• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের নামাজ শেষে সাকিবকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান
সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের পরিবার এখন বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরেই বসবাস করছে। সাকিবের স্ত্রী ও তিন সন্তান আমেরিকাতেই থিতু হয়েছেন।  যে কারণে সাকিবও নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করেন। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ শেষে ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এরপর নিউইয়র্কে পাড়ি জমান তিনি। সম্প্রতি নিউইয়র্কের কাছে লং আইল্যান্ডে একটি বাড়িও কিনেছেন সাকিব। বুধবার (১০ এপ্রিল) সেখানে ঈদ উদযাপন করেছে মুসলিম সম্প্রদায়। সেখানকার জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হয়। সেখানে সবার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন সাকিব। তবে এদিন তাকে অস্বস্তিতে সময় কাটাতে দেখা গেছে। কিছুটা নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন তিনি। প্রথমে কালো জ্যাকেট ও মাস্কে ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন সাকিব। তবে কোনভাবেই বিষয়টি সম্ভব না হওয়ায় মাথা নিচু করে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। এ সময়ে নিউইয়র্কে ঈদের নামাজে তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন সেখানে উপস্থিত সমর্থকরা। এর আগে, বিপিএলের ঢাকা পর্বের পর সিলেট পর্বেও তাকে গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের মুখ থেকে ভুয়া-ভুয়া স্লোগান শুনতে হয়েছে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও নিজেকে সামলে নেন তিনি। কোন প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন তিনি। বিব্রত হওয়ার পরও বেশ শান্তই ছিলেন সাকিব। নামাজ শেষে দ্রুতই এলাকা ছেড়ে চলে যান সাকিব। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে প্রত্যক্ষদর্শীকে বলতে শোনা যায়, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে (JMC) ঈদের নামাজ এবং সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। খুতবা শুরু হওয়ার আগে যথারীতি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের শেষে হঠাৎ করে একজনকে বলতে শুনা যায়, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এখানে আছেন, নামাজ পড়বেন। ঠিক তখনই পিছন থেকে অনেকেই ভুয়া ভুয়া বলে উঠেন। আমি তখন ঈদের দিন হিসেবে পজিটিভলি সেই দৃশ্য রেকর্ড করিনি। হঠাৎ করে লক্ষ্য করলাম একজন (ভাই) সেলফি তুলার জন্য সাকিবের কাছে এসে সেলফি তুলেন। একপর্যায়ে সাকিব ওই লোকের ওপর খেপে যান, তখন আমি দেখে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কুইক ক্যামেরা ওপেন করে দৃশটি ভিডিও শুট করলাম।  আরও বলতে শোনা যায়, পাশাপাশি আরও অনেক সাংবাদিক ছিলেন, তখন একপর্যায়ে তিনি (সাকিব) দোয়া না করেই মাঠ ত্যাগ করেন। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম, সাকিব (ভাই) কি হয়েছে, দোয়া করেই চলে যাচ্ছিলেন কেন একটু যদি বলতেন। তিনি কিছু না বলাতে আবার আমি জিজ্ঞেস করলাম (ভাই); কিছু একটু বলেন কেন এই ঘটনাটি ঘটেছে? আসলে যারা তার প্রিয় তারকার পাশে দাড়িয়ে একটা ছবি তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে থাকেন। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেন না যে আমি আজকে সেলিব্রিটি হয়েছি সেইসব ভক্তদের কারণে। একবারও ভাবেন না যে আমি সাকিব হয়েছি; তাদের কারণে যারা কি না; আমার নাম ধরে চিৎকার দিয়ে উল্লাস করে। তারপরেও আমি সাকিবের প্রতি পজিটিভ যদি তিনি তার রিয়েকশন বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াকে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারেন।  
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়