• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বান্দরবানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রুম ও থানচিতে ব্যাংকে হামলাকারীরা কেএনএফের সদস্য। পার্শ্ববর্তী দেশের সন্ত্রাসীদের থেকে তাদের হাতে অস্ত্র এসেছে। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।  এর আগে, হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে বান্দরবানে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গত তিনদিনে পরপর কয়েকটি হামলা, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, গোলাগুলি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শনিবার থেকে সমন্বিত অভিযান শুরুর কথা রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৮

পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবান যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পাহাড়ি অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সন্ত্রাস আর লুটপাটের কারণে আতঙ্কে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী। বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাই সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।    শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু জানান, শনিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। সেখানে তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। তারা স্থানীয় বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনটি বন্ধ করে দেয়। পরে স্থানীয় চা দোকানে থাকা ব্যাংক ক্যাশিয়ারের কাছ থেকে ভল্টের চাবি ছিনিয়ে নেয়। কিন্তু তারাবি নামাজের জন্য মসজিদে থাকা ব্যাংক ম্যানেজারের কাছ থেকে চাবির অপর গোছাটি না পেয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় কেএনএফ সদস্যরা।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩১

ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা যেই ঘটাক আমরা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবো। আমরা কঠোর ও কঠিন ব্যবস্থা নেবো এটার। এটার পেছনে ভূ-রাজনৈতিক কোনো বিষয় আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এখনো এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। তথ্য না জেনে আমরা কিছু বলতে পারব না। এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুকি-চিনের আস্তানা র‌্যাব ও সেনাবাহিনী নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। আমাদের সীমানা পার হয়ে ভিন্ন কোনো দেশে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। সেভাবে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তারা কোথা থেকে আসছে, কীভাবে আসছে- মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলতেছিল- তারা শান্তি চায়, এ এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য, অনেক কিছুই বলছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ, হঠাৎ করে ব্যাংক ডাকাতি- আমাদের কাছেও এটা নতুন কোনো বিষয় মনে হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে ডাকাতি ছোট ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে না। কুকি-চিনকে কঠোরভাবে দমনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা আলোচনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন, আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আর এমন কিছু ঘটেনি, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। আমরা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। আগে সবকিছু জেনে নিচ্ছি, তারপর সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। পহেলা বৈশাখে নাশকতার কোনো তথ্য নেই জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করছে। আমাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য আসেনি। তারপরও আমাদের যে সতর্কতা সেটা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি বড় বড় শিল্পকারখানায় আগুন লাগার পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে সোনালী ব্যাংকের বান্দরবানের রুমা উপজেলা শাখায় হামলা করে। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা নিতে না পারলেও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট করে একং ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। তার একদিন পরই বুধবার (৩ এপ্রিল) দিনদুপুরে বান্দরবানের থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে শাখায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে অর্থ লুট করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সদস্যরা (কেএনএফ)।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৪

ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় যা যা করার করব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা ও লুটের ঘটনায় যা যা করার সবই করা হবে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) হঠাৎ করে শুনলাম পাহাড়ে ব‌্যাংক ডাকাতির একটা প্রচেষ্টা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে, এটি কুকি-চিন সন্ত্রাসীরা করেছে। যারা এর আগেও একটি জঙ্গি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে বান্দরবানে তাদের বাহিনীর ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছিল। সেসময় আমাদের র‌্যাব ও আর্মি সেই ঘাঁটি সরিয়ে দিয়েছিল। ইদানীং কুকি-চিন আবার বিভিন্নভাবে তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। তিনি বলেন, ওই দিন রুমাতে সোনালী ব‌্যাংকে ঢোকার আগে বৈদ্যুতিক যে সাব-স্টেশন ছিল সেটাকে বন্ধ করে দিয়ে সন্ত্রাসীরা ব‌্যাংকের দিকে অগ্রসর হয়। সেখানে মোতায়েন করা পুলিশ ও ব‌্যাংকের ম্যানেজার সবাই তারাবির নামাজে ছিল। সেই সময় তারা ঢুকে দুই পুলিশকে আহত করে দুটি এসএমজি ও আটটি চাইনিজ রাইফেল লুট করে। উপজেলা কমপ্লেক্সে আনসারদের শর্টগানগুলোও তারা নিয়ে নেয়। তিনি আরও বলেন, আজকে দিনের বেলায় আমরা দেখলাম, থানছিতে কৃষি ও সোনালী ব‌্যাংকে আক্রমণ করেছে। এই অপারেশনটা এখনো চলছে। আমাদের পুলিশ সেখানে গোলাগুলি করছে। সেখান থেকে কত টাকা নিয়েছেন বা ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ তা এখন জানাতে পারব না। এ বিষয়ে আমাদের যা যা করার, আমরা করব। এখানে যারা জড়িত বা করেছে আমরা সবগুলোর ব‌্যবস্থা নেব। আসাদুজ্জামান খান, সরকারের যথেষ্ট পরিমাণ ফোর্স রয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে সেনাবাহিনীও যাবে। আর এ বিষয়টি আমাদের কাছে একেবারে নতুন। থানছি একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা। রুমা শান্তিপূর্ণ জায়গা ছিল, সেখানে বেশকিছু দিন ধরে শান্তি বিরাজ করছিল। সেই জায়গা তারা কেন বেছে নিল, সেই সবকিছু দেখার বিষয় রয়েছে। এগুলো দেখে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৬

ঈদে নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করবে গোয়েন্দা সংস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসন্ন ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরের প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।  মন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবেন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তিনি বলেন, রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়াসহ সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, বড় শহর ও বন্দরগুলোতে পুলিশের টহল থাকবে। এছাড়া নৌপথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গ্রহণ করা হবে বিশেষ ব্যবস্থা। লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেওয়ার বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সম্মত হয়েছে। ঈদের আগে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ যেন ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য মার্কেট ও শপিং মলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র‍্যাবের নিরাপত্তা টহল বাড়ানো হবে। রাত্রিকালীন নিরাপত্তা থাকবে মার্কেটগুলোতে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২০

আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা বীরের জাতি, আমরা মাথা উঁচু করে থাকব। আমাদের অদম্য অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃত ও পরিবর্তন করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। নতুন প্রজন্মের সবাইকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক আন্দোলনের প্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা যারা সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছি তাদের সবার প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা সামনের দিনেও অব্যাহত থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত সরকার এই যুদ্ধের সময় এক কোটি মানুষের জায়গায় করে দিয়েছিল। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ, ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমানসহ অনেকেই।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:১৪

ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার কারণে বাড়ছে পণ্যের দাম : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 
‘অতি মুনাফালোভীরা চাঁদাবাজদের চেয়েও ভয়ানক’ মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যারা অল্প দামে পণ্য কিনে তিনগুণ দামে বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে তদারকি করা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (২৩ মার্চ) সকালে মিরপুরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা-ইন-সাইবার সিকিউরিটি কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজির থেকে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়। রমজানে যারা চাঁদাবাজি ও অধিক মুনাফা করছে তাদের স্পেশাল ফোর্সের আওতায় আনা হবে। নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি না হলে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ নিয়ে নিয়মিত মনিটরিংয়ের কাজ চলছে। চাঁদাবাজি দেখলেই পুলিশকে অ্যাকশন নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ-র‍্যাব কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কারওয়ান বাজারে যে জিনিস ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেটাই অল্প কিছু দূর নিয়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যশোর থেকে ঢাকায় একটি ট্রাকের কত টাকা চাঁদা দেওয়া লাগে। সেই হিসাবে আমরা পরিসংখ্যান করেছি। চাঁদাবাজির চাইতে অধিকতর মুনাফার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঢাকায় বাড়ে।  চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে ইতোমধ্যে ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে সব মহাসড়ককে ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। ঘন ঘন আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে দেখেছি বড় বড় দু’চারটা অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। সেখানে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। রাজধানীর বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের অনুসন্ধান চলছে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা, এখনও তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে সতর্ক থাকলে অগ্নিকাণ্ড রোধ সম্ভব। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান প্রমুখ। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩১

মামুনুল হকের মুক্তি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা জানালেন
হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মুখ খুলেছেন। এর আগে তিনি মামুনুল হকের সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সোমবার (১২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের একটি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব। তিনি বলেন, নিঃশর্তভাবে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তিসহ বৈঠকে হেফাজতের নেতারা জোরালোভাবে দুটি দাবি উত্থাপন করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি করা হয়। হেফাজত নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রমজানের মধ্যেই মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়তার সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন এবং হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এ সময় নেতারা বলেন, ঈদুল ফিতরের আগে মাওলানা মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে শীর্ষ নেতাদের পরামর্শক্রমে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে মাঠে নামতে বাধ্য হব। বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মুফতি জসীমুদ্দীন, মাও. মাহফুজুল হক, মাও. আব্দুল আওয়াল, মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাও. বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাও. জুনায়েদ আল হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা বশীরুল্লাহসহ অনেকে। ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পরে খবর পয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
১২ মার্চ ২০২৪, ২০:৩১

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শর্তহীন বন্ধুত্ব এখনও বিদ্যমান : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি শর্তহীন বন্ধুত্ব ছিল, যা এখনও বিদ্যমান রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি শর্তহীন বন্ধুত্ব ছিল, যা এখনও বিদ্যমান। এখনও যেকোনো বিষয়ে ভারত সত্যিকার অর্থে আমাদের পাশে থাকে। ভারতকে আমরা সামনেও বন্ধু হিসেবে পাব। যতদিন বাংলাদেশ ও ভারত থাকবে, ততদিন দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় থাকবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই স্বাধীনতা আনার জন্য অন্য দেশের সেনাবাহিনী প্রবেশ করেছে। তবে যুদ্ধের পর এত দ্রুত কেউই সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়নি। ভারত আমাদের বন্ধু বলেই এত দ্রুত সৈন্য প্রত্যাহার করেছিল।   তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতের এক হাজার ৬৬১ জন জীবন দেন। এটি তাদের নিজের দেশ নয়, তবুও তারা এদেশের যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেন। আমাদের কোটি লোক ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল।  মন্ত্রী বলেন, ভারতের সরকার তো বটেই, সাধারণ জনগণ যদি বাংলাদেশের মানুষকে আশ্রয় না দিত, তাহলে ইতিহাস বোধ হয় অন্যভাবেই লেখা হতো। সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সৈন্য প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে একদিকে যেমন কূটনৈতিক দক্ষতা ছিল, অন্যদিকে ভারতীয় জনগণ আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা উপলব্ধি করেছিল। বঙ্গবন্ধু পৃথিবীকে আমাদের স্বাধীনতার অনিবার্যতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় কুমার ভার্মা উপস্থিত ছিলেন ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

মজুতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মজুতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, কাউকে গুদামজাত করে কৃত্রিমভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে দেওয়া হবে না। রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ২৫শে মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর রেস্তোরাঁগুলোতে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযানে যাচ্ছে না। পুলিশকে অনুরোধ করা হচ্ছে, তারা অভিযানে যাচ্ছে। যারা অভিযান পরিচালনা করছেন, তারা পুলিশকে অনুরোধ করছেন। পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো জায়গায় গিয়েছিল বলে আমার জানা নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে যাদের গাফিলতি ছিল, তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। আপনারা এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেখেছেন। রাস্তার পাশের বাড়িগুলোতে রেস্টুরেন্ট করার অনুমতি ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার কি গাফিলতি আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে ১টি সংস্থাকে সব দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া যায় কি না সেটা দেখা হবে।  ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবসে’ রাতে এক মিনিট পুরো দেশ অন্ধকারে (ব্ল্যাক-আউট) থাকবে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, রাত ১০টা থেকে ১০টা ১ মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ থাকবে।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়