• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনেছে রেল
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাজারে যে বাতির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার, সেটাই ২৭ হাজার টাকায় কিনেছে রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এমন তথ্য পায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।  অভিযান সূত্রে জানা যায়, দুদক টিম ট্রাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এই অনিয়ম প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়। এ ছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কিসের ওপর ভিত্তি করে ওই সব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসব সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টস পায়নি দুদক। বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে দুদক টিম ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য সিওএসএর দপ্তরে যায়। সেখান থেকে ডকুমেন্ট সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে। একই টিম পরে পাহাড়তলীতে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে তারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আর-অ্যান্ডআইয়ের মেরামত করা কক্ষ পরিদর্শন করে। ওয়াকিটকি ক্রয়-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। অভিযানে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়-সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এই পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়; যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন। এছাড়া আরও কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়, যেগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
২৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৬

সামুদ্রিক কালো পোয়া দুটি বিক্রি হলো ১ লাখ ২৪ হাজারে 
পটুয়াখালীর মহিপুরে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২৩ কেজি ৬৫০ গ্রাম ওজনের দুটি কালো পোয়া মাছ। স্থানীয় জেলেদের নিকট মাছটি ‘দাতিনা মাছ’ হিসেবে বেশি পরিচিত। মাছ দুটি মহিপুর বন্দরে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরে প্রদীপ মাঝি নামের এক জেলে মাছ দুটি নিয়ে আসেন।  প্রদীপ মাঝি বলেন, সাগরের মোহনা সংলগ্ন ১৪ বাম এলাকায় জাল টানতেছিলাম, তখন অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ ‘দাতিনা মাছ’ দুটি জালে উঠে আসে। মাছটি সুস্বাদু এবং অনেক দামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচরাচর এ মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। এটা ভাগ্যের ব্যাপার। তবে কয়েক বছর আগে এ রকম আরও একটা বড় মাছ পেয়েছিলাম। কুতুবদিয়া ফিসের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের জেলে প্রদীপ মাঝি মোহনা সংলগ্ন সাগরের মুখে এ মাছ দুটি পেয়েছেন। আমাদের আড়তে নিয়ে আসলে ডাকের মাধ্যমে সাড়ে ৫ হাজার টাকা কেজি দরে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকায় মাছ দুটি কিনে নেন ভাই ভাই ফিসের মালিক সেলিম। মাছ দুটি কিনে নেওয়া ভাই ভাই ফিসের স্বত্বাধিকারী সেলিম বলেন, আমাদের কাছে সব সময় বড় মাছের অর্ডার থাকে, আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মাছগুলো পাঠাই। তাই মাছ দুটি লাভের আশায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা কেজি দরে কিনেছি। মাছটি ঢাকায় পাঠাবো। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, এ মাছ দুটি কালো পোয়া নামে পরিচিত। এদেরকে সামুদ্রিক স্বর্ণ বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Protonibea diacanthus। ইংরেজি নাম ব্ল্যাকস্পটেড ক্রোকার (blackspotted croaker)। যা মূলত এর বায়ুথলি বা পটকার (Swim bladder/air bladder) জন্য। এটি মূলত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় পাওয়া যায়। এ ছাড়াও মাছটি বাংলাদেশ উপকূলের সেন্টমার্টিন চ্যানেলে বেশি পাওয়া যায়। এ মাছটির বায়ুথলি সাধারণত ইউরোপের দেশসমূহসহ হংকং, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়। এর বায়ুথলি থেকে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা ও আইসিনগ্লাস তৈরি করা হয়। এ মাছ সর্বোচ্চ ১.৫ মিটার লম্বা ও ওজনে ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়