• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সক্ষমতার অভাবে দুই যুগেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি (ভিডিও)
রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনগুলো যেন একেকটা মশা উৎপাদনের কারখানা। ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিলে কিছুটা নজরদারি বাড়লেও এখন যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে ওষুধ ছিটানো হলেও তা কাজে আসে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক নিধনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ঘাটতি আর সক্ষমতার অভাবে দুই যুগেও দেশে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি। গত কয়েক দশক ধরে রাজধানীতে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা। নির্মাণাধীন এসব ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা। গত বছর রাজধানীতে ৫০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগের জন্য নির্মাণাধীন ভবনকে দায়ী করা হয়। এবারের চিত্রও আগের মতো। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নেওয়া হয়নি আগাম কোনো ব্যবস্থা। ভবন মালিকদের অসচেতনতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন নগরবাসী। তারা জানান, যেখানে মশা তৈরি হয় সেখানে ওষুধ দেওয়া হয় না। মাঝে মধ্যে মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও তা কাজে আসছে না। আর ওষুধ দেওয়া হলেও এর ভেতরে থাকে কেরোসিন। কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার বলছেন, সঠিক পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ না করায়, মশা মরছে না। তিনি বলেন, যে দূরত্ব থেকে স্প্রে করা দরকার, এর থেকে বেশি হলে মশা বাড়বে। আর স্প্রের কারণে মশার প্রাকৃতিক শত্রুরা মারা যাবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বেনজির আহমেদ জানান, গত বারের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯

রমনার বটমূলে বোমা হামলার ২৩ বছরেও হয়নি বিচার
২৩ বছর আগে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। চাঞ্চল্যকর এই বোমা হামলার এখনো বিচার হয়নি। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনার বটমূলে বোমা হামলার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে নিম্ন আদালত রায় ঘোষণা করে। আদালতে রায়ের পর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। একইসঙ্গে কারাবন্দি আসামিরা আপিল করে। উভয় আবেদনের ওপর ২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালত বদল হওয়ায় শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে মামলাটি। ১০ বছরে অন্তত ৪০০ বার পিছিয়েছে শুনানি। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ওই বেঞ্চের একজন বিচারপতি আইনজীবী হিসেবে এই মামলায় কাজ করেছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার তার বেঞ্চে শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি।   অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলাটি এখনো বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়ার কথা বলছে রাষ্ট্রপক্ষ।   আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সাক্ষীদের সহজেই পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচার কাজ শেষ হওয়া উচিত। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয় এবং পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নৃশংস ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকেই। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন। ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর শীর্ষ হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমিন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর হয়। বর্তমানে মামলাটিতে মোট ১১ জন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। এর মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৯

পিরোজপুরে ঝড়ের তাণ্ডব : ২ দিন পরও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ
পিরোজপুরে হঠাৎ করে আঘাত হানা কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ। স্বল্প পরিসরে পিরোজপুর শহরে রাতে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা গেলেও অধিকাংশ এলাকায় রয়েছে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। অন্যদিকে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ করেই আকাশ কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় ঝড়। আর মুহূর্তের মধ্যেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার পৌরএলাকা এবং শারিকতলা ইউনিয়ন। এর প্রভাব পড়ে পার্শ্ববর্তী কাউখালী ও ইন্দুরকানী উপজেলায়ও। সদর উপজেলার দক্ষিণ মরিচাল গ্রামে ঘরের ওপর গাছ পড়ে চাপা পড়ে মারা যান এক নারী এবং একই এলাকায় পানিতে পড়ে মারা যান আরেক বৃদ্ধ। এ ছাড়া আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। অন্যদিকে ঝড়ে গাছে থাকা আম, লিচুসহ অন্যান্য ফলের গুটি এবং গাছে থাকা কলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  তবে ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পিরোজপুর সদর, কাউখালী, ইন্দুরকানী ও ভান্ডারিয়া উপজেলা। তবে জেলা ও উপজেলা শহরগুলোতে স্বল্প পরিসরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এ ছাড়া প্রধান সড়কগুলো থেকে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ অপসারণ করা সম্ভব হলেও গ্রামাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট এখনও যান চলাচলের জন্য পুরোপুরি উপযোগী হয়নি। এতে করে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।  এদিকে সোমবার (৮ এপ্রিল) প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাধবী রায়।  তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যার মধ্যে অধিকাংশ এলাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬

ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজ নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫ এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে।  হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম; যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও কোনো সম্মুখ সমরে কখনো যাননি। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে। আলোচনা সভায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।  
২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৬

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, পাঁচ বছরেও শেষ হয়নি বিচার
দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন চারপাশ। ২২তলা ভবনটিতে থাকা মানুষের আত্মচিৎকার ও বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা। অনেকে সুউচ্চ ভবনটির কাঁচের দেয়াল বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ হাত ফসকে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হচ্ছেন। খবর পেয়ে মুহূর্তেই ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার জরুরি কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার থেকেও পানি ছিটানো হয়। কিন্তু কিছুতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। আগুন থেকে রক্ষা পেতে অনেকে লাফিয়ে নিচে পড়ছেন। শুনে মনে হতে পারে এটি কোনো হলিউড বা বলিউড সিনেমার দৃশ্য। কিন্তু না এটি কোনো সিনেমার দৃশ্য নয়। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ এমনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল রাজধানী ঢাকার বনানীর ফারুক-রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন প্রাণ হারান। এ ছাড়া অনেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও পোড়া ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন। পাঁচ বছর পূর্ণ হলেও অগ্নিকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি।  বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় ওই বছরের ৩০ মার্চ বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ও তাসভীরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে নকশা জালিয়াতির অভিযোগে অপর মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পুলিশের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভবনটির জমির মালিক প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুক। টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভিরুল ইসলাম, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ওরফে মুকুল এবং এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা অসৎ উদ্দেশ্যে আর্থিক সুবিধার লোভে নির্মাণ বিধিমালা না মানায় এফআর টাওয়ারে এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পুলিশের দায়ের করা মামলটিতে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে এস এম এইচ আই ফারুক, তাজভীরুল ইসলাম, সেলিম উল্লাহ, এ এ মনিরুজ্জামান, সৈয়দ আমিনুর রহমান, ওয়ারদা ইকবাল, কাজী মাহমুদুন নবী ও রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক সমীর চন্দ্র সূত্রধর। পরে মামলাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত না হওয়ায় পিবিআইকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। পরবর্তীতে গত ২২ জানুয়ারি একই আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।  পিবিআইয়ের চার্জশিট থেকেও লিয়াকত আলী খান মুকুলকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত ৮ আসামির বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ করেন। সবশেষ গত ১২ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত বিচারের জন্য মামলার নথি সিএমএম বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে বলেন, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করবো সাক্ষীদের হাজির করে যতদ্রুত সম্ভব মামলার বিচারকাজ শেষ করার। অন্যদিকে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর নকশা জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৮ সালের ২৫ জুন দুদকের উপপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইমারত বিধিমালা লঙ্ঘন এবং নকশা জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ তলাবিশিষ্ট এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করেন। ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসারে ভবনের দুই পাশে যে পরিমাণ জায়গা রাখার কথা তা–ও রাখা হয়নি। এ ছাড়া আবাসিক ভবন হিসেবে অনুমোদন নেওয়া হলেও পুরো ভবনটি ব্যবহার করা হয়েছে বাণিজ্যিক কাজে। নকশা জালিয়াতির মামলায় ভবন মালিক ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুলসহ ৪ জনের বিচার চলছে। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। মামলার অপর আসামিরা হলেন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদেম, রূপায়ন গ্রুপের কর্ণধার লিয়াকত আলী খান মুকুল ও রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৪

দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি : মেজর হাফিজ
দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।  মেজর হাফিজ বলেন, দিল্লির অধীনস্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। আওয়ামী লীগ এ দেশকে একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তারা সবসময় বিদেশি শক্তির দিকে তাকিয়ে থাকে। যে গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ যুদ্ধ করেছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই গণতন্ত্র নস্যাৎ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য সরকারকে দায়ী করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের আজ নাভিশ্বাস অবস্থা। কিন্তু এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথাই নেই। বিএনপির আন্দোলনে যোগ না দিলে জনগণ দায়ী থাকবেন উল্লেখ করে এরপর তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে জনগণকে অংশ নিতে হবে। জনগণ অংশ না নিলে এর জন্য তারা দায়ী থাকবেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:১২

বেঁধে দেওয়া পণ্যের দাম ৭ দিনেও কার্যকর হয়নি (ভিডিও)
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তির খবর নেই। সরকারের বেঁধে দেওয়া নিত্যপণ্যের দাম সপ্তম দিনেও কার্যকর হয়নি। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান, জরিমানা ও দাম নির্ধারণ কোনো কিছুই যেন কাজে আসছে না। প্রতিদিনই বাড়ছে কোনো না কোনো পণ্যের দাম। বাজারে নতুন করে চাল, মুরগি ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একদিনের ব্যবধানে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকায়। হঠাৎ করেই বস্তাপ্রতি ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। রমজানের এই সময়ে চালের চাহিদা কম থাকলেও বেড়েছে চালের দাম।  সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি এক হাজার ১০০ টাকায়। মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। ভরা মৌসুমে দাম বেশি থাকলেও মওসুমে শেষে নিম্নমুখী সবজির দর। তবে লেবু, বেগুণ ও শসা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও তাতে পাত্তা দিচ্ছে না বিক্রেতারা।  এমন বাস্তবতায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালানোই দায়। তারা জানান, ১০ টাকা আয় করে ২০ টাকা খরচ হচ্ছে। আগে লেবুর হালি ২৫ টাকা থাকলেও এখন একটা লেবুর দামই ২৫ টাকা। মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৯

চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে, নির্বাপণ হয়নি পুরোপুরি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছাপুর এলাকায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের গুদামের আগুন প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবে পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার (৪ মার্চ) রাত ১১টায় গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি নির্বাপণ হয়নি। তিনি জানান, কোনো স্থাপনায় আগুন লাগার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণে আসার অর্থ হচ্ছে সেটি আর ছড়াচ্ছে না। এরপর স্থাপনার ভেতর-বাইরে তল্লাশি চালিয়ে কোথাও আগুন না পেলে পুরোপুরি নির্বাপণের ঘোষণা দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে। এর আগে সোমবার বিকেল ৪টার দিকে মিলের ১ নম্বর গুদামে এ আগুন লাগে, যেখানে এক লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল বলে দাবি করা হয়। আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশনের একাধিক ইউনিট সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। এ বিষয়ে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ‘গোডাউন ভর্তি অপরিশোধিত চিনি ছিল। পাঁচতলা ভবনের মতো উঁচু গোডাউনটির আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেই ব্যবস্থা আগে করা হয়েছে। আগুনে কোনো হতাহত নেই দাবি করে আবদুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, আশেপাশের স্থাপনাগুলোতে আগুন ছড়ানো ঠেকানো গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত নেই। এদিকে এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, এস আলম সুগার মিলের গোডাউনে কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পরবর্তীতে অনুসন্ধান করে আগুন লাগার কারণ বের করা হবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৫

‘১৩০০ ভবন চিহ্নিত করেছিলাম, কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি’
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছিলাম। কারণ ওইসব ভবন মন্ত্রণালয় অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়নি। কিন্তু সেই ভবনগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি। শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে ঘটা ভয়াবহ আগুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার হাতে দায়মুক্তির সংস্কৃতি ধ্বংস হয়েছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বড় বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সেক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। শ ম রেজাউল করিম বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলাম। তদন্ত করে ৬২ জনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আজকে পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন হয়নি। সরকার দলের এ সংসদ সদস্য বলেন, নারায়ণগঞ্জে ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো (২০২১ সালে)। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে, সে বিচার আজ পর্যন্ত শুরু হয়নি। এ রকম অনেক ঘটনা আছে। এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করতে হবে। নাহলে অন্যদের কাছে একটা মেসেজ যাবে না। এর আগে সংসদের বৈঠকের শুরুতে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় জাতীয় সংসদে শোক প্রকাশ করা হয়। এ সময় স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক এবং নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
০২ মার্চ ২০২৪, ২৩:২৩

ভিডিওকলে ‘বাঁচার আকুতি’ জানান রকি, হয়নি শেষরক্ষা
পরিবারের হাল ধরতে মাত্র ২ মাস আগে যশোরের ছেলে কামরুল হাবিব রকি (২১) কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছিলেন। কর্মরত ছিলেন ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে। ওই রেস্টুরেন্টে আগুন লেগে যে ৪৬ জন মারা যান তাদের মধ্যে একজন কামরুল হাবিব রকি। ভিডিওকলে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি মারা যান। শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় তার মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। এ সময় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে রকির বাড়ির পরিবেশ। নিহত রকি যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে।  নিহত রকির মামা জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রকির মেসেঞ্জারে ভিডিওকল দিয়েছি, সে রিসিভ করেনি। পরে আমাকে কল ব্যাক করে বাঁচার আকুতি জানায়। কিছুক্ষণ পর কল কেটে যায়। আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা জানান, উদ্ধারকাজ চলছে, ধৈর্য্য ধরুন। এরপর আমি ঢাকায় রওনা হই। সেখানে হাসপাতালে পাই রকিকে। ততক্ষণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমিই রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরির পর আমিই ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে সে চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’ নিহত রকির ভাই কামরান হোসেন সাজিম জানান, তার ভাই আলিম পাস করে গত ডিসেম্বরে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় আগুন লাগে। রকি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান রকি। আগুনের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়