• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ক্রেতা সেজে সাত কোটি টাকার বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করল পুলিশ
পঞ্চগড়ে ক্রেতা সেজে সাত কোটি টাকা মূল্যের কষ্ঠি পাথরের বিষ্ণুমূর্তি সহ চোরাচালান চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।  বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে দেবীগঞ্জের বানুরহাট এলাকা থেকে মূল্যবান ওই বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।  আটককৃতরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলার বন্দিরাম এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে শাহীন শাহ (৪০), তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার আমানত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৮) ও একই উপজেলার একরামুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৫৫)। ডিবি পুলিশ জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তি বিক্রি চক্রের সদস্যদের ধরতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল পুলিশ। এমনকি পুলিশ ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে বিক্রেতাদের সাথে। কথা মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বানুরহাট এলাকার ওষুধ বিক্রেতা শাহীন শাহের ফার্মেসিতে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি ব্যাগে করে দেখাতে নিয়ে আসে তেঁতুলিয়ার হাবিবুর ও শহিদুল। তাদের দাবি, মূর্তিটি তারা পাথরের সাইটে পেয়েছে। পুলিশের সাথে দরদাম ঠিক হয় ৫ লাখ টাকা। এদিকে আগেই ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বাজার এলাকায় ওৎ পেতে থাকে। ব্যাগে করে মূর্তিটি আনা মাত্রই কষ্টি পাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ আরও জানায়, কষ্টি পাথরের মূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। উচ্চতায় ২৯ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১১ ইঞ্চি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ কোটি টাকা। পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ওষুধ বিক্রেতা শাহীন দীর্ঘদিন ধরে এই মূর্তি বিক্রি চক্রের সাথে জড়িত। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় কয়েক মাস ধরে তার ওপর নজরদারি করি। এক পর্যায়ে ক্রেতা সেজে আজ তাদের হাতেনাতে আটক করি। আটককৃতদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।  
০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০৪

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক সেজে ১০ মোবাইল ছিনতাই
শিক্ষক সেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছুদের ১০টি মোবাইল ছিনতাই করেছে ছিনতাইকারীরা। শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে ঢাবির মোকাররম ভবনে এ ঘটনা ঘটে।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ তুষার, ইমরুল হাসান, আব্দুল্লা আল মুফিদ, রাফিদ রহমান মাহিন, শেখ জান্নাত, হাসিবুল হাসান। জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীরা মোকাররম ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় ছিনতাইকারীরা ফরমাল ড্রেসকোডে বিভিন্ন হলে গিয়ে শিক্ষক পরিচয় দেয়। সেই সঙ্গে পরীক্ষা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দিয়ে কয়েকজনের মোবাইল জমা নেন এবং পরীক্ষা শেষে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমরুল হাসান বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে আমাদের রুমে ঢুকে এক ব্যক্তি শিক্ষক পরিচয় দেয়। মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না তাই মোবাইল গুলো ওনার কাছে রাখার জন্য বলেন। তিনি আমাদের কাছ থেকে নাম, মোবাইল নাম্বার নিয়ে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে যায়। আমরা পরীক্ষা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে দেখি তিনি আর নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমেদ তুষার বলেন, আমাদের রুমে এসে এক ব্যক্তি ফোন দিতে বললে আমরা ড্রেস দেখে দিয়ে দেই। পরীক্ষা শেষে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে শুনি আমার সাথে আরও কয়েকজনের ফোন চুরি হয়েছে।  হাসিবুল হাসানে মা বলেন, আমি টাঙ্গাইল থেকে আমার ছেলেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছি। এমন ঘটনা আমাদের অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বের করবো কে এই কাজটা করেছে। এটা বের না করলে আমাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।  
০২ মার্চ ২০২৪, ০১:৪০

নারী সেজে প্রতারণা, ৫ বছরের কারাদণ্ড
রাজশাহীতে ইমো হ্যাক করে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রাজু আহমেদ (২৭) নামের ওই যুবক নাটোরের লালপুর উপজেলার মোহরকয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামে আজিজুর রহমান সেন্টুর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমত আরা। তিনি জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি নারী সেজে সামাজিকমাধ্যম ইমোতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। এ অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের এক নারী ও তার প্রবাসী বোন জামাইয়ের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেন। এরপর আইডি ফিরিয়ে দিতে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর বিষয়টি তদন্তের জন্য নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। পুলিশ তদন্ত করে আসামির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেদিন পুলিশ বাদী হয়ে রাজুর বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা করে। আদালত একটি ধারায় আসামি রাজুকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৮

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফাটল ধরিয়ে ‘দরবেশ’ সেজে নিজেই দিতেন সমাধান
দরবেশ বাবা সেজে বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মাগুরা জেলা ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তারের সময় চক্রটির কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪১টি মোবাইল ফোন, বিপুলসংখ্যক সিমকার্ড ও ডিজিটাল আলামত উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় তারা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, খিলগাঁও থানার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। তিনি বলেন, চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে প্রতারণা করত। এই চক্রটি স্বামী-স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে কলহ তৈরি এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলুব্ধ করে প্রতারণা করত। বিজ্ঞাপনে ভাগ্যবদল, পাওনা টাকা আদায়, মামলায় জেতানো, পারিবারিক সমস্যা সমাধান এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারার কথা বলা হতো। এরপর বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে কেউ যোগাযোগ করলে শুরু হতো পকেট কাটা। চমকপদ এমন বিজ্ঞাপন দেখে সম্প্রতি প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী চিকিৎসক।  সিআইডি জানায়, বিজ্ঞাপনে দরবেশ বেশধারী এক ব্যক্তি নিজেকে সৌদি আরবের মসজিদে নববীর ইমাম পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি কোরআন হাদিসের আলোকে মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। বিজ্ঞাপনটি মন কাড়ে ওই নারী চিকিৎসকের। পরে বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। অপর প্রান্তে থাকা ‘দরবেশ বাবা’ বেশধারী ব্যক্তি সুন্দরভাবে কথা বলে তার পারিবারিক সমস্যা শুনতে চান। ভুক্তভোগী চিকিৎসক তার পরিবারের সমস্যার কথা কথিত দরবেশ বাবার কাছে তুলে ধরলে তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাবার ওপর আস্থা রাখো। তোমাকে মা বলে ডাকলাম। আজ থেকে তুমি আমার মেয়ে। তবে কিছু খরচ লাগবে। খরচের কথা কাউকে জানালে সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও বাড়বে। ‘এরপর ওই নারী চিকিৎসক ভণ্ড দরবেশের কথায় তার ভক্ত হয়ে যান। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন সময়ে অলৌকিক সমস্যার কথা বলে প্রলোভন ও ভয়-ভীতির মাধ্যমে মোট ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক চক্র। পরে এমএফএস নম্বরের সূত্র ধরে মাগুরা জেলা থেকে আশিকুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তার দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে কথিত দরবেশ পরিচয়দানকারী ১৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, চক্রটি ২০২০-২১ সাল থেকে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে চক্রটি এমএফএস নম্বরে টাকা হাতিয়ে নিত।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৪

অভিভাবক সেজে স্কুল থেকে শিশু চুরি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি কিন্ডার গার্টেন থেকে চুরি হওয়া ৯ মাস বয়সী শিশু মালিহা ইসলাম ওহি তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি। এতে মেয়ের শোকে মা মরিয়ম বেগমের কান্না থামানোর উপায় খুঁজে পাচ্ছে না কেউই। তিনি বার বার কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিশু ওহিকে উদ্ধারের দাবিতে ঘটনাস্থল তোরাবগঞ্জ অগ্রণী রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ওহির মা মরিয়মসহ আত্মীয়-স্বজন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এতে অংশ নেয়।  এ সময় কান্না জড়িত কণ্ঠে দুই হাত তুলে মরিয়ম বেগম বলেন, ‘ফিরিয়ে দে আমার বুকের মানিককে। ফাঁসানিরে, কেমনে নিয়ে গেলি আমার অবুঝ শিশুরে। যে দিকে তাকাই, সেই দিকেই আমি তাকেই চোখে দেখিরে। ফিরে দে, আমার অবুঝ শিশুরে। ফাঁসানিরে, ক্ষমা করবো না তোরে আমি আখিরাতে’। এদিকে ঘটনার সঙ্গে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন শিশুর মা-সহ স্বজনরা। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিক উল্যাহ বলেন, শিশুটিকে তার মা একজন আত্মীয়ের কাছে রেখে যায়। বিষয়টি বিদ্যালয়ের কেউ জানতো না। শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি শোনা মাত্রই আমরা পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে সিসি ক্যামেরা যাচাই করে শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে। আমরাও বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়।  মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল মতিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিক উল্যাহ, কমলনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান বিপ্লব, ওহির দাদা চৌধুরী মাঝি, মামা সোহাগ মিজি ও স্বজন বজলুর রহমান প্রমুখ।  ওহি সদর উপজেলার তেওয়ারীঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. সেলিমের মেয়ে। তার মা মরিয়ম ওই বিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক।  
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৫

ছেলে সেজে মেয়েদের বিয়ে, অতঃপর...
নিজে একজন মেয়ে হয়েও পুরুষের ছদ্মবেশ নিয়ে বিয়ে করেন মেয়েদের, এরপর তাদের বিক্রি করে দেন বিদেশে। আর এই অভিযোগেই এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ। চমকপ্রদ এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক এক মেয়েকে পুরুষের ছদ্মবেশে আজাদ জম্মু ও কাশ্মিরের (এজেকে) মিরপুর শহরে স্থানীয় মেয়েদের বিয়ের নামে বিদেশে বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। অভিযুক্ত ওই নারীর নাম নার্গিস। ভুক্তভোগী এক মেয়ের পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নার্গিস নামের ওই বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে। পুরুষের ছদ্মবেশে থাকা ওই নারী নিজেকে শাবান বলে পরিচয় দিচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এই নারী একটি আন্তর্জাতিক পাচারকারী চক্রের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানতে পারে, পুরুষের ছদ্মবেশ নিয়ে নার্গিস বিয়ের জন্য প্রায়ই আজাদ কাশ্মিরে আসতেন। পরে কোনও মেয়েকে বিয়ে করার পর সন্দেহভাজন এই নারী তার ভ্রমণবিষয়ক নথিপত্র তৈরি করত এবং বিদেশে বিক্রি করে দিত।
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৯

পুলিশ সেজে প্রেম, অবশেষে বিয়ে 
মো. বাবুল ওরফে হারুন, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চরসাতারিয়া এলাকার মৃত ঈমান আলীর ছেলে। পরিচয় দেন পুলিশ সদস্য হিসেবে। আর এই পরিচয় দিয়েই তিনি একের পর এক কর্ম সাধন করেছেন। সবশেষ টাকা চুরি করে খান ধরা।  গতকাল সোমবার রাজধানীর বিমানবন্দরের গোলচত্বর এলাকা থেকে হারুনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে পুলিশের পোশাক উদ্ধার করা হয়। বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রমনায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, ১২ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে চিকিৎসক দেখিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেন সম্পর্কে জানতে হারুন নামের পুলিশের পোশাক পরিহিত একজনের কাছে সহযোগিতা চান নরসিংদীর হেলেনা বেগম (৪০)। এ সময় সহযোগিতা করার পাশাপাশি হেলেনার মোবাইল নম্বর রেখে দেন হারুন। এমনকি পরের দিন আবারও ডাক্তার দেখাতে আসবেন, সেই তথ্যও জেনে নেন। পরদিন তিনি হেলেনাকে ফোন করে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে আসার তথ্য নিশ্চিত হন। পরদিন ১৩ জানুয়ারি হেলেনা ও তার বান্ধবী রিনা বেগম ডাক্তার দেখাতে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতালের সামনে এসে পুলিশ হারুনকে দেখতে পান তাঁরা। এখানেও হেলেনাকে ডাক্তার দেখাতে সহযোগিতা করেন হারুন। ডিসি আশরাফ জানান, ডাক্তার দেখানোর সময় হারুন ও রিনা বাইরে অপেক্ষা করেন। তখন রিনা হাতের ব্যাগ রেখে টয়লেটে যান। ফিরে এসে দেখেন পুলিশের পোশাক পরিহিত হারুন নেই। ব্যাগে নগদ ২৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হারুনকে না পেয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী হেলেনা। মামলার তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, থানা-পুলিশ তদন্তে নেমে রাজধানীর বিমানবন্দরের গোলচত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুয়া পুলিশ পরিচয় দেওয়া হারুনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে ধানমন্ডি থানা-পুলিশ জানতে পারে, হারুন ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় এসআই হিসেবে কর্মরত থাকার পরিচয় দেন। পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে হারুন শিউলি বেগম (৩৮) নামে একজনের সঙ্গে এক বছর প্রেমের সম্পর্ক করে দুই মাস আগে বিয়ে করেন। এরই মধ্যে হারুন পুলিশ পরিচয়ে ও পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় আরও অনেক ধরনের অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি দপ্তরের কর্মচারী পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তিনটি মামলা ও বিভিন্ন অপরাধে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

প্রেমিকাকে পাস করাতে নারী সেজে পরীক্ষার হলে যুবক, অতঃপর...
প্রেমিকার জন্য প্রেমিক পুরুষটি কত কিছুই-না করে! প্রেমিকার জন্য কোনো কোনো প্রেমিক জীবন বাজি রাখতেও দ্বিধাবোধ করে না। এবার অদ্ভুত এক কাণ্ড বাধালেন ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের এক প্রেমিক।   একটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রেমিকা যেন ভালো নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে পারে, সেজন্য তিনি চুড়ি পরে, কপালে টিপ ও ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে নারী সেজে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন।  গত ৭ জানুয়ারি ফরিদকোট জেলার কটকাপুরার ডিএভি পাবলিক স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় এই কাণ্ড ঘটান ওই যুবক। প্রেমিকা পরমজিৎ কৌরের ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে হাজির হয়েছিলেন প্রেমিক আংরেজ সিং। আর আইডি কার্ডসহ যাবতীয় কাগজপত্রও আগে থেকেই জোগাড় করে রেখেছিলেন। পরীক্ষার আগে মেয়েদের বেশে ছবি তুলে পরমজিতের নামে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে নেন আংরেজ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা আংরেজের এই জালিয়াতি ধরে ফেলে পুলিশে অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আংরেজ সিং ভুয়া ভোটার ও আধার কার্ড নিয়ে পরমজিৎ কৌর সেজে পরীক্ষা দিতে যান। পরিকল্পনা মোটামুটি নিশ্ছিদ্রই ছিল। কিন্তু বাগড়া বাধল আঙুলের ছাপ নেওয়ার সময়। পরীক্ষা দেওয়ার আগে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে আংরেজের আঙুলের ছাপ আসল পরীক্ষার্থীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে মেলেনি। তাতেই ধরা পড়ে গেলেন তরুণ প্রেমিক। পরে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে আংরেজকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়