• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দাদির সঙ্গে নদীতে নেমে স্রোতে ভেসে গেল স্কুলছাত্র
ঝালকাঠির নলছিটিতে দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় পৌর এলাকার কলবাড়ী সংলগ্ন সুগন্দা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নলছিটি পৌর এলাকার ব্যবসায়ী শিমুল চক্রবর্তীর একমাত্র ছেলে আদর চক্রবর্তী (১০) তার দাদির সঙ্গে গঙ্গাস্নানের জন্য নদীর তীরে আসে। এ সময় তার দাদি স্নানে ব্যস্ত থাকায় পা পিছলে আদর নদীতে পড়ে যায়। দাদি তাকে ধরার চেষ্টা করলেও রাখতে পারেননি নদীর স্রোত তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।  পুলিশ আরও জানায়, নদীর এই অংশের গভীরতা বেশি। তবে তীর থেকে সেটা বোঝার উপায় নেই দেখলে মনে হবে ঢালু চর। তাই এখানে স্রোতের তীব্রতা অনেক বেশি; যার কারণেই ছেলেটি স্রোতের টানে পানির নিচে চলে গেছে।  খবর পেয়ে বরিশাল সদর থেকে একটি ডুবুরি দল সকাল সাড়ে এগারোটায় নলছিটি এসে পৌছেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা তল্লাশি চালাচ্ছেন। নিখোঁজ আদর চক্রবর্তী স্থানীয় বন্দর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করে বলে জানা গেছে।  নলছিটি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী জানান, আমাদের পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে। এ ছাড়া নলছিটি ফায়ার সার্ভিস ও বরিশাল সদর থেকে আগত ডুবুরি দল উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৩

পদ্মায় রেল ও ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার, স্কুলছাত্র নিখোঁজ
মুন্সীগঞ্জে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে রিয়াদ আহমেদ রাজু ও মো. জুয়েলের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন স্কুলছাত্র রামিন আরিদ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ফায়ার তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সার্ভিসের সদস্যরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দিঘিরপাড় পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আনসার উজ্জামান। তিনি জানান, মো. জুয়েল (৪০) ও রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মো. জুয়েল ঢাকা ব্যাংকের কর্মকর্তা ও রাজু বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আরও জানান, এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ওই রেলওয়ের কর্মকর্তার ছেলে রিয়াদ রামিন আরিদ (২০)। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ট্রলারে করে ঢাকা থেকে আসা ৩০-৩৫ জন মিলে দিঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে ঘুরতে বের হন। পরে বেশ কয়েকজন ট্রলার থেকে গোসল করতে নামেন। এ সময় রামিন নদীর স্রোতে ভেসে যেতে থাকলে তার বাবা রিয়াদ আহমেদ রাজু ও খালু মো. জুয়েল উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও স্রোতে ভেসে নিখোঁজ হন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪২

স্কুলছাত্র মামুনুর রশীদ, সহপাঠী চঞ্চলপুত্র!
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। ফেসবুকে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের নতুন সব খবর দিয়ে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ফেসবুকে দুটি ছবি শেয়ার করেন চঞ্চল। ছবি দুটিতে দেখা যায়, চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে শৈশব রোদ্দুর শুদ্ধ ও বর্ষীয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদকে। আর তাদের দুজনের পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম, কাঁধে ঝোলানো স্কুল ব্যাগ। ছবির ক্যাপশনেই আবার তা স্পষ্ট করেছেন চঞ্চল। জানিয়েছেন, এটি একটি সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্য। বৃন্দাবন দাসের রচনা ও এজাজ মুন্নার পরিচালনায় ঈদের এই নাটকের নাম ‘ইতি তোমার আমি।’ ভেঁপু ক্রিয়েশনস লিমিটেড প্রযোজিত এই নাটক প্রচার হবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে। চঞ্চল চৌধুরীর কথায়, দাদা-নাতি দুইজনই নাকি স্কুলে পড়ে! দাদা মামুনুর রশীদ, নাতি শৈশব রোদ্দুর শুদ্ধ। প্রবল বন্ধুত্ব দুজনের। শুদ্ধর টেলিভিশনে অভিনয় শুরু হলো বৃন্দাবনদার লেখা নাটক দিয়ে, মামুন ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম অভিনয়, এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য ওর কী হতে পারে! ‘মনপুরা’খ্যাত এই তারকা বলেন, এর আগে শুদ্ধ একটি নাটকে কাজ করেছিল, সেটা স্রেফ শুটিং সেটে বেড়াতে গিয়ে একটা বর্ধিত দৃশ্যে। এবার একেবারে প্রস্তুতি নিয়ে বড় চরিত্রে অভিষেক হচ্ছে। নির্মাতা তিন দিনের শিডিউল নিয়েছেন ওর। ফলে এটাই ওর প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাজ।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩১

স্কুলছাত্র হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
স্কুলছাত্র অপহরণের দায়ে বগুড়ার শাজাহানপুরে সুজন সরকার (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন। রায়ে হত্যার পর মরদেহ গুমের অপরাধে আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সুজন সরকার শাজাহানপুর উপজেলার লক্ষ্মীকোলা গ্রামের জাফর সরকারের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিরি কারাগারে ছিলেন। স্কুলছাত্র বুলবুল হোসেন বিজয় ওই গ্রামের সাইদুল ইসলাম সরকারের ছেলে। তিনি লক্ষীকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। মামলার এজাহারে জানা গেছে, সুজন ও বুলবুল প্রতিবেশী। ২০২২ সালের ৫ অক্টোবর সকালে বুলবুল খেলাধুলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। সুজন তাকে মধু খাইয়ে খেলার কথা বলে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে মাছ মারার টোপ খুঁজতে সহযোগিতা করতে বলে। টোপ না পেয়ে বুলবুল আসামি সুজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।  পরে রাগে দুই হাতে গলা চেপে বুলবুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সুজন। এরপর বাড়িতে গিয়ে ধারালো চাকু নিয়ে আবারও বাঁশঝাড়ে এসে বুলবুলের হাত-পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন তিনি। পরে মরদেহ গুম করার জন্য পাশের একটি বন্ধ ইট ভাটার চুল্লির মধ্যে ফেলে দেন আসামি। এ ঘটনায় ওই বছরের ১১ অক্টোবর মরদেহ পচে গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে বুলবুলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। প্রায় চারমাস পর ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শাজাহানপুর থানা পুলিশের এসআই ফারুক আহমেদ আদালতে সুজনকে একমাত্র আসামি করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন এবং ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।
১০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ স্কুলছাত্র নিহত
কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় ২ স্কুলছাত্র নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ধরলা সেতুর পশ্চিম পাড়ের কাছে ট্যানারিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাদমান সাদিক (১৬) ও হিমু (১৭) নামের ওই ২ স্কুলছাত্র দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবু সাইদ সরকার। জানা যায়, সাদিক কুড়িগ্রাম সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এবং হিমু কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইন স্কুলের শিক্ষার্থী। সাদিক পৌর শহরের পলাশবাড়ী বানিয়াপাড়া গ্রামের ঠিকাদার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। হিমু ভেলাকোপা গ্রামের শিক্ষক মো. নুর ইসলামের ছেলে। পুলিশ জানায়, সাদিক ও হিমু দুই বন্ধু। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা ধরলা সেতুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেতুর পশ্চিমে ট্যানারিপাড়ায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভুরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। এ সময় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে দুজনকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাদিককে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে হিমুকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওসি (তদন্ত) মো. আবু সাইদ সরকার বলেন, ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৮

জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলা, ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বেদারুল ইসলাম বেদিন, সরোয়ার হোসেন সুমন, মশিউর রহমান এরশাদ, মনোয়ার হোসেন মনছুর, নজরুল ইসলাম, রানা, শাহী, টুটুল, সুজন, রহিম, ডাবলু। তাদের বাড়ি জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকায়। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২৮ জুন বিকেলে জয়পুরহাট শহরের প্রামাণিকপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সেদিন আসামিরা মোয়াজ্জেমকে চিত্রা সিনেমা হল এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যান। এরপর ভিটি এলাকায় একটি কবরস্থানের পাশে মোয়াজ্জেমকে আসামিরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন। পরে জামালগঞ্জ রোডের একটি আম গাছের নিচে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। এরপর ঘটনার দিন রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে মোয়াজ্জেম মারা যায়।  এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে পরের দিন সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুব আলম ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় দেন। জয়পুরহাট জজ আদালতের সরকারি কৌশলী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়