• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
রোজায় বিনা পয়সায় যে হোটেল সেহরি-ইফতার করায়
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে নয় বছর ধরে ফ্রিতে সেহরি এবং ইফতার করাচ্ছেন রফিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম। প্রতিদিন এক থেকে দেড় শ’ রোজাদার এখানে সেহরি এবং ইফতার করেন। অনেক টাকার মালিক না হলেও সারা বছর যা আয় করেন সেখান থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করে রমজান মাসজুড়ে তিনি সেহরি ও ইফতার করান। বছরের এগারো মাস ব্যবসা করলেও রমজানের এক মাস মেহমানদারি করেন তিনি।   বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রফিক হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, সেহরি খাওয়ার ভিড় চোখে পড়ার মতো আক্কেলপুরের কলেজ বাজারের কাঁচা মালপট্টিতে রফিকের হোটেলে। ভেতরে ঢুকে দেখা গেল সবাই হাতে প্লেট নিয়ে যে যার মতো করে টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছেন। তখন মালিকসহ বয়রাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। খালি নেই কারও হাত। হোটেলজুড়ে চলছে জমজমাট সেহরিপর্ব। আবার খাবার খেয়ে টাকা না দিয়েই চলে যাচ্ছেন সবাই। টাকা না দিয়ে সেহরি খাবেন সবাই এটাই রোজার একমাস ধরে রফিক হোটেলের নিয়ম। এই নিয়মটি তিনি গত নয় বছর থেকে ধরে রেখেছেন। হোটেলটি তেমন একটা বড় নয়। মালিকও তেমন অবস্থাশালী নয়। তিনি বছরের এগারো মাস হোটেলের খাবার বিক্রি করেন। এই আয় দিয়ে তিনি পুরো বছর সংসার চালান। পাশাপাশি রমজান মাসে জনসাধারণকে টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতার খাবারের জন্য টাকা জমা করেন। প্রতি বছর রোজার শুরু থেকে শেষদিন পর্যন্ত তিনি রোজাদারদের টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতারি খাওয়ান। প্রতিদিন সেহরিতে ১ শত ২০ এবং ইফতারে দেড় শ’ রোজাদার ব্যক্তিদের সেহরি ও ইফতারি করান রফিক। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, হোটেল মালিকের নাম রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি ভাড়া নিয়ে হোটেল ব্যবসা করেন। আক্কেলপুর পৌরশহরেই তার বসবাস। তার হোটেলের নামও রফিক হোটেল। তিন ২০১৬ সাল থেকে নয় বছর ধরে পৌর শহরে রফিক হোটেলে রমজান মাসে নিয়মিত টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতার করাচ্ছেন রোজাদার জনসাধারণদের। কলেজ হাটে আসা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যবসায়ীরা, হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনরা এই হোটেলে টাকা ছাড়াই নিয়মিত সেহরি ও ইফতারি খাচ্ছেন। হোটেল মালিক রফিকুল নিজে এবং তার হোটেলের কর্মচারীরা মিলে ইফতারি ও সেহরির খাবার পরিবেশন করেন। সেহরির খাবারে ছিল গরুর মাংস, মাছ, ভাজি, ডাল এবং এক গ্লাস দুধ দিয়ে সমাপ্ত হয় সেহরি পর্ব। আর ইফতারিতে থাকে মাংসের বিরিয়ানি, ছোলা বুট, বুন্দা, মুড়ি, পিঁয়াজু, বেগুনি সাথে এক গ্লাস শরবত। রোজাদারেরা তৃপ্তি সহকারে সেহরি ও ইফতার করছেন। হোটেলের অভ্যন্তর ছাড়িয়ে বাহিরে হাটের জায়গায় ডেকোরেটরের কাপড় বিছিয়ে ইফতার করানো হয়। সেহরি খেতে আসা আক্কেলপুর উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোশফেকুর রহমান বলেন, চাকরির সুবাদে আমি এখানে একা থাকি। সারা বছর হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হয়। আর রমজান মাসে সেহরি খাওয়া নিয়ে খুব চিন্তায় থাকতে হতো। রফিক আমাদের বিপদের বন্ধু। সেহরি খেয়ে টাকা দিতে চাইলেও সে  টাকা নেয় না। সকলকে ফ্রিতে ইফতার এবং সেহরি খাওয়ানোই তার ইচ্ছা। পার্শ্ববর্তী নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলাহাট এলাকার বাসিন্দা রিফাত হোসেন শাওন বলেন, হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসেছি। রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য হোটেল খুঁজতে এসে এই হোটেলে আসি। এখানে অনেক ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবার পরে বিল দিতে এসে জানতে জানতে পারলাম তিনি টাকা না নিয়ে সেহরি খাওয়ান। তার এই কার্যক্রমে আমাদের মতো অনেক বিপদগ্রস্ত লোকের উপকার হয়। কথা হয় কাঁচা সবজি ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী সাথে, তিনি বলেন, খুব সকালে কাঁচা মাল কিনতে বাজারে আসতে হয়। প্রতি রমজান মাসে পুরোমাস বিনা পয়সায় সেহরি ও ইফতার করান রফিক। বিষয়টি আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই আমিও মাল কিনতে এসে এখানে সেহরি খাই।  আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আলাউদ্দিন মণ্ডল নামের এক কর্মচারী বলেন, আমি রাত্রিকালীন রোগীদের সেবা দিয়ে থাকি। শেষ রাতে বাসায় গিয়ে সেহরি খাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। রফিক হোটেল থাকায় বাড়ি না গিয়ে এখানেই সেহরি খাই। এখানে মাংস, ভাজি, ডিম, ডাল এবং দুধ দিয়ে সেহরি করানো হয়। এতে আমরা অনেক উপকৃত। তার জন্য দোয়া করি।  আক্কেলপুর পৌর সদরের বাসিন্দা শাদমান হাফিজ বলেন, অনেক লোকের মাঝে ইফতার করতে ভালো লাগে। তাছাড়া এতে বরকত আছে। তাই আমিও ইফতার করতে এখানে এসেছি।  বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকার শামিম বলেন, ব্যবসায়ীক কাজে এখানে এসে ইফতারের সময় হওয়ায় রফিক হোটেলে গিয়ে ইফতার করেছি। আমার কাছে ইফতারির টাকা নেয়নি। আমার মতো অনেকেই ইফতার করেছেন। হোটেলের মালিক কারও কাছে টাকা নেন না।  হোটেল মালিক রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, রমজান মাসে খাবারের হোটেলগুলো বন্ধ থাকে। এতে ইফতারি ও সেহরির সময় রোজাদারদের অনেক কষ্ট হয়। বছরের এগারো মাস আমি হোটেল ব্যবসা করি। যা আয় হয় তার থেকে কিছু টাকা জমিয়ে রেখে রমজান মাসে সকল রোজাদারদের ইফতার করানোর চেষ্টা করি। ২০১৬ সাল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেছি। এ কাজে আমার হোটেলের কর্মচারীরা সহযোগিতা করে। তারাও এই মাসে কোন পারিশ্রমিক নেয় না। মূলত পরকালের মুক্তি এবং মহান আল্লাহর সন্তোষটির উদ্দেশ্যেই আমি এই কাজ করি।  আক্কেলপুর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম পল্টু বলেন, জয়পুরহাট জেলার মধ্যে রফিক হোটেলের মালিক রফিকুল ইসলাম তার হোটেলে নয় বছর ধরে টাকা ছাড়াই সেহরি ও ইফতার করিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এর মাধ্যমে বাহির এলাকা থেকে আগত রোজাদাররা অনেক উপকৃত হন। এটি একটি মহৎ কাজ। রফিক গরিব হলেও তার মন অনেক বড়।  
৮ ঘণ্টা আগে

মুরগির পচা মাংস সংরক্ষণ, হোটেল সিলগালা
বগুড়ায় রুচিতা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে মুরগির পচা মাংস রাখায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে হোটেলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের নবাববাড়ী সড়কে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী। এসময় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মো. রাসেল উপস্থিত ছিলেন। ইফতেখারুল ইসলাম রিজভী জানান, দুপুরে রুচিতা হোটেল থেকে মিলন চন্দ্র মোহন্ত নামের এক কর্মচারী ৩০ কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস নিয়ে ফতেহ আলী বাজারে প্রক্রিয়াজাত করতে যান। এ সময় বাজারের লোকজন মুরগিগুলো মরা ও পচা বলে অভিযোগ করে প্রশাসনকে খবর দেন। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মুরগিগুলো মরা ও পচা যা খাওয়ার অযোগ্য। তিনি আরও জানান, এ অপরাধে রুচিতা হোটেলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও একইসঙ্গে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।  
১৬ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৭

রাজধানীর আবাসিক হোটেল থেকে ঠিকাদারের মরদেহ উদ্ধার
রঞ্জিত (৪৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুলে নিউ ইস্টার্ন আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদার ছিলেন। সোমবার (৪ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পঙ্কজ দাস বলেন, গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে ওই ব্যক্তি নিউ ইস্টার্ন আবাসিক হোটেলের ৬০৭/সি নম্বর রুমে ওঠেন। পরে হোটেল বয় এবং তার আশপাশের রুমের সহকর্মীরা ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে অচেতন অবস্থায় পাই। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন। রঞ্জিতের বাড়ি রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানার জিপতলী চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামে। তিনি মৃত হেমন্ত লাল চাকমার ছেলে ছিলেন। মরদেহটি ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৬

হোটেল কক্ষে মিলল বিদেশি নাগরিকের মরদেহ
চট্টগ্রামের হোটেল পেনিনসুলার একটি কক্ষ থেকে পোল্যান্ডের এক নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে জিইসির মোড় এলাকার ওই হোটেল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। হোটেলের নথিতে তার নাম ZDZISLAW MICHAL CZERYBA উল্লেখ রয়েছে। বয়স ৫৮ বছর। কর্মস্থল সিইপিজেডের ক্যানপার্ক গার্মেন্টস। পুলিশ জানিয়েছে, পোল্যান্ডের ওই নাগরিকের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন আছে। তাকে খুন করা হয়েছে বলে আলামত দেখে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি পোল্যান্ডের একটি বায়িং হাউসের ঢাকা অফিসে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে ওই বায়িং হাউসের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বেশ কয়েকবার চট্টগ্রামে এসেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি পোল্যান্ডে ছুটিতে গিয়েছিলেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি সেখান থেকে সরাসরি দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসেন। এরপর পেনিনসুলা হোটেলে ওঠেন। তিনি সিইপিজেডের ক্যানপার্ক গার্মেন্টস পরিদর্শনে এসেছিলেন। হোটেলের নবম তলায় ৯০৫ নম্বর কক্ষে ছিলেন তিনি। বায়িং হাউসের পক্ষ থেকে যিনি তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, তিনি আজ (সোমবার) সকাল থেকে তাকে না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। হোটেলের কর্মীরা অনেকক্ষণ ধরে দরজার সামনে ডাকাডাকি করেও তার সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এ বিষয়ে সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়, ৯০৫ নম্বর কক্ষে একজন ব্যক্তির সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করা হয়। এ সময় পোল্যান্ডের ওই নাগরিককে বিছানার একপাশে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২২:২৬

আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কাজের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১১
রাজধানীর ডেমরায় একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ নারীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৪ জন নারী, ৩ জন পুরুষ ও ওই আবাসিক হোটেলের ৪ জন স্টাফ রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, হোটেলের সহকারী ম্যানেজার মো. শুভ (২২), ক্যাশিয়ার মো. পারভেজ (২৩), স্টাফ মো. আলাউদ্দিন (৩৪), হোটেল বয় মো. সোহেল (২৬)। অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত মো. আল আমীন (২৫), রফিকুল ইসলাম (৩৪), মো. রাব্বী (২৫), কাজল (২৫), মোছা. স্মৃতি জাহান ওরফে মিম (২৪), মোছা. ডালিয়া (২৭) ও মোছা. শাকিলা অক্তার তাবাসুম (২৪)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সন্ধার পরে হোটেলটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।এ সময় তাদের কাছে থাকা ৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে ডেমরা থানা-পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ডেমরা থানায় যোগদানের পর এ আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করেছি। কয়েকদিন বন্ধ থাকার পরে আবার ওই কাজ শুরু করেছে, এমন খবর পেয়ে হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় উপরাক্তে আসামিদের হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত কতিপয় অসাধু ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ডেমরার মীরপাড়ায় ওই হোটেলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সের মেয়েদের দিয়ে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযান চলাকালে হোটেলের মালিক জয় (৩৮) ও ম্যানেজার মো. আফজাল (৩৫) পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে শুক্রবার রাতেই গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগেও এ হোটেলে অসামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার কারণে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও মামলা  হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৩

রাজধানীতে কুকুর-বিড়ালের বিলাসবহুল হোটেল!
যত বিচিত্র মানুষ, ততই বিচিত্র তাদের শখ-আহ্লাদ। মানুষের এই বিচিত্র শখেরই যেন প্রতিনিধিত্ব করছে রাজধানী ঢাকার কিছু বিলাসবহুল হোটেল। তবে, হোটেলগুলো মানুষের থাকার জন্য নয়। পোষা কুকুর-বিড়াল থাকে সেখানে।   এমনই একটি হোটেল ফারিঘর। কী নেই মিরপুরের চিড়িয়াখানা এলাকায় অবস্থিত অভিজাত এই প্যাট হোটেলটিতে! আপনার শখের পোষা প্রাণীটার আরামের জন্য এসি আর হিটারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে হোটেলটিতে। প্রতিবেলায় তাদের সামনে হাজির করা হয় রুচি অনুযায়ী স্বাস্থসম্মত সব খাবার। প্রতিদিন নিয়ম করে গোসল করানো হয় শ্যাম্পু দিয়ে। আপনার পোষা প্রাণীটির সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যও আছে সুব্যবস্থা।   এতসব সুবিধা থাকায় হোটেলটি পরিচিতি পেয়ে গেছে কুকুর-বিড়ালের ফাইভস্টার হোটেল হিসেবে। প্রায় এক বছর ধরে সেখানে থাকছে প্যান্ডা নামের একটি পোষা বিড়াল। তার মালিক ডাক্তার মাইমুনা সিফা। বর্তমানে তিনি আছেন ইউরোপের কোনও একটি দেশে। বিদেশে যাওয়ার পর প্যান্ডার দেখভাল করতেন তার বাবা-মা। কিন্তু তাদের অসুস্থতার কারণে যত্নআত্মিতে ঘাটতি পড়ে যায় প্রিয় প্রাণীটির। এরপর বিড়ালটিকে হোটেলে পাঠায় সিফা। প্যান্ডার প্রিয় খাবার মুরগির মাংস। প্রতিদিন ৩ বেলা সেদ্ধ করে দিতে হয় মাংস। মাসে ১২ কেজির মতো মাংস লাগে প্যান্ডার। ৪২০ টাকা কেজি দরে তার পেছনে খাবারে খরচ হয় ৫ হাজার টাকার মতো। বছরে ৬০ হাজার টাকার কিছু বেশি। তাছাড়া প্যান্ডার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় আরও কিছু টাকা। প্রতিমাসে বিদেশ থেকে প্যান্ডার জন্য মাসিক হোটেল ভাড়া পাঠায় তার মালিক ডা. সিফা। হোটেলে বিড়াল রাখতে প্রতিদিনের জন্য ভাড়া গুণতে হয় ৭শ টাকা। কিন্তু প্যান্ডার জন্য ছাড় দিয়ে ভাড়া প্রতিদিন ৪০০ টাকা। সেই হিসেবে বিড়ালের জন্য বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা রুম ভাড়া পরিশোধ করেছেন ডাক্তার সিফা। নিয়মিত ফোন করে প্রিয় বেড়ালের খোঁজখবরও রাখেন তিনি। পশু হলেও হোটেলে আদর-সোহাগের কমতি নেই প্যান্ডার। ফারিঘরের ম্যানেজার তোয়ানুর রাহা জানান, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এই প্যাট হোটেলে আছে প্যান্ডা। ও হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে পুরাতন গেস্ট এবং সবচেয়ে লম্বা সময়ের গেস্ট। এই হোটেলে বিড়াল রাখতে চাইলে প্রতিদিনের জন্য ভাড়া গুনতে হবে ৭শ টাকা । তবে প্যাকেজে ৭ দিনের বেশি রাখতে তার জন্য ছাড় দিয়ে রাখা হয় ৫৭০ টাকা করে। ১৫ দিনের বেশি সময় রাখলে তার জন্য ভাড়া ৫০০ টাকা করে। এক মাসের বেশি সময় কেউ রাখলে তার জন্য ৪শ টাকা হোটেল ভাড়া দিতে হয়। প্যান্ডা যেহেতু এক বছর ধরে আছে তার জন্য ৪০০ টাকা হারে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন তার মালিক ডা. সিফা। প্যান্ডার মতো আরও অন্তত ৩৬টি পোষা প্রাণী আছে ফারিঘর নামে মিরপুরের এই প্যাট হোটেলে। তাদের দেখাশোনা করেন হোটেল ম্যানেজার তোয়ানুর রাহা।  তিনি জানান, বিড়াল বা কুকুরকে বিদেশে নিতে দেশ ভেদে ভ্যাক্সিনেশনের পাশাপাশি লাগে বিশেষ পাসপোর্টও। সেই জটিলতা এড়াতেই অনেকে তার হোটেলে রেখে যান প্রিয় প্রাণীটি। রাহা জানান, তাদের হোটেলে প্রতিটি বিড়ালের জন্য রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পৃথক কেবিন। বিশেষ আদর আপ্যায়নের সঙ্গে আছে ক্যাট ট্রি, কুশন ও লিটারের ব্যবস্থা। কুকুরের জন্য বিছানা বালিশ তো আছেই, আবার প্রাকৃতিক কাজ সারার জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অবশ্য, এই হোটেলে শুধু থাকার ব্যবস্থা আছে বিড়াল বা কুকুরের জন্য। খাবার দিয়ে যেতে হয় প্রাণীটির মালিককে। কারণ প্রতিটি বিড়াল বা কুকুর আলাদা আলাদা খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত। কেউ প্যাকেট ফুড খায়, কেউ ড্রাই ক্যাট বা ডগ ফুড খায়। কেউ পাউচ খায়। কেউ মাছ খায় কেউ মাংস খায়।  যে যে খাবারে অভ্যস্ত তাকে সেই খাবার দিতে হয়; না হয় তাদের ফুড পয়জনিং হতে পারে। বমি হতে পারে। হোটেল কর্তৃপক্ষের মতে, যত্নের কুকুর-বিড়ালকে রাখার জায়গা না থাকায় এতদিন সমস্যায় পড়তে হতো প্রাণীপ্রেমীদের। তবে, ফারিঘরের মতো হোটেল গড়ে ওঠায় এখন স্বস্তি এসেছে কর্মব্যস্ত মানুষের। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় নিজেদের পোষা প্রাণীকে হোটেলে রেখে যান অনেকে। মিরপুরের চিড়িয়াখানা সড়কে কয়েক বছর ধরে গড়ে ওঠা এমন হোটেলের চাহিদাও দিনে দিনে বাড়ছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৭

আবাসিক হোটেল থেকে বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি আবাসিক হোটেল থেকে আব্বাস উদ্দিন (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মধ্যরাতে নয়াপল্টনের ভিআইপি রোডের ‘হোটেল দ্য ক্যাপিটাল’ এর ৩০৪ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আব্বাস উদ্দিন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম জানান, আব্বাস উদ্দিন গত ১৩ জানুয়ারি ওই হোটেলে ওঠেন। মঙ্গলবার দুপুরে তার হোটেল ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হোটেল ছাড়েননি। এমনকি কক্ষে তার কোনো সাড়াশব্দও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে বাথরুমে তার মরদেহ দেখতে পায়। বিআইডব্লিউটিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা জানান, আব্বাস উদ্দিন চট্টগ্রাম সদরঘাটে বিআইডব্লিউটিসির নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন। 
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০২

রাজধানীতে আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর ফকিরাপুলে আবাসিক হোটেল থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম নাজমুল হক (৫৫)। পেশায় তিনি গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  আরও পড়ুন : শীতে রংপুরে ৬ দিনে ১৬ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে তিন শতাধিক   বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ চৌধুরী। তিনি বলেন, দুপুরে ওই হোটেলের একটি কক্ষের বিছানা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আরও পড়ুন : নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আজ প্রথম অফিস   তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, অসুস্থজনিত কারণে কিংবা স্ট্রোক করে তিনি মারা যেতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক  কারণ জানা যাবে। মৃত নাজমুল হকের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৩

আগ্নেয়াস্ত্রসহ হোটেল কর্মচারী আটক
সিলেটে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শাওন ইসলাম পাবেল (১৯) নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি জানান, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মহানগরের ধোপাদিঘীর উত্তরপাড়স্থ হোটেল অনুরাগের চতুর্থ তলার স্টাফদের থাকার কক্ষে তল্লাশি চালালে পালানোর পর শাওনকে আটক করা হয়। পরে তার থাকার কক্ষ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়। আটক কর্মচারী শাওন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দারুকা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। আটক শাওনকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, তিনি ওই অস্ত্রের বাহকমাত্র। অস্ত্রটি অন্য একজন তার কাছে দিয়েছে নির্দিষ্ট লোকের কাছে পৌঁছে দিতে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়