• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হাড় কাঁপানো শীত, চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নওগাঁয়
নওগাঁর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। মাঘের শুরুতে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পথঘাট।     সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বদলগাছি আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল রোববার যা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও পড়ুন : শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে ফের দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস   এ বিষয়ে বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুর বলেন, দিন যাচ্ছে তাপমাত্রা আরও নিম্নমুখী হচ্ছে। আজ সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুএকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, নওগাঁসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। আরও পড়ুন : ৪ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক   স্থানীয়রা জানান, নওগাঁয় ঘন কুয়াশার সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহের কারণে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কয়েকদিন ধরে দিনে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এ কারণে দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। উষ্ণ কাপড়ের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এর আগে ভোর থেকেই কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে নওগাঁ। মেলেনি সূর্যের দেখা। উত্তরের হিমেল বাতাস অব্যাহত থাকায় শীতের তীব্রতা ব্যাপক হারে অনুভূত হচ্ছে। 
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৮

নীলফামারীতে হাড় কাঁপানো শীত, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা, হিমশীতল বাতাস আর হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে উত্তরের জেলা নীলফামারীর জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। ঘন কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত আচ্ছন্ন থাকায় দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীতের দাপটে বেশ কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। সেই সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্য উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এমন অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন ঘরের বাইরে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট, হাটবাজার, রেলস্টেশন বাস টার্মিনালসহ লোকালয়ে মানুষজনের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সরকারি-বেসরকারি অফিসে চাকরিজীবীরা আসলেও কাজকর্মে চলছে স্থবিরতা। জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষরা বের হলেও কাজ না পেয়ে পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। শহরের কালীতলা এলাকার একজন রিকশাচালক বলেন, খুব ঠান্ডায় মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রী হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি। দিন এসে দিন খাই তাই ঠান্ডা সহ্য করি বাইরে বের হইছি। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। গতকালের থেকে আজকে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপও বেড়েছে। নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন মা বলেন, তিন দিন ধরে আমার বাচ্চার জ্বর শ্বাসকষ্ট তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ডাক্তারের চিকিৎসায় এখন ভালো আছে। নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আউয়াল বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিন যেখানে চার থেকে পাঁচজন শিশু ভর্তি হতো সেখানে বর্তমানে ২০ থেকে ২৫ জন ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের সকালে ঘর থেকে বের না করে কুসুম গরম পানি খাওয়ানো ও সতেজ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, শীত মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় তিন দফায় ৩৬ হাজার ৮৮০টি কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শীতার্ত মানুষের কথা চিন্তা করে আরও শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আশা করি দ্রুত শীতবস্ত্র পাওয়া যাবে। 
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৯

হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই বৃষ্টির আভাস
হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। আগামী সোম ও মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে। রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯

হাড় কাঁপানো শীতে থমকে গেছে পঞ্চগড়ের জনজীবন
পঞ্চগড়ে হাড় কাঁপানো শীত অব্যাহত রয়েছে। ফলে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। শীতের কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। কনকনে শীতে থমকে গেছে জনজীবন। দৈনন্দিন আয় কমে গেছে শ্রমজীবী মানুষের। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা (সর্বোচ্চ) ১৭ দশমিক ২ থেকে বেড়ে ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা। সঙ্গে উত্তরের হিমশীতল বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হয়। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস বলছে, এই পরিস্থিতি মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাবস্থা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ১০ ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রাকে শৈত্যপ্রবাহ বলি। তবে এই তাপমাত্রার স্থায়িত্বকাল অন্তত তিনদিন না থাকলে শৈত্যপ্রবাহ বলা যাবে না। সে হিসেবে বর্তমানে তেঁতুলিয়াসহ পঞ্চগড়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাবস্থা বিরাজ করছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়