• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইসরাইলি গণহত্যাকে সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : হামাস
গাজায় ইসরাইলি গণহত্যাকে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইল গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেছে তারা। রোববার (২১ এপ্রিল) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরাইল গাজায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বলে গত শনিবার জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের ভেটো কার্যকরভাবে তেল আবিবের কর্মকাণ্ডে রাজনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করছে।  আনাদোলুর সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়াহ আরও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রতারণামূলক, যদিও দেশটি বলে, তারা বেসামরিক লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না, তবে এটি তাদের একটি কৌশল। মার্কিন অস্ত্র, মার্কিন রকেট, মার্কিন রাজনৈতিক সুরক্ষায় গাজায় হাজার হাজার শহিদ ও বেসামরিক সকল নাগরিক নিহত হয়েছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৭

হামাস প্রধান হানিয়ার সঙ্গে এরদোয়ানের বৈঠক
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শনিবার (২০ এপ্রিল) ইস্তাম্বুলে এই দুই নেতা প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠক করেন বলে জানিয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামাস প্রধান ঈসমাইল হানিয়াকে ইস্তাম্বুলের দোলমাবাখ প্রাসাদে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় তার সঙ্গে তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও ছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন হামাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা খালেদ মাশালও। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণ নিয়ে কথা বলেছেন হানিয়া ও এরদোয়ান। দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের ঐকবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এরদোয়ান। ঈসমাইল হানিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর একটি বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। এরদোয়ান বলেছেন, এই প্রক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ এবং জয়ের পথটি ঐক্য এবং অখণ্ডতার ওপর নির্ভরশীল। হানিয়ার সঙ্গে এরদোয়ানের এ বৈঠককে ভালোভাবে নেয়নি দখলদার ইসরায়েল। ব্লগিং সাইট এক্সে দেওয়া পোস্টে এ বৈঠকের নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মাইক্রো। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত  ইসরাইলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। শুরু থেকেই ইসরায়েলের বর্বরতার নিন্দা জানিয়ে আসছেন তার্কিস প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে থাকবেন তিনি এবং তার দেশ। সর্বশেষ ইরান ও ইনরাইলের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনার পর অনুষ্ঠিত হলো এ বৈঠক।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৫

ঈদের দিনে হামলায় হামাস প্রধানের ৩ ছেলে নিহত
ফিলিস্তিনে আজ বুধবার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এ দিনটিতেই ইসরায়েলের হামলায় হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও হামলায় তার নাতি-নাতনিও প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা সাবাব নিউজ এজেন্সির  এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মৃত্যুর বিষয়টি আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন ঈসমাইল হানিয়া নিজেই। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন গাজার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হানিয়ার ছেলেদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ বিষয়ে ঈসমাইল হানিয়া জানান, ইসরায়েলি হামলায় কয়েকজন নাতি-নাতনিসহ তার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মোহাম্মদ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি তিনি। ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত ও আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, ভবিষ্যৎ তৈরি করি। আমরা আমাদের মানুষ এবং জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তির পথ তৈরি করি। নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, কোনো সন্দেহ নেই এই শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা এবং রক্তপাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং তারা কোনো আইন মানে না।  হামাস প্রধান জানান, তার ছেলেদের হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে একটুও সরে আসবে না। তিনি বলেন, যদি তারা (ইসরায়েল) মনে করে আমাদের সন্তানদের হত্যা করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে। ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান। সূত্র : আলজাজিরা
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৪

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় থাকা হামাস দলের কায়রো ত্যাগ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে। তারা বলেছে, তাদের প্রতিনিধি দল মিশর ত্যাগ করেছে, কিন্তু ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না পৌঁছানো পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা আগামী সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি আলজাজিরাকে বলেছেন, মিশরের রাজধানী কায়রোতে চার দিনের আলোচনায় কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ বন্ধ, তাদের বাহিনী প্রত্যাহার, ত্রাণের প্রবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রত্যাবর্তনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। সামি আবু জুহরি বলেন, একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রচেষ্টা ইসরায়েল ‘নস্যাৎ’ করে দিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের আগে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত ও প্রায় ২৫০ জনকে বন্দি করা হয়। নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ১০০ জনেরও বেশি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এদিকে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। 
০৭ মার্চ ২০২৪, ২২:২৮

ইসরাইলি হামলায় ৭০ বন্দী নিহত : হামাস
ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় হামাসের কাছে জিম্মি ৭ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে জিম্মি নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। সর্বশেষ নিহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জন ইসরায়েলি এবং ৩ জন বিদেশি নাগরিক বলে জানা গেছে। তবে কখন, কোথায় এই ৭ জিম্মি নিহত হয়েছেন, তা পরিষ্কার করেননি এই প্রতিরোধ যোদ্ধা।  শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে এ তথ্য দিয়েছে হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, টেলিগ্রাম পোস্টে আবু উবাইদা বলেছেন, গাজায় গত প্রায় ৫ মাসে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বেশ কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার নিহতের মধ্যে দিয়ে সেই সংখ্যা ৭০ জন ছাড়িয়েছে। হামাস এই সাতজনের মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলো চাইম গারশন পেরি (৭৯), ইয়োরাম ইতাক মেতগার (৮০), আমিরাম ইসরায়েল কুপার (৮৫)। তবে বাকি চারজনের নাম প্রকাশ করেনি হামাস। হামাস জানায়, আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম যে ওইসব জিম্মিদের পাহারার দায়িত্বে থাকা আমাদের যোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, ইহুদিবাদীদের হামলায় তারা এবং তাদের সাথে থাকা বন্দীরাও নিহত হয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আর তা হয়েছে ইহুদিবাদীদের বোমা হামলায়। হামাসের বক্তব্য, আমরা বন্দীদের জীবন রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের কাছে পরিষ্কার যে ইসরাইলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে তাদের বন্দীদের হত্যা করছে। আর ইসরাইলি নেতৃত্ব তা করছে, এদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এসব নিহত বন্দীদের মূল্য জীবিতদের সমান। তাদের লাশ নিতে হলে যথাযথ মূল্য দিতেই হবে। আমরা আশা করি, ইসরাইল তাদের লোকদের আর হত্যা করবে না। এদিকে, বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের মধ্যে আছে, ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। হামাস যদি একজন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েল ১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া বলা হয়েছে, গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করে দেয়া হবে। দরকার হলে আবার নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রতিদিন সেখানে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পাঁচশটি ট্রাক ঢুকবে। কাতারের বক্তব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে বাইডেনের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি দেয়া নিয়ে কোনো মতৈক্য হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, মতৈক্যের জন্য কাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্যারিসে একটা খসড়া চুক্তি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস যাতে এই চুক্তি মেনে নেয়, তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কবে যুদ্ধবিরতি হবে, তা নিয়ে কোনোরকম জল্পনা করতে কাতার রাজি নয়। তবে কাতার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী। দুর্ভিক্ষের মুখে গাজা ভূখণ্ডের চারভাগের মধ্যে একভাগ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন। দুই বছরের নিচে ছয়জন বাচ্চার মধ্যে একজন সেখানে ভয়ংকর অপুষ্টিতে ভুগছে। বস্তুত এই ভূখণ্ডের ২৩ লাখ মানুষ উপযুক্ত পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। যদি যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দ্রুত সেখানে গিয়ে মানুষের হাতে খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে। তবে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ অনিবার্য বলে জাতিসংঘের মত। উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জন নিহত এবং ১৩১ জন আহত হয়েছে। এতে যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৬৯২ জনে। পাশাপাশি এ সময়ে আহত হয়েছে আরো ৬৯ হাজার ৮৭৯ জন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
০২ মার্চ ২০২৪, ১০:০৭

প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সাড়া দিয়েছে হামাস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাবিত চুক্তিতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির এক জ্যেষ্ঠ নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের প্রস্তাবিত এই চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। বিবিসিকে হামাসের ওই নেতা বলেন, (গাজায়) নতুন একটি যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তুত হয়েছে এবং আমরা তাতে সাড়া দিয়েছি। তবে হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে গাজা পুনর্গঠনসংক্রান্ত কয়েকটি ধারা বা শর্তও যেন সেখানে সংযুক্ত করা হয়। সূত্রের বরাতে কেবল এটুকু জানা গেছে যে, চুক্তিতে ৬ মাসের যুদ্ধবিরতি এবং আরও বেশি সংখ্যক জিম্মি-বন্দি বিনিময় প্রস্তাব করা হয়েছে। ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়পক্ষই বলেছে যে তারা হামাসের জবাব পর্যালোচনা করছে। হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে সংগঠনটি। তবে গাজার পুনর্গঠন, অধিবাসীদের বাড়িতে ফিরে আসা এবং বাস্তুচ্যুতদের বিষয়ে বিভিন্ন ধারা সংশোধনের জন্য প্রস্তাব রেখেছে তারা। এ ছাড়া আহতদের চিকিৎসা এবং তাদের বাড়িতে ফিরে আসা বা দেশের বাইরের হাসপাতালে পাঠানোর বিষয়েও চুক্তির ধারা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। সপ্তাহখানেক আগে হামাসের কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে চুক্তির কিছু বিষয় অনিশ্চিত ও পরিষ্কার না থাকায় হামাস মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নাগাদ এতে সাড়া দেয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, হামাসের প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গে ইসরায়েলের অবস্থান জানতে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রটির সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াসহ গোষ্ঠীটির বেশ কয়েক জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কাতারে বসবাস করেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি এক বার্তায় বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে হামাসের কাছে চুক্তির খসড়া পাঠানো হয়েছিল। হামাস নেতারা আমাদের জানিয়েছেন যে চুক্তির ব্যাপারে তারা ইতিবাচক। আমরা আশা করছি শিগগিরই একটি সফল যুদ্ধবিরতি চুক্তি আমরা উপহার দিতে পারব।’ গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরেও নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। চার মাস ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৬৮ হাজার। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ও মিসরের নিরলস চেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ দিনের অস্থায়ী বিরতি চুক্তি হয়েছিল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। সেই ৭ দিনে নিজেদের কব্জায় থাকায় জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। পাল্টায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দেড়শ’রও বেশি মানুষকে মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েলও। হিসেব অনুযায়ী, হামাসের কব্জায় এখনও ১৩২ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের ফিরে পেতে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করেছেন জিম্মিদের স্বজনরা। ইসরায়েলের সাধারণ জনগণের একাংশও যোগ দিয়েছেন এসব কর্মসূচীতে। সূত্র : বিবিসি
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে পারে হামাস
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকমী সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ে মিশরে গিয়ে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, হামাসের কাছে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তা নিয়ে তারা ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। অর্থাৎ, দুইমাসের সংঘর্ষ-বিরতি এবং একশ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে হামাস ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। সম্প্রতি প্যারিসে কাতার, মিশর এবং আমেরিকার প্রতিনিধিরা ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে একটি প্রস্তাবনার খসড়া তৈরি করা হয়। যাতে বলা হয়, ইসরায়েল দুই মাসের জন্য সংঘর্ষ-বিরতি ঘোষণা করবে। কিন্তু হামাসকেও অন্তত একশ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। ইসরায়েল এই প্রস্তাবে রাজি হওয়ার পর তা হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, হামাস বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছে, এখনো প্রস্তাবটি নিয়ে সর্বসম্মত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গাজার ওই সূত্র সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছে, কাতারের প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে। এখনো প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ে মিশরে গিয়ে সংঘর্ষ-বিরতির আলোচনায় যোগ দিতে পারেন বলে জানা গেছে। হামাসের সূত্র সংবাদসংস্থা এএফপি-কে এই তথ্য দিয়েছে। প্যারিসে যে আলোচনা হয়েছে এবং প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে, তারই উপর আরো একপ্রস্ত আলোচনা হতে পারে মিশরে। সেখানেই হামাসের নেতা যোগ দিতে পারেন। বস্তুত, তিনি যোগ দিলে এই প্রথম হামাসের কোনো নেতা সরাসরি আলোচনায় অংশ নেবেন। এর আগে সমস্ত প্রস্তাবই হামাসের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা কোনো বৈঠকে যোগ দেয়নি। যে প্রস্তাব নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে, সেখানে বলা হয়েছে, ছয় সপ্তাহের সংঘর্ষ-বিরতি নেওয়া হবে। সেই সময়ে শিশু, নারী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের হামাস মুক্তি দেবে। এই বিষয় নিয়েই মিশরে আলোচনা শুরু হতে পারে। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের দাবি, তাদের সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে হামাস আরো একটি দাবি জানাতে পারে। ইসরায়েলকে এই অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং গাজা থেকে সমস্ত ইসরায়েলি সেনা সরিয়ে নিতে হবে। 
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়