• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা / সংসদের প্রথম দিন হরতাল দিয়ে ‘মাঠের আন্দোলনে’ ফিরতে চায় বিএনপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে ৩০ জানুয়ারি। ওই দিন হরতাল দিয়ে ‘মাঠের আন্দোলনে’ ফেরার কথা ভাবছে বিএনপি। সংসদ ভবন ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচিও দেওয়া হতে পারে নির্বাচন বর্জনকারী দলটির পক্ষ থেকে। গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এদিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল শুক্রবার। দিনটি পালনে আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। দলের নেতারা মনে করছেন, জন্মদিনের কর্মসূচির মাধ্যমে বর্তমান বিপর্যস্ত রাজনৈতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পাবে বিএনপি।  স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নেতারা বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্মদিনের কর্মসূচিই হতে পারে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর প্রথম ধাপ। এর মাধ্যমে সারা দেশে নেতাকর্মীরা আত্মগোপন অবস্থা থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করার সুযোগ পাবেন। ফলে দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিনের কর্মসূচি ভালোভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়। গত ৭ জানুয়ারি একতরফা ও পাতানো নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। আগের সংসদের মতো এই সংসদকেও দলটি অবৈধ বলছে। বিএনপি ও তার সমমনারা এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করলেও চূড়ান্ত সফলতা পায়নি। বরং তাদের ভোট বর্জনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। এমন প্রেক্ষাপটে এখন নির্বাচনকেন্দ্রিক আন্দোলনের সফলতা ও ব্যর্থতা মূল্যায়ন করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবেই স্থায়ী কমিটির এই ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠক নিয়ে সূত্র জানায়, বিএনপি এখন ধীরে ধীরে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠের আন্দোলনে ফিরতে চায়। এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির নেতারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঢাকায় দ্রুততম সময়ে সমাবেশ করার পরামর্শও দেন। তাদের মতে, সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আবার একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। তবে অন্য নেতাদের মতে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ নেতাকর্মীরা এখনো সবাই জামিন পাননি। এ অবস্থায় সমাবেশ দিলে সেটি ঘিরে ফের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হতে পারে। এ জন্য নেতাকর্মীদের জামিন হওয়া পর্যন্ত বড় ধরনের সমাবেশে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন তারা। সূত্র আরও জানায়, যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে দ্রুত সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি। তবে জোরালো কর্মসূচি দেওয়ার সম্ভাবনা কম। মাঝে মাঝে ইস্যুভিত্তিক হরতাল দেওয়া হলেও ধারাবাহিক বড় কর্মসূচি দেবে না দলটি। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে ইতোমধ্যে যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত শরিক দলগুলোর সঙ্গে একদফা আলোচনা করেছে বিএনপি। সবশেষ গত শনিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে দলটির হাইকমান্ডের বৈঠক হয়। আজ-কালের মধ্যে আবার শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে বিএনপি।  
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৩

বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শুরু
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টা পর্যন্ত (৪৮ ঘণ্টা) দেশব্যাপী বিএনপির ডাকা হরতাল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই দিন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটের পক্ষ থেকেও হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ওই দিন রিজভী বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এক দফা দাবিতে ‘একতরফা’ নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এই ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করবে। ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জনের আহ্বানে অসহযোগের ডাক দিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে দফায় দফায় ঢাকাসহ সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি দিয়ে আসছে বিএনপি। ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে চার দফায় পাঁচদিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এছাড়াও তারা ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ১২ দফায় মোট ২৩ দিন দেশব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। আগামীকাল রোববার (৭ জানুয়ারি) সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এ অবস্থায় ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরদিন সকাল পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি পালন করবে তারা।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:১২

হরতাল সমর্থনে ময়মনসিংহে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
আগামীকাল শনিবার থেকে দুইদিন ব‍্যাপী হরতালের সমর্থনে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর বিএনপি। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা মহাসড়কের কাঠগোলা বাজার এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট বর্জনের আহ্বান জানানো হয়। বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ। মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন, দক্ষিণ জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দিন, যুবদলনেতা শামসুল ইসলাম রাসেল সোহেল পাঠান, রাসেল চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপিনেতা তোফাজ্জল হোসেন, রেজাউল করিম, নূর মোহাম্মদ আমীর, সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, সোহেল এবং মাসুদ রানা প্রমুখ। বিক্ষোভ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, আগামী ৭ তারিখের একদলীয় ডামি নির্বাচন দেশের জনগণ মানে না। কেউ ভোট দিবেন না। দেশের জনগণ এই নির্বাচনের ভোট বর্জন করেছে।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়