• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নির্বাপণ হয়নি পুরোপুরি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামের আগুন প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (৪ মার্চ) রাত ১১টায় গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। তিনি জানান, কোনো স্থাপনায় আগুন লাগার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে আসার অর্থ হচ্ছে সেটি আর ছড়াচ্ছে না। এরপর স্থাপনার ভেতর-বাইরে তল্লাশি চালিয়ে কোথাও আগুন না পেলে পুরোপুরি নির্বাপণের ঘোষণা দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে। এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মিলের ১ নম্বর গুদামে এ আগুন লাগে, যেখানে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে দাবি করা হয়। আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের একাধিক ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এ বিষয়ে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ‘গোডাউন ভর্তি অপরিশোধিত চিনি ছিল। পাঁচতলা ভবনের মতো উঁচু গোডাউনটির আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা আগে করা হয়েছে। আগুনে কোনো হতাহত নেই দাবি করে আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, আশেপাশের স্থাপনাগুলোতে আগুন ছড়ানো ঠেকানো গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত নেই। এদিকে এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, এস আলম সুগার মিলের গোডাউনে কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে আগুন লাগার কারণ বের করা হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৫

‘১৩০০ ভবন চিহ্নিত করেছিলাম, কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি’
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিলাম। কারণ ওইসব ভবন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেই ভবনগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ঘটা ভয়াবহ আগুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শ ম রেজাউল করিম বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম। তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজকে পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। সরকার দলের এ সংসদ সদস্য বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো (২০২১ সালে)। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে, সে বিচার আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা আছে। এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করতে হবে। নাহলে অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। এর আগে সংসদের বৈঠকের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদে শোক প্রকাশ করা হয়। এ সময় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক এবং নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৩

ভিডিওকলে ‘বাঁচার আকুতি’ জানান রকি, হয়নি শেষরক্ষা
পরিবারের হাল ধরতে মাত্র ২ মাস আগে যশোরের ছেলে কামরুল হাবিব রকি (২১) কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। কর্মরত ছিলেন ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। ওই রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে যে ৪৬ জন মারা যান তাদের মধ্যে একজন কামরুল হাবিব রকি। ভিডিওকলে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি মারা যান। শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় তার মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে রকির বাড়ির পরিবেশ। নিহত রকি যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।  নিহত রকির মামা জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রকির মেসেঞ্জারে ভিডিওকল দিয়েছি, সে রিসিভ করেনি। পরে আমাকে কল ব্যাক করে বাঁচার আকুতি জানায়। কিছুক্ষণ পর কল কেটে যায়। আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা জানান, উদ্ধারকাজ চলছে, ধৈর্য্য ধরুন। এরপর আমি ঢাকায় রওনা হই। সেখানে হাসপাতালে পাই রকিকে। ততক্ষণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমিই রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরির পর আমিই ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে সে চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’ নিহত রকির ভাই কামরান হোসেন সাজিম জানান, তার ভাই আলিম পাস করে গত ডিসেম্বরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় আগুন লাগে। রকি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান রকি। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৯

রাবিতেই সীমাবদ্ধ জোহা দিবস : ৫৫ বছরেও হয়নি জাতীয়করণ
বৈদ্যুতিক বাতির আলোয় আলোকিত চারিদিক। তবুও যেন থমথমে এক পরিবেশ। চারপাশে সজ্জিত কাচ দ্বারা আবদ্ধ বাক্স। প্রতিটি বাক্স যেন একেকটি ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করছে। এসব বাক্সের একটিতে তাঁকাতেই দৃষ্টি আটকে যায়। বাক্সটিতে তেমন কিই বা আছে! একটা টাই, প্যান্ট আর কোর্ট আর ডায়েরির মতো এক খাতায় লেখা থিসিস পেপার। তবুও যেন দৃষ্টি কেড়ে নেয় রাজশাহী বিশ্ববিদালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায় অবস্থিত এ বাক্স। বাক্সটি দৃষ্টি কেড়ে নেওয়ার মূল কারণ হল, বাংলাদেশের মানচিত্রে দাবানল লেখা সংবলিত একজন ব্যক্তির ছবি। তিনি আর কেউ নন, বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহা। ‘ডোন্ট ফায়ার! আই সেইড, ডোন্ট ফায়ার! কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন আমার গায়ে গুলি লাগে’, ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রদের বাঁচাতে বর্বর পাকিস্তানি সেনাদের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে এমনই উচ্চারণ করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৎকালীন প্রক্টর ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। সত্যিই সেদিন ছাত্রদের গায়ে গুলি লাগার আগে ঝাঁঝরা হয়েছিল তার বুক। ড. জোহার রক্ত ঝরার মধ্য দিয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। পতন ঘটে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও বেশি ভিত্তি দেয় ড. জোহার আত্মত্যাগ। এরপর গণআন্দোলনে বিজয় এসেছিল বাঙালির। শহীদ ড. শামসুজ্জোহার আত্মত্যাগের ৩৯ বছর পর ২০০৮ সালে রাষ্ট্র তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে এবং তার নামে একটি স্বারক ডাক টিকিট প্রকাশ করে। তবে এর বেশি সম্মান আর দেওয়া হয়নি শহীদ ড. জোহাকে।  ড. জোহার শাহাদতের পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ দিবসটিকে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। প্রতিবছর এ দিনে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানালেও, দীর্ঘ ৫৫ বছরেও মেলেনি সেই স্বীকৃতি। এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি যথাযথ জায়গায় বিষয়টি উপস্থাপনে নিজেদেরও ব্যর্থতা রয়েছে বলেও মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রামিম সিহাব বলেন, দেশের প্রতিজন শিক্ষক-ছাত্র-জনতার মাঝে আমাদের ড. জোহা স্যারের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত জোহা স্যারের এ শাহাদতকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং তার আত্মত্যাগের আদর্শ সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান বলেন, এ মুহূর্তে যখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা, অনৈতিকতার তথ্য সামনে উঠে আসছে, তখন ড. শামসুজ্জোহা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। শামসুজ্জোহার মৃত্যু দিবসকে শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে এ বিশেষ দিনটিতে তাকে নিয়ে আলোচনা হবে, এতে শিক্ষকদের মাঝে সচেতনতা বাড়বে। এ ছাড়া তরুণদের মাঝে যারা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে ইচ্ছুক তারাও একটা আদর্শের জায়গা খুঁজে পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, এটা অনেক বড় একটি ঘটনা। সেই হিসেবে এ দিনটি শিক্ষক দিবস হওয়া জরুরি। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এই দাবিটি আদায় করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই মিলে গঠনমূলকভাবে ভাবা জরুরি। আমরা যদি প্রাথমিক বা মাধ্যমিকে ড. জোহাকে নিয়ে কোনো প্রবন্ধ পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করতে পারি। তাহলে সচেতন সমাজ তাকে নিয়ে জানবে এবং আশা করি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এ বিষয়ে জোরালো দাবি জানিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সাবেক শিক্ষার্থী মহান সংসদে রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে আমরা অনেকবার অনুরোধ করেছি বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করার জন্য। বিষয়টি সংসদে তুললে, এটি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটবে। যেহেতু আমাদের একটি জাতীয় শিক্ষক দিবস রয়েছে, সেটি নিয়ে মহান সংসদে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে তারা আলোচনা করতে পারেন। ড. জোহা স্যারের উৎসর্গটা ছোট না। তিনি আমাদের দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য, তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীও বটে। আমরা উনার সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করব।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৩

ডলারের দাম বাড়ায় হজের খরচ কমানো সম্ভব হয়নি : ধর্মমন্ত্রী
ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়ালের মূল্য অনেক বেড়ে গেছে, তাই সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজের ব্যয় কমানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এই কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম হজে প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও যেন পূর্ণ কোটায় হজযাত্রী পাঠানো যায় সেজন্য ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমিয়ে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যেন হজে যেতে পারেন সেজন্যই এটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার অনেক এলাকায় বাড়ি ও হোটেল ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় এ বছর অনেক বেড়েছে। বৈশ্বিক নানা কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়ালের মূল্যও অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া মিনায় মিনা আরাফায় তাবু ভাড়াসহ মেয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে সরকারের ইচ্ছা সত্ত্বেও হজের ব্যয় আর কমানো সম্ভব হয়নি। ফরিদুল হক খান আরও বলেন, অধিক সুযোগ-সুবিধা আশা করেন এরকম হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি মাধ্যমের বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৮

হুমায়ূন-শাওনকে তিশা-মুশতাকের মতো বের করে দেওয়া হয়নি : মৌসুমী হামিদ
চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। বইমেলার নবম দিনে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘তিশার ভালোবাসা’ বইয়ের লেখক মুশতাক আহমেদকে ও তার স্ত্রী তিশাকে ‘ভুয়া ভুয়া’ ‘ছি ছি ছি ছি’ দুয়োধ্বনি দিয়ে বইমেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেন মেলায় আসা শতাধিক দর্শনার্থী। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যেতে সাহায্য করেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। একদল মনে করছেন, মুশতাক-তিশার সঙ্গে যা ঘটেছে, এটা তারা প্রাপ্য ছিলেন। আবার একদলের মত, এমন এক ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য না। এদিকে অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ নিজের ফেসবুকে তিশা-মুশতাক ইস্যুতে এক নেটিজেনের লেখা দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন। ওই লেখায় মুশতাক-তিশাকে বের করের দেওয়ার সমালোচনার পাশাপাশি উদাহরণ টানা হয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ এবং অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওনের। লেখকের মতে, হুমায়ুন-শাওনকে কখনও তিশা-মুশতাকের মতো হয়রানির শিকার হয়ে মেলা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়নি। শুরুতেই ওই পোস্টে  লেখা হয়েছে, বইমেলা থেকে মুশতাক-তিশা দম্পতিকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অসভ্য দর্শনার্থীরা এই কাজটা খারাপ করেছে। সেইসাথে মেলার নিরাপত্তায় নিয়োজিত লোকজন তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে লজ্জাজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।  এরপর বলা হয়েছে,‘অসম বয়সী’ লেখক দম্পতি হিসেবে মুশতাক-তিশা বইমেলার প্রথম জুটি নয়। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ-মেহের আফরোজ শাওন ওই রেকর্ড অনেক আগে করে রেখেছেন। তিশা-মুশতাকের বয়সের গ্যাপ সম্ভবত ৪০। হুমায়ুন-শাওনের ২৫-৩০ হয়ে থাকতে পারে। ‘অসম বয়স’ বিষয়টা গোলমেলে। বয়সের গ্যাপ ঠিক কত হলে তাকে অসম বয়স বলা যেতে পারে আমার জানা নেই। পার্থক্য যদি কিছু থেকে থাকে, পাবলিকের ভাষ্যমতে, তা হচ্ছে হুমায়ূন ছিলেন শাওনের বাবার বয়সী। জনাব মুশতাক গ্র্যান্ডপা স্থানীয়। কিন্তু কথা সেটা নয়। হুমায়ুন-শাওনকে কখনও তিশা-মুশতাকের মতো হয়রানির শিকার হয়ে মেলা থেকে বেরিয়ে যেতে হয়নি। হুমায়ূন লেখক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় এবং তখন ফেইসবুক-টিকটক না থাকায় হয়তো বেঁচে গেছেন।  অভিনেত্রীর শেয়ারকৃত ওই পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মুশতাক-তিশা বর্তমানে যথেষ্ট আলোচনায় আছেন। তারা ইতোমধ্যে হিরো আলম, জায়েদ খান, মাহফুজুর রহমান (ড. মাহফুজুর রহমান) লেবেলের খ্যাতি অর্জন করে ফেলেছেন। বইমেলা থেকে এরকম বের হতে হওয়ায় এখন জাতীয় পত্রিকার নিউজ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক নিউজ হবেন। আল জাজিরা, ব্রুট, গার্ডিয়ানে তাদেরকে পাওয়া যাবে। দেশের বই, বইমেলা ও লেখকদের নিয়ে সম্ভবত একমাত্র নিউজটি হবে ওদেরকে নিয়ে। অথচ আন্তর্জাতিক মিডিয়া জানবে না প্রতিবছরই কিছু না কিছু ভালো বই বাংলাদেশ বের করে। যেমন ইউরোপ-আমেরিকার লোকজন জানেই না বাংলাদেশ নামক একটা দেশকে ২৩ বছরের আন্দোলন শেষে ৯ মাসের একটা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয়। শেষে ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেতে হয়।  প্রশ্ন তুলে সেখানে লেখা হয়েছে, তিশা-মুশতাকের অপরাধটা আসলে কোথায়? বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছরের একটি মেয়ে বিয়ে করতে পারবে। আইনের কোথাও বলা হয়নি ৪০ বছরের গ্যাপ থাকলে কাউকে বিয়ে করা যাবে না। তিশা ‘সুগার ড্যাডি’ বা ‘গোল্ড ডিগার’ বিয়ে করল কেন, তাদের বয়সের গ্যাপ এত কেন হবে এসব নিয়ে জাজমেন্টাল হওয়ার রাইট আমাদের থাকতে পারে, থাকা উচিৎ? নাকি আমাদের গাত্রদাহের কারণ ওরা কেনো এরকম অসম সম্পর্কের পর প্রকাশ্য হবে, ফেসবুকে লাইভ করবে, হাত ধরে বইমেলায় যাবে, নিজেদের লেখা বইয়ের প্রচার করবে স্টলে দাঁড়িয়ে?  এ তারকা শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়েছে, সমাজ নির্ধারিত নৈতিকতা, প্রথা, অনুশাসন না মানলে তাদেরকে আমরা একঘরে ও অস্পৃশ্য করে দেব? মানে বিষয়টা কি এমন যে ‘এ রকম অসম’ সম্পর্ক করেছ তাই তোমাদেরকে লুকিয়ে থাকতে হবে, প্রকাশ্য হওয়া যাবে না, তোমাদের ভালো থাকার, সুখে থাকার ছবি-ভিডিও প্রকাশ করা যাবে না। তোমরা বই লিখতে পারবে না, লিখলেও বইয়ের প্রচারণা করতে বইমেলায় আসতে পারবে না। এত এত ‘না’ আরোপ করার তুমি কে হে ‘আদম-হাওয়ার’ পুত্র-কন্যারা? ওদের বই পড়তে ইচ্ছা না হলে পড়ার দরকার নেই। ওদের স্টলের সামনে লাইন ধরে দাঁড়ানোর দরকার নেই। ওরা কী ছবি-ভিডিও আপলোড দিলো দেখার দরকার নেই। লাইভে এসে কী ঘোড়ার ডিম বলল জানার দরকার নেই।  সবশেষে লেখা, দেশের নাগরিক হিসেবে ওদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা তথা বই লেখার সাংবিধানিক অধিকার আছে, সেই বইয়ের প্রচার-প্রচারণা করার অধিকারও আইন সম্মত। ঠিক তেমনই ওই বইয়ের সমালোচনা করা, কিংবা ওই বই কিনে মেলার মাঠে ছিড়ে ফেললেও সমস্যা নেই। কিন্তু যেটা আমরা করতে পারি না তা হচ্ছে ওদেকে হেনস্থা-অপদস্ত করে মেলা থেকে বের করে দেওয়া কিংবা বের করে দিতে সহযোগিতা করা। এই কাজটা অপরাধমূলক। আইনের শাসন ঠিকঠাকভাবে চললে যারা এই কাজে সংঘবদ্ধ হয়েছিল তাদের প্রত্যকের শাস্তি হওয়ার কথা। আমি এইসব রাস্কেলদের শাস্তি চাই।  প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭

মৃত্যুর খবরেও বাতিল হয়নি রুবেলের সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী
মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আহমেদ রুবেল। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।  নিজের অভিনীত নির্মাতা নুরুল ইসলাম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমার  উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে আসার উদ্দেশ্যে আহমেদ রুবেল রওনা হয়েছিলেন। তার আগেই তিনি চলে গেছেন না-ফেরার দেশে।  আহমেদ রুবেলের মৃত্যুতে বাতিল হয়নি ‘পেয়ারার সুবাস’ এর প্রদর্শনী। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেই চলছে সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনী।  এসময় শোক প্রকাশ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্মাতা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, এ সিনেমার উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল আহমেদ রুবেলের।  উত্তরা থেকে পরিচালক নুরুল আলম আতিক  সঙ্গে গাড়িতে করে রুবেল বসুন্ধরা আসছিলেন। গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন আহমেদ রুবেল নিজেই।  রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির পার্কিংয়ে গাড়িটি পার্ক করার পর হঠাৎ করেই অসুস্থ বোধ করেন রুবেল। পার্কিং থেকে সবাই মিলে তাকে দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন,  প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ প্রদর্শনীতে এসে ছবিটির অন্যতম চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না তিনি আর নেই। আসলে আজকে আমাদের প্রিমিয়ার। রুবেল ভাই থাকলে হয়তো তিনিও চাইতেন না যে শো বাতিল হউক। তাই আমরাও মনে কষ্ট নিয়ে হলেও শোটি চালচ্ছি।  উল্লেখ্য, অভিনেতা আহমেদ রুবেলের পুরো নাম আহমেদ রাজিব রুবেল। ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকা শহরে।  সবশেষ পরিবারের সঙ্গে তিনি গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন। মঞ্চে ‘ঢাকা থিয়েটার’ হয়ে অভিনয়ে হাতেখড়ি আহমেদ রুবেলের। ছোটপর্দায় তার অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’। একুশে টেলিভিশনের ধারবাহিক নাটক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘প্রেত’-এ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। বড়পর্দাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আখেরী হামলা, শ্যামলছায়া, গেরিলা, ব্যাচেলর, চন্দ্রকথা ইত্যাদি।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪১

পুরোনো হয়নি মেহেদির রং, বিয়ের দুদিনের মাথায় স্বামীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় রায়হান উদ্দিন নামে নববিবাহিত এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ডিসি পার্কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সন্ধ্যা সাতটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রায়হান উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  নিহত রায়হান নগরের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি লেখাপড়া শেষ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সহপাঠীরা। এ সময় তার সতীর্থরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। রায়হানের পরিবার জানায়, মাত্র দুদিন হলো সানজিদা হোসেনকে বিয়ে করেছেন রায়হান। ক্রীড়া সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারের সামনে শোকে কাতর রায়হানের স্ত্রী সানজিদা বিলাপ করছিলেন। ইমার্জেন্সি সেন্টারের পাশেই রায়হানের সতীর্থরাও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। নিহত রায়হানের স্বজন, শিক্ষক, বন্ধু-ভাই সবার চোখে জল।  রায়হানকে নিয়ে তার এক বন্ধু কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রায়হান সবসময় বলতো- ‘তোরা দেখে নিস একদিন আমি স্পোর্টস সাংবাদিক হবো।’  রায়হানের বন্ধু আরও জানান, শুক্রবার তার আক্‌দ হয়েছে। সেদিন রাতেও অনেক হাসিখুশি ছিল। আর সেই হাসিখুশি ছেলেটি আজ নেই ভাবতেই কষ্ট লাগছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১০

মঈন খানকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি : পুলিশ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. শাহজাহান জানান, আমরা তাকে অপেক্ষা করতে বলেছি। সেই সঙ্গে কালো পতাকা মিছিল থেকে বিরত থাকতে বলেছি। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল থেকে মঈন খানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে দলটি।  বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ ১ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর (জোন-২) বিএনপির কালো পতাকা মিছিল থেকে মঈন খানকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন (মঙ্গলবার) সারা দেশে ‘কালো পতাকা’ মিছিল করছে বিএনপি। এ ছাড়া একই দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটসহ বিভিন্ন দল ও জোট পৃথকভাবে কালো পতাকা মিছিল করছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২২

৭ বছরেও হয়নি বিএনপির সম্মেলন, বেহাল চেইন অব কমান্ড
সাত বছর পার হলেও বিএনপির সপ্তম জাতীয় সম্মেলন হয়নি। এতে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধশতাধিক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অধিকাংশ জেলায় আংশিক আহ্বায়ক কমিটি হলেও দীর্ঘদিনেও সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। প্রবল হয়েছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং। এ কারণে সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির কর্মীদের সেভাবে রাজপথে নামতে দেখা যায়নি। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলন করেছিল বিএনপি। গঠনতান্ত্রিকভাবে তিন বছর পরপর এই সম্মেলন হওয়ার কথা। তবে সাত বছর পার হলেও সপ্তম জাতীয় সম্মেলন হয়নি। সাত বছরে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়েছে মাত্র একবার। ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই সভার পর কেটে গেছে পাঁচ বছর। বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির ১৯ পদের মধ্যে বর্তমানে শূন্য আছে পাঁচটি। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যানের ১৩টি, উপদেষ্টা ১৫টি, সম্পাদক ও সহসম্পাদকসহ প্রায় একশর মতো পদ শূন্য হয়ে আছে। আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির মূল শক্তি দুটি সহযোগী ও ৯টি অঙ্গসংগঠন। তবে এগুলোর সাংগঠনিক অবস্থাও বেহাল। চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ায় তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল গঠনতান্ত্রিকভাবে বিএনপির সহযোগী সংগঠন। আর অঙ্গসংগঠন হিসেবে রয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দল, তাঁতী দল, ওলামা দল, জাসাস ও মহিলা দল। এসব সংগঠনের মধ্যে কয়েকটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলেও বেশিরভাগের মেয়াদ নেই। সবচেয়ে করুণ দশা শ্রমিক দল, ছাত্রদল, মহিলা দল ও জাসাসের। জেলা-উপজেলা কমিটিরও একই অবস্থা। এতে স্থবির হয়ে আছে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। ৮২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধশতাধিক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অধিকাংশ জেলায় আংশিক আহ্বায়ক কমিটি হলেও দীর্ঘদিনেও সম্মেলন ও পূর্ণাঙ্গ হয়নি। কমিটি গঠনে স্থানীয় প্রভাবশালীদের তৎপরতা কিংবা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের কারণে প্রবল হয়েছে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পুরোদমে দল পুনর্গঠন কাজ শুরু করেছিল বিএনপি। সেই সময় মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি হালনাগাদের উদ্যোগ নিলেও তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। ওই উদ্যোগের পর মাত্র ২০টির মতো জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  জানান, তৃণমূল পর্যায়ে অধিকাংশ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। মাঝেমধ্যে কমিটি করতে গেলে বিশেষ ‘সিন্ডিকেট’ তাতে হস্তক্ষেপ করায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ সময়েও জেলা শাখা ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠন না হওয়ায় মাঠ পর্যায়ের অনেক ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মী দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। অনেকে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘এটা সত্য যে, দলের অনেক সাংগঠনিক জেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে। সেগুলো ঢেলে সাজানোর কাজ অচিরেই শুরু হবে।’ সম্মেলনের বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনীতির দুটি প্রধান বলয়। একটি আওয়ামী লীগ আরেকটি বিএনপি। ভুল-ত্রুটি সংশোধন করেই বিএনপিকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’  রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাস সিংহ রায় বলেন, বিএনপির কার্যক্রম এতটাই বিতর্কিত যে তারা জনসম্মুখে তাদের অবদান তুলে ধরতে ভয় পায়। বিএনপি দুবার দেশ শাসন করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। তাদের কারণে বাংলাদেশ দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। উন্নয়নের বদলে দেশকে পিছিয়ে দেয়াই ছিল তাদের অর্জন। ভোট বর্জন করে বিএনপি নিজের দলের নেতাকর্মীদের কথাও উপলব্ধি করেনি, ফলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ভরসা রাখতে পারছেনা নেতাকর্মীরা। তাই বার বার আন্দোলন ডাকলেও তাতে নিজ দলেরই সাড়া মিলছে না।’
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়