• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি : ইভানা
ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। সাধারণ মানুষ তো বটেই ঈদের খুশি সবার সাথে ভাগ করার জন্য তারকারাও মুখিয়ে থাকে এই দিনটির জন্য। শত ব্যস্ততার মাঝেও তারকারা এ সময় নিজের পরিবারকে সময় দেন। ঘুরতে যান বন্ধুদের সাথে। আরটিভির ঈদ আয়োজনে ঈদ সহ নানা বিষয় নিয়ে কথা হলো বর্তমান সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী ইভানার সাথে।  আরটিভি : ঈদ কোথায় করলেন?  ইভানা: ঈদ ঢাকাতেই করেছি। আর এখন ঈদ নিয়ে তেমন পরিকল্পনা থাকে না। ছোট বেলায় আগে অনেক প্লেন করতাম। মেহেদী দিবো, চাঁদরাতে ঘুরবো, ঈদের দিন ঘুরবো। কিন্তু এখনকার ঈদ নিয়ে তেমন কিছুই করা হয়না। কারণ কাজিনদের অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। এবার ঈদটা আমার জন্য অনেক স্পেশাল কারণ তিন বছর পর মা বাংলাদেশে এসেছে। ঈদে মায়ের হাতের রান্না খেয়েছি অনেক বছর পর।  আরটিভি : তারকা হওয়ার আগের ঈদ ও এখনকার ঈদে কি পার্থক্য?  ইভানা : তারকা হওয়ার আগের ঈদ গুলোই ভালো ছিল। আসলে এক একটা বয়স থাকে। বয়সের সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক অবস্থাও পরিবর্তন হয়। ঈদ আসলে এখন মনে হয় বড় হয়ে গিয়েছি। আগে সালামি নিতাম এখন দিতে হয়। সত্যি কথা বলতে এখন আর আগের মত ঈদ ঈদ ভাইভটা পাইনা। আমি খবুই সাধারণ মানুষ। আমি নিজেকে কখনোই তারকা মনে করি না। হয়তো মানুষ ভালোবাসে পছন্দ করে বলেই তারকা বলে ডাকে। আমি নিজেকে কখনোই বড় কিছু মনে করিনা। আমি খুব সাধারণ ভাবেই জীবন কাটাই।  আরটিভি : ঈদ নিয়ে মজার কোন স্মৃতি? ইভানা: ঈদ নিয়ে অনেক ছোট বেলার মজার স্মৃতি আছে। ছোটবেলায় যৌথ পরিবার ছিলো। তখন অন্যরকম আনন্দে ঈদ কাটতো। প্রতিটা বাসায় গিয়ে সবার কাছ থেকে সালামি নিতাম। কে কত কার থেকে সালামি পেয়েছি সেটি গুনতাম। সালামির টাকা দিয়ে কি কিনবো টা প্লেন করতাম। আব্বুকে নিয়ম করে দিয়েছিলাম আমাকে সবচেয়ে বেশি সালামি দিতে হবে। আম্মু গৃহিনী ছিলো তাও আম্মুর থেকে সালামি নিতাম। আম্মু আবার আমারকে বলতো কে কত সালামি দিয়েছে? সেই টাকা গুলো দিতে কিন্তু আমি দিতাম না। আসলে ঈদ নিয়ে মজার স্মৃতি বলে শেষ করা যাবে না। আর এখন আমার কাছে ঈদের আনন্দ মানে কাজ দেখে দর্শকদের ভালোবাসা পাওয়াটা।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

‘বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে’
চলছে ঈদ। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার মাঝেই দেখা যাচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। পরিবারের সাথে ঈদ করতে অনেকেই গিয়েছেন দেশের বাড়ি। পাশাপাশি এই ছুটিতে বাড়তি আনন্দ যোগ করতে টিভি চ্যানেল, ওটিটি, ইউটিউবে আসছে অনেক নতুন নাটক, ওয়েবফিল্ম শুরু করে নানান ধরনের কন্টেন্ট। পাশাপাশি নিজেকে একটু সবার থেকে ভিন্ন করে সাজাতে নিচ্ছেন অনেকেই অনেক প্রস্তুতি। সবকিছু মিলিয়ে পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও।  এদিকে একটা সময় উৎসব মানেই অপূর্বর নাটক, কখনো কখনো সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যেত চল্লিশেরও বেশি। তবে মানের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এখন নাটকের সংখ্যা কমিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে ব্যস্ততা বাড়িয়েছেন ওটিটিতে। ছিল ঈদুল ফিতর। শিল্পী-কলাকুশলী থেকে শুরু করে সবাই মেতেছিলেন ঈদ আনন্দে। প্রতিবারের মতো এবার ঈদের দিনটিও পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন অপূর্ব। মা ও বড় ভাইদেরকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার নিজ-বাসাতেই দিনটি উদযাপন করেন তিনি। তবে বাবাকে হারিয়ে বিষণ্ণ এই অভিনেতা। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, বাবাকে ছাড়া কেমন যেন শূন্য মনে হয় নিজেকে। ঈদের দিন বাবার কথা ভীষণ মনে পড়েছে। খুব মিস করেছি, এখনো করছি। সবকিছু থেকেও কি যেন একটা নেই।  তিনি আরও বলেন, ঈদ সব সময়ই আনন্দের। তবে ছোটবেলার ঈদের আনন্দগুলো ছিল অন্যরকম। তখন একদম টেনশন ফ্রি ছিলাম। হাসতাম, ঘুরতাম, আড্ডা দিতাম। ওই সময়ের প্রত্যেকটা দিনই ছিল বেশ আনন্দের। সে সময়ের আনন্দটা এখনকার সময়ের কাছে কিছুই না। সে সময়ের সঙ্গে এখনকার তুলনা করা চলে না। এটা যে শুধু আমার ক্ষেত্রে তা নয়, এটা সব বড়দের ক্ষেত্রেই। বড়রা আসলেই দুর্ভাগা, সেদিক থেকে ছোটরা অনেক সৌভাগ্যবান। 
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় সেই প্রার্থনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ির জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রার্থনার কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমাদের দেশে যে সম্প্রীতি আছে, সেই সম্প্রীতির বন্ধনকে যেন আরও দৃঢ় করতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয়। নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে পবিত্র ঈদের দিন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের দেশে যে শান্তি স্থিতি বিরাজমান এবং আজকে বাংলাদেশ যে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, এই উন্নয়ন অগ্রগতি যেন আরও বেগবান হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ থেকে যেন সমস্ত সম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ ঘটে। এই দেশে যেন আমরা সব সম্প্রদায় এবং সব মত-পথের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে পারি। ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সেখানে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যেন অবিলম্বে শান্তি আসে। সেখানে ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে সে বর্বরতার যেন চির অবসান হয়। এটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তার নেতৃত্বে দেশ যেন আরও এগিয়ে যায় মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

নেতাকর্মীদের ঈদ পালন করতে হয় শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে : রিজভী
বিএনপির নেতাকর্মীদের এক শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে ঈদ পালন করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা এমন এক দুঃসময় পার করছি, আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের ঈদ পালন করতে হয় এক শোকাচ্ছন্ন পরিবেশে। যার বাসায় যাব, দেখব গুলিতে তার এক পা পঙ্গু, নাহলে তার চোখ অন্ধ। অথবা পরিবারের একটি সন্তান গুম হয়ে গেছে। হয়তো তিন মাস-চার মাস, তিন বছর-পাঁচ বছর-দশ বছর। যদি কারও বাসায় যাই দেখব, তার সন্তানটি কিছু দিন আগেই বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে ঈদের আনন্দ যেন এক নিরানন্দ পরিবেশের মধ্যে পালন করতে হয়।’ তিনি বলেন, ‌‘জনগণ কষ্টে আছে। ঈদের আগে বাজারে তেমন ভিড় নেই। দ্রব্যমূল্যের এত ঊর্ধ্বগতি, বিশেষ করে খাদ্যপণ্য। এ যেন ছোঁয়া যায় না! একটা লেবুর দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ইফতারের জন্য মানুষ লেবু কিনতে পারে না। চিনি অধরা থেকে গেছে। এই তো পরিস্থিতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের কাছে জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দাম নেই। একটি দেশ তাদের সঙ্গে রয়েছে। তারা নিজেদের গণতান্ত্রিক বলে দাবি করে। ভোট নিয়ে যে তেলেসমাতি, সেখানেও এই পার্শ্ববর্তী দেশ আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করে। পিনাক রঞ্জন নামে তাদের একজন কূটনীতিক, বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি দিল্লিতে বলেছেন, যখন সবকিছু হয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর আত্মগোপনে চলে গেছেন।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে জালিয়াতির নির্বাচন, আমরা আর মামুরার নির্বাচন, ডামি নির্বাচন, আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ নিজেদের নির্বাচন এবং এটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নয়; এটা আজকে প্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীর বিভিন্ন গণতন্ত্রকামী দেশের এই মত।’
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩২

যে সময় আদায় করতে হয় সদকাতুল ফিতর
সদকাতুল ফিতর রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয়, যা দ্বারা রোজাদাররা রোজা ভঙ্গ করেন। ফিতরা হলো আরবি শব্দ, যা ইসলামে জাকাতুল ফিতর বা সাদাকাতুল ফিতর নামে পরিচিত। মূলত রোজাকে ভুল-ক্রটি থেকে পবিত্রকরণ ও দরিদ্রদের পানাহারের ব্যবস্থা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে যে দান করা হয়ে থাকে তাকেই বলা হয় সদকাতুল ফিতর। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সদকায়ে ফিতরকে ফরজ করেছেন- রোজাকে ভুল-ক্রটি থেকে পবিত্রকরণ ও দরিদ্রদের পানাহারের ব্যবস্থা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে। সুতরাং যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগেই সাদকায়ে ফিতর আদায় করবে, তার ফিতরা মকবুল হিসেবে গণ্য হবে এবং যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের পরে আদায় করবে, তার ফিতরা সাধারণ সাদকা হিসেবে গণ্য হবে। (জামেউল ফাওয়ায়েদ- ১/১৪৫)। ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে যাওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করা সর্বোত্তম। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঈদের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি: ১৫০৯) সাহাবায়ে কেরাম ঈদের আগে সদকাতুল ফিতর আদায় করেছেন এ রকম দৃষ্টান্তও পাওয়া যায়। নাফে (রহ.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ইদের এক-দুদিন আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করে দিতেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৬০৬) সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ হচ্ছে, আটা, গম বা গমের ছাতু হলে অর্ধ সা। (নূরুল ইযাহ- ৩৯৫)। অর্থাৎ- আটা, গম বা গমের ছাতু বর্তমান প্রচলিত মাপে এক কেজি ৬৩৫ গ্রামের সামান্য বেশি অথবা তার সমপরিমাণ মূল্য দিতে হবে। তবে আদায়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কিছু বেশি দেওয়াই উত্তম। খেজুর, যব অথবা কিসমিস দিলে গম ইত্যাদির দিগুণ তথা ৩ কেজি ২৭০ গ্রামের সামান্য বেশি বা তার সমপরিমাণ মূল্য দিবে। (বেহেশতি জেওর- ২/২৩০)।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৬

ঈদ এলেই শুরু হয় মেয়াদহীন লঞ্চ মেরামতের হিড়িক (ভিডিও)
পদ্মা সেতু চালুর পর লঞ্চ ব্যবসায় ভাটা পরলেও ঈদ এলেই শুরু হয় মেয়াদহীন এ নৌযান মেরামতের হিড়িক। জরাজীর্ণতা ঢাকতে দেওয়া হয় রংয়ের প্রলেপ। ঝালাই দিয়ে ঢাকা হয় ক্ষতচিহ্ন। তবে বিআইডব্লিউটিয়ের দাবি, ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলতে দেওয়া হবে না। সরেজমিনে দেখা গেছে, কেরানীগঞ্জ ডকইয়ার্ডে সারি সারি রাখা লঞ্চগুলো ঈদ যাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কোথাও রংয়ের প্রলেপ, আবার কোথাও ঝালাই করে ভাঙা অংশ ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন পড়ে ছিল পটুয়াখালী রুটের এমভি সাত্তার লঞ্চ। এর বয়স ২৫ বছর। ঈদ উপলক্ষে লঞ্চটিকে ঘষেমেজে ফিটফাট করা হচ্ছে। শরীয়তপুর রুটে চলছে ৫০ বছর ধরে এমভি মানিক ৪ নামের লঞ্চটি। ঈদের আগে এ লঞ্চটিকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে। ফলে শ্রমিকদের যেন দম ফেলবার সময় নেই।  পুরনো এই লঞ্চগুলোকে কিছু সংস্কারের পর নতুন করে রং করা হচ্ছে। ফলে কালবৈশাখীর মৌসুমে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযানগুলো কর্তৃপক্ষের চোখ এড়িয়ে যাত্রী পরিবহনে নেমে পড়বে। এ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. আলমগীর কবীর বলেন, পদ্ম সেতু চালু হওয়ায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর আমরা ফিটনেসবিহীন চঞ্চগুলোকে চলাচলে অনুমতি দিই না। তাই  কালবৈশাখীর একটি আশঙ্কা থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।
৩১ মার্চ ২০২৪, ০২:৪২

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে। জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি। প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্য প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি।  সূত্র : সিএনএন
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

রমজানের যে সময়ে বিশেষভাবে দোয়া কবুল হয়
ক্ষমার মহান বার্তা নিয়ে সমহিমায় হাজির হয়েছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। দেশের আকাশে দেখা মিলেছে মুমিনের হৃদয়ে প্রহর গোনা রমজানের একফালি চাঁদ। এ মাসে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান যেমন বহুগুণে বেড়ে যায়। নিঃসন্দেহে বছরের শ্রেষ্ঠ মাস হচ্ছে মাহে রমজান। এ মাসটিতে আল্লাহ তার বান্দার আমল এবং দোয়ার মাধ্যমে তার ১১ মাসের সব ভুল-ত্রুটি তথা অপরাধ ক্ষমা করে দেন। রমজানে দোয়া কবুলের বিশেষ কিছু সময় থাকলেও সারা মাসজুড়েই চলে ক্ষমা এবং অনুগ্রহ দানের এক মহোৎসব। পুরো রমজান দোয়া ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে কাটানো উচিত। আসন্ন মাহে রমজানকে যথাযথভাবে দোয়া, ইস্তিগফার, কুরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য নেক আমলের মাধ্যমে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। রমজান মাসে রয়েছে দোয়া কবুলের কয়েকটি বিশেষ সময়, সে সময়গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ বান্দান দোয়া ফেরত দেন না। এর মধ্যে অন্যতম সময় হলো রাতের শেষ প্রহর। প্রিয় নবীকে (সা.) জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল— কোন সময়ের দোয়া আল্লাহ বেশি কবুল করেন? উত্তরে রাসূল (সা.) বলেন, রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর যে দোয়া করা হয়। অর্থাৎ রমজানের সেহেরির সময়ের দোয়া বেশি কবুল করেন। সুরা আল আহযানের ২১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।’ অন্যদিকে, সহিহ হাদিস এর মাধ্যমে আমরা রাসুলের জীবনের আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারি। নগদ ইসলামিক অ্যাপে ‘ইসলামিক জীবন’ ফিচারে আসুন পড়ি সহিহ হাদিস এবং আমল করি রাসুলের দেখানো পথে। অন্য এক হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, আমাদের পালনকর্তা মহান আল্লাহ প্রতি রাতের তৃতীয় প্রহরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন, কে আছো, আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আছো, আমার কাছে চাইবে, আমি তাকে দান করবো। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। এভাবে তিনি ফজরের ওয়াক্ত স্পষ্ট হওয়া পর্যন্ত আহ্বান করতে থাকেন। (বুখারি, মুসলিম) রমজানের শেষ রাতগুলো আরও বেশি মর্যাদাপূর্ণ। এ সময়ের দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না। সুতরাং আমাদের উচিত দোয়া কবুলের এই মোক্ষম দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে অতিবাহিত করা। দ্বিতীয়ত দোয়া কবুলের বিশেষ সময়ের মধ্যে আরেকটি সময় হলো সারা দিন রোজা রেখে ইফতারি সামনে নিয়ে ইফতারির আগমুহূর্তে রোজাদার ব্যক্তি যে দোয়া করেন। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফেরত দেন না। ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া, ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দোয়া এবং জালিমের বিপক্ষে মাজলুমের দোয়া। (মুসনাদে আহমদ) এজন্য আমাদের উচিত ইফতারের আগমুহূর্তে সকল কাজ থেকে ফারেগ হয়ে গোনাহ মাফ এবং আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের জন্য কায়মনোবাক্যে দোয়ায় মশগুল হওয়া। অনেক সময় দেখা যায়, ইফতারির আগমুহূর্তে হৈ-হুল্লোড়, কথা-বার্তা বলতে বলতে আজান হয়ে যায়। অথচ আমরা চাইলে এসময়ে আমাদের যাপিত জীবনের গুনাহগুলো ক্ষমা করিয়ে নিতে পারি। আমাদের উচিত বাহুল্য কথা ত্যাগ করে দোয়ার মধ্যে এ মূল্যবান সময় পার করা। তৃতীয় রমজানে দোয়া কবুলের আরেকটি বিশেষ সময় হলো ফজরের পর। হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসুলকে (সা.) কোন সময় দ্রুত দোয়া কবুল হয় মর্মে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দেন, রাতের শেষ প্রহর এবং ফজরের পর। (সুনানে তিরমিযি: ৩৪৯৮ ) রমজানে অধিকাংশ মানুষ এই সময়টা ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু এ সময় দোয়া কবুল করানো, ক্ষমা ও আল্লাহর অনুগ্রহ লুফে নেওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়াও দোয়া কবুলের জন্য অন্যতম সময় লাইলাতুল ক্বদর। শুধু রমজান নয়, বরং সারা বছরের মধ্যে অন্যতম ফজিলতপূর্ণ রাত হলো লাইলাতুল ক্বদর। এ রাত দোয়া কবুলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ রাতে মাগরিব থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত অসংখ্য মানুষকে ক্ষমার ঘোষণা দেওয়া হয়। অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২২

যেভাবে জিম্মি হয় বাংলাদেশি জাহাজ
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ খান জাহাজের মালিকপক্ষের কাছে একটি অডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেই অডিও বার্তায় তিনি জলদস্যুদের আক্রমণের বর্ণনা দেন। কেউ হতাহত না হলেও ভীতি ছড়াতে জলদস্যুরা জাহাজে ওঠেই গুলাগুলি করেছেন বলে বার্তায় উল্লেখ করা হয়।  মো. আবদুল্লাহ তার অডিও বার্তায় জানান, জাহাজটিতে খাবার পানির পরিমাণ কম। আবার যেসব কার্গো রয়েছে সেগুলোও বিপজ্জনক। রয়েছে অগ্নিঝুঁকিও। সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজে ওঠার পর কার সঙ্গে কী আচরণ করেছে তাও বর্ণনা করেছেন তিনি। তার অডিও বার্তাটি তুলে ধরা হলো- ‘আসসালামুলাইকুম স্যার, আমি চিফ অফিসার আবদুল্লাহ বলছি। আজকে সকালে জাহাজের সময় আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় একটা হাইস্পিড বোট আমাদের দিকে আসছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা এলার্ম দিয়ে ব্রিজে গেলাম। ওখান থেকে পরে সিটে চলে গেলাম। ক্যাপ্টেন স্যার ও সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিল। আমরা ঝিকঝাক কোর্স করলাম। তারপর এএসএস-এ করলাম। ইউকে এমটিকেও ট্রাই করলাম। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করেনি। এর মধ্যে জলদস্যুরা চলে আসল। চলে আসার পর ওরা ক্যাপ্টন স্যার ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে। আমাদের ডাকল। আমরা সবাই আসলাম। আমাদের ডেকে কিছু গোলাগুলি করল। আমরা একটু ভয় পেয়েছি। সবাই ব্রিজে বসে ছিলাম। কারো গায়ে হাত তোলেনি। শুধু সেকেন্ড অফিসারকে একটু মারধর করেছে। তারপর ওরা আরেকটি স্পিডবোটে করে আরও কয়েকজন চলে আসল। এভাবে মুহূর্তেই প্রায় ১৫-২০ জন চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে একটি বড় ইরানিয়ান ফিশিং বোট নিয়ে আরও জলদস্যু চলে আসে। ইরানিয়ান ওই ফিশিং বোটটি এক মাস আগে তারা জিম্মি করেছিল। এটি দিয়ে তারা এক মাস ধরে নতুন কোনো জাহাজ জিম্মি করার জন্য সাগরে ঘোরাঘুরি করছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা সামনে পড়ে গেলাম। এই ফিশিং বোটের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের জাহাজে থাকা পাম্প দিয়ে কিছু ডিজেল নিয়ে ওই বোটে দিয়েছে তারা। তেল দেওয়ার পর আমাদের জাহাজে উঠে জিম্মি করা ফিশিং বোটটিকে ছেড়ে দেয়। তারপর ওরা আমাদের সেকেন্ড ও থার্ড অফিসারকে নিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে যায়। তাদের নিয়ে গিয়ে জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জাহাজের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সবাই ভয়ে আছি। ওরা খুব ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের জাহাজে ২০-২৫ দিনের খাবার পানি আছে। প্রায় ২০০ মেট্রিক টনের মতো। সবাইকে বলেছি, এগুলো একটু সাবধানে ব্যবহার করতে। শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়ব আমরা। তবে, একটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের জাহাজে কিছু কোল্ড কার্গো আছে। প্রায় ৫৫ হাজার টন। এগুলো একটু ডেঞ্জারাসও। ফায়ারেরও ঝুঁকি আছে। মিথেন বাড়ে। লাস্ট যখন অক্সিজেন মেপেছি তখন ৯-১০ শতাংশ লেভেল পেয়েছি। এটি নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কোনো কারণে অক্সিজেন লেভেল বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে হবে। এটার একটু ব্যবস্থা করবেন, স্যার। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, স্যার। আমাদের পরিবারকে একটু দেখবেন, স্যার। সান্ত্বনা জানাবেন, স্যার। আসসালামুলাইকুম।’  অডিও বার্তা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম। এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে। নাবিকরা নিরাপদে আছেন। আমরা সব ধরনের প্রোটোকল অনুসরণ করে নাবিকদের উদ্ধারে কাজ করছি। জাহাজের অবস্থান শনাক্তকারী ওয়েবসাইট মেরিন ট্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩২ দশমিক ২৬ মিটার প্রস্থের জাহাজটি বাল্ক কেরিয়ার। এটি আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। ১৯ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওইসময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৩ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩১

জাকারবার্গের স্ত্রীর লকেট হারানোর পর উধাও হয় ফেসবুক!
ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়েতে যোগ দিয়েছেন দেশ-বিদেশের বড় বড় ব্যক্তিত্বরা। বিয়েতে ছিলো তিন দিনের প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই, ইভাঙ্কা ট্রাম্পসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বড় বড় ব্যক্তিত্ব। সেই সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে হাজির হন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। আর সেখানেই ঘটে স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের লকেট হারানোর ঘটনা। শনিবার ( ৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, একজন রেডিট প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বিষয়টি শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার বন্ধু আম্বানি অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে থাকা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিতে কাজ করেছিল। বন্ধুটি আমাকে জানিয়েছে চলমান উৎসবের মধ্যেই মার্ক জুকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানের গলার লকেট হারিয়ে যায়। এতে প্রি-ওয়েডিং ব্যাশের মধ্যেই ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। জুকারবার্গ দম্পতির সঙ্গে সেখানে উপস্থিত অতিথিরা সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দুলটির সন্ধান করে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। পরে লকেটটি ফিরে পেয়েছেন কি না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। এই ঘটনা সামনে আসতে না আসতেই তাতে মজার মজার সব মন্তব্য পড়েছে। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, এই দুল হারানোর ঘটনাটাই নাকি ৫ মার্চে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম উধাও হওয়ার প্রধান কারণ। আরেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, একজন অতিথি তার গয়না হারাচ্ছেন, কেউ খাবারের বিষয়ে অভিযোগ করছেন এবং অন্যরা কী পোশাকে পরবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন; সব মিলিয়ে আর পাঁচটা ভারতীয় বিয়ের মতোই ছিল আম্বানিদের এই অনুষ্ঠান। জুকারবার্গকে চমকে দিয়েছিল অনন্তর হাতে থাকা একটি দামি ঘড়িও। আম্বানিদের ছোট ঠেলে একটি নীলকান্তমণি লাগানো রবিলন ঘড়ি পরেছিলেন। যা নিজের বিশেষত্বের জন্য বিখ্যাত। এর আনুমানিক মূল্য ২.২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় রুপিতে তা প্রায় ১৮.২ কোটি)।  বিলাসবহুল ঘড়িটি ফেসবুকের সিইও মার্ক জুকারবার্গ এবং তার স্ত্রী প্রিসিলা চ্যানকে অভিভূত করে। জুকারবার্গ ঘড়ির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘আমি সত্যিই ঘড়ির প্রতি আগ্রহী নই একেবারেই, কিন্তু এটা দেখার পরে মনে হচ্ছে আমিও ঘড়িতে আগ্রহী হতে পারি।’
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়