• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে নদীতে অবমুক্ত
এশিয়া মহাদেশে এই প্রথম কুমিরের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসিয়ে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।  বুধবার (১৩ মার্চ) শ্রীলঙ্কার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. রু সোমাওয়ারি এবং অষ্ট্রেলিয়ার কুমির বিশেষজ্ঞ ড. পাউল বন বিভাগ ও আইইউসিএনের সহযোগিতায় করমজলের কুমির জুলিয়েট এবং যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ির এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত স্ত্রী কুমির মধুকে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার ডিভাইস সেট করে সুন্দরবনের ভদ্রা নদীতে অবমুক্ত করেন।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করমজল বন্যপ্রাণী কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।  তিনি জানান, এর মাধ্যমে কুমিরের চলাচল ও যেসকল কুমির নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে তার সারভাইভাল রেট জানা যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নুরুল করিম, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  নির্মল কুমার পাল, আইইউসিএনের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. সরোয়ার আলম দীপু, মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান, করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর।
১৪ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অকেজো স্যাটেলাইট
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে কয়েক হাজার কিলোগ্রাম ওজনের বিশাল এক অকেজো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ। নিয়ন্ত্রণহীন অকেজো স্যাটেলাইটটি নিয়ে দু’চিন্তায় রয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। স্যাটেলাইটটি এই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা। তবে কবে কোথায় স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য জানা যাচ্ছে না। কেননা স্যাটেলাইটটি সফলভাবে নিরাপদে অবতরণের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ২ হাজার ২৬৭ কিলোগ্রাম ওজনের স্যাটেলাইটটি এ মাসের মাঝামাঝি যেকোনো সময়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। স্যাটেলাইটটির অংশবিশেষ কোনো না কোনো সাগরে আছড়ে পড়বে। মহাকাশ থেকে আসা ধ্বংসাবশেষের মাধ্যমে আহত হওয়ার ঝুঁকি ১০ হাজার কোটি ভাগের এক ভাগ হওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্কিত হতে মানা করেছেন তারা। খবর ডেইলি মেইল। পৃথিবীর ভূমি, মহাসাগর ও মেরু অঞ্চলের তথ্য সংগ্রহের জন্য ১৯৯৫ সালে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইআরএস-২ নামের স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠায়। প্রায় ৩০ বছর ধরে আমাদের গ্রহের ওপরে ঘুরে বেড়িয়েছে স্যাটেলাইটটি। ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের পুরো নাম ইউরোপিয়ান রিমোট-সেন্সিং স্যাটেলাইট ২। এটি ১৯৯৫ সালের ২১ এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৭ মাইল দূরে অবস্থান করে। সে সময় এটি ছিল ইউরোপের তৈরি সবচেয়ে আধুনিক পর্যবেক্ষণ মহাকাশযান। বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করাসহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক কাজে স্যাটেলাইটটির তথ্য ব্যবহার করা হতো। ২০১১ সালের পর ইআরএস ২ স্যাটেলাইট আর ব্যবহার করা হয়নি। এ জন্য স্যাটেলাইটটিকে নির্ধারিত কক্ষপথ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক বার্তায় ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, স্যাটেলাইটটি পৃথিবীতে কখন আর কোথায় আছড়ে পড়বে, তা সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তাই খুব নিবিড়ভাবে স্যাটেলাইটটিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের পরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০ মাইল ওপরেই স্যাটেলাইটটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছু টুকরা পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে। বার্তায় আরো বলা হয়, কোনো বিষাক্ত বা তেজস্ক্রিয় পদার্থ থাকবে না এসব টুকরায়। স্যাটেলাইটের ব্যাটারি শেষ হয়ে গেছে। যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অনেক দিন আগেই অকেজো হয়ে গেছে। তাই ইআরএস ২ স্যাটেলাইটের সঙ্গে যোগাযোগ বা নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ নেই।  
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়