• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে যে কাণ্ড করলেন ৫ ভাই
বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।  মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।  বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি। বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি। কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪

স্বপ্ন পূরণ হলো মন্দিরার
প্রত্যেক তারকারই কোনো না কোনো স্বপ্ন থাকে। ব্যতিক্রম নন ঢাকাই সিনেমার এ প্রজন্মের নায়িকা মন্দিরা চক্রবর্তী। এবার স্বপ্ন পূরণ হলো এই অভিনেত্রীর। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। তবে দুটিই রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।     মন্দিরার প্রথম সিনেমা ‘কাজল রেখা’। এটি নির্মাণ করেছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।  চলতি বছরের ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এতে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরাকে। আর এই সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে সিনেমাটির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মন্দিরা। এ সময় অভিনেত্রী জানান, ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় অভিনয় করে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। মন্দিরা বলেন, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মতো আমার কাছে ‘কাজল রেখা’ সিনেমাটি  ড্রিম প্রজেক্ট। কাজল রেখা দিয়ে দর্শকদের মন জয় করতে চাই। যেন এভাবেই একটার পর একটা ভালো সিনেমায় অভিনয় করতে পারি। চরিত্রটি অবশ্যই কঠিন ছিল। তারপরও সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ নির্মাতার কাছে। কারণ, আমাকে সবরকম সহযোগিতা করেছেন তিনি। আর সেই কারণে আমি কাজল রেখা হয়ে উঠতে পেরেছি। এমন একটি কাজ করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।  ‘কাজল রেখা’ মুক্তির প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ঈদুল আজহায় দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখতে পারবেন কাজল রেখা। এটা আমার জন্য খুশির খবর। তবে এর আগেও সিনেমাটির মুক্তির তারিখ পিছিয়েছে। কিন্তু এবার সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছি আমি। প্রচণ্ড ভালো লাগার পাশাপাশি একটু টেনশনও হচ্ছে। তারপরও সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত আমি। মন্দিরা আরও বলেন, আমার বিশ্বাস দর্শকরা হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবেন। এটি ৪০০ বছর আগের গল্প। মূলত এ কারণেই মানুষের আগ্রহ বেশি কাজ করছে। আর সিনেমাটির নির্মাতা হিসেবে আছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছু। এ ছাড়া সিনেমার গানগুলোও সুন্দর। প্রসঙ্গত, ‘কাজল রেখা’ সিনেমায় মন্দিরা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন—  শরিফুল রাজ, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মানসহ অনেকে।
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এখন একটাই স্বপ্ন
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়াই এখন আমার স্বপ্ন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা উন্নত করতে পারলে দেশের চিকিৎসাসেবা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তরুণ চিকিৎসকদের গ্রামে ও ঢাকার বাইরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ঢাকার বাইরে কাজ করেন তাদের পদন্নোতি, বিদেশ যাওয়ার সুযোগসহ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। সেজন্য নীতিমালা তৈরি করা হবে।  তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য। এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, প্রধানমন্ত্রীরও স্বপ্ন। আমাদের সবার স্বপ্ন। ডা. সামন্ত লাল বলেন, চিকিৎসকদের তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে রোগীদের সেবা দিতে হবে। চিকিৎসকরা মানুষকে সেবা দিতে কাজ করবে, আমরাও তাদের সবকিছু দেব। এ সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ও নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. বদরুল আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৬

বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না সাগরের
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা গ্রামের কৃষক আবু তালেবের ছেলে সাগর হোসেন। পরিবারের অভাব অনটনের কারণে এইচএসসি পাস করে আর পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। ইচ্ছে ছিল ভাগ্যোন্নয়নে বিদেশ যাবেন কিন্তু অর্থাভাবে সেটিও হয়ে ওঠেনি। তাই স্বপ্ন পূরণে বিদেশ যাত্রার টাকা জোগাতে ঢাকায় এসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হলো না সাগরের। লাশ হয়ে ফিরলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন সাগর হোসেন।  শুক্রবার (১ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আমতলায় বসে বিলাপ করছিলেন সাগরের কৃষক বাবা আবু তালেব। আগুনে পুড়ে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালে ঢাকায় আসেছেন তিনি।     অভাব-অনটনের সংসারে লেখাপড়া বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারেননি সাগর হোসেন (২২)। এইচএসসি পাসের পর বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা চালান। তবে অর্থাভাবে সেটিও সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ইচ্ছে ছিল, বেতনের টাকা জমিয়ে বিদেশে যাবেন, ধরবেন সংসারের হাল। তবে তার সে ইচ্ছেও পূরণ হলো না। সাগরের বাবা আবু তালেব বলেন, পাবনার ফরিদপুর উপজেলার হাদল ইউনিয়নের ধানুয়াঘাটা গ্রামে আমাদের বাড়ি। দুই সন্তানের মধ্যে সাগর ছিল বড়। বিদেশে যাওয়ার টাকা দিতে পারিনি, তাই ছেলে গত বছরের জুলাই মাসে ঢাকায় এসেছে কাজ করে বিদেশে যাওয়ার টাকা জমাতে। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে মালয়েশিয়া থাকে, সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল। আমিও চেয়েছিলাম ফসল তুলে বিক্রির করে টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠাবো। ঢাকায় কোন কোম্পানিতে কাজ করত সেটিও জানতাম না।  তিনি বলেন, গতকাল রাতেও ছেলে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। আর কয়েক দিন পর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। এর মধ্যেই রাতে বিদেশ থেকে আমার ভাতিজা জানায় যে, সাগর যেখানে চাকরি করতো সেখানে আগুন লেগেছে। সকালে জানতে পারি, সে আর বেঁচে নেই।  আবু তালেব আরও বলেন, আমার ছেলের মুখমণ্ডল বাদে পুরো শরীর পুড়ে গেছে। তবে চেহারাটা চেনা গেছে। পাবনার ফরিদপুরের ইউনুস আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন সাগর।  
০১ মার্চ ২০২৪, ১৯:০১

চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
হয়ে গেল ইংলিশ লিগ কাপের (কারাবাও কাপ) ফাইনাল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বির দ্বৈরথ দেখলো ফুটবল বিশ্ব। একদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দারুণ ছন্দে থাকা লিভারপুল। অন্যদিকে চিরচেনা জৌলস হারিয়ে শীর্ষ লীগে খোঁড়াতে থাকা চেলসি। কিন্তু, কাপ ফাইনালে এ ব্যবধান বোঝাই গেল না তেমন একটা। মৌসুমে  শিরোপা ছোঁয়ার একমাত্র সুযোগটা কাজে লাগাতে প্রাণপণ লড়ে গেছেন মারিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। কিন্তু, বিধি বাম! একেবারে শেষ সময়ে গিয়ে আর গোলবার আগলে পারলেন না চেলসির সার্বিয়ান গোলরক্ষক দোর্দে পেত্রোভিচ। খেলা শেষের দুই মিনিট আগে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ট্রেডমার্ক হেডে চেলসির স্বপ্ন গুড়িয়ে দেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো অল রেড শিবির।  ম্যাচের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণ ক্লপ শিষ্যদের দখলে থাকলেও খুব একটা পিছিয়ে ছিল না চেলসি। মূহুর্মূহু আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের ভীড়ে উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল ফ্যানরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে অক্ষত ছিল দুই দলের গোলবারই। নির্ধারিত সময়ের দুই অর্ধে গোলের দেখা অবশ্য পেয়েছিল দুই দলই। কিন্তু দুবারই দুই শিবিরকে হতাশায় পোড়ায় ভিএআর। ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও নিজেদের অতিমানবীয় রূপ ধরে রেখেছিলেন কেলেহার ও পেত্রোভিচ। রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারের দিকেই এগোচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু, হঠাৎই দৃশ্যপটে ৮৭ মিনিটে মাঠে নামা কন্সটেন্টিনোস সিমিকাস। অতিরিক্ত সময়ে মাত্র ২ মিনিট বাকি থাকতে কর্ণার পায় লিভারপুল। আর ম্যাচের অন্তিম ওই মূহুর্তেই কর্ণার থেকে দূর্দান্ত এক কিক নেন অল রেডদের তরুণ গ্রিক লেফটব্যাক। খুব সহজেই উড়ে আসা সেই বল খুঁজে নেয় ডাচ ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইকের মাথা। আর তাতেই বাজিমাত! নিজের দারুণ ট্রেডমার্ক হেডে এবার ফাঁকি দিতে সক্ষম হন চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালকে। একইসঙ্গে মৌসুমের প্রথম শিরোপা উপহার দেন বিদায়ী কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে।  ফাইনালে নিজেদের আক্রমণভাগের তিন কাণ্ডারি মোহাম্মদ সালাহ, ডিয়েগো জোটা ও ডারউইন নুনেজকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিলো লিভারপুর। ইনজুরির কারণে ছিলেন না তারা। ক্লপকে শেষ পর্যন্ত তাদের অভাব বোধ করতে দেয়নি অল রেড শিবির। আর এফএ কাপের এ ফাইনাল হারার সঙ্গে সঙ্গে ধূলিস্মাৎ গেল পচেত্তিনো শিবিরের এ মৌসুমে শিরোপা জেতার একমাত্র বাস্তব সুযোগটাও।  ম্যাচে সব মিলিয়ে ৫৪ শতাংশ বল পসেশন ধরে রেখেছিল লিভারপুল। আর ৪৬ শতাংশ বল পসেশন ছিল চেলসির। যেখানে অল রেড শিবিরের ২১টি ফাউলের বিপরীতে ১৪টি ফাউল করেছে ব্লুজ শিবির। পুরো ম্যাচে সব মিলিয়ে গোলবারের দিকে ২৪টি শট নিয়েছেন ক্লপ শিষ্যরা। এর মধ্যে ১১টি ছিল অন টার্গেট শট, যার ১০টিই পরাস্ত হয়েছে চেলসির সার্বিয়ান ওয়ালের সামনে। আর বিপরীতে প্রতিপক্ষের গোলবারের দিকে ১৯টি শট শানিয়েছেন পচেত্তিনো শিষ্যরা। এর মধ্যে ৯টি ছিল অন টার্গেট শট, যার সবকটি রুখে দিয়েছেন লিভারপুলের আইরিশ গোলরক্ষক কোয়াইমিন কেলেহার। 
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৯

ভূমধ্যসাগরে গোপালগঞ্জের তিন যুবকের স্বপ্ন ডুবি, শোকের মাতম
বিদেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে তিনজনের গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশ যেতে গিয়ে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হলো তাদের। এখন পরিবারের আশা সন্তানদের মরদেহ যেন বাড়িতে আসে, এক নজর যেন দেখতে পারেন শেষ দেখা। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামের পক্ষঘাতগ্রস্ত বাবা পান্নু শেখ অপেক্ষায় রয়েছেন ছেলে ইমরুল কায়েস আপনকে ফিরে পাওয়ার আশায়। তবে তিনি এখনো জানেন না ছেলে বেঁচে আছে না মারা গেছে। কেউ বলেছে হাসপাতালে আছে। কেউ বলেছে জেলে। আমি শুধু আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। ছেলেকে ফিরে পেলে আমার কোন অভিযোগ নেই। ছেলেকে না পেলে তারপর ব্যবস্থা নেব। তার একটাই চাওয়া তিনি যেন তার ছেলেকে ফিরে পান। একমাত্র ছেলের জন্য হা-হুতাস করছেন তিনি। কথাগুলো বললেন ইটালি যাওয়ার পথে তিউনেশিয়া উপকূলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ইমরুল কায়েস আপনের বাবা পান্নু শেখ। মা কেয়া কামরুন নাহার ছেলের মৃত্যুর খবর পেলেও জানাননি পক্ষাঘাতগ্রস্ত অসুস্থ স্বামীকে। মা কেয়া কামরুন নাহার ছেলের শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন। তাই কারো সঙ্গে তেমন কোন কথা বলছেন না। শুধু ইমরুল কায়েস আপন নয় এমন করুন পরিনতির শিকার হয়েছেন একই উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ ও ফতেপট্টি গ্রামের রাসেল শেখ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামে ইমরুল কায়েস আপনের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে শোকের ছায়া। জানা গেছে, বাবা পান্নু শেখ ২০০৪ সালে সৌদি চলে যান। ১৫ বছর পর ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসে একটি কোম্পানিতে ড্রাইভারের চাকরি করতেন। এক বছর আগে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বন্ধ হয়ে যায় আয় রোজগার। তাই সংসারের হাল ধরতে এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ইমরুল কায়েস আপন ইটালি যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। পরে আত্মীয় রহিমকে ১১ লাখ টাকায় গত ১০ জানুয়ারি ইটালির উদ্দেশ্যে পাঠান ছেলে আপনকে। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি লিবিয়া থেকে ট্রলারযোগে ইটালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন আপন। পরে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবে ছেলের মৃত্যুর খরর বাড়িতে আসলে নেমে আসে শোকের ছায়া।   পান্নু শেখ সৌদি থাকার সময় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী কেয়া কামরুন নাহার পাবনা বাবার বাড়িতে থাকতেন। ইমরুল কায়েস আপন পাবনাতেই পড়াশোনা করেছে। সেখান থেকে এসএসসিও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় জি‌পিএ ৫ পে‌য়ে পাশ করার পর ভর্তি হন রাজশাহী এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।   শুধু আপন নয় একই চিত্র রিফাত শেখ ও রাসেল শেখের বাড়িতেও। তিন যুবকের মুত্যুতে শুধু পরিবার নয় গ্রামে জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিহতদের বাড়িতে ভীড় করেছেন গ্রামবাসী। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য দালালদের দৌরাত্ম কমাতে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।   নিহত ইমরুল কায়েস আপনের বাবা পান্নু শেখ বলেন, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ আশপাশের অনেকেই ইতালি যায়। তাদের সঙ্গে ছেলেকে পাঠিয়েছেন। তাকে পাঠিয়ে এখন মনে হচ্ছে ভুল করেছি। গত ৮ জানুয়ারি এক্সিম ব্যাংকের টেকেরহাট শাখার মাধ্যমে দালাল রহিমের কাছে এগারো লাখ টাকা পাঠাই। রহিম লিবিয়া থাকে। তার বাড়ি মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের গজনা গ্রাম। জীবনের সঞ্চিত সব সম্বল দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। এখন কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৯

মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন পূরণ হল অদম্য মেধাবী অপুর
যশোরের মণিরামপুরে দরিদ্র চর্মকার পরিবারে জন্ম অপু দাসের। ছোটবেলা থেকেই অর্থকষ্টে বেড়ে উঠলেও পড়াশোনায় ছিলেন সবসময়ই প্রথম সারির মেধাবীদের একজন। মণিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি এবং মণিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস। কোন প্রকার কোচিং না করেই এমবিবিএস পরীক্ষায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পান তিনি। যশোরের মণিরামপুরের খানপুর ঋষি পল্লীর বাসিন্দা অপু দাস। ২০২৩-২০২৪  শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান অপু। অপু দাসের বাবা অসিত দাশের পেশা জুতা ঠিক করা। যশোরের মণিরামপুরে খানপুর ঋষি পল্লীতে দুই ছেলে এবং স্ত্রী নিয়ে বাস করেন অসিত দাস। অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তির স্বপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল তার। অপুর মেডিকেল পড়া নিয়ে যখন চরম অনিশ্চয়তা দেখা যায় তখন একটি স্থানীয় পত্রিকায় ‘চর্মকারের ছেলের মেডিকেল জয়, টাকার অভাবে দুশ্চিন্তায় বাবা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের সকলের নজরে আসে বিষয়টি। সংবাদ প্রকাশের পর অপু দাসের ভর্তির বিষয়ে এগিয়ে আসেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব। অপুর মেডিকেল ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন তিনি। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও ছেলের এমন সাফল্যে খুশি অপুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরাও। তানজীব নওশাদ পল্লব অপুর সাথে যোগাযোগ করে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টি মুখ করান এবং মেডিকেলে ভর্তি এবং পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। ইতোমধ্যেই মেডিকেলে ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা অপু এবং তার বাবার হাতে তুলে দেন পল্লব। যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব বলেন, দেশের অদম্য মেধাবীরা অর্থের অভাবে ঝড়ে পরবে এটা মেনে নেয়া যায় না। সে যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে পারে এবং তার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়াশোনা যেন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আর্থিক এবং সামগ্রিক সহায়তার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। জেলা ছাত্রলীগ পরিবার তার পাশে থাকবে।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২

মৃত মায়ের স্বপ্ন পূরণে চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন ববিতা
মেয়েকে আদর্শ শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন হৃদরোগে আক্রান্ত বগুড়ার ধুনট উপজেলার শাহেলা খাতুন। কিন্তু তার সে স্বপ্ন দেখে যাওয়া হলো না। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন তিনি। মাকে চিরনিদ্রায় রেখে সকল কষ্ট চেপে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরি গ্রামের দলিলুর রহমানের মেয়ে ববিতা খাতুন। জানা গেছে, হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে শাহেলা খাতুনের মৃত্যু হয়। সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েছেন গোপালনগর ইউএকে উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার শিক্ষার্থী ববিতা। পরীক্ষার হলে অন্যান্য সহপাঠীদের সঙ্গে বসে বারবার চোখ মুছতে মুছতে পরীক্ষা দেন তিনি। পরীক্ষার আগে মেয়েকে নিজ হাতে তৈরি করে দোয়া দিয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাবেন মা, এটাই ছিল হয়তো স্বাভাবিক চিত্র। কিন্তু লড়াকু ববিতার ভাগ্যে তা আর হয়নি। মায়ের নিকট থেকে দোয়ার পরিবর্তে মাকে কবরে রেখে কেন্দ্রে আসতে হয় তাকে। মমতাময়ী মায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে কেন্দ্রে এসেছিল সে। ববিতা খাতুন বলেন, আমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি চাইতেন আমি যেন পড়াশোনা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি। তিনি আমাকে শিক্ষক বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। তাই মায়ের কথা ভেবেই পরীক্ষা দিয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এ খবর পেয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর্জা ওমর ফারুক ববিতার খোঁজ খবর নিতে পরীক্ষা কক্ষে যান। তিনি শোকাহত ববিতার পাশে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেন। এসময় কক্ষের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চোখেও পানি চলে আসে। ববিতা ভালোভাবে পরীক্ষা দেওয়া ও বাড়িতে পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেন কেন্দ্র সচিব।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩

জোট গড়ছে নওয়াজ-বিলাওয়াল, ভাঙছে ইমরান খানের স্বপ্ন
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরীফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর মধ্যে এক বৈঠকের পর কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে জোট সরকার গড়তে সম্মত হয়েছে তারা। তবে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার শর্ত দেওয়া হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ খবর জানিয়েছে জিও টিভি ও দ্য নিউজ। জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভির বাড়িতে নওয়াজ শরীফের তরফ থেকে তার ভাই শেহবাজ শরীফ পিপিপি’র বিলাওয়াল ভুট্টো ও আসিফ আলির সঙ্গে দেখা করেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে’ দুই দল জোট সরকার গঠনে একমত হয়। ভবিষ্যৎ সরকার কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে। দ্য নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিএমএল-এনের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়েছে। জোট সরকার গঠনে ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোকে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী করার কঠিন শর্ত দিয়েছে বাবা আসিফ আলি জারদারি। সেই সঙ্গে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চেয়ারও দাবি করেছেন তিনি। শুধুমাত্র এই শর্তেই পিএমএল-এনকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ক্ষমতা কীভাবে ভাগাভাগি হবে তা এখনো আলোচনা হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে চূড়ান্ত কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানা যায়নি। এদিকে তাদের সরকার গঠনের বিষয়টি পিএমএল-এন ও পিপিপি রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈঠকের পর আলাদা আলাদা বিবৃতিতে জানিয়েছে। পিএমএল-এনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে দেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষায় দুই পক্ষের মধ্যে মতৈক্য হয়েছে। অন্যদিকে পিপিপি বলছে, বৈঠকে সরকার গঠনে দলটির সহযোগিতা চেয়েছে পিএমএল-এন। প্রস্তাবটি নিয়ে সোমবার দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ায় অনিয়ম কারচুপির অভিযোগ তোলে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই, জেআই ও জেইউআই-এফ-এর হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক।    পিটিআই অভিযোগ করেছে, তাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে জিতলেও ফলাফলে কারচুপি করা হয়েছে। ইসলামাবাদ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক কামাল হায়দার বলেছেন, পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে জয়ী হয়েছে, এমন তিনটি আসনে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ৬০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। দেশটির নির্বাচনে ২৬৬ আসনের (একটির ফল ঘোষণা স্থগিত ও একটিতে ভোট হয়নি) মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই ইমরান খানের দল-সমর্থিত প্রার্থী। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নওয়াজের দল পেয়েছে ৭৫ আসন। ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ ছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭ আসনে জয় পেয়েছে। বাকি ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে অন্যান্য দল। 
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৮

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি’
দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেছেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মিশন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। এখন তার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। কোনো জাতিই শিক্ষা ছাড়া উন্নত হতে পারেনি। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সুশিক্ষায় সবাইকে শিক্ষিত হতে হবে। স্মার্ট জাতি ও নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এতে ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারব। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের শামছুন্নাহার উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি ও আল আরাফাহ দাখিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, শিক্ষকরা হলেন শিক্ষার্থীদের পথ প্রদর্শক। এমনভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে হবে যেন আপনারা তাদের আদর্শ হয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীদেরকে স্বপ্ন দেখাতে হবে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পাশাপাশি তাদেরকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখাবেন। তাহলেই আপনারা তাদের কাছে আদর্শ হয়ে থাকবেন। মাদক নিয়ে সৈয়দ ইকবাল বলেন, মাদককে না বলুন। গ্রামেগঞ্জে মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। একটি চক্র মাদকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে বিপথগামী করার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদেরকে মাদকের এ করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে হবে। অন্যায় আর অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কথা বলতে হবে। বিদ্যালয় ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বেল্লাল হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার, রুস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ছাইফ উদ্দিন, বামনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাফাজ্জল হোসেন মুন্সি, শিক্ষানুরাগী ফরিদা ইয়াসমিন ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন আরিফ প্রমুখ।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়