• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের তালবারিয়া গ্রামের মো. সোহেল রানার ছেলে মো. আবু সাঈদ। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট, পুলিশের বড় কর্মকর্তা, এনএসআই কর্মকর্তা, অভিজাত হোটেলের ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পরিচয় রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস এই যুবকের। এসব পরিচয়ে ৩০ বছর বয়সেই ১৪টি বিয়ে করেছেন তিনি। জানা গেছে, বাবার স্টুডিওর দোকান থেকে ফটোশপে দক্ষ সাঈদের প্রতারণার প্রধান অস্ত্র টিকটক, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যে নারী প্রতিষ্ঠিত, অর্থ-সম্পদ আছে সেই নারীদের টার্গেট করে সাঈদ টিকটক ও ফেসবুকে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। সম্পর্কের পর বিয়ে করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যান তিনি। শুধু বিয়েই নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে স্ত্রীর স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এসব কারণে একাধিক মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন তিনি। ছোট থেকেই ধূর্ত আবু সাঈদ ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গুরুদাসপুরের একটি ক্লিনিকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় আটক হয়ে গত ৪ বছর এলাকা ছাড়া। তবে ফেসবুক ও টিকটকে কখনও পাইলটের পোশাকে, কখনও পুলিশের পোশাকে নিয়মিত দেখা যায় তাকে। পরিবারের সঙ্গে গত চার বছরে দেখা করতে আসেননি তিনি। তবে বিভিন্ন সময়ে দূর-দূরান্ত থেকে আবু সাঈদের স্ত্রী পরিচয়ে অনেক নারী তার সন্ধানে আসেন। ২০১০ সালে জামালপুরের মাউশি এলাকার বৃষ্টি বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন আবু সাঈদ। তাদের দুই ছেলে রয়েছে। ২০১২ সালে রাজশাহীতে বিয়ে করেন। ওই বছরেই পাবনার চাটমোহর এলাকায় একজনকে বিয়ে করেন। ২০২১ সালে মানিকগঞ্জ জেলার এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ২০১৩ সালে ঢাকার একজনকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর উপজেলা খাদিজা আক্তার সাদিয়াকে বিয়ে করেন।  ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর নাটোরের লালপুর উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২২ সালে আবারও টাঙ্গাইল মধুপুরের এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন। ২০২৩ সালেই আবার ঢাকার সাভারের এক নারীকে বিয়ে করেন সাঈদ। ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিয়ে করেন তিনি। ২০২৪ সালে ১৩তম স্ত্রী বরিশালে বিয়ে করেন। ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ে করে ১৪তম স্ত্রীকে নিয়ে গাজীপুরে সংসার করছেন আবু সাঈদ। এ বিষয়ে পঞ্চম স্ত্রী দাবি করা খাদিজা আক্তার সাবিনা জানান, বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কমার্শিয়াল পাইলট পরিচয়ে প্রায় আড়াই বছর আগে টিকটকে আবু সাঈদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তখন তিনি জানিয়েছিলেন তার বাবা-মা কেউ নেই, এতিমখানায় বড় হয়েছেন। এরপর প্রেমের পর ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে হয়। টাঙ্গাইল সদরে আমার একটি বিউটি পার্লার ও একটি এনজিও পরিচালনা করি। বিয়ের পর আবু সাঈদ আমার দুই বোন ও এক ভাতিজিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা চান, আমরা তাকে সেই টাকা দিই। কয়েক দিন পর আমার কাছ থেকে আরও ১০ লাখ টাকা নেন তিনি। কিছুদিন পরে তিনজনকেই নিয়োগপত্র দেন এবং বলেন তিন মাস পর চাকরিতে যোগদান করতে হবে। তিনি বলেন, একপর্যায়ে সাঈদের আসল ঠিকানা এবং তার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারি। তবে সাঈদ বুঝতে পেরেছিল আমি সব জেনে গেছি। এমনকি চাকরির জন্য যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল সেগুলোও ভুয়া ছিল। এ কারণে আমার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সাঈদ। তারপর থেকে তাকে খোঁজার চেষ্টা করেও পাইনি। এসব ঘটনায় টাঙ্গাইলে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে সাঈদের নামে মামলা করেছি। সাঈদের সন্ধান করতে গিয়ে তার আরও চার স্ত্রীর খোঁজ পাই। তাদের সবার সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়। সবার কাছ থেকেই বিয়ের পর বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।  সাঈদের চতুর্থ স্ত্রী দাবি করা এক নারী বলেন, আমি কক্সবাজারের একটি অভিজাত হোটেলে চাকরি করি। তিন বছর আগে আমাদের টিকটকে পরিচয়  হয়। এনএসআই কর্মকর্তার পরিচয়ে সে আমার সঙ্গে কথা বলতো। এরপর প্রেম ও বিয়ে হয় আমাদের। বিয়ের পর চাকরি করে জমানো প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সে। তখন থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ। আজ পর্যন্তও তার সন্ধান পাইনি। একই কথা জানিয়েছেন সাঈদের আরও পাঁচ স্ত্রী। সাঈদের প্রতিবেশী মাসুদ রানা বলেন, সাঈদ ফটোশপে নিজের ছবি এডিট করে পাইলট, পুলিশ, সেনাবাহিনী, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তার পরিচয় দেয়। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পোশাক পরে ছবি তুলে তা ফেসবুক ও টিকটকে পোস্ট করত। এতে সুন্দরী মেয়েরা অল্প সময়ে তার প্রেমের ফাঁদে পড়ে যায়। সাঈদের বাবা সোহেল রানা বলেন, সাঈদের জন্য কোথাও মুখ দেখাতে পারি না। লজ্জা হয়, মাঝে মাঝে মরে যেতেও মন চাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থান থেকে মেয়েরা তার সন্ধানে আসে এবং ছেলের বউ হিসাবে পরিচয় দেয়। কিন্তু সাঈদের সঙ্গে গত চার বছরে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। পাশের গ্রামে সাঈদকে বিয়ে দিয়েছিলাম। সেই ঘরে ২টি সন্তান রয়েছে। ওই মেয়েটা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় করেছে। কিন্তু সাঈদ না আসায় বউমা এখন বাবার বাড়িতে চলে গেছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচনে মাঠে আছেন বিএনপির অন্তত ৩০ নেতা 
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলটির বহিস্কার আদেশের ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে আছেন অন্তত ৩০ নেতা কর্মী। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করেই মাঠে থাকছেন তারা। তবে কেউ কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ভাবলেও অধিকাংশই নির্বাচন করার কথা জানিয়েছে। আর কেন্দ্র বলছে, যারা দলীয় পদে নেই তারা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির কিছু করার নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ। বহিষ্কারের আদেশে বলা হয়েছে, এই দুই নেতাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ও বর্তমান মিলে অন্তত ৩০ জন নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়া নেতাদের বিএনপি জানিয়েছে, এই অবৈধ সরকারের নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার অবস্থান থেকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।  তবে বেশির ভাগ নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটে থাকার কথা জানিয়ে বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য আর জনগণের জন্য কাজ করতে ভোটে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে বিএনপির সাবেক নেতার সংখ্যাই বেশি। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে অনড়। তারা বলছেন, দলীয় পদ না থাকায় তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। আর পদধারী কয়েকজন নেতা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও দায়িত্ব না নিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপরও তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও দলের অনেক নেতা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদেরকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবারও অনেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। তাদের নির্বাচনে অংশ না নিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা বলা হয়।   দলীয় নির্দেশনা সত্ত্বেও ভোটে থাকতে চান সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টার, ফরিদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রউফ উন নবী ও যুবদলের সাবেক নেতা কে এম নাজমুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, রাজশাহীর গোদাগাড়ী জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রমিজ উদ্দিন, নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের সাবেক বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন ও ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবর আলী বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, পিরোজপুর ইন্দুরকানি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফায়জুল কবির তালুকদার, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা সফিক উদ্দিন, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শামসুর রশিদ, ফুলপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান ও হালুয়াঘাটে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল হামিদ। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও দলীয় সিদ্ধান্তের কথা মাথায় রেখে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ওমরাও খান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সারওয়ার হোসেন ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌছ খান। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবদুস সালাম জানান, যারা দলীয় পদে নেই তারা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির কিছু করার নেই। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। জয়-পরাজয় তো পরের কথা, কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ভোট করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যাদের বিএনপির পদ নেই-তারা নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা তো বিএনপির কেউ না।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

নওগাঁয় ৩ ক্লিনিকে অভিযান, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
নওগাঁয় তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বর্জ্য অব্যবস্থাপনা ও লাইসেন্স না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেলে শহরের হাসপাতাল মোড় ও সেবাশ্রম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব বিন জামান প্রত্যয়। অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব বিন জামান প্রত্যয় বলেন, ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযানের সময় তারা পরিবেশগত কোনো ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি। এ ছাড়া বর্জ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও সঠিকভাবে করা হয়নি। তারা বর্জ্য নীতিমালা অনুসরণ করেনি।  তিনি বলেন, ক্লিনিকগুলোতে যেভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছিল। যা মানবজীবনের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার এসব নীতিমালা মানছে না। এসব অপরাধে ইবনে সিনা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রহমান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রত্যেক মালিককে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় জরিমানা করে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে তারা নীতিমালা অনুসরণ করবেন। তবে আগামীতে এসব বিষয়ে আরও জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়াসহ সদর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৭

দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০
মাদারীপুরের রাজৈরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন যাত্রী। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বাসটি রাজৈর উপজেলার আলমদস্তা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা বরিশালগামী কাজী পরিবহনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় বাসের কমপেক্ষ ৩০ জন যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মুখোমুখি সংঘর্ষে বাস দুটির চালক আটকা পড়ে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশি কিছু যাত্রী আহত হয়েছেন। তবে নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। বাস দুটির চালক ভেতরে আটকা পড়েছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আমরা তাদের উদ্ধার করি।    
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

বিএনপি-জামায়াতের ৩০ নেতাকর্মী কারাগারে
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় নাশকতার পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের ৩০ জন নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে এ দুটি মামলায় ৩২ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে দুজনের জামিন মঞ্জুর করা হয় আর বাকিদের জামিন নামঞ্জুর করেন বিচারক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর দায়রা জজ আদালতের বিচারক যাবিদ হোসেন এ নির্দেশ দেন। জামিন না পাওয়া নেতাকর্মীরা হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীম হোসেন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মিয়া, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম রেজা, ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদ পারভেজ, উপজেলা জামায়াতের আমির মোফাসায়ের ইসলাম মোল্লা, পৌর জামায়াতের আমির সেলিম মিয়া, গোলাম রব্বানী, আব্দুর রহিম, আলমগীর হোসেন, মাহফুজুর রহমান লাভলু, মনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান মিঠু সিদ্দিক, ইবাদুর রহমান ইদুয়ার, আব্দুল মান্নান মন্ডল, সাইফুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, আনোয়ার হোসেন, খোরশেদ আলম, মনিরুল ইসলাম, মিঠু, চান মিয়া, মাহফুজুর রহমান, তোজাম্মেল হক, আতিয়ার রহমান, শাহারুল ইসলাম, শাহিন মিয়া, পলাশ, হাছিবুল ইসলাম ও আল রাজিব। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর এবং একই সালের ১২ নভেম্বর আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতার চেষ্টা করেন। ওই সময় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে ও নাশকতার জন্য ব্যবহৃত লাঠিসোঁটা ও বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।  
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১২

মোবাইলে এক মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন
যতই দিন যাচ্ছে ততোই বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এর প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গত ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এমএফএসের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ চার হাজার ১০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৫৯০ কোটি টাকার রেমিট্যান্সও এসেছে মোবাইলের মাধ্যমে। এর আগে, একক মাসে হিসেবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে। ওই মাসে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজারে। গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণ, অনেক গ্রাহক একাধিক হিসাব খুলছেন। নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার ও নারী ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৮

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায়
বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৩০ টাকার টোল আদায় হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, সোমবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৪৭ হাজার ৭৫৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ টাকা। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের সেতু অংশে ৩৩ হাজার ১৩১টি যানবাহন উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬২৪টি যানবাহন ঢাকার দিকে প্রবেশ করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৮৫০ টাকা। যানবাহন পারাপারের মধ্যে বাস ১২ হাজার ৯২৬টি, ট্রাক ৭ হাজার ৯২০টি, মোটরসাইকেল ৯ হাজার ৩২৪টি, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য যানবাহন রয়েছে ১৭ হাজার ৫৮৫টি।  আহসানুল কবীর পাভেল আরও বলেন, ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ঘরমুখো মানুষ এবং যানবাহনগুলো নির্বিঘ্নে সেতু পারাপার হচ্ছে এবং স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল করছে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

৩০ হাজার টাকায় কারিগরির সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান!
বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেটসহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁও এবং পীরেরবাগে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ডিবি। অভিযানে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট ও সার্টিফিকেট তৈরির সরঞ্জামসহ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।  অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান। তিনি বলেন, শামসুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরেই ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় কারিগারি শিক্ষাবোর্ডের সনদ বিক্রি করে আসছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির সার্ভার তার নিয়ন্ত্রণে থাকায় অনলাইনেও এসব সার্টিফিকেটের অস্বিত্ব পাওয়া যায়।  উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান আরও বলেন, শামসুজ্জামান শিক্ষাবোর্ড থেকে সনদ ছাপানোর অর্জিনাল পর্যন্ত কাগজ চুরি করেছেন। পরে ওইসব কাগজে সনদ ছাপিয়ে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর কাছে বিক্রি করা হতো। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২০

৩০ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
আজ শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪। ১৬ চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়। ঘটনাবলী ১১৮০ - আব্বাসীয় খেলাফতের পতন যুগে আবুল আব্বাস আহমদ নাসেরের বাগদাদের খেলাফত লাভ। ১২৮২ - সিসিলি থেকে ফরাসিদের বহিষ্কার। ১৮১২ - কলকাতায় এথেনিয়াম থিয়েটার নামে রঙ্গমঞ্চ খোলা হয়। ১৮৬৭ - রাশিয়ার কাছ থেকে আমেরিকার আলাস্কা খরিদ। ১৯৩০ - চীনে বামপন্থী চীনা সাহিত্যিক সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ - শিক্ষাবিদ জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা শহীদ হন। ১৯৭৬ - ইসরাইল/প্যালেস্টাইন এলাকায় প্রথম ভূমি দিবস পালিত। ১৯৭৯ - ব্রিটিশ সাংসদ এ্যরি নীভ গাড়ি বোমা হামলায় নিহত। ১৯৮১ - যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রনাল্ড রেগান গুলিবিদ্ধ হন। ১৯৯২ - সত্যজিৎ রায় অস্কার পুরস্কার ‘মাস্টার অব ফিল্ম মেকার’ লাভ করেন। ১৯৯৬ - বিএনপি সরকারের প্রথম সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে পদত্যাগ। ২০০৬ - যুক্তরাজ্যে টেরোরিজন এ্যাক্ট - ২০০৬ আইন হিসাবে গৃহীত হয়। ২০০৯ - ১২ জন সশস্ত্র লোক পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত মানাওয়ান পুলিশ একাডেমী আক্রমণ করে। জন্ম ১৭৪৬ - ফ্রান্সিস্কো গোয়া, স্প্যানিশ চিত্রকর (মৃত্যু: ১৮২৮)। ১৮৪৪ - পল ভের্লেন, ফরাসী কবি (মৃত্যু: ১৮৯৬)। ১৮৫৩ - ভিনসেন্ট ভ্যান গখ ওলন্দাজ চিত্রশিল্পী। ১৮৭০ - বসুমতীর সম্পাদক ও লেখক সুরেশচন্দ্র সমাজপতি।(মৃ.০১/০১/১৯২১) ১৮৭৪ - নিকোলাই রদেস্কু, রোমানিয়ান সেনা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ (মৃত্যু: ১৯৫৩)। ১৮৯১ - যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৌশলী ও যন্ত্র নির্মাতা আর্থার উইলিয়াম সিডনি হ্যাংরিটন জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৯ - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি লেখক ও চিত্রনাট্যকার।(মৃ.১৯৭০) ১৯০৮ - দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার এ সম্মানিত প্রখ্যাত ভারতীয় অভিনেত্রী দেবিকা রাণী(মৃ.১৯৯৪) ১৯৭৯ - নোরা জোন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত জ্যাজ্‌ (jazz) সঙ্গীত শিল্পী, পিয়ানো বাদক এবং অভিনেত্রী। ১৯৮৬ - সার্জিও র‌্যামোস, স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড়। মৃত্যু ১৬৬৩ - মীর জুমলা, মোগল সেনাপতি। ১৯৪৮ - ইরানের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানতাপস এবং সংগ্রামী আলেম আয়াতুল্লাহিল উজমা সাইয়্যেদ হোসেইন তাবাতায়ী বুরোজার্দি মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৫৭ - দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার বাংলা ভাষার রূপকথার প্রখ্যাত রচয়িতা ও সংগ্রাহক। (জ.১৫/০৪/১৮৭৭) ১৯৬৫ - সতীনাথ ভাদুড়ী প্রথিতযশা বাঙালি সাহিত্যিক। (জ.২৭/০৯/১৯০৬) ১৯৬৭ - মমতাজ বেগম, মহান বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগ্রামী নারী। (জ.১৯২৩) ১৯৭১ - এ. কে. এম. সামসুল হক খান জেলা প্রশাসক -কুমিল্লা জেলা ২০০২ - আনন্দ বক্সী প্রখ্যাত ভারতীয় কবি,গীতিকার ও সুরকার।(জ.২১/০৭/১৯৩০) ২০০৫ - ফ্রেড কোরমাতসু, জাপানী বংশদ্ভূত মার্কিন এক্টিভিস্ট (জন্ম: ১৯১৯)। ২০১৩ - ড্যানিয়েল হফম্যান, মার্কিন কবি ও শিক্ষাবিদ (জন্ম: ১৯২৩)।
৩০ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৬

দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩০
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩০ আহত হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার নারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তিশা পরিবহন ও কাজী পরিবহনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজু মিঞা। আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। গুরুতর আহতরা হলেন কাজী পরিবহনের চালক জাকির মিয়া (৪৫), আসমা বেগম (৪৫), ইমরান (৩৫), রবিউল (৩৮) এবং জাকির (৫০)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিশা পরিবহনের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ছেড়ে আসা কাজী পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই দিক থেকেই আসা বাসের চালকরা বেপোয়ারাভাবে বাস চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মুখোমুখি সংঘর্ষের পর দুটি গাড়িই রাস্তার দুই দিকে থেকে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাজু মিঞা জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। বাস দুটি আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়