• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নির্বাহী হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না পাকিস্তানের আদালত
পাকিস্তানে বিচারিক প্রক্রিয়ায় গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারকদের তোলা অভিযোগের পর প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ইসা বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই বিচারকদের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে আপস করা হবে না। সুপ্রিম কোর্টে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধান বিচারপতি এই বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার এবং পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল (এজিপি) মনসুর উসমান আওয়ানও উপস্থিত ছিলেন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, বিচারিক কার্যক্রমে গোয়েন্দা সংস্থার কথিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে ইসলামাবাদ হাই কোর্টের ছয় বিচারক সম্প্রতি অভিযোগ তোলেন। বিচারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জোরজবরদস্তিমূলক কৌশলের কথা এক খোলা চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন। এরপরই প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধান বিচারপতি আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে ও গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করতে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের প্রধান ভূমিকার ওপর জোর দেন। বিচার বিভাগীয় স্বায়ত্তশাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে বিচারকদের কার্যক্রমে কোনো নির্বাহী হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করেন তিনি। হাই কোর্টের বিচারকদের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে ‘পাকিস্তান কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ২০১৭’ এর অধীনে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য প্রস্তাব আসে বৈঠকে। নিরপেক্ষ একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে এই কমিশনের লক্ষ্য হবে জটিলতাগুলো খুঁজে বের করে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করা। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনায় উত্থাপিত প্রস্তাবগুলোতে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন শেহবাজ শরীফ। কমিশন গঠন ও অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীন সমুন্নত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৯

নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে জিনপিংকে নিষেধ করলেন বাইডেন
তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে নিষেধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। সান ফ্রান্সিসকোতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন একথা বলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শি-এর উদ্দেশে বলেন, আমি আশা করছি তাইওয়ানের নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করবে না। খুব দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সামরিক যোগাযোগ আবারও শুরু হবে। বাইডেন বলেন, ভুল-বোঝাবুঝির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই আমরা আবারও সরাসরি যোগাযোগ শুরু করতে যাচ্ছি। তাইওয়ান ইস্যুতে শি-এর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে বাইডেন বলেন, শিয়ের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। তাইওয়ানের সঙ্গে বর্তমানে যে সম্পর্ক রয়েছে তা পরিবর্তনের ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের।  তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সংঘাত নিয়েও চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হয়েছে। যেসব অঞ্চলে চীনের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে চীনের প্রেসিডেন্টকে আবারও স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যায়িত করেন বাইডেন বলেন, দেখুন, তিনি এমন একটি দেশ পরিচালনা করেন যা একটি কমিউনিস্ট দেশ। ওই দেশের সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই অর্থে তিনি একজন স্বৈরশাসক।   
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৯

গোয়েন্দাদের হস্তক্ষেপ নিয়ে পাকিস্তানি ৬ বিচারকের চিঠি
বিচার বিভাগের কাজে পাকিস্তানের একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ছয়জন বিচারক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের (এসজেসি) দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসার নেতৃত্বাধীন এসজেসিকে বিচার বিভাগীয় সভা ডাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ২৫ মার্চ বিচারিক কাজে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপের নজিরবিহীন অভিযোগ তুলে সাড়া ফেলে দেন ছয় বিচারক। তারা হলেন বিচারপতি মহসিন আখতার কায়ানি, তারিক মেহমুদ জাহাঙ্গিরি, বাবর সাত্তার, রদার এজাজ ইসহাক খান, আরবাব মুহাম্মদ তাহির ওসামান রাফাত ইমতিয়াজ। চিঠিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিভাগীয় বৈঠকের মাধ্যমে একটি অবস্থান গ্রহণের কথা বলা হয়। এসজেসি হল উচ্চ আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমোদিত সর্বোচ্চ সংস্থা। চিঠিতে বলা হয়, আমরা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছ থেকে নির্দেশনা চাওয়ার জন্য লিখছি, গোয়েন্দা সংস্থার অপারেটিভসহ কার্যনির্বাহী সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে একজন বিচারকের দায়িত্ব কী হবে, কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে। একটি মামলার বিষয়ে বিচারকের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হাই কোর্টের একজন বিচারপতির শ্যালককে অপহরণ ও নির্যাতনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে চিঠিতে। বিচারকরা বলেন, এসজেসি নির্দেশিত আচরণ বিধিতে এমন পরিস্থিতিতে বিচারকদের আচরণ কেমন হবে, সেই বিষয়ে কোনো গাইডলাইন নেই। বিচারকাজে হস্তক্ষেপ করে এমন ঘটনাগুলোতে জানানোর ব্যাপারেও বিচারকদের জন্য স্পষ্ট পরামর্শ নেই।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:২০

সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না : আইনমন্ত্রী
সরকার কোনোভাবেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে এই প্রশ্নের জবাব দেন আইনমন্ত্রী।  আনিসুল হক বলেন, সংবিধানে মৌলিক অধিকারের মধ্যে বাক স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রয়েছে। সরকারের লক্ষ্য গুজব বা ভুয়া তথ্য বন্ধ করা। তবে যেভাবেই হোক সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করবে না। তিনি বলেন, অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। সরকার সারাদেশে অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আরও অনলাইনকে পর্যায়ক্রমে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২১৩টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ১৯৬টি দৈনিক সংবাদপত্র অনলাইন পোর্টাল এবং ১৭টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধনের আওতায় আনার অনুমতি দিয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১১

ড. ইউনূসের বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করছে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইনের বাইরে আমরা কিছু করছি না। ড. ইউনূসের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের ব্যাপার। আদালতের নির্দেশনা যেভাবে আসছে, সেভাবে কাজ হচ্ছে। এর বাইরে সরকার কিংবা পুলিশ কেউ কিছু করছে না। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যালয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান জবরদখল ও পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর পরিত্যক্ত অস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে আসছে, এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরাকান আর্মির কয়েকজন হয়তো দুই-চারটা পরিত্যক্ত অস্ত্র নিয়ে এসেছিল। তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তারা সবাই ধরা পড়েছে। বিজিবি তাদের আটক করেছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কেউ অস্ত্র নিয়ে ঢোকার অবস্থা নেই। আমরা সজাগ রয়েছি। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলে দু’জন নিহত প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর একটিই কথা ছিল- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। সেই নীতি অবলম্বন করছি  আমরা। তারা যতই গোলাগুলি করুক, আমরা প্রতিবাদ করছি। বিজিবির জনবল বাড়িয়েছি। কোস্টগার্ড, নেভি ও পুলিশ সজাগ রয়েছে। কাজেই ওখান থেকে কেউ আসবে, সেটি হবে না। বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তারা আগেও ‘সরকার পতন হয়ে যাচ্ছে’ এবং ‘খালেদা জিয়া যা বলবে তাই হবে’ এসব কথা বলেছিল। দেশের মানুষ এসব কথা শুনে হাসছিল। জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি সুনিশ্চিতভাবে বুঝে গেছে, বিদেশি প্রভুরা হস্তক্ষেপ করতে না পারলে তারা নির্বাচনে জিতবে না। এজন্য এবারও তারা নির্বাচনে আসেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নির্বাচন ছাড়া অন্য নির্বাচনে নৌকা প্রতীক আর ব্যবহার করব না। আমরা চাই, জনপ্রিয় মানুষ নির্বাচনে আসুক। এ সময় সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৯

দেশের বিচার ব্যবস্থায়ও হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র! 
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রভাব বিস্তারের নজির স্থাপন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয় বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গতকাল এক ব্রিফিংয়ে জানান, আমরা উদ্বিগ্ন, শ্রম এবং দুর্নীতি দমন আইনের অপব্যবহারের যে ধারণা তৈরি হচ্ছে, সেটা আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এটিকে সরাসরি বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ হিসেবে মনে করছেন আইনজীবীরা।  শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় তিন বছর আগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের এক মামলায় গত ১ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। আপিলের শর্তে সেদিনই তাদের জামিন দেওয়ায় কাউকে কারাগারে যেতে হয়নি। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে এর বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন ইউনূস। পরে শ্রম ও কলকারখানা অধিদপ্তরের এক আবেদনে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আদেশ দেন, বিদেশে যেতে হলে ইউনূসকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে জানিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আরেক মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুদক।  অন্যদিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টকে ৫০ কোটি টাকা জমা দিয়ে ২০১১ থেকে ১৩ করবর্ষের আয়কর আপিল দায়ের করার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেন। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি আদালতে উপস্থিত হয়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অপর তিন কর্মকর্তা। সেই আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ গত সোমবার রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা রোডে গ্রামীণ টেলিকম ভবন ‘দখল করার চেষ্টার’ অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি সামনে এনে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করেন খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মুশফিক ফজল আনসারী। জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে শ্রম মামলাটি অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে বিচার কাজ পরিচালনা করা হয়েছিল। অতিরিক্ত মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক নিন্দার ঝড় তুলেছে। আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগের সঙ্গে একমত যে, এই মামলাগুলো ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে স্বচ্ছ বিচারিক প্রক্রিয়া নিশ্চিতের আহ্বান জানাই।  মিলারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইউনূসের যে বিচার হচ্ছে, সেটা খুবই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে। তিনি (ইউনূস) আদালতের মাধ্যমে সাজা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে জামিনও দেওয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, এই বিচার স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে।’ আর এখানে সরকার কোনো পার্টি (পক্ষ) না, ইউনূসের প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও শ্রমিকরাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ সেটা আপনারা জানেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা করার সময় কলকারখানা অধিদপ্তর থেকে তারা অনুমতি নিয়েছেন। মামলা করতে হলে এই অধিদপ্তরের অনুমতি নিতে হয়।  এ প্রসঙ্গে ইউনূসের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের না জেনে, না শুনে এই ধরনের মন্তব্য করা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি অবমাননার শামিল। এটা এক ধরনের আদালত অবমাননা। আমরা প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে তাদের বিরুদ্ধে আর্জি নিয়ে যাবো। মুহাম্মদ ইউনূসকে আইনি লড়াইয়ে কোথাও ছাড় দেব না। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টকে সরাসরি বলে দিচ্ছি, এ বিষয়ে নাক গলাবেন না, নইলে আপনাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়