• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
সরকার গ্রামকে শহরে রূপান্তরের কাজ করছেন : এনামুল হক শামীম
সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন। গ্রামে বসবাস করে শহরের সুবিধা ভোগ করছে। এ দেশের কৃষক-শ্রমিক, দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে কাজ করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। আজকে দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষও সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত কখনো মানুষের কথা ভাবেনি। প্রধানমন্ত্রী মানুষের কথা ভাবেন। তিনি ভূমিহীন মানুষকে ঘর উপহার দিয়েছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) শরীয়তপুরের সখিপুর থানার দুর্গম চর কাঁচিকাঁটা ইউনিয়নে প্রায় ৫০ কোটি ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মানাধীন পদ্মার তীররক্ষা বাঁধ ও ২৫ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  কাঁচিকাঁটাবাসীদের উদ্দেশ্য এনামুল হক শামীম বলেন, আপনারা কাস্টিং ভোটের ৯৮ ভাগ ভোট দিয়ে আমাকে (নৌকা) বিজয়ীকে করেছেন। আগামী ৫ বছর আপনাদের পাশে থেকে সেবা ও উন্নয়ন দিয়ে সেই ঋণ শোধ করবো, ইনশাআল্লাহ। কাঁচিকাঁটাকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় প্রকল্প চলছে। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এসেছে। কাঁচিকাঁটার উন্নয়নে সর্বোচ্চ কাজ করা হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সরকার। এই সরকারের আমলে দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে- তা ইতিহাসযোগ্য। এর আগে কোন সরকার এতো উন্নয়ন করতে পারেনি। এখন প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, গ্রামেগঞ্জে রাস্তাঘাট, সেতু কালভার্টে ভরপুর যা একসময় মানুষ কল্পনাই করতে পারেনি। সরকার যেখানে যা প্রয়োজন সব করছে। সকল প্রকার উন্নয়ন দিয়ে গ্রামকে শহরে রূপান্তর করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. পারভেজ, এলজিইডির ভেদরগঞ্জের উপজেলা প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, কাঁচিকাঁটা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন দেওয়ান, থানা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাওলাদার, কাওসার মোল্যা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ককন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫২

পুলিশ অফিসার বাঁধন, টিজারেই বাজিমাত (ভিডিও)
আজমেরী হক বাঁধন। অভিনয় ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত বহু নাটক, টেলিফিল্ম ও চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। শুধু তাই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নাম লিখিয়েছেন বলিউডেও। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন তিনি।  এবার পুলিশ হয়ে পর্দায় আসছেন বাঁধন। আগামী ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পায় সিনেমাটির এক মিনিট চার সেকেন্ডের টিজার। যা রীতিমতো ঝড় তুলেছে নেটদুনিয়ায়।      রহস্যঘেরা আবহ, নৃশংসতার চিহ্ন, আর রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা— এমনই ঝলকে সামনে এলো ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’র টিজার। যেখানে পুলিশ অফিসার লিনা রূপে ধরা দেন বাঁধন। সিনেমায় খুনসহ ধর্ষণের কথা উঠে আসে। মূলত  চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করার গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।    ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ নির্মাণ করছেন সানী সানোয়ার। যৌথভাবে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন কপ ক্রিয়েশন ও বিঞ্জ। আর সহযোগী প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে যুক্ত আছেন লিডস এন্টারটেইনমেন্ট। এরই মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ শুটিং সম্পন্ন হয়েছে সিনেমাটির।  এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, এএসপি লিনা চরিত্রটি আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে, গল্পটা যেহেতু আমার দারুণ লেগেছে তাই এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আমার বিশ্বাস দর্শক টিজারে সেটার কিছু প্রমাণ পেয়েছেন। সিনেমাটির লেখক ও নির্মাতা সানী সানোয়ার বলেন, এই টিজারে পুরো চলচ্চিত্রের একটি ক্ষুদ্র প্রতিবিম্ব তৈরি করার চেষ্টা করেছি। যেটা দেখে দর্শক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এশা মার্ডার তারা দেখবেন কি, দেখবেন না। যদিও গান, ট্রেলারসহ আরও অনেক কিছু এখনও বাকি রয়েছে।    প্রসঙ্গত, ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমায় বাঁধন ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন—পূজা এগনেজ ক্রুজ, মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুমিত সেনগুপ্ত, রওনক রিপন, ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ, সৈয়দ এজাজ আহমেদ, হাসনাত রিপন, সুষমা সরকার, ইশিকা, নোভা, জশ প্রমুখ।  
২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৩

‘হজ ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বের মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই’
‌‘বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আমরা বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই’ বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) আয়োজিত আলোচনা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের হজ ব্যবস্থাপনাকে স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হজ এ প্রত্যয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আমরা বিশ্বের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘সরকার হজযাত্রীদের কল্যাণে সম্ভাব্য সব ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে বদ্ধপরিকর। আল্লাহর মেহমানদেরকে আমরা যথাযথ সম্মানের সঙ্গে হজব্রত পালন করানোর জন্য যাবতীয় উদ্যোগ নিতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে হাবের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের হজ ব্যবস্থাপনায় কোনো দুর্বলতা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং এর সম্ভাব্য সমাধানের সকল পথ বের করতে হবে। কী কী পদক্ষেপ নিলে হজযাত্রীরা আরেকটু বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন সেগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।’ ফরিদুল হক খান বলেন, ‘গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে হজ ব্যবস্থাপনায় নানান ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আশকোনা হজক্যাম্প হজযাত্রীদের জন্য উপযোগী করা হয়েছে। ই-হজ ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে। জেদ্দা হজ টার্মিনালে বাংলাদেশ প্লাজা স্থাপন করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে রেকর্ডসংখ্যক ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৩৫ জন হজযাত্রী হজব্রত পালন করেছেন।’
১৯ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৫

‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার বিষয়ে আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিত ও তার বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে যে আবেদনটি করা হয়েছে তা পড়েছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এখনও আমার মতামত দিইনি। আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এর আগে, সোমবার (১৮ মার্চ) আইনমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আবেদনের বিষয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। আবেদন ও সংশ্লিষ্ট ফাইল তার কাছে সোমবার পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। গত ৬ মার্চ আবেদনের চিঠিটি পরিবারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার। এ বিষয়ে রোববার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, আবেদনপত্রে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। ম্যাডামের ছোটভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় আমি চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনপত্রে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষায় দরকার দেশের বাইরে চিকিৎসা। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানান জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৪ মার্চ।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২২:০৯

খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আজ
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পাশাপাশি আবেদনে তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। সেই আবেদনের বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ প্রসঙ্গে সোমবার (১৮ মার্চ) আনিসুল হক বলেন, চিঠিতে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) নাগাদ সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে, এ দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়ানো হয়েছে। শর্ত ছিল, ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হবে। এবার বাড়ানো হলে নয়বারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে। প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ১৩ মার্চ রাতেও তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন তিনি বাসায় ফিরে যান। দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রথমদিকে কারাবন্দি ছিলেন। সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকতে দেওয়া হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে’
সাবেক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, এ দেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর আমরা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। রোববার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও সখিপুরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেতনায় জাগ্রত, হৃদয়ে স্পন্দিত। মুজিব মরেনি, মরতে পারে না। শতবর্ষে শেখ মুজিব শতকোটি গুণ শক্তিশালী। তিনি বলেন, শেখ মুজিব মানেই বাঙালির ঠিকানা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালি জাতির আশ্রয়-ভরসা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির আদর্শ। শেখ মুজিব মানেই ঝড়-ঝঞ্ঝার মাঝে মাথা উঁচু করে বাঙালির সঠিক পথে চলা।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মানেই বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা। শেখ মুজিব মানেই সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। শেখ মুজিব মানেই দেশের জনগণের প্রতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। তার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বসভায় অনন্য মর্যাদায় আসীন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে  বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন এবং সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার প্রমুখ।
১৭ মার্চ ২০২৪, ২২:২৬

নগরবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ : মসিক মেয়র টিটু
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) নবনির্বাচিত মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, নগরবাসী আমাকে দ্বিতীয়বার বিজয়ী করে যে ভালোবাসা দেখিয়েছে, এই ভালোবাসার কাছে আমি চিরঋণী। আমি নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।   রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।   ইকরামুল হক টিটু বলেন, গত ১৫ বছর ধরে নগরের দায়িত্ব পালন করছি। এর মধ্যে ১০ বছর পৌরসভা এবং ৫ বছর সিটি করপোরেশনে। এই সময়ে নগরের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করলেও আমাদের অনেক সক্ষমতার অভাব ছিল। কিন্তু সিটি হবার পর সে সক্ষমতা পেয়ে আমরা নগরের খালগুলো উদ্ধার করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছি। সেই সঙ্গে বিল্ডিং কোড বাস্তবায়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ চ্যালেজ্ঞ মোকাবেলায় কাজ শুরু করি। কিন্তু করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে চার বছরের অধিক সময় অতিক্রম হয়ে যাওয়ায় নগরের প্রত্যাশিত উন্নয়ন করতে পারিনি। তবে অচিরেই অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে এই নগরকে ভিন্ন রূপ দিতে চাই। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তারা সবসময় আমার পাশে থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন। ভবিষ্যতেও তারা নগরের প্রকৃত চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরে আমাকে সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি। প্রসঙ্গত, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরের ১২৮টি কেন্দ্রের সবগুলো কেন্দ্রে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দেশজুড়ে বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেন মো. ইকরামুল হক টিটু ।
১০ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৩

ফের ময়মনসিংহ সিটির মেয়র ইকরামুল হক টিটু
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে বড় ব‍্যবধানে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু। এ নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৯টি।  শনিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।  এ সময় নগরের ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে মো. ইকরামুল হক টিটু ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৯টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাতি প্রতীকে সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৯৫ ভোট। এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকে এহতেসামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৪৩ ভোট, কৃষকলীগ নেতা রেজাউল হক হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫৮ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৬ ভোট।  এ ফলাফলে মো. ইকরামুল হক টিটু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৬৪ ভোট বেশি পেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  তথ্যসূত্র বলছে, নগরীর ৩৩ ওয়ার্ডের মোট ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০ বুথে দেড় হাজার ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পাঁচজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং আনসার সদস্য, ১৭ টিম র‌্যাব ছাড়াও ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এ নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৪৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১১টি আসনে মোট ৬৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়াই করেছেন। তবে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে মোট ৩২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ জন নারী ভোটার ছিলেন। এ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৯ জন। 
১০ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫২

আমরাই মূল জাতীয় পার্টি : চুন্নু
জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আরেকটি ব্রাকেটবন্দী দল হতে পারে। কিন্তু আমরাই মূল জাতীয় পার্টি। শনিবার (৯ মার্চ) রওশন এরশাদপন্থীদের কাউন্সিল প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রওশন এরশাদপন্থীদের পৃথক কাউন্সিল করা দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী। তবে আমরা তাদের কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এবং থাকবে। এদিন ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল করেন রওশন এরশাদপন্থীরা। কাউন্সিলে রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আগামী ৩ বছরের জন্য নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলে আগামী তিন বছরের জন্য জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ। সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা নির্বাচিত। এ ছাড়া পাঁচজন কো-চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- শাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাদ এরশাদ, গোলাম সারওয়ার মিলন, সুনীল শুভ রায়। সুনীল শুভ রায় জাতীয় পার্টির মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয় পার্টির দুই শীর্ষ নেতা রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ায় শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হন রওশনপন্থীরা। অন্যদিকে, ছেলে সাদ এরশাদকে রংপুরে মনোনয়ন না দেওয়ায় রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। এর জেরে নতুন করে জাপায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এখন শেষে পর্যন্ত দলটি দুই ভাগ হয়ে গেল।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৬

‘রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছেন জিয়া’
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মুক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স (সিপিএস) বিভাগের ২০ বছর পূর্তি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজাকারদের জেলে ভরেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে তাদের মুক্তি দিয়েছেন। এরপর আমরা ক্ষমতায় এসে তাদের বিচার করছি। যারা প্রধান রাজাকার ছিল তাদের বিচার করা হচ্ছে। আর যাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করছে তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম চলমান। রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে, গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই হচ্ছে। অতিদ্রুত এ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ আর এম সোলাইমান, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাফিসা আক্তার প্রমুখ।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়