• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের
ইরান যদি রকেট হামলা চালিয়ে যায় তাহলে ইরানকে পরিণামে ভুগতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার (১৩ এপ্রিল) আইডিএফের মুখপাত্র আর-এডিএম ড্যানিয়েল হাগারি এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইরানের হামলার মোকাবিলা করতে তৈরি ইসরায়েল। হামাস, হিজবুল্লাহর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে ইরান। এতে তিনি দাবি করেন, ইরানের মদতেই ইসরায়েলের উপর হামলা চালাচ্ছে হামাস, হিজবুল্লাহ। ইরান সরকারিভাবে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়। ইরানের জন্যই পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। এদিকে, ইসরাইলে ইরানের হামলার আশঙ্কার মধ্যেই তেল আবিবের একটি কনটেইনার জাহাজ জব্দ করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড। এ ঘটনায় ইরানকে পরিণাম ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৫

যে নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষা বোর্ডের
আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায়, পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা এবং বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।  এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের নির্দেশনা হলো- ‘টেস্ট পরীক্ষার নামে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়া থেকে শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা যাবে না।’ এই নির্দেশনা না মানলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন এইচএসসি পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পালনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টেস্ট পরীক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের আওতাধীন এইচএসসি পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে এসংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৩

তামিমের গোঁয়ার্তুমি, কড়া হুঁশিয়ারি পাপনের
গেল কয়েক মাস ধরেই সংবাদের শিরোনামে তামিম ইকবাল! গত এক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মাঠের সাফল্য-ব্যর্থতার গল্প ছাড়িয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাবেক এই ওয়ানডে দলপতি। রহস্যময় ইনজুরি, অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফেরার নাটকীয় আভাস, বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে ছিটকে যাওয়াসহ নানান কারণে আলোচনায় তামিম। এদিকে নানানভাবে ড্যাশিং এই ওপেনারকে জাতীয় দলে ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা-বিসিবি। অন্যদিকে নিজের গোঁয়ার্তুমিতে অনড় চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার। গুঞ্জন উঠেছে, চলতি বছরে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চান না তামিম। একেবারে ২০২৫ সালে জাতীয় দলে ফেরার কথা ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছেন তিনি। এবার বিষয়টি নিয়ে তামিমকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার (পাপন) মন্তব্য, কবে ক্রিকেটে ফিরবেন, সেই সিদ্ধান্ত তামিম ইকবাল একা নিতে পারে না। বোর্ডের মতামতকেও প্রাধান্য দিতে হবে। পাপনের ভাষ্যমতে, আগামী বছর তামিম ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, তখন পরিস্থিতি হতে পারে ভিন্ন, তামিমের উচিত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখনই ক্রিকেটে ফেরা। এদিকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুতই তামিমের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান পাপন। তার বিষয়ে একেবারে স্বচ্ছ ধারণা নিতে চায় বোর্ড। জানা গেছে, ফর্মে থাকা তামিমকে পেতে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসবেন বোর্ড কর্তারা। বিসিবি সভাপতির উপস্থিতিতে আলোচনাটা গড়াবে। বিসিবি সভাপতি বলেন, এখন তার ইনজুরির সমস্যা নেই। বিপিএলও দেখলাম, সেদিন ঘরোয়া লিগেও দেখলাম, কোনো ইনজুরি নেই। এখন তো সবচেয়ে ফিট। এখন যদি না খেলে সামনের বছর কী হবে, কেউ বলতে পারে? আমি তো মনে করি, এখনই খেলা উচিত। এরকম ফিট তামিমকে আমরা অনেকদিন পাইনি। ইনজুরির জন্য ও নিয়মিত খেলতে পারছে না। থেমে থেমে একটা খেলছিল, একটাতে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এভাবেই চলছিল। এটা নিয়ে অনেক সমস্যাও হয়েছে, যা বুঝলাম আরকি পরে, আগে বুঝিনি।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৮

হজযাত্রীদের টিকিট ভোগান্তি নিয়ে বিমানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
ফ্লাইটের টিকিট নিয়ে হজযাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর রমনার পুলিশ কনভেনশন হলে আটাবের মতবিনিময় সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। বিদেশগামী যাত্রীদের টিকিটিং খাতে অসাধু পন্থা প্রতিরোধে আইন মেনে ব্যবসার জন্য আটাব সদস্যদের প্রতি আহ্বানও জানান ফারুক খান। এ ছাড়া টিকিটিং খাতে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসব অসাধু ব্যবসায়ী গ্রাহকদের ভোগান্তির সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। অন্যথায় জনগণ ভোগান্তিতে পড়লে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করেন মন্ত্রী। আটাব নেতাদের তুলে ধরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন বিমান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আটাবের সভাপতি আব্দুস সালাম আরিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

অছাত্ররা হল না ছাড়লে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে অধিকাংশ অবৈধ, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা চলে গেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এবং প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা কিছু সংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এখনও হলে অবস্থান করছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমা শেষ হলেও যারা হল ছেড়ে যাবেন না, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাত্র বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী বা অনুসারী যিনি হউক না কেন, অনিয়মিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তাকে আবাসিক হল ছেড়ে যেতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না।’ সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক এই ইস্যুগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা তুলে ধরেন উপাচার্য। হল থেকে অছাত্রদের বের করতে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘হলগুলোতে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অন্য হলের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে সংখ্যা নিরূপণ এবং তাদের নামে বরাদ্দকৃত হলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের রিপিটার শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বের করা হয়েছে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া, অনিয়মিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে।’ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘মাদকের বিস্তাররোধে র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।’ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার এবং তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।’ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যথাযথ কমিটি কর্তৃক তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তিনি ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।’ দীর্ঘদিন ধরে চলমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ঘটনা প্রবাহে কয়েকটি দাবি উল্লেখপূর্বক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আন্দোলন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সেসব বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার জন্য ২/১টি পদে পরিবর্তনের বিষয়টিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনসহ আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ধর্ষণের ঘটনার পর বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা-সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করে আসছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা লাগাতার আন্দোলনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায় টনক নড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আবাসিক হল থেকে অছাত্রদের বের করা, মাদক নির্মূল, ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্তদের বিচারসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৮

বিশ্বকাপের তদন্ত রিপোর্ট ইস্যুতে বিসিবিকে কড়া হুঁশিয়ারি সুজনের
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার তদন্ত রিপোর্ট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না হলেও দেশের বেসরকারি একটি গণমাধ্যম বিসিবির সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে টাইগারদের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার মূল কারণ, বিসিবির দুই পরিচালকের হস্তক্ষেপ। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছেন বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে থাকা বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরই দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির দুই পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ও জালাল ইউনুসের দিকে আঙুল উঠেছে । এরপরই অন্য একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন সুজন।  এ সময় তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে সুজন বলেন, আমি দেখলাম যে দুই পরিচালকের কথা বলা হচ্ছে। আমার কথা হলো, মিডিয়াতে ছোট ছোট করে তথ্য ছড়িয়ে লাভ কি। আমাদের বলে দিক, যে তোমাদের কারণে বিশ্বকাপ খারাপ হয়েছে। কিন্তু বিসিবিকে প্রমাণ করতে হবে, কিভাবে আমরা হস্তক্ষেপ করেছি। তিনি বলেন, মিডিয়াকে ফুসফাস করে না বলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলে দেন আমার এবং জালাল ইউনুসের জন্য বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্স হয়েছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ করছি, তাদের বলতে হবে কেনো তারা মিডিয়াকে এই কথা বলেছে। আর তদন্ত রিপোর্টে কে কি বলেছে দেখাতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, আমাদের সম্মান আছে। আমরাও দেশের জন্য খেলেছি, আমি অধিনায়ক ছিলাম। আমাদের সম্মান নিয়ে যদি কেউ খেলা করে, তার কারণটা জানা খুবই জরুরী। তিনি আরও বলেন, হস্তক্ষেপ বলতে তদন্ত কমিটি কি বুঝিয়েছে সেটা জানতে হবে। আমরা কি করেছি, আমরা কি বলেছি এই ক্রিকেটারকে খেলাও এবং অন্যজনকে খেলিও না? এগুলো জানতে হবে। আমি তো দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো জায়গাতেই ছিলাম না।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৬

জিম্মিদের মুক্তি না দিলে রমজানেও হামলার হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের 
বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে রমজানেও গাজায় হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।  দেশটির যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ এ হুঁশিয়ারি দেন।  তিনি বলেন, জিম্মি ব্যক্তিরা রমজান শুরুর আগে ইসরায়েলে না ফিরলে রাফাসহ গাজার সব জায়গায় লড়াই চলবে। হামাসের সামনে একটিই পথ খোলা। তারা আত্মসমর্পণ করতে পারে, জিম্মিদের মুক্তি দিতে পারে। তাহলেই তারা রমজানে রোজা পালন করতে পারবেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ নিহত ও দুই শতাধিক ইসরাইলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় ব্যপক হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। যা এখনও চলমান।  ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫ শতাংশই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি সেখানেও হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি।  উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ও আহতের পাশাপাশি বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে অনেকে চাপা পড়েছেন। সূত্র : গার্ডিয়ান  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৭

ঝটিকা অভিযানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অবৈধ হাসপাতাল মালিকদের হুঁশিয়ারি
অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে হুঁশিয়ার করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঝটিকা অভিযানে গিয়ে মালিকদের প্রতি এ হুঁশিয়ারি জানান তিনি।   এদিন কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি সদর হাসপাতাল ও  ইউনিয়ন হাসপাতাল লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি হাসপালে ঝটিকা অভিযান চালান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) মইনুল হোসেন এবং চট্রগ্রাম সিভিল সার্জন উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার বেশ কিছু অনিয়ম চোখে পড়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। হাসপাতালটিতে আইসিইউ, সিটি স্ক্যান চিকিৎসা ব্যবস্থার অনুমোদন না থাকলেও সেখানে আইসিইউ ও সিটি স্ক্যান ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে দেখতে পান। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স অনুপস্থিত দেখতে পেয়ে হাসপাতালের ম্যানেজারের কক্ষে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ম্যানেজারকে ধুমপানরত অবস্থায় ধরে ফেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।  ডা. সামন্ত লাল সেনের চোখে মানসম্মত ছিল না হাসপাতালের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। এরপরও সেখানে অনেক রোগী ভর্তি দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করেন তিনি এবং বলেন, 'একটি বেসরকারি বি ক্যাটেগরির হাসপাতালে ডাক্তার নেই, নার্স নেই, ম্যানেজার নিজেই ধুমপান করেন অথচ সেই হাসপাতালে এত রোগী ভর্তি হলো কী করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। অবৈধভাবে এখানে আইসিইউতে রোগী ভর্তি রাখা হচ্ছে, অথচ আইসিইউ অনুমোদন নেই, আইসিইউ চালানোর দক্ষ লোকবলও নেই এই হাসপাতালে।' এরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী  উল্লিখিত বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইউনিয়ন হাসপাতাল লি. এর অবৈধ আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসারত গুরুতর অসুস্থ এক রোগীকে দ্রততম সময়ে পার্শ্ববর্তী সরকারি সদর হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা নেন এবং তৎক্ষণাৎ সঙ্গে উপস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। তিনি এরপর বলেন, এসব অনিয়ম দেশের সর্বত্রই এতদিন করা হলেও এখন থেকে আর কেউ পার পাবে না। এসব অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মালিকদের নিজ নিজ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রাখতে প্রথমে বুঝিয়ে বলেছি। কেউ শুনেছে কথা, কেউ শোনেনি। আমি আবারো তাদেরকে অনুমোদনহীন অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করে দিতে অনুরোধ করছি। যারা বন্ধ করছে না, আমি এখন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এছাড়া কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি সদর হাসপাতালে গিয়ে তত্ত্বাবধায়কের কাছে চিকিৎসক, নার্সদের হাজিরা খাতা অনুযায়ী উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং চিকিৎসার খোঁজ নেন। সরকারি হাসপাতালে সেবা ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে আরও কী করতে হবে সে ব্যাপারে উপস্থিত হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, তিনদিন ব্যাপী কক্সবাজার জেলার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কক্সবাজারে অবস্থান করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে "চিকিৎসক অধ্যক্ষ সম্মেলন-২০২৪" এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। কক্সবাজার জেলার সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রসমূহ পরিদর্শনের জন্য আগামীকাল শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারিত থাকলেও আজ বিকেলে আকষ্মিকভাবে স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল অভিযানে নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। 
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৩

চীনা নববর্ষেই মিয়ানমার থেকে জান্তা উৎখাতের হুঁশিয়ারি বিদ্রোহীদের
চীনা নববর্ষেই মিয়ানমার থেকে সামরিক সরকার বা জান্তাকে  উৎখাত করার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে দেশটির সশ্রস্ত্র বিদ্রোহীদের জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। চলতি বছরই সামরিক শাসনের মূলোৎপাটন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জোটটি। আর এজন্য ইতোমধ্যে কোণঠাসা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা এসেছে জাতিগত স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র জোটটির পক্ষ থেকে। খবর ইরাবতীর। চীনা নববর্ষের আগে প্রকাশিত এক বার্তায় ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স বলেছে, এবারের বছরটি ড্রাগনের। চীনা জনগণ ড্রাগনের বছরকে সবচেয়ে শুভ রাশিচক্র হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা আশা করি, ড্রাগন বর্ষের তাৎপর্য ও আশীর্বাদ মিয়ানমারের জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিলে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি, সামরিক স্বৈরাচার নির্মূলে মিয়ানমারের জনগণের মুক্তির আকাঙ্খা এই ড্রাগন বছরেই সম্পন্ন হবে। মিয়ানমারের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এ বার্তায় বলা হয়, ‘ড্রাগনে প্রবেশ করুন, জান্তা থেকে বের হন’।  গত বছরের ২৭ অক্টোবর ‘অপারেশন ১০২৭’ শুরু করার পর থেকে কয়েক ডজন শহর দখল করেছে  ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স নামে জাতিগত স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র জোটটি। জোটের তিনটি সংগঠন হলো- মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) ও আরাকান আর্মি (এএ)।  রাখাইন, চিন এবং উত্তর শান রাজ্যে চার শতাধিক জান্তা ঘাঁটি এবং ফাঁড়ি দখল করেছে তারা। এছাড়াও চীনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথও দখল করেছে জোটটি।  আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইউএস ইনস্টিটিউট অব পিস তাদের এক রিপোর্টে বলছে, ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এবং আরও দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠী মিলে এরই মধ্যে ‘ব্রিগেড ৬১১’ নামে আরেকটি বাহিনী গঠন করেছে।  সামরিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অপরিবর্তিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জোটটি বলেছে, মিয়ানমারের জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করছেন তারা। সেই লক্ষ্য অর্জনে প্রতিদিন নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০০

সংসদে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি
রোজা সামনে রেখে পণ্য নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী মজুতদারি বা কারসাজির চেষ্টা করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকেই আমাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। শনিবারও তিনি নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্য সরবরাহের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে আমরা কৃষি, খাদ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। আশা করছি রমজানে নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্যের সরবরাহ ভোক্তা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারব। কোনো ধরনের মজুতদারি বা কোনো রকম কারসাজি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, রমজান সামনে রেখে আমরা পেঁয়াজ ও চিনির ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের এই দুটি পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ ছিল। আশা করছি বাংলাদেশকে প্রতিবেশী বন্ধুসুলভ দেশ হিসেবে কনসিডার করে তারা রমজানের আগেই পেঁয়াজ ও চিনি রপ্তানির অনুমোদন দেবে। আহসানুল ইসলাম বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারত সফরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি চিনি ও পেঁয়াজের বিষয়ে আশ্বস্ত হয়ে এসেছেন। শুধু ভারত নয়, রমজান শুরুর আগে আমরা বিকল্প মাধ্যম থেকেও পেঁয়াজ এনে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারব।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়