• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।  এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আইনজীবী আব্দুল খালেক।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘর থেকে স্বামীর মরদেহ উদ্ধার
মাদারীপুরে দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘর থেকে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।  শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মাদারীপুর পৌরসভার কুকরাইল এলাকার তিনতলা ভবনের নিচতলার বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সেখানে তিনমাস আগে ভাড়া বাসায় ওঠেন রাজৈরের বাতিজপুর ইউনিয়নের চৌরাশি গ্রামের মৃত জগবন্ধু বাড়ৈর মেয়ে মিতালী বাড়ৈ। নিহত সুব্রত পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার চন্দ্রপাড়া এলাকার কৃষ্ণ কান্ত পালের ছেলে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দ্বিতীয় স্ত্রী মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার চৌরাশি গ্রামের জগবন্ধু বাড়ৈর মেয়ে মিতালী বাড়ৈ ও তার মা মিনা বাড়ৈকে আটক করা হয়েছে।  নিহতের স্বজনরা জানায়, বেশ কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনে পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার চন্দ্রপাড়া এলাকার কৃষ্ণ কান্ত পালের ছেলে সুব্রত পালের সঙ্গে পরিচয় হয় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার চৌরাশি গ্রামের জগবন্ধু বাড়ৈর মেয়ে মিতালী বাড়ৈর। পরে প্রতারণার মাধ্যমে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা কাবিন ধার্য করে বিয়ে হয় মিতালী ও সুব্রতর। গত বৃহস্পতিবার সুব্রতকে মোবাইলে কল দিয়ে মাদারীপুরে ডেকে আনেন মিতালী। পরে দুদিন শহরের কুকরাইল এলাকার একটি বাসায় সুব্রতকে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতন করা হয়। আগের বিয়ে গোপন রেখে সুব্রত দ্বিতীয় বিয়ে করায় পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে মুঠোফোনে চাওয়া হয় কাবিনের ৫০ লাখ টাকা। মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় আর কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। এরপর শুক্রবার মধ্যরাতে পুলিশের জরুরি সেবা ত্রিপল নাইনে কল পেয়ে একটি রুমের দরজা ভেঙ্গে সুব্রতর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য শনিবার সকালে মরদেহ পাঠানো হয় জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে। স্বজনদের অভিযোগ, মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় মেরে ফেলা হয়েছে সুব্রতকে। এই ঘটনায় দোষিদের বিচারের দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহত সুব্রতর প্রথম স্ত্রী চম্পা বাড়ৈ বলেন, শুক্রবার রাতে কয়েক বার স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। বার বার বলছিলেন ৫০ লাখ টাকা ম্যানেজ করে নিয়ে আসতে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে। যতবার কথা হয়েছে, ততবারই ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড কথা হয়। এরপর মোবাইল কেড়ে নেয় মিতালী ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন। আমার স্বামীকে পরিকল্পনা করে মেরে ফেলা হয়েছে, এই ঘটনার বিচার চাই। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে দরজা ভেঙ্গে  মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন স্ত্রী। পরে স্ত্রী নিজেও ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. মানস কুমার জানান, ঝর্না খাতুনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর ভর্তি করানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। আর আহত আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। কলারোয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, কলারোয়া উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। বড় স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন ও ছোট স্ত্রীর নাম ঝর্না খাতুন। ছোট স্ত্রী ঝর্না খাতুন স্বামী আজহারুল ইসলামকে রাতে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে হাত ও পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। একই সঙ্গে ঝর্না খাতুনও ঘুমের ওষুধ খান। আজ ভোরে ঘটনাটি জানাজানি হলে তাদের দুই জনকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  তাদের অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রী পাপিয়া বেগম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন স্বামী আনিসুর রহমান।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কালিহাতী বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাপিয়ার মৃত্যু হয়।  একই হাসপাতালে আহতাবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন আনিসুর। তিনি ঘাটাইলের উপজেলার সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা। তাদের গ্রামের বাড়ি পাঞ্জেনা গ্রামে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।  আহত সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, সকালে স্ত্রী পাপিয়াকে নিয়ে কালিহাতী বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার পাঞ্জেনা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছলে স্ত্রীর ওড়না চাকার সঙ্গে আটকে গেলে দুজনেই সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় পাপিয়ার মৃত্যু হয়।  ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৮

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন, স্ত্রী কারাগারে 
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্ত্রী জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে জাকিয়ার বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  এদিকে ঘটনার পর স্বামী ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন ফিরোজ। তবে তার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামি জাকিয়াকে গ্রেপ্তার করে টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৪

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল স্ত্রী!
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে গেছেন স্ত্রী জাকিয়া বেগম। স্বামীর নাম ফিরোজ মিয়া (২৯)। তিনি পেশায় একজন এক্সেভেটর চালক।  বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজ রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে এবং স্ত্রী জাকিয়া জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। তাদের ৫ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এ দিকে ঘটনার পর থেকেই স্ত্রী জাকিয়া পলাতক রয়েছেন। চিকিৎসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া লাগাতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।  স্থানীয়রা জানান, ১২ বছর আগে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান আলীর ছেলে ফিরোজের সঙ্গে জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে জাকিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে দফায় দফায় গ্রাম্য সালিশ হয়। সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদারের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেখানে সালিশে ২০ হাজার টাকা দিতে সম্মত হলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবার নিজ ঘরে ফিরিয়ে নেয়। তারপরও তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। মঙ্গলবার রাতে ফিরোজ বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী জাকিয়া বেগম তার স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিয়ে যায়। লজ্জার কারণে বিষয়টি গোপন রাখলেও সকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তা প্রকাশ পায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পরে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৩

স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে ঝগড়া, গৃহবধূর আত্মহত্যা
রংপুরে স্বামীর সঙ্গে মুড়ি খাওয়া নিয়ে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টি নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামী সাগরকে আটক করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রংপুরের চামড়াপট্টি হাজীপাড়া শাপলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে বৃষ্টির সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন সাগর। কিন্তু উভয় পরিবার তাদের প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত তাদের। এরই জের ধরে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে বাসায় মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বৃষ্টি ও স্বামী সাগরের সঙ্গে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। রাতেই ঘরের ছাদের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বৃষ্টি।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নিহতের স্বামী ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে ও স্বামী সাগরকে আটক করে। এ বিষয়ে উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) উৎপল কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। বৃষ্টির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮

স্বামীর থাপ্পড়ে স্ত্রীর মৃত্যু
লালমনিরহাটে স্বামীর থাপ্পড়ে লাভলী বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী জোবায়েরকে (৪৫) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ি ইউনিয়নের মোক্তারটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, লাভলী বেগম ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এদিন দুপুরে সংসারের বিষয় নিয়ে এ দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে শাসন করতে স্ত্রীকে থাপ্পড় মারেন জোবায়ের। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে লাভলী বেগমের মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বাড়িতে ফিরে মরদেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন জোবায়ের। এরপর পুলিশ লাভলীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং জোবায়েরকে আটক করে। আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহমুদউন নবী বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হচ্ছে। নিহতের স্বামী জোবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৯

এবার স্বাগতাকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীর বিস্ফোরক মন্তব্য
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত শানু স্বাগতা। চলতি বছর শুরুর দিকে বিয়ে করেছেন তিনি। বিয়ের পর প্রাক্তন ও বর্তমান স্বামীকে নিয়ে অনেক কথাই শুনতে হয়েছে তাকে। কিন্তু এসব কথা কানে না নিয়ে আপন গতিতে এগিয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। ব্যস্ত ছিলেন পরিবার ও কাজ নিয়ে। দুই মাস পর এবার মুখ খুললেন স্বাগতা। তিনি বলেন, এর আগেও ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। কারণ, ভালো না বেসে বিয়ে করে কারও সঙ্গে সংসার করা কঠিন। এটা আমার কাছে অসম্ভব। আমি ভালোবেসেই দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সবসময় একরকম চলে? সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬ সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। প্রথম বিয়ের ৭ বছরের মাথায় বিচ্ছেদের পথ বেছে নিতে হয় স্বাগতাকে। সেই সংসারে মানসিক ও শারীরিকভাবে তাকে চাপের মধ্যেও থাকতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আর তাই  একটা সময় বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাকে।  স্বাগতার অভিযোগের পর এবার মুখ খুললেন তার প্রাক্তন স্বামী রাশেদ জামান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, স্বাগতার এসব বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তার জীবন ও ক্যারিয়ার নিয়ে আমার দিক থেকে সবসময় শুভ কামনা থাকবে। স্বাগতা অনেক যোগ্য একজন মানুষ। গুণী মানুষ এবং গুণী শিল্পী। আমার পক্ষ থেকে অনেক শুভ কামনা। এরপর বলেন, অভিযোগ ছাড়া কোনো মানুষ নেই। কিন্তু আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমি মানুষের কাছ থেকে অনেক সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছি। আমি খুব হ্যাপি। তবে এসব নিয়ে যত বেশি কথা হবে তত বেশি মানুষের কাছে মিডিয়া নিয়ে বাজে ধারণা যাবে। আমি সেটা করতে চাই না। আমাদের একটা পরিবার আছে। আত্নীয় স্বজন আছে। তাই এসব নিয়ে যত কথা বলব ততবেশি মানুষের কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে। শুধু তাই না, আমি একটা মেয়েকে জাস্টিফাই করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করি স্বাগতা ভালো মানুষ। সে নতুন একটা সংসার শুরু করেছে। একজন ভালো মানুষের সঙ্গে সংসার শুরু করেছে। তার নতুন জীবনের জন্য শুভ কামনা। স্বাগতার প্রাক্তন আরও বলেন, আমি কোনো সেলিব্রেটি না। সাধারণ মানুষ। সাধারণ পরিবারের মানুষ। শুধু এতটুকু বলতে পারি আমাদের সাধারণ পরিবারের মানুষেরা ডিভোর্স বা নির্যাতন করর জন্য বিয়ে করে না। তবে আমি চাইবো তার নতুন জীবন সুন্দর হোক। দীর্ঘ সাত বছরের প্রেমের পর ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবার বিয়ে করেন স্বাগতা। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বামী রাশেদ জামানের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী ফের গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেত্রী। 
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

ঝুলন্ত স্ত্রীকে নামিয়ে একই রশিতে স্বামীর আত্মহত্যা
সাতক্ষীরায় ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নিয়ে ঝুলে থাকা স্ত্রীকে বাঁচিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন সোহেল রানা (২৫) নামে এক যুবক। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে পৌরসভার ঝুটিতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সোহেল রানা শ্যামনগর উপজেলার খুটিকাটা গ্রামের মহসীন আলীর ছেলে। জানা গেছে, ঘের ব্যবসায়ী সোহেল ও রুপা খাতুন এক ছেলের মা-বাবা। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। সোমবারও একই ঘটনা ঘটে। ঝগড়ার পর স্ত্রীকে রেখে বাইরে যান সোহেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নিয়েছেন। স্ত্রীকে নামিয়ে মৃত মনে করে সোহেল রানাও সেই ফ্যানে একই রশিতে ফাঁস দেন। এরপর প্রতিবেশীরা দম্পতিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। রুপা খাতুনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রুপা খাতুনের মা মঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, হাসপাতালে আমার মেয়ে রুপা খাতুনের জ্ঞান ফিরেছে। এখন সে মোটামুটি ভালো আছে। জামাই সোহেলের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, সোহেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়