• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে ধর্ষকদের হাতে তুলে দিলেন স্বামী
কুমিল্লায় মাদকের বকেয়া টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে তিন ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়েছেন আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এ ঘটনায় তিন ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তাররা হলেন- ওই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম নুরু, তার সহযোগী মনির হোসেন ও মাহিন উদ্দিন। জানা গেছে, মাদকাসক্ত আবুল খায়ের একই গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু থেকে নিয়মিত মাদক নিতেন। সম্প্রতি ওই মাদক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ হাজার টাকা বাকি পড়ে যায় তার।  কিন্তু বকেয়া টাকা দিতে না পারায় কৌশলে বুধবার স্ত্রীকে ওই মাদককারবারীর হাতে কৌশলে তুলে দেন খায়ের। ওইদিন গভীর রাতে স্থানীয় এক বিলে নুরু তার সহযোগী মনির ও মাহিনকে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে ঘটনাটি জানায়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বরুড়া থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।   নির্যাতনের শিকার নারীর চাচা আলা উদ্দিন ওই গৃহবধূর স্বামী ও ধর্ষকদের বিচার দাবি করেছেন। এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তার স্বামীকেও খুঁজছে পুলিশ। তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।  
৫ ঘণ্টা আগে

মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর, কারাগারে স্বামী 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে রিপন মিয়া (২৬) নামে এক মাদকসেবী স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় তাকে দু’মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম রাহাতুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রিপন মিয়া পৌরসভার দেবগ্রাম এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়ার ছেলে।  ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রিপন মিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদক সেবন করে তিনি প্রায়ই তার স্ত্রীর উপর অত্যাচার করতেন। মঙ্গবার দুপুরে রিপন মিয়া মাদক সেবন করে স্ত্রীকে মারধর করলে তার স্ত্রী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।   এরপর বিকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাহাতুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় গিয়ে তাকে আটক করে দু’মাসের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৩

যে কারণে জেল থেকে বের হয়েই স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী 
গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রী শরিফা খাতুনকে (২২) নির্যাতনের মামলায় কারাভোগ শেষে জেল থেকে বের হয়ে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরাফাত শুভর (২৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়ি ইয়াসমিন খাতুনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শ্রীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) স্বামীর বাড়ি থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান। গৃহবধূ শরিফা খাতুন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা (সুতা পাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের আরাফাত শুভর স্ত্রী।  স্বামী আরাফাত শুভ একই ইউনয়নের তালতলী পূর্বপাড়া (মুরগি বাজার) গ্রামের শাহজাহানের ছেলে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক। তাদের ঘরে ইসরাত আক্তার নামে আড়াই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গৃহবধূর মামা ওমর ফারুক বলেন, ‘শুভ ও শরিফা খালাতো ভাই বোন। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুভ তার স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন। নির্যাতনের বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়ায় স্ত্রী শরিফা স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় স্বামী শুভ কারাভোগ শেষে সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে তাদের ঘরে ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পাই। সকালে শুনি আমার ভাগনি মারা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে তার স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যেতে চাইলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।’ স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রহবধূর স্বামী আরাফাত শুভ নারী লোভী ও জুয়া খেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া লেগেই থাকতো। শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গৃহবধূর মৃত্যুর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। এলাকাবাসী গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আশঙ্কাজনক স্বামী 
পূর্ব শত্রুতার জেরে লক্ষ্মীপুরে জোৎসনা আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে ‍কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় আহত স্বামী আলা উদ্দিনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রোববার (১৪ এপ্রিল) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনা বাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলাউদ্দিন মৃত শাহে আলমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী।  অভিযুক্তরা হলেন ওই এলাকার পার্শ্ববর্তী বকুলের বাপের বাড়ির আবদুর ররের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই। আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হক ও স্বজনরা জানান, রমজান মাসে আলাউদ্দিনের ঘরের পাশে একটি পুকুরে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সিরাজ। এরপর গত সপ্তাহে ওই পুকুরে আবারও পানি নিষ্কাশনের জন্য সেচ পাম্প বসায় সিরাজ। এতে বাড়ি-ঘর পুকুরে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় বাধা দিলে আলাউদ্দিনের সঙ্গে সিরাজের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়  সিরাজ। এরইমধ্যে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম। ওই বিরোধের জেরেই রোববার রাতে আলাউদ্দিনের ঘরে হামলা চালিয়ে তাকে ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক জোৎসনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আলা উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই জোৎসা বেগমের মৃত্যু হয়। তবে স্বামী আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।  লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৭

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারলেন স্বামী
চাঁদপুরের মতলবে যৌতুকের জন্য স্ত্রী খাদিজা আক্তারের (২৩) গায়ে শ্যালো ইঞ্জিনের ডিজেল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করলো স্বামী ইব্রাহিম প্রধান।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ৭টার দিকে ইব্রাহিম তার স্ত্রীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে খাদিজা মারা যান। অভিযুক্ত ইব্রাহিম শ্যালো ইঞ্জিন চালিত সেচপাম্প চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। তার বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বকচর গ্রামে।  জানা গেছে, চার বছর আগে একই গ্রামের দিনমজুর খোকন মিয়ার মেয়ে খাদিজাকে বিয়ে করে ইব্রাহিম (৩৮)। এরপর থেকেই যৌতুক হিসেবে টাকা দাবি করে খাদিজাকে নির্যাতন শুরু করত ইব্রাহিম। ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে খাদিজার শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ইব্রাহিম। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানায়, খাদিজার শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ পুড়ে যায় আগুনে। বিষয়টি গোপন করে খাদিজার স্বজনদের না জানিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ দাফন করেন। আজ (রোববার) মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পান খোকন মিয়া। পরে মতলব দক্ষিণ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। খোকন মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই খাদিজাকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো ইব্রাহিম। এসব নিয়ে অনেকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তার যৌতুক দেওয়ার সামর্থ্য নেই দেখে মেয়েটা মুখ বুঝে সবকিছু সহ্য করে গেছে। তিনি এ ঘটনায় জামাতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এলাকাবাসী জানায়, এটি ইব্রাহিমের তৃতীয় বিয়ে। যৌতুকের জন্য নির্যাতন সইতে না পেরে আগের দুই স্ত্রী পালিয়ে বেঁচেছেন। শেষরক্ষা হয়নি হতদরিদ্র বাবার মেয়ে খাদিজার।  মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন বালা বলেন, খাদিজার শাশুড়ি যায়েদা খাতুনকে (৬৭) বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। পলাতক ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১০

ঈদ সালামি নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীর কোপে স্বামী হাসপাতালে 
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভাতিজাদের ঈদ সালামি দেওয়ার কারণে স্ত্রীর দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্বামী তাইজুল ইসলাম। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।   শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।  গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিন সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চৌপুতি বটতলা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে। প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মকবুল হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম ঈদের দিন সকালে তার ভাতিজাদের ২০ টাকা করে ঈদ সালামি দিতে থাকেন। এ সময় তার স্ত্রী রাশেদা বেগম ২০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা দিতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপযার্য়ে রাশেদা বেগম দা দিয়ে তার স্বামী তাইজুল ইসলামকে কোপ দেয় এমন দাবি তাইজুল ও তার পরিবারের। এতে তাইজুলের ঘাড়ের নিচে কেটে যায়।  পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতাল পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। যে কারণে শনিবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ ঘটনায় তাইজুল বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাইজুলের স্ত্রী রাশেদা বেগম। তার দাবি, তার স্বামী তাকে ওই দা নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেন এতে তিনি বাধা দিলে ওই দা তার স্বামীর ঘাড়ের নিচে লাগে। হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র রায় জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৫

ঈদের তৃতীয় দিন আরটিভিতে যা দেখবেন
শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ৩০ চৈত্র ১৪৩০। একনজরে জেনে নিন আরটিভির আজকের আয়োজন- সকাল ১০টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘স্বামী স্ত্রীর ওয়াদা’। অভিনয় করেছেন- শাকিব খান, অপু বিশ্বাস প্রমুখ।  দুপুর ২টা ১০মিনিটে বাংলা ছায়াছবি ‘‘আকাশ ছোয়া ভালোবাসা’। অভিনয় করেছেন- রিয়াজ, পূর্ণিমা প্রমুখ।  বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে ‘রাজনীতির ছন্দে, ঈদ আনন্দে’। উপস্থাপনায়- সৈয়দ আশিক রহমান। প্রযোজনায়- বেলায়েত হোসেন। বিকেল ৬টায় টক শো ‘ঈদ কার্ণিভাল’। অতিথি- সাফা কবির। উপস্থাপনায়- ইমতু রাতিশ। প্রযোজক দিপু হাজরা। সন্ধ্যা ৭টায় ৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘তিন অক্ষরে নাম যার’। রচনা ও পরিচালনা- হারুন রুশো।  অভিনয় করেছেন- চাষী আলম, সালহা খানম নাদিয়া, মুকিত জাকারিয়া, তানজিম হাসান অনিক, আব্দুল্লাহ রানা, মনিরা আক্তার মিঠু প্রমুখ।  রাত ৭টা ৩০মিনিটে একক নাটক ‘প্রাক্তন’। পরিচালনা- শাব্দিক শাহীন। অভিনয় করেছেন- ইয়াস রোহান, সামিরা খান মাহী।  রাত ৮টা ৩০মিনিটে একক নাটক ‘বাড়ি বরিশাল’। পরিচালনা- মাহিদুল রাকিব। অভিনয় করেছেন- নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি প্রমুখ। রাত ৯টা ৩০মিনিটে একক নাটক ‘নীল রঙের শার্ট’।  পরিচালনা- তারেক রহমান. অভিনয় করেছেন- মোশাররফ করিম, তানজিন তিশা প্রমুখ।  রাত ১১টায় একক নাটক ‘চোর ডাকাত পুলিশ’। পরিচালনা- সকাল আহমেদ;  অভিনয়ে: চঞ্চল চৌধুরী, তানিয়া কৃষ্টি প্রমুখ। রাত ১১টা ৫৫মিনিটে ঈদ স্পেশাল লাইভ ‘কালার্স অফ মিউজিক’।  ১২টায় ‘নিউজ টপটেন’।   
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩১

রান্না খারাপ হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিলেন স্বামী
পাকিস্তানের লাহোরে মুরগির মাংস রান্না ভালো না হওয়ায় স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছেন এক স্বামী। গত ৩০ মার্চ ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এর আগে, গত ৯ মার্চ ঘটনাটি ঘটে।  জানা গেছে, গত ৯ মার্চ পাকিস্তানের লাহোরের নোনারিয়ান চকের শালিমার রোডের কাছে মরিয়ম নামের ওই গৃহবধূর সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।  মুরগির মাংস ঠিকমতো রান্না না করতে পারায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই নারীকে মারধর করে, আর জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন তার স্বামী। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফ ঘটনার নিন্দা করেছেন। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর স্বামীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামিসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ভাইরাল হওয়া সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গলি দিয়ে পথচারীদের সামনে হঠাৎই একজন নারী একটি ভবনের ওপর থেকে নিচের রাস্তায় পড়েন। মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করেন ওই মহিলা। ওই নারী রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই নারী গুরুতর আহত।  Shocking incident from Lahore Pakistan: A woman was thrown out of a window by her husband Shahbaz, brother-in-law Roman, and mother-in-law Shazia, for not spicing the chicken properly. Incident is from March 9, 2024. One of the main accused was arrested.https://t.co/CyXeOIt1KL pic.twitter.com/YAIvnT3QL1 — Diksha Kandpal (@DikshaKandpal8) March 30, 2024
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০

স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় সৎ মেয়েকে হত্যা
স্বামী গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় মেয়ে জোনাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন সৎ মা নার্গিস বেগম। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে লাশ উদ্ধারের ১০ ঘন্টা পর হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি। এসব তথ্য জানান যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম। তিনি জানান, এ ঘটনায় নার্গিস বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নার্গিস পুলিশকে জানান, এ পর্যন্ত তিনবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করেছেন স্বামী। সেই ক্ষোভে তিনি সৎ মেয়ে জোনাকিকে কৌশলে বাড়িতে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে। সে তার নানির কাছে থাকত। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে পুকুর থেকে জোনাকির (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় তার সৎ মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন জোনাকির সৎ মা নার্গিস বেগম। হত্যার দায় স্বীকারের পর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে নার্গিস জানান, তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছে। এ কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর লাশ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই জোনাকিকে খুঁজে না পেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে লাশ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, জোনাকি সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় ডিজি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার বাসার পিছনের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঈদের আগে বেড়াতে এসে সৎ মায়ের হাতে খুন হয় শিশু জোনাকি।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০

স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীতে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ের দেড় বছর পর বাবার বাড়ি থেকে মোছা. স্বর্ণা (১৮) নামের এক তরুণী মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী মো. সোহেল মৃধা (২১) এর বিরুদ্ধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ ঘটনায় মামলা হলে সোহেল মৃধাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মৃত স্বর্ণা রাজবাড়ী সদরের জৌকুড়া গ্রামের মো. মুন্নাফ মৃধা ওরফে বোনা মৃধার মেয়ে। সোহেল রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আলাউদ্দিন মৃধার ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান জানান, দেড় বছর আগে সোহেল ও স্বর্ণার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে স্বর্ণা সোহেলের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে দুজন বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে সাংসারিক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। ১৫-১৬ দিন আগে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন স্বর্ণা রাগ করে তার বাবার বাড়ি চলে যায়। সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে সোহেল শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে স্ত্রী স্বর্ণার সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করে সেখানে অবস্থান করে। বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে স্বর্ণার রুমের ভিতরে ডাকচিৎকারের শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন রুমের ভিতরে গিয়ে স্বর্ণার নিথর দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। সে সময় স্বর্ণার স্বামী সোহেল ঘর থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা স্বর্ণাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক স্বর্ণাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার স্বর্ণার মা বাদী হয়ে সোহেলের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল স্বর্ণাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত ওড়না উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়