• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গ্রাহকদের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই প্রাণনাথ ভারতের জেলে
গ্রাহকদের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সপরিবারে পালিয়ে যাওয়া সাতক্ষীরার প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাস ভারতের জেলে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানা এলাকায় গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (‌এসটিএফ)। পরদিন সোমবার তাকে আদালতে নেওয়া হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বারাসাত আদালত। বর্তমানে  প্রাণনাথ দাস কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন দমদম সেন্ট্রাল জেলে রয়েছেন বলে জানা গেছে।  এসটিএফের তথ্যমতে, ভারতে আগে থেকেই নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ভুয়া ভারতীয় নথি তৈরি করে রেখেছিলেন প্রাণনাথ। গ্রাহকদের আত্মসাৎ করা অর্থে কলকাতার নিউ টাউনে কয়েক কোটি টাকায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন তিনি। এরপর নিউটাউনের সেই বাড়িতে উঠেন।  এসটিএফের দাবি, রোববার বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলেন প্রাণনাথ। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাণনাথ দাশের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশ ও পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০১২ সালে সাতক্ষীরায় প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন প্রাণনাথ দাস। এরপর সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের স্ত্রী ইতি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বড় ভাই বিশ্বনাথ দাসকে নিয়োগ দেন। লাখপ্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা মুনাফা এবং ডিপিএসে সঞ্চয়কৃত টাকা পাঁচ বছরে দ্বিগুণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের কাছ থেকে শতকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান প্রাণনাথ। এরপর টাকা ফেরত পেতে বিক্ষোভ করেন ভুক্তভোগীরা। 
২১ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৫

সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নিতেন তারা
রাজবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ আটককৃতরা হলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার উত্তর ভবানিপুর গ্রামের তাহের মন্ডলের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৩৬) ও নওগাঁর পোরশা থানার মৃত আকিমুদ্দিনের ছেলে মো. আবু তাহের ওরফে ফয়সাল (৪২)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, মো. শামিম শেখ নামে এক যুবক কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন। কয়েক দিন আগে আমরা খবর পাই ১৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে একটি প্রতারক চক্র। ওই চক্রের এক সদস্য প্রাথমিকভাবে ৭ লাখ টাকা দিতে বলে। টাকাটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখে তাদের চেক দিতে হবে। চাকরি প্রার্থী  ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রেখে প্রতারক চক্রকে চেক দেন। পরে ওই চাকরি প্রার্থী যখন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হচ্ছেন তখন পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে আমরা অভিযান চালিয়ে গত শুক্রবার রাজবাড়ী থেকে শফিকুল নামের একজনকে আটক করি। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে এই চক্রের আরও এক সদস্য আবু তাহের ফয়সালকে আটক করা হয়। তারা দুইজন একসঙ্গে ফাঁদটি পাতেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৩টি সিভি, ১৩টি ভুয়া নিয়োগপত্র, পাঁচটি আইডি কার্ড, সাত পাতা ব্যাংকের চেক, ৯টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, পাঁচটি চেক বই, তিনটি এটিএম কার্ড, নিয়োগের বিজ্ঞাপন, হিসেব লেখা ডায়েরিসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল জব্দ করা হয়। পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিছুদিন পরেই পুলিশের কনস্টেবল পদে বড় একটি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। যে কারণে অনেক প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া দুই প্রতারক চক্রের সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। এই চক্রটি বিভিন্ন এলাকার চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান, ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরী, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়