• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ট্রেনে আগুন / বিএনপি নেতা নবীকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নবী উল্লাহ নবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক টুটুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। বিএনপি এবং সমমনাদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরুর আগের রাতে ৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গোপীবাগে যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে চলন্ত অবস্থায় আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আগুনে দুই নারী, এক শিশুসহ অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়।  এরপরপর ওই রাতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবী উল্লাহ নবীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫২

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।  এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। এর আগে, আজ সকালে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রিটটি করেন। এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ তাদের ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করে যে নোটিশ দিয়েছিল সেটিই স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এদিকে বুয়েটের উপাচার্য বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে ক্যাম্পাসে ফের ছাত্ররাজনীতি চালু করা যেতে পারে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪২

দিল্লি হাইকোর্টে মুক্তির আবেদন করলেন কেজরিওয়াল
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশকে অবৈধ বলে আদালতের কাছে আবেদন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) তিনি এ আবেদন করেন। খবর এনডিটিভির। এছাড়া ইডি হেফাজতে থাকাকালে নিজ দল আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন তিনি।  চিঠিটি পড়ে শোনান তার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল। এতে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের জন্য কাজ চালিয়ে যান। বিজেপির কাউকে ঘৃণা করবেন না। তারা সবাই আমাদের ভাইবোন। ভারতের ভেতরে ও বাইরে অনেক শক্তি রয়েছে, যেগুলো আমাদের দেশকে দুর্বল করে তুলছে। কোনো কারাগারই বেশি দিন আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি শিগগিরই বেরিয়ে আসব এবং প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করব। কেজরিওয়াল চিঠিতে আরও বলেন, কারাগারের ভেতরে বা বাইরে যেখানেই থাকি না কেন, আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের সেবার জন্য উৎসর্গ করেছি। রক্তের প্রতিটি ফোঁটা দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি। এদিকে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তারের পর বিজেপি সরকার আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতা ও দিল্লির মন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০১:৫৫

অনুমোদনহীন রেস্তোরাঁয় অভিযান প্রসঙ্গে যা বললেন হাইকোর্ট
অনুমোদনহীন সব রেস্তোরাঁয় অভিযান অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিচারপতি কামরুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন। একই সঙ্গে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউছিয়া টুইন পিক টাওয়ারে থাকা অনুমোদনহীন ১৩ রেস্টুরেন্ট সিলগালাই থাকবে বলে রায় দেন আদালত। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন- অভিযান পরিচালনাকারী রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আদালত তার কথা শোনেন। পরে রেস্তোরাঁখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে রাজউকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইমাম হাসান বলেন, আদালত রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কথা শুনেছেন এবং রেস্তোরাঁখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইন অনুযায়ী অভিযান চালু রাখতে বলেছেন। প্রসঙ্গত, বেইলি রোড ট্রাজেডির পর বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা কেন অবৈধ হবে না, তা চেয়েও রুল জারি করেন আদালত। এ বিষয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বিবাদীদের বলা হয়।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৪

বেইলি রোডের ঘটনার পর গ্রেপ্তারকৃতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যুর পর রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আইজিপির কাছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জারিকৃত রুলের জবাব দিতে স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্ম সংস্থান সচিব , আইন সচিব, আইজিপিকে চার সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) হোটেল ও রেস্তোরাঁয় হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা। রিটের পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হোটেল ও রেস্তোরাঁয় হয়রানিমূলক এলোমেলো অভিযান না করে আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আইন অনুযায়ী যারা রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছেন তাদের হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা-ও জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।  উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা যান। গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সব কটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। 
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৩:২২

সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের সম্পত্তি : হাইকোর্ট
খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি, এটা স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেন, দুদকসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে এটা প্রমাণিত যে, সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদী পেলেন, কীভাবে তার কাছে হস্তান্তর হলো, এটা আমাদের দেখাতে হবে। এরপর আদালত সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।  এর আগে গত ৩ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরে অবস্থিত বাড়ি নিয়ে করা রিটের জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। পরে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য হাইকোর্ট ১০ মার্চ দিন ধার্য করেন। তবে, নির্ধারিত দিন ১০ মার্চ রায় ঘোষণা না করে পিছিয়ে ১২ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে রিট আবেদনকারীর পক্ষে সময়ের আরজির প্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে ১২ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। বিষয়টি দুই দিনের জন্য মুলতবি করেন। কিন্তু দুদকের আইনজীবীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৮

আইন অনুযায়ী হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে বললেন হাইকোর্ট
এলোমেলোভাবে না করে আইন অনুযায়ী হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করতে বলেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ কথা বলেন।  একই সঙ্গে আইন অনুযায়ী যারা রেস্তোরাঁ পরিচালনা করছে তাদের হয়রানি করা কেন অবৈধ নয় তা জানতে চেয়েও রুল জারি করে হাইকোর্ট। এর আগে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় টনক নড়ে বিভিন্ন সংস্থার। পরে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ভবনে অভিযান চালায় পুলিশ ও সিটি করপোরেশন। অভিযানে অনেক রেস্তোরাঁ বন্ধ, জরিমানা ও বেশ কয়েকটি ভবন ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা। গ্রেপ্তার করা হয় ৮৭২ জনকে, মামলা হয় ২০টি। এরপর সোমবার (১১ মার্চ) অভিযান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে মালিকরা।  এদিকে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে একটি মামলা করে। মামলায় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ‘চুমুক’ নামের চা-কফির দোকানের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। দুই দোকান মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন।  
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:২৪

বেইলি রোডে আগুন, তদন্ত কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট
রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনে প্রাণহানির ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস ও বুয়েটের বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ের বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ৪ মাসের মধ্যে তা জানানোর জন্যেও বলা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ, শপিংমলসহ রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনূছ আলী আকন্দ ও অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা। বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রোববার রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত্বনা। রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সকল আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দায়ীদের গ্রেপ্তার ও আহত, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্প‌তিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখনও। তবে তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৫

পরীমণির বিরুদ্ধে মাদক মামলা চলবে : হাইকোর্ট
রাজধানীর বনানী থানায় চিত্রনায়িকা পরীমণির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে আদালত মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন।  প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীতে ১২ নম্বর সড়কে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। ওই সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। পরে তাকে গ্রেফতার করে কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়। ৩১ আগস্ট জামিন পান পরীমণি। পরদিন তিনি কারামুক্ত হন। পরে, ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম এই মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন। পরীমণির সঙ্গে অপর দুই আসামি হলেন তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবীর হাওলাদার। চার্জ শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে উপস্থিত হন। আসামিপক্ষে আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রার্থনা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তারা দোষী না নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এরপর আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন। পরে মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমণি। গত বছরের ১ মার্চ মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের ওপর গত বছরের ২৪ আগস্ট শুনানি শেষ হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৫

শিশু আয়ানের মৃত্যু : তদন্তে নতুন কমিটি করে দিলো হাইকোর্ট
রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নতুন কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।  আদালত বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটির রিপোর্ট আমাদের মনঃপূত হয়নি। আমরা ৫ সদস্যের নতুন কমিটি করে দিচ্ছি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। কমিটিতে তিনজন চিকিৎসক, দুইজন সিভিল সোসাইটির ব্যক্তি ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়েছে। কমিটি এক মাসের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডা মাদানী অ্যাভিনিউয়ের ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ। সেখানে তাকে অস্ত্রোপচার পূর্ববর্তী এনেসথেসিয়া দেওয়া হয়।  তবে গত ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। এই হাসপাতালের পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল শিশু আয়ান। জানা গেছে, শিশুটিকে এনেসথেসিয়া প্রয়োগ করেন ডা. সাব্বির আহমেদ। আর সার্জারি করেছেন ডা. মেহজাবীন।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়