• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১৭, শিশুসহ আহত ৬০
ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে ঐতিহাসিক শহর চেরনিহিভে রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় শিশুসহ আরও অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন।   বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির। চেরনিহিভের মেয়র অলেক্সান্ডার লোমাকোন বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় একটি আট তলা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। এ নিয়ে শহরের কেন্দ্রস্থলে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।   প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়। সেই হামলার বিস্তারিত এখনও নিশ্চিত করা হয়নি, যদিও স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলগুলো উত্তর ক্রিমিয়ার ঝানকোয় এয়ারফিল্ডে আগুনের ভিডিও শেয়ার করেছে। চেরনিহিভের মেয়র বলেন, একটি ভবনে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে এবং বেশ কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  কিয়েভের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, হামলায় আরও চারটি উচ্চ ভবন, একটি হাসপাতাল, কয়েক ডজন গাড়ি এবং একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জরুরি পরিষেবাগুলো অনুসন্ধান চালাচ্ছে এবং কর্মকর্তারা জনসাধারণকে রক্ত দিতে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন করেছেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫

গাজায় ইসরায়েলের পৃথক হামলায় নিহত ১৮
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডটির একটি শরণার্থী শিবির ও আবাসিক বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পৃথক এই হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানায়। ইসরায়েলি এ হামলায় মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ১১ জন এবং রাফাহতে আবাসিক বাড়িতে ৭ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। আল জাজিরা জানায়, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ ছাড়া এই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানায়, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় আরও সাতজন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের এ বিমান হামলায় চার শিশুসহ সাতজন নিহত হন। আল জাজিরার হানি মাহমুদ জানান, মাগাজি শরণার্থী শিবিরে মানুষের কাজ ও ব্যস্ততার সময়ে ইসরায়েল এই হামলাটি চালায়। হামলায় সেখানকার একটি খেলার মাঠও আক্রান্ত হয়। যেখানে প্রায়ই বাস্তুচ্যুত শিশুরা চলাচল করে। ইসরায়েলি এই হামলায় আহত ‘কয়েকজন’ মানুষকে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। এ ঘটনার পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান এবং স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় ফিলিস্তিনের শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ৮৪৩ জন নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৬ হাজার ৫৭৫ জন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৩

লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু 
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় চারদিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ ৪ জন আহত হয়। অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে গুলিও করা হয়েছে।  সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন।  সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।  এ দিকে হামলার ঘটনায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।  এ ঘটনায় সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।  এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা।  একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৪

প্রতিরক্ষা ভেদ করে ইরানের হামলায় ইসরায়েলে যে ক্ষয়ক্ষতি
ইরান ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ইরানের ৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দুটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলের বিস্তৃত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং মিত্রশক্তিগুলোর ছোড়া গুলি ভেদ করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ইরানের ৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে পাঁচটি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে। এতে ইসরায়েলের একটি সি-১৩০ রসদবাহী বিমান, একটি রানওয়ে ও একটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ইসরায়েলের নেগেভ বিমানঘাঁটিতে বাকি চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তবে এতে সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে অ্যারো-৩ বিশেষত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করার জন্য তৈরি হয়। এবারই প্রথম ইসরায়েল অ্যারো-৩ নামের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করেছে। এরপরও ইরানের নয়টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানাটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।  উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে আইআরজিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান ইরানের সাতজন সামরিক কর্মকর্তা। সেই হামলার জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে আইআরজিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আর ইসরায়েলের দাবি, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র গুলো ইসরাইলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই ভূপাতিত করা হয়েছে। ৯৯ শতাংশ হামলাই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ইরান বলছে,হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। সূত্র : আল জাজিরা
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৯

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত
ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে  দুই শতাধিক মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইরান। এতে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের হামলার বিষয়ে দেওয়া আপডেটে এ কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। খবর আল জাজিরা। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, ইরানি হামলায় তাদের সামরিক ঘাঁটির ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান ইসরায়েলে দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং তাদের ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সহায়তায় আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে পড়েছে, ফলে একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র একটি ছোট মেয়ে আহত হয়েছে এবং আশা করি সে ভালো হয়ে যাবে। এদিকে পরে নতুন করে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করার আগে এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সাথে তার ‘অ্যারো’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে আটকে দিয়েছে। অ্যারো অ্যারিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম হলো অতি উচ্চতায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার একটি পদ্ধতি। সম্প্রতি ইসরায়েল হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলায় এটি ব্যবহার করে। এদিকে ইসরায়েলে হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে। তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন। বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

ইসরায়েলে হামলায় প্রস্তুত ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র
ইসরায়েলের ওপর প্রতিশোধ নিতে শতাধিক ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করেছে ইরান। শনিবার (১৩ এপ্রিল) হতে পারে এ আক্রমণ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তজেনা বৃদ্ধি এড়াতে ইরান ছোট আকারের হামলাকে বেছে নিতে পারে। অন্যদিকে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে গত ১ এপ্রিলে করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই জেনারেলসহ বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন।  এবার সেই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান হামলা চালাবে। যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে পারে তেহরানের হামলা। বিষয়টির সঙ্গে জানা আছে এমন একজন ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমটি। শুক্রবার  ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ইরানের হুমকি ‘বাস্তব’।  যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও ইরানের সম্ভাব্য হুমকিকে বাস্তব ও কার্যকর বলে মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের হুমকির আলোকে ওই অঞ্চলে তার নিজস্ব শক্তি পরীক্ষা করে দেখছে এবং পরিস্থিতি খুব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ অবস্থায় ইসরায়েলে কর্মরত নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজ কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেমের বাইরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, তেল আবিব ও বির শেভা এলাকা এ সতর্কতার আওতামুক্ত থাকবে। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ‘যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি’ সম্পর্কে একটি ‘বিস্তৃত’ মূল্যায়ন করেছে। আইডিএফ যে কোনো হুমকির বিরুদ্ধে আক্রমণ ও প্রতিরক্ষায় ভালোভাবে প্রস্তুত। তারা যুদ্ধে আছি এবং প্রায় ছয় মাস ধরে উচ্চ সতর্কতায় আছে। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজার ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যা করে হামাস। পাশপাশি জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে। এরপর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দখলদারদের এমন হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২০ লাখ মানুষ। ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।    
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৫

ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২২ ফিলিস্তিনি।খবর কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। এদিকে ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হামাস সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থা জানায়, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থী শিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় এর আগে হানিয়ের পরিবারের আরও কয়েক সদস্য নিহত হয়েছেন। তার এক ছেলে ফেব্রুয়ারিতে, ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া নভেম্বরে নিহত হন তার এক নাতি। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত মোট ৩৩ হাজার ৫৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৪ জন।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫২

ঈদের দিনে হামলায় হামাস প্রধানের ৩ ছেলে নিহত
ফিলিস্তিনে আজ বুধবার পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এ দিনটিতেই ইসরায়েলের হামলায় হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও হামলায় তার নাতি-নাতনিও প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা সাবাব নিউজ এজেন্সির  এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। মৃত্যুর বিষয়টি আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন ঈসমাইল হানিয়া নিজেই। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন গাজার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হানিয়ার ছেলেদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ বিষয়ে ঈসমাইল হানিয়া জানান, ইসরায়েলি হামলায় কয়েকজন নাতি-নাতনিসহ তার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মোহাম্মদ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি তিনি। ঈদ উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, শহীদদের রক্ত ও আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, ভবিষ্যৎ তৈরি করি। আমরা আমাদের মানুষ এবং জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তির পথ তৈরি করি। নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, কোনো সন্দেহ নেই এই শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা এবং রক্তপাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং তারা কোনো আইন মানে না।  হামাস প্রধান জানান, তার ছেলেদের হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে একটুও সরে আসবে না। তিনি বলেন, যদি তারা (ইসরায়েল) মনে করে আমাদের সন্তানদের হত্যা করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে। ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান। সূত্র : আলজাজিরা
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৪

সাংবাদিক ইমনের ওপর হামলায় বিজেসি’র নিন্দা 
একাত্তর টিভির সাংবাদিক ইসতিয়াক ইমন ও ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। বুধবার (১০ এপ্রিল) সংগঠনটির নির্বাহী (দপ্তর) পারভেজ রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিং এলাকায় বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভির দুটি গাড়িতে হামলার পর ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন সাংবাদিক ইসতিয়াক ইমন ও ক্যামেরাপারসন খোরশেদ আলম। আরও আহত হন গাড়ির দুজন চালক। তাদেরকে লক্ষ্য করে ইট-পাথরও নিক্ষেপ করে সংঘবদ্ধভাবে ছিনতাইকারীরা। ছিনিয়ে নেয় টাকা, মানিব্যাগ ও পরিবারের জন্য কেনা ঈদের নতুন পোশাক। একপর্যায়ে ক্যামেরাম্যান খোরশেদ আলমকে জিম্মি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে। এ সময় উপর্যুপরি কিল-ঘুসি মেরে তাকে জখম করা হয়। দুঃখজনক  হলো ঘটনাস্থল উল্লেখ করে ঘটনার বিবরণ দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও তিন থানার কেউই কোনো দায় নিতে চায়নি। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জাচ্ছে বিজেসির চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক এবং সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ। একইসঙ্গে থানার সীমা নিয়ে গড়িমসি না করে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার আহ্বান জানান তারা।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৮

কেএনএফের হামলায় প্রশ্নবিদ্ধ পার্বত্যের শান্তি ও নিরাপত্তা
কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সমঝোতায় আসার সময়ে কী কারণে দুই দিনে তিন ব্যাংকে হামলা চালালো তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ এসব হামলা পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়েও জাগিয়েছে সংশয়৷ গত বছরের ২৯ মে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করেছিল শান্তি স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লার নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের কমিটি। ক্য শৈ হ্লা বলেন, আমরা তাদের এই আচরণে হতাশ। তারা কেন সমঝোতা ভঙ্গ করলো তা আমরা বুঝতে পারছি না। ব্যাংকে হামলার পর আমরা তাদের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনা ও সমঝোতা স্থগিত করেছি। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র এবং কমিটির সদস্য সচিব কাঞ্চন জয় ত্যাংচঙ্গা বলেন, আমরা গত বছরের ৫ মে প্রথম বৈঠক করি। এরপর গত মাসের ৫ তারিখে আরো একটি বৈঠক হয়। তাদের মধ্যে কোনো অসন্তোষ তখন দেখিনি। আর চলতি মাসের ২০ তারিখে আরেকটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। চার দফা সমঝোতার মূল বিষয় ছিল চাঁদাবাজি ও আক্রমণ না করা, শান্তি বজায় রাখা ইত্যাদি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরাও বিস্মিত হয়েছি যে, তারা পরপর ব্যাংক ও থানায় আক্রমণের এত শক্তি কোথায় পেল? তারা এখন আর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না। আর আমরাও তাদেরকে যোগাযোগ করে পাচ্ছি না। রুমা ও থানচির তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি এবং পরে থানচি ও আলীকদম থানায় আক্রমণের পর পুরো বান্দরবান এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। রুমা সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে শুক্রবার উদ্ধার করা হয়েছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং-এর পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বান্দরবানে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের যৌথ এই অভিযান কেএনএফ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। সন্ত্রাসীদের দমনে পাহাড়ে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের মতো সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বান্দরবানের সব থানাকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। কেএনএফ আলোচনায় আসে ২০২২ সালে। পুলিশ ও র‌্যাব তখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীসহ যৌথ অভিযানও পরিচালনা করা হয়। পুলিশ তখন জানায়, সমতলের জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য বান্দরবানের কেএনএফের সঙ্গে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামে একটি জঙ্গি সংগঠন অর্থের বিনিময়ে চুক্তি করেছে। এর পর অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গহীন জঙ্গল থেকে জঙ্গি ও কেএনএফের অনেক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। কেএনএফ মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান কেন্দ্রিক আঞ্চলিক সংগঠন। কেএনএফ পার্বত্য তিন জেলার প্রায় অর্ধেক আয়তনের অঞ্চল তথা লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকলসহ আশপাশের এলাকায় তৎপর রয়েছে গত চার-পাঁচ বছর ধরে। কেএনএফ প্রধান হলেন নাথান বম। তারা কথিত কুকিল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের একটি ম্যাপও আছে কথিত ওই কুকিল্যান্ডের। বম বা কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন ভারতের মনিপুর ও মিজোরাম এবং মিয়ানমারে রয়েছে। ওই দুই দেশেও তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা আছে। কেএনএফ দাবি করে, ২০২১ সাল থেকে তাদের প্রশিক্ষিত দলটি কাজ শুরু করে। তার আগে তারা কাচিনে প্রশিক্ষণ নেয়। বান্দরবানে হামলার পর থেকে তারা তাদের ফেসবুক পেজে নিয়মিত আপডেট দিচ্ছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, কেএনএফ একটি ক্রস বর্ডার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। তারা ভারতের মনিপুর ও মিজোরাম এবং মিয়ানমারে সক্রিয়। ওইসব এলাকায় এই সময়ে যে অস্থিরতা চলছে, তারই প্রভাবে কেএনএফ ফের তৎপর হতে পারে। তবে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে বান্দরবান এলাকার নিরাপত্তায় যে ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছিল তাতে আমি বিস্মিত। কেএনএফ একটি ত্রিদেশীয় সংগঠন। তারা এক দেশের শক্তি অন্যদেশে ব্যবহার করতে পারে। তাদের অবস্থান তিন দেশের সীমান্ত এলাকায়। ভূ-রাজনৈতিক কারণে কোনো দেশ তাদের মদত দিচ্ছে কিনা সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ভারতে মনিপুরে যে সংকট, সেটা এখানকার কুকিদের প্রভাবিত করতে পারে। আমরা এর আগে দেখেছি, কোনো দেশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালে তারা পাশের দেশে আশ্রয় নেয়।  তার মতে, এটা ক্রস বর্ডার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হওয়ায় তারা অস্ত্র এবং অর্থের বিনিময় করে। মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার মনে করেন, বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার তিন দেশেই কুকি-চীনরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। ফলে তাদের একটা ত্রিদেশীয় শক্তি এবং যোগাযোগ আছে। ভারতের মনিপুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আবার আগের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এরা উচ্চমূল্যে অস্ত্র ক্রয় করে। আবার পরস্পরকে সহায়তা করে। আমার মনে হয়েছে, তাদের অর্থের প্রয়োজন। তারা সেই কারণেই ব্যাংকে হামলা চালিয়েছে। তবে তিনি এ-ও মনে করেন, কেএনএফের পোশাক পরে অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এটা করেছে কিনা তা-ও দেখা প্রয়োজন। কারণ, ওই এলাকায় এখনো অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয়। নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে বিস্ময় মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শহীদুল হক বলেন, তারা তিনটি গাড়িতে করে এসে রুমা সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করেছে। পরের দিন থানচির দুই ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতি করেছে। রাতে থানচি ও আলীকদম থানা এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এইসব ঘটনায় আমরা বিস্মিত। কারণ, পাহাড়ি এলাকা এবং ওই ধরনের গোষ্ঠী যেখানে তৎপর থাকে, সেখানে নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকে, গোয়েন্দা তৎপরতা থাকে। সেখানে আমি বলবো, আমরা পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। মিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধ চলছে। তার সীমান্তে আলীকদম। আমাদের কোনো হিসাব থাকবে না? তার কথা, এই কুকি-চীনরা বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং চীনের সঙ্গে যুক্ত। তাদেরকে হালকাভাবে নেয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, এই অঞ্চলে মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম ও মনিপুরে যে সংকট চলছে, তার কোনো সূত্র বান্দরবানে হামলার সঙ্গে থাকতে পারে। তিনি মনে করেন, টাকার জন্য তাদের ব্যাংক লুট করতে হয় না। ওই এলাকায় যে পরিমাণ চাঁদা ওঠে, তাই যথেষ্ট। একটি উপজেলার ব্যাংকে কত টাকা থাকতে পারে তা তাদের জানা। তারা আমার মনে হয় শক্তির মহড়া দিচ্ছে। তারা পাশের দেশগুলোকেও শক্তির জানান দিতে চায়। মেজর জেনারেল ( অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, রুমায় ব্যাংকে পুলিশ ছিল। থানচিতে ব্যাংকের পাশেই পুলিশ ও বিজিবির ক্যাম্প ছিল। কিন্তু কোথাও আমরা প্রতিরোধের কোনো খবর পাইনি। এতে স্পষ্ট যে, যারা ওখানে ছিলেন, তাদের মধ্যে সেই ধরনের মনোবল ছিল না। ফলে তারা কোনো বাধা দেয়নি। তাদের অস্ত্র লুট করেছে, ব্যাংক লুট করেছে, আর রুমায় ডাকাতি হওয়ার পর পুরো জেলার ব্যাংকেই তো নিরাপত্তা জোরদার করার উচিত ছিল। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, একটি সমঝোতা করার পর সব নিরাপত্তা ঢিলেঢালা করে দেয়া হলো। রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করা হলো না, এটা মেনে নেয়া যায় না। এই তিন জনই মনে করেন, পাহাড়ে কুকি-চীনের এই তৎপরতায় অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোও উৎসাহিত হতে পারে। জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমার সঙ্গে শাস্তি চুক্তি হলেও পাহাড়ে এখনো কমপক্ষে পাঁচটি বড় গ্রুপ সক্রিয়। আর কুকি-চীনদের ব্যাপারে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়