• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
খাতায় শহীদ মিনার এঁকে ভাষাশহীদদের স্মরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তঘেঁষা উপজেলা শিবগঞ্জ। এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২৪০টি। যেখানে ৬০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে অনেক বিদ্যালয়েই নেই শহীদ মিনার। ফলে ভাষাশহীদদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীরা। তবে শহীদ মিনার না থাকা সত্ত্বেও ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার কমতি নেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে খাতায় শহীদ মিনার এঁকে তারা ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে প্রতীকী শহীদ মিনার স্থাপন করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মিঠিপুর-জগনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়, চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মর্দানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই শহীদ মিনার। তাই ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এজন্য শ্রেণিকক্ষে সাদা কাগজে শহীদ মিনার এঁকে দিবসটিকে স্মরণ করছে। চন্ডিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আশপাশে কোথাও শহীদ মিনার নেই। স্কুলেও নেই। পাশের বাজারে শহীদ মিনার আছে কিন্তু মহাসড়ক পার হতে হয়। স্কুলের ৪০০ কোমলমতি শিক্ষার্থীর মহাসড়ক পারাপারে সমস্যা হয়। এজন্য স্কুলেই একটি প্রতীকী শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষাশহীদদের প্রতি কীভাবে শ্রদ্ধা জানাতে হয় তা শিশুদের দেখিয়েছি। শিবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিমল কুমার সিংহ গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে মোট ২৪০টি। এরমধ্যে মাত্র ২৫-৩০টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। বাকিগুলোতে নেই। আমরা আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২৪

শহীদ মিনারের স্থপতিকে কেউ স্মরণ করেনি
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই দিনে শহীদ মিনারে জনতার ঢল হলেও কেউ স্মরণ করেননি মিনারের স্থপতি চিত্রশিল্পী হামিদুর রহমানকে। আজিমপুরের পুরান কবরস্থানে ভাষা শহীদদের পাশেই তার কবর হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা যায়নি কোনো শ্রদ্ধাঞ্জলি। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, কবরস্থানের দক্ষিণ গেট দিয়ে প্রবেশ করে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে কালো টাইলসে বাঁধাই করা পাশাপাশি সমাহিত তিন ভাষা শহীদের কবর। প্রথম কবরটি শহীদ আবুল বরকতের। বরকতের পাশেই কবি সুফিয়া কামালের কবর। তার একটু দূরে শহীদ মিনারের স্থপতি শিল্পী হামিদুর রহমানের কবর। বরকতের তিনটি কবর পরেই আব্দুল জব্বারের কবর। সেটিও কালো রঙের টাইলস দিয়ে বাঁধানো। তার তিন সারি সামনে খানিকটা সরু পথ পেরুলে আরেক ভাষা শহীদ শফিউর রহমানের কবর। প্রতিটি কবরের পশ্চিম দিকে সাদা মার্বেল পাথরের ফলক। তাতে লেখা রয়েছে নাম, পরিচয়, জন্ম ও মৃত্যু তারিখ লেখা। এরমধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে ভাষাশহীদদের কবরে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হলেও শহীদ মিনারের স্থপতির কবর একেবারেই ফাঁকা। অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করেন শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা অনেকেই। সাধারণ মানুষ বলছেন, সারা বছর মনে করা না হলেও অন্তত একুশে ফেব্রুয়ারির দিন রাষ্ট্রীয়ভাবেই যেন শহীদ মিনারের স্থপতি এবং ভাষা শহীদদের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করা হয়। অবশ্য আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবর রয়েছে এটি জানলেও শহীদ মিনার স্থপতির কবর যে এখানেই এটি অজানা বলেও মন্তব্য করেন অনেকেই। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা তানভীরুল ইসলাম নামের একজন বলেন, এখানে এমনিতেই দেখতে এসেছি। ভাষা শহীদদের কবরে ফুল থাকলেও শহীদ মিনারের স্থপতির কবর ফাঁকা। তাকে কেউ মনেই করেনি।  জানা যায়, ১৯২৮ সালে পুরনো ঢাকার ইসলামপুরে হামিদুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মির্জা ফকির মোহাম্মদ ও মাতা জামিল খাতুন। হামিদুর রহমানের চাচা ছিলেন ঢাকার শেষ বাইশ পঞ্চায়েতের নেতা মির্জা আবদুল কাদের সরদার। তার বড় ভাই আবু নাসের আহমদ ছিলেন পূর্ববঙ্গ চলচ্চিত্র সমিতির ব্যক্তিত্ব, মেজ ভাই নাজির আহমেদ ছিলেন পূর্ববঙ্গের চলচ্চিত্র বিকাশের উদ্যোক্তা। আর ছোট ভাই সাঈদ আহমদ ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব ও লেখক। ১৯৮০ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের ১৯শে নভেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে হামিদুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। চিত্রশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর হামিদুর রহমানের পরিবার থেকে তার নামাঙ্কিত হামিদুর রহমান পুরস্কার দেওয়া হয়।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৯

আমি মারা গেলেও পলাশ আমাকে স্মরণ করবে : অমি
ছোট পর্দার বর্তমান প্রজন্মের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশের জন্মদিন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) তার জন্মদিন। ১৯৯৩ সালের এই দিনে নোয়াখালীর কালিকাপুর গ্রামে জন্ম নেন বর্তমান সময়ের এ অভিনেতা। জীবনের বিশেষ এই দিনে ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসায় সিক্ত পলাশ। প্রিয় অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা প্রকাশ করেছেন তারকা, সহকর্মী, নির্মাতারাও। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটকের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন পলাশ। পলাশের জন্মদিনে তাকে নিয়ে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। ফেসবুকে পলাশের একটি ছবি প্রকাশ করে এই নির্মাতা লিখেছেন, পলাশকে নিয়ে আমি একটা বই লিখে ফেলতে পারব। বই না লিখলেও আমাদের গল্প বলব আপনাদের কোনো একসময়। আজকে এইটুকু বলি, ওর মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ এতটাই তীব্র যে ওর বাকি দোষ ঢাকা পড়ে যাবে। আর যেই মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ আছে সে নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ। আমি আমার সব অ্যাসিস্ট্যান্টদের ওর উদাহরণ দেই। ও বুম ফিল্মস-এর একটা উদাহরণ। তিনি আরও লেখেন, যারা ভাবছেন ও অনেক বড় হয়ে গেছে, অনেক কিছু করে ফেলেছে তাদের ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ওর সুসময় আসছে সামনে। ও যে কোথায় যাবে তা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না, আমাদের যাত্রা তো মাত্র শুরু। আমি মারা গেলে কিছু মানুষ যাতে আমাকে স্মরণ করে, আমার কাজকে স্মরণ করে। আমার বিশ্বাস পলাশ আমাকে সবসময় স্মরণ করবে। আমি মারা গেলেও আমার অনুপস্থিতেও করবে।ওর জন্য মন থেকে অনেক দোয়া। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ছবিয়ালের সঙ্গে কাজ শুরু করেন জিয়াউল হক পলাশ। দীর্ঘদিন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। এরপর ইশতিয়াক আহমেদ রোমেলের সহকারী হন। ২০১৭ সালে কাজল আরেফিনের সঙ্গে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এই পরিচালকের ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন পলাশ।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়