• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর, বের হলেই স্বাস্থ্যঝুঁকি
আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এদিনও ভালো নেই ঢাকার বাতাস। বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী আজ ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এদিন সকাল সাড়ে সাড়ে ১০টার পর ২৭৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। একইসময়ে ২৮৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার আক্রা। ২৭৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। এরপর যথাক্রমে ২৬৫ ও ২১৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষ চার-পাঁচে আছে ভারতের দিল্লি-মুম্বাই। অর্থাৎ, শহরদুটির বাতাসও আজ অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৮

কেন্দুয়ায় তামাক চাষে ঝুঁকছে কৃষক, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জমিতে ফলন ভাল ও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ক্ষতিকর তামাকের চাষ। অনেক চাষি এই তামাকের চাষের কুফল সম্পর্কে তেমন জানেন না। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই তামাক চাষে মনোযোগী হয়ে উঠছেন তারা। কেন্দুয়া কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিরাং ও পাইকুড়া ইউনিয়নে তামাক চাষ হয়। দুল্লী, বৈরাটী, চর বৈরাটি ও নওপাড়া গ্রামের আবাদ হয় বেশি। কৃষি অফিসের হিসেব মতে এবছর ৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। তবে স্থানীয়দের বলছেন এরচেয়ে অধিক জমিতে তামাক চাষ হয়। বৈরাটি গ্রামের তামাক চাষি গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষ থেকেই আমরা তামাক চাষ করে আসছি। এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয় না। এবছর ৬ কাঠা জমিতে তামাক চাষ করেছেন তিনি। অন্যান্য ক্ষেতে সবজিসহ ধান ফসলও আবাদ করেছেন। তামাক ফসলে ধানের চেয়ে লাভ বেশি। এক কাঠা ক্ষেতে ৩ মন তামাক হয়। দুইশ টাকা ধরে বিক্রয় করলে ২৪ হাজার টাকা হয়। সব মিলে উৎপাদন খরচ হয় ৩ হাজার টাকা। আর এক কাঠা ক্ষেতে ধান হয় ৭/৮ মন। উৎপাদন খরচ লাগে প্রায় আড়াই হাজার টাকা। ধানের চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয় তামাকে। শ্রম একটু বেশি লাগে। তামাক ক্ষেতে পোকামাকড় দমনে স্থানীয় কৃষি অফিসারসহ কীটনাশক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পরামর্শ নেন বলেও জানান তিনি। এমন বক্তব্য শুধু গিয়াসউদ্দিনের নয় এলাকায় অধিকাংশ কৃষকের। উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, এবছর ৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষাবাদ হয়েছে। তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহি করা হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর তামাক আবাদ কমেছে বলেও দাবি তার।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়