• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘোড়াঘাটে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২০ 
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাদকবিরোধী অভিযানে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা মাদকের কারবার, মাদক সেবন এবং জুয়া খেলাসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ বিশেষ অভিযান চালায় থানা পুলিশের পৃথক কয়েকটি আভিযানিক দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ।  অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন মাদক বেচাকেনা এবং ৪ জন জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন। চারজন জুয়ারিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও মাদকের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আটক হয়েছে আরও ৪ জন। আটককৃত আসামিরা হলেন, নওশাদ হোসেন (৩৯), রঞ্জিত বর্মণ (৩৮), মোনায়েম খান (৫০), সুবাশ চন্দ্র (৪৫), ময়নুল ইসলাম (৪০), জাহিদুল ইসলাম (৩৫), আলহাজ চৌধুরী (২৬),  শাকিল মিয়া (২৬),  রজ্জব আলী (৪৫), সবুর মোল্লা (৪৩), কাদির মোল্লা (৩৯), আফজাল হোসেন (২৭), মিনহাজুল ইসলাম (২৮), ছোঁয়ার হোসেন সৌরভ (৪৫) , গোলাম রব্বানী (২৫), শামিম রেজা (৩৭), শরিফুল ইসলাম (৩৫), বাবু মিয়া (৩০) এবং শাহিন (৪০)। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদের নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঘোড়াঘাট ছোট্ট একটি উপজেলা। তবে সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে মাদকের প্রভাব লক্ষণীয়। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। এ বিষয়ে আমাদের রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২২

ঈশ্বরদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের একজনের বাম হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। নিহত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। আর কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ইসাই ব্যাপারি (৫০) একই গ্রামের শফি ব্যাপারির ছেলে। আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসিরউদ্দিন (৩০), জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক, মো. মিঠুন (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), মো. খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০)। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এনিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটখাটো মারামারির ঘটনা ঘটে। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুল মারা যান।   এ সময় রিয়াজুল ব্যাপারি পক্ষের ইসাই ব্যাপারির বাম হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৪

নিখোঁজের ২০ বছর পর মা-বাবার কাছে ফিরলেন সন্তান 
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে দীর্ঘ ২০ বছর পরে নিখোঁজ হওয়া সন্তানের দেখা পেয়েছেন এক পরিবার। এদিকে নিখোঁজ থাকা সন্তানকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মা-বাবা। বলছিলাম উপজেলার রায়হানপুর-কাকচিড়া পুরান ভাড়ানী খাল সংযোগ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে সেলিম মিয়ার বড় পুত্র নিখোঁজ হওয়া শ্যাম্ভুর কথা।  নিখোঁজের ২০ বছর পরে ১৫ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে কাকচিড়া বাজারে এসে বাবার নাম ধরে জিজ্ঞেস করতে করতে পৌঁছে যায় তার পরিবারের কাছে, ছেলেকে পেয়ে আবেগময় হৃদয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন শ্যাম্ভুর মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। পরিবারে মা-বাবা, ভাই সোহেল ও সেলিনা নামের বোন রয়েছে। শ্যাম্ভুর বর্তমান বয়স প্রায় ৩৬ বছর, তার কথা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনো সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হয়নি। বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্যাম্ভুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাড়ি থেকে না বলেই চট্টগ্রাম যাই, সেখান থেকে গিয়ে সিলেটে থাকা শুরু করি, এতদিন থাকার পরে বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছিল, তাই ঠিকানা পুরোপুরি মনে না থাকা স্বত্বেও অনুমান করে করে বাড়িতে পৌঁছাই। এদিকে নিখোঁজ সন্তানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তার মা-বাবা বলেন, ২০০৫ সালের শেষের দিকে না বলে আমাদের সন্তান বাড়ি ছাড়ে, তখন বয়স ছিল ১৬ বছর, সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি, হয়তো আল্লাহ আমাদের ওপরে দয়া করে আমাদের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন। সন্তান কাছে পেয়ে আমাদের পুরো পরিবার খুবই আনন্দিত।   তারা আরও বলেন, সিলেট যে জায়গায় এতদিন বসবাস করতো সেই মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে সেখানে শ্যাম্ভুর তিনটি অটোরিকশা আছে, সবকিছু মিলিয়ে আমরা ছেলেকে নিয়ে সিলেটে যাব মালিকের সঙ্গে দেখা করে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে নিয়ে আসবো।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:২৭

২০ বছরে সিসিমপুর
সময়টা ২০০৫ সাল, প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখাকে আনন্দদায়ক ও উপভোগ্য করার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘সিসিমপুর’। দেখতে দেখতে এই অনুষ্ঠানটি পার করল ১৯ বছর।  সিসিমপুরের প্রথম প্রচারের দিন হিসেবে প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল তারিখটিকে ‘সিসিমপুর দিবস’ হিসেবে উদযাপন করা হয়। সিসিমপুর তার টেলিভিশন অনুষ্ঠান, মুদ্রিত বিভিন্ন উপকরণ এবং স্কুলভিত্তিক কার্যক্রম ও কমিউনিটি কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের শিখন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যেমন- বর্ণ চেনা, শব্দ থেকে বর্ণ চিহ্নিত করা, বর্ণ দিয়ে শব্দ মেলানো, শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করতে সাহায্য করে। চারপাশের পরিবেশ থেকে উপকরণ খুঁজে নিয়ে সেগুলোর মাধ্যমে বর্ণ ও শব্দ চিনতে সাহায্য করে। যেমন : ঘর, কলা, আম, টেবিল, ঘড়ি, গরু, গাছ, পাতা, কলম, বই ইত্যাদি শিশুর পরিচিতি বিভিন্ন শব্দ কোন বর্ণ দিয়ে শুরু হয়, তা খেলার ছলে শেখানো হয়। সিসিমপুরের চরিত্রগুলোর মাধ্যমে পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকে বিভিন্ন আকার-আকৃতির নাম, রঙের নাম ইত্যাদি শেখানো হয়।  এছাড়া ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখার বিষয় নিয়েও বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছে সিসিমপুর। পাশাপাশি প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুদের শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং অভিভাবক মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে সিসিমপুর। বর্তমানে  আরটিভি সহ দেশের ৩ টি বেসরকারি টেলিভিশনে সিসিমপুরের ১৬তম সিজন সম্প্রচারিত হচ্ছে।  তবে শুরু থেকেই একটি সরাকারি টেলিভিশন বিগত ১৯ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে সিসিমপুর সম্প্রচার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং সিসিমপুরের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল। তিনটি টেলিভিশনের মাধ্যমে সারা দেশের প্রায় এক কোটি দর্শক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছেন। প্রতি বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শিশুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়ে পরিণত হয়েছে সিসিমপুর। মেলায় প্রতি শুক্র-শনি আর ছুটির দিনগুলোতে ইকরি, হালুম, টুকটুকি আর শিকুর সঙ্গে মজার সময় কাটাতে শিশুদের ঢল নামে। যা ইতোমধ্যেই অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। সিসিমপুরের ১৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ১৯ বছর ধরে শিশুতোষ এই অনুষ্ঠানটি নির্মিত হচ্ছে তিন থেকে আট বছর বয়সী শিশুর প্রারম্ভিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যকে সামনে রেখে। সেইসঙ্গে সিসিমপুরের লক্ষ্য শিশুর পিতা-মাতা, যত্নকারী এবং শিক্ষকরাও।  আনন্দ আর খেলার ছলে সিসিমপুর ভূমিকা রেখে চলেছে শিশুর সামগ্রিক বিকাশে। ভাষা-বর্ণ; গণিত; পরিবেশ; সুষম ও পুষ্টিকর খাবার; স্বাস্থ্যসুরক্ষার মতো মৌলিক বিষয়গুলো ছাড়াও সিসিমপুর জেন্ডার সমতা; সামাজিক মূল্যবোধ; নিরাপদে খেলাধুলা করা, ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকা, দুর্যোগ প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস চর্চা; ভূমিকম্প; রাস্তা পারাপার ও পানিডুবি-বিষয়ক নিরাপত্তা; বিভিন্ন আঘাত প্রতিরোধে সচেতনতা; সঞ্চয় করা, পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ইত্যাদি নানা বিষয় শিশুদের শিখতে সাহায্য করেছে সিসিমপুর।  পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধা, মমত্ববোধ, অভিন্নত্ব ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধাসহ দেশের সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে সিসিমপুর। সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ তার সব কার্যক্রমই সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যৌথভাবে পরিচালনা করে থাকে। গত ১৯ বছরে সিসিমপুর বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে।  ইউএসএআইডির অর্থায়নে সিসিমপুরের পথচলা শুরু এবং ইউএসএআইডি-র এই সহায়তা অদ্যাবধি অব্যাহত রয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক সিসেমি স্ট্রিট নামক শিক্ষামূলক টেলিভিশন-ধারাবাহিকের সহ প্রযোজনা সিসিমপুরের কার্যক্রম বাংলাদেশে পরিচালনা করছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৭

রিজার্ভ এখন ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে। গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৩  বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ মার্চ রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৮১ কোটি ডলারে আর বিপিএম-৬ ছিল ১ হাজার ৯৪৫ কোটি ডলার (১৯ দশমকি ৯৬  বিলিয়ন)। চলতি মাসের ৮ এপ্রিল গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৩৮ কোটি ডলারে আর বিপিএম-৬  হয়েছে ২ হাজার ১০ কোটি ডলারে (২০ দশমকি ১০  বিলিয়ন)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমকি ৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ঈদের আগে প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রপ্তানি প্রবাহও বেড়েছে এসব কারণেই মূলত কিছুটা রিজার্ভ বেড়েছে। রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সময়ে বাণিজ্যিক কিছু ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলারের মতো কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক, যার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের মতো। আইএমএফের ঋণের শর্ত অনুযায়ী গত জুন শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা ছিল। ওই সময়ে নিট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার। আবার ওই সময়ে রাজস্ব আহরণে এনিবআর পিছিয়ে ছিল প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। তার আগের অর্থবছরে ( ২০২১-২২) ডলার বিক্রি করেছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫২

এপ্রিল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ২০ হাজার টাকা ভাতা পাবেন
এপ্রিল মাস থেকেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।  ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সর্বশেষ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা। সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের জন্য কোনো ভাতা দেওয়া হয় না। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মতে, এক বছর দায়িত্ব পালনকালে যে ভাতা দেওয়া হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাসপাতালে সারাক্ষণ দায়িত্ব পালন করতে হয়। বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে শত শত রোগী দেখতে হয়, তাদের তথ্য লিখতে হয়, চিকিৎসা দিতে হয়। পরদিন সকালে অধ্যাপকের জন্য নোট তৈরি করে রাখতে হয়। কাজের চাপ বেশি। তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সার্বিক দিক বিবেচনায় ভাতা বাড়ানো জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা করা দরকার। তবে ভাতা বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করার জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন তারা। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সাধারণ থোক বরাদ্দ খাতে বরাদ্দকৃত ৯৬ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার টাকার অব্যয়িত অর্থ থেকে ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা বিবেচনায় সর্বশেষ ৪ হাজার ৭০০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকের মাসিক ভাতা ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হলো। ফলে অতিরিক্ত ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হলো। ১ এপ্রিল থেকে এ বর্ধিত হার কার্যকর হবে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৮

দুদিনে রাজধানী ছেড়েছে ২০ লাখের বেশি সিমধারী
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। গত দুই দিনে রাজধানী ছেড়েছেন ২০ লাখের বেশি মুঠোফোন সিমধারী। মুঠোফোন অপারেটরদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সিমধারী বলতে একেকজন মানুষকে বোঝানো হয়েছে (ইউনিক ইউজার)। তাদের সঙ্গে প্রবীণ নারী–পুরুষ ও শিশুরা থাকতে পারে, যারা মুঠোফোন ব্যবহার করে না। ফলে প্রকৃতপক্ষে কত মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন, সেই হিসাব পাওয়া কঠিন। জানা গেছে, ৬ ও ৭ এপ্রিল ঢাকা ছেড়েছেন ২০ লাখের বেশি মুঠোফোন সিমধারী। এ সময়ে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন সাড়ে ৯ লাখের বেশি সিমধারী ব্যক্তি। ঈদ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে সরকারি ছুটি শুরু হচ্ছে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) থেকেই মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। এরপর শুক্র ও শনিবার দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং মাঝে রোববার পবিত্র শবেকদরের ছুটি পড়ে।  পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার লম্বা ছুটি রয়েছে। মূল ঈদের ছুটি ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। এর পরদিন, অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তার পরদিন রোববার পহেলা বৈশাখের ছুটি। এতে টানা পাঁচ দিন ছুটি নিশ্চিত। পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামানের ২০২৩ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ঈদের আগের চার দিনে ঢাকা ছাড়েন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। সে হিসাবে ঈদের সময় প্রতিদিন গড়ে বাড়ি যান ৩০ লাখ মানুষ।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৯

২০ মিনিটের চার্জেই ৭২০ কি.মি. পাড়ি দেবে নতুন ই-বাইক
পরিবেশবান্ধব মোটরযান হিসেবে বিশ্বজুড়েই চাহিদা বাড়ছে ইলেকট্রিক বাইকের। একদিকে তেল ভরার ঝক্কি নেই, অন্যদিকে একবারের চার্জে পাড়ি দেওয়া যায় অনেকখানি পথ। মানুষের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই একের পর এক নতুন উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হচ্ছে ই-বাইক কোম্পানিগুলো। দ্রুত গতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে ই-বাইকের কার্যক্ষমতা আর ডিজাইনে।  তবে, এবার ই-বাইকের সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে থাইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান স্মার্টটেক। সম্প্রতি ৪৫তম ব্যাংকক মোটর শো-তে ‘ফেলো টুজ’ নামে নিজেদের নতুন উদ্ভাবিত একটি ই-বাইক বিশ্ববাসীর সামনে হাজির করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  স্মার্টটেকের দাবি, বাজারের বড় বড় ইলেকট্রিক গাড়িকেও হার মানাতে সক্ষম তাদের নতুন ক্রুজার বাইকটি। একবার চার্জ দিয়েই ৭২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে বাইকটি নিয়ে। আর ফুল চার্জ হতে ‘ফেলো টুজ’ সময় নেবে মাত্র ২০ মিনিট।  নতুন এই বাইকটির ডিজাইন অনেকটা হোন্ডা গোল্ড উইংয়ের মতো রেখেছে স্মার্টটেক। বাইকটির পেছনে রয়েছে বড় পেনিয়ার বক্স। পাশাপাশি পিলিওন রাইডারদের জন্য আছে হেলান দেওয়ার ব্যবস্থাও। বাইকটিতে রয়েছে বিশাল ফ্লোরবোর্ড। যে পেনিয়ার বক্স দেওয়া হয়েছে তাতে অ্যাডভেঞ্চারের সমস্ত সামগ্রী বহন করা যাবে। বাইকের সর্বোচ্চ গতি ২০১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাইকটির ব্যাটারি স্পেসিফিকেশন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে ফেলো টুজে আরও একটি দারুণ ফিচার সংযোজন করা হয়েছে, যার নাম ভেহিকেল টু লোড। অর্থাৎ এক গাড়ির ব্যাটারি থেকে অন্য এক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা যাবে। এক্ষেত্রে অবশ্য দুই গাড়িতেই ভেহিকেল টু লোড বা ভি২এল ফিচার থাকতে হবে। ফেলো টুজে আরও কিছু চমকপ্রদ ফিচার রেখেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ১২ ইঞ্চি টিএফটি ডিসপ্লে রয়েছে এতে। এত বড় ডিসপ্লের দেখা মেলে না চার চাকার গাড়িতেও। ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং নেভিগেশন ফিচার দুই-ই পাওয়া যাবে এই ডিসপ্লেতে। মিলবে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরাও। রাইডার ও পিলিওনের সুরক্ষার জন্য অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম আছে দুই চাকার বাহনটিতে। বাইকটি যেহেতু ওজনে ভারী এবং আয়তনে বড় তাই নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এতে এবিএস এবং ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ফিচার দেওয়া হয়েছে। তবে এটি কিনতে কত খরচ হবে, তা এখনও ঘোষণা করেনি স্মার্টটেক।      
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১২

পর্যটকবাহী বাস উল্টে আহত ২০
সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে পর্যটকবাহী বাস উল্টে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।  জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে পর্যটকবাহী একটি দ্রুতগতির বাস সিলেটের দিকে আসছিল। পথে বাসটি ধোপাগুল এলাকার একটি মোড়ে টার্ন নিতে গিয়ে উল্টে যায়। এ সময় গাড়িতে থাকা যাত্রীরা আহত হন। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। স্থানীয়রা বেশ কয়েকজন আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ এসে বাকিদের উদ্ধার করে। সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, অতিরিক্ত গতির কারণে বাসটি টার্ন নিতে গিয়ে উল্টে গেছে। এতে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৫

অপহরণের ২০ দিন পর উদ্ধার হলো কিশোরী 
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার উম্মে খাদিজা রুমা (১৬) নামের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক কিশোরীকে অপহরণের প্রায় ২০ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে অপহরণকারী জাকির হোসেনের বাড়ি নিজমেহের থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।  বিকেলে পিবিআই চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। অপহৃত ওই কিশোরী শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। রুমা উপজেলার পূর্ব উপলতা গ্রামের মইনুল ইসলাম মিন্টুর মেয়ে। গত ১১ মার্চ তাকে মেহের প্রগতি সংঘের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিশোরীর বাবা মইনুল ইসলাম মিন্টু চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণকারী নিজমেহের এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত ওই মামলাটির দায়িত্ব দেন পিবিআইকে। পিবিআই মামলাটি সিডিউলভুক্ত করে তদন্ত করার দায়িত্ব দেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সফিকুল ইসলামকে। সর্বশেষ পিবিআই চাঁদপুর কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুছ খন্দকারে নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আলমগীর ও কনস্টেবল মো. সোলাইমানসহ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অপহৃত কিশোরীকে আসামির বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পিবিআই। পুলিশ পরিদর্শক মো. ইউনুছ খন্দকার জানান, অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে সোমবার দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে উপস্থিত করা হয়। আদালত ওই কিশোরীকে তার বাবার জিম্মায় প্রদান করেন।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়