিক্রির টাকা এহনো ছুইয়া দেখি নাই। ওই টাকা ফিরাইয়া দিয়া আমার মেয়েরে আমি ফিরত চাই। দয়া কইরা উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। আমার মা-বাবা কোনো আত্মীয় নাই। আমি এতিম।’ ওই নারীর দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল আনোয়ার কোনাবাড়ি থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। এরপর কোনাবাড়ি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে গাজীপুরের নামাপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে কলার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়।  কোনাবাড়ি থানা পুলিশের এসআই কামরুজ্জামান জানান, উদ্ধারকৃত সন্তান তার মাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৫

৯৯৯ এ ফোন পেয়ে নাগরদোলায় আটকে থাকা ১০ শিশু উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে নাগরদোলায় আটকে থাকা শিশুসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। খুলনার রূপসা সেতুর কাছে রিভারভিউ কোস্টাল পার্ক অ্যান্ড ক্যাফে থেকে তাদের উদ্ধার করা। রোববার (৩ মার্চ) এ তথ্য জানান ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার। তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রিভারভিউ কোস্টাল পার্ক অ্যান্ড ক্যাফে থেকে রাজীব নামে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। সেখানে একটি নাগরদোলার কিছু অংশ ভেঙে প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে বিকল হয়ে থেমে আছে। নাগরদোলায় প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন নারী ও শিশু ৪০ থেকে ৫০ ফিট উঁচুতে আটকে রয়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে তারা কান্নাকাটি করছে। এমন তথ্য দেন রাজীব। তিনি আরও বলেন, পরে ঘটনাটি খুলনার টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে জানানো হয়। টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জন শিশু, তিনজন নারী এবং দুই জন পুরুষসহ ১৫ জনকে উদ্ধার করে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৮

অপহরণের পর ৯৯৯ নম্বরে কল, ৪ তরুণ গ্রেপ্তার
অপহরণের পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন কল পেয়ে বগুড়ার গাবতলীতে এক নারী নৃত্য শিল্পী ও তিন আলোকচিত্রকরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতে চার অপহরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৪ তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ওই গ্রামের বুড়িতলা মোড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার ও অপহৃতদের চারজনকে উদ্ধার করা হয়।  পরে অপহৃত আলোকচিত্রকর মোন্তাসির শিশির বাদী হয়ে গাবতলী থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।  বিকেলে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা শায়লা গ্রেপ্তারদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গাবতলী উপজেলার রামেশ্বাপুর পাঁচকাতুলী গ্রামের সাফিন মিয়া (২২), আব্দুস ছালাম (২০), মামুনুর রশিদ (২০) ও মোস্তাকিম (১৯)।  বুধবার বিকেলে গাবতলী থানা পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার ভোরে বগুড়া সদর থানা এলাকার এক বাসিন্দা ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এ ফোন করে জানান তার বোন নৃত্য শিল্পী সামিয়া পপিসহ চারজনকে গাবতলী থানার রামেশ্বাপুর গ্রামে অপহরণ করে রাখা হয়েছে। অপহরণকারীরা তার বোনের ব্যবহত মুঠোফোন নম্বর থেকে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করেছেন। ৯৯৯ থেকে কলারের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় রামেশ্বরপুরের পাঁচকাতুলী বুড়িতলা মোড়ে আরিফুল ইসলাম রাঙ্গা নামে এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরিফুলসহ বেশ কয়েকজন অপহরণকারী পালিয়ে যায় ও হাতেনাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  এ সময় পুলিশ একটি চাপাতি ও চাকুসহ মাদকসেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত চারজনকে উদ্ধার করা হয়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়