• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন
দেশে এই মুহূর্তে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি না-হওয়া পর্যন্ত এই তাপদাহ কমবে না। ফলে শিগগিরই গরমের তীব্রতা কমছে না বলে মনে করেছেন আবহাওয়াবিদরা। তীব্র তাপমাত্রা হলে তা যেকোনো স্বাস্থ্যবান লোকের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। তাই যতক্ষণ না আপনাকে বাইরে বের হতে হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত ঠিক আছে কিন্তু বাইরে বের হলে আর স্বস্তিটুকু থাকবে না।  গরমের ঘাম এবং তাপ সহজেই ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং এর কারণে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাই তীব্র এই গরমে কিছু বিষয়ে সতর্কতা জরুরি।   ১. হাইড্রেটেড থাকা গরমের তাপ থেকে বাঁচার সহজ নিয়ম। ঘামের মাধ্যমে যে পানি বের হয়ে যায়, পর্যাপ্ত পানি ও অন্যান্য তরল পান করলে সেই ঘাটতি পূরণ হয়। সব ধরনের আবহাওয়ায়ই প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ২ লিটার পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে শরীর থেকে সহজে পানি কমে যাওয়ার কারণে আপনাকে একটু এসময় বেশি পানি পান করতে হবে। ২. এই গরম আবহাওয়ায় বিশেষ করে দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চেষ্টা করুন বাসার বাইরে কাজ না রাখার। যদি একান্তই বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, ছাতা নিয়ে বের হবেন এবং চোখ রক্ষায় সানগ্লাস ব্যবহার করবেন। খুব ভিড় হয় এমন এলাকায় যাবেন না। ৩. প্রচণ্ড গরমে চলার পথে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করবেন না। কারণ অনেক সময় হঠাৎ ঠান্ডা পানি খেলে গলা ব্যথাসহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বাইরে থেকে ঘেমে ঘরে ফিরেও সঙ্গে সঙ্গে হিমশীতল পানি খাওয়া ঠিক নয়।    ৪. ক্যাফেইন এবং নিকোটিন গ্রহণ শরীরের মূল তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। এগুলো রক্তনালীকে সংকুচিত করে। যা রক্তকে উষ্ণ করে এবং এর ফলে আপনার গরম বেশি লাগে এবং ঘাম বেশি হয়। ডাবের পানি, লেবুর শরবত এবং ফলের রসের মতো ঠান্ডা পানীয় পান করুন। সেইসঙ্গে অ্যালকোহল গ্রহণও এড়ানো উচিত। ৫. ভারী খাবার খাওয়া শরীরে তাপ তৈরি হতে পারে এবং আপনি অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। ভারী খাবার খাওয়ার পরে আপনার শরীরকে খাবার হজম এবং তা বিপাক করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এটি অবশেষে আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় এবং ঘাম ও ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়। গরমে হালকা এবং তাজা রান্না করা খাবার খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং নোনতা খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। ৬. যদি অতিরিক্ত গরম অনুভব করেন তবে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার একটি সহজ উপায় হলো পায়ের আঙ্গুলগুলোকে ঠান্ডা করা। কিছু সময়ের জন্য আপনার পা ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে আরাম পাবেন এবং গরমও কম অনুভব করবেন। কিছুক্ষণ ভেজা মোজাও পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন ঠান্ডা লেগে না যায়। ৭. টাইট ফিট করা এবং গাঢ় রঙের জামাকাপড় পরলে আরও বেশি ঘামতে পারেন। আপনি যদি ঠান্ডা থাকতে চান এবং অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে চান তাহলে ঢিলেঢালা এবং হালকা রঙের সুতির কাপড় বেছে নিন। মোটা কাপড় পরলে ঘাম বাষ্পীভূত হয় না। এছাড়া গাঢ় রং আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি শোষণ করে। যে কারণে এ ধরনের কাপড় পরলে আরও বেশি গরম লাগে। ৮. গরমে প্রতিদিন গোসল করতে ভুলবেন না। সামান্য কাশি হলেও করবেন। গোসলের পর অবশ্যই চুলটা ভালোভাবে মুছে নিতে হবে। ঘেমে গেলেও ভালোভাবে চুলটা শুকনো করে মুছে নিন।  ৯. গরমের তীব্রতা বাড়ায় হিট স্ট্রোক নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই গরমে কারোর তীব্র মাথা ব্যথা, প্রচণ্ড তৃষ্ণা, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, শ্বাসকষ্ট এবং দ্রুত ও ভারী শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, বমি বমি ভাব, পেশীতে ব্যথা, দুর্বলতা ও অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০৬

সুস্থ ত্বকের জন্য বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই ফেসওয়াশ
সারাদিনের ধুলা ময়লায় ত্বক নির্জীব হয়ে যায়। আর এই ত্বককে ভালো রাখতে নিয়মিত ফেসওয়াশ ব্যবহার করা জরুরি। বেশিরভাগ মানুষই বাজার থেকে কেনা ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন। এই ধরনের ফেসওয়াশে অনেকসময় রাসায়নিক মেশানো থাকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। তাই ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপায়ে। আপনি চাইলে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন এই ফেসওয়াশ। এতে খরচও কমবে আর ত্বকের জন্য একেবারেই ক্ষতিকারক নয় বাড়িতে বানানো ফেসওয়াশ। জেনে নিন কীভাবে তৈরি করবেন-  >> শসা ও টকদইয়ের ফেসপ্যাক একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক ক্লিনজার। প্রথমে শশার রস বের করে নিন। এরপর ২/৩ চামচ দইয়ের সাথে শশার রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো মুখে ও গলায় লাগান। ১০ মিনিট পর মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ১/২ দিন ব্যবহার করতে পারেন। >> এ ছাড়া দুধও প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে। ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা বের করে, ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করে তোলে। এই ক্লিনজার বানাতে শুধুমাত্র ২টি উপকরণের প্রয়োজন - দুধ ও লবণ। প্রথমে একটি বাটিতে দুধ ও লবণ মেশান। এবার কটন বলের সাহায্যে মিশ্রণটি সারা মুখে ও গলায় লাগান। ২০ মিনিট পর ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক, দুই দিন মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। >> একটা টমেটো আর অর্ধেকটা খোসা ছাড়ানো শসা নিন। উপকরণ দু’টি পেস্ট করে নিতে হবে। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলুন। এ পেস্টটি ডিপ ফ্রিজে জমিয়ে বরফ আকারেও সংরক্ষণ করতে পারবেন। তাতে আরও ভালো ফল পাবেন। >> টমেটো ত্বকের জন্য দারুণ কাজ করে। এতে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী ভিটামিন ও পুষ্টি। আর শসা তৈলাক্ত ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এতে পানির পরিমাণ অধিক হওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের জ্বালা-পোড়া ও ফোলাভাব কমায়। ত্বক উজ্জ্বল করে দাগ কমিয়ে দেয়। এই উপাদান দুটি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন ফেসওয়াশ।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯

রমজানে সুস্থ থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ পরামর্শ
রমজানের মাসের গুরুত্ব কারও অজানা নয়। রমজান মাস অন্যসব মাসের চেয়ে আলাদা। এই মাসে মুসলমানরা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন। এই মাসে খাদ্যাভ্যাস ও জীবন-যাপনে পরিবর্তন আসে। তাই শরীরের ওপর বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। অন্যথায় পুষ্টিহীনতায় ভোগার আশঙ্কা রয়েছে। এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা জানিয়েছে পুরো এক মাস রোজা রেখেও কীভাবে সুস্থ থাকা যায় তার উপায়। জেনে নিন- খাবার পাতে থাকুক স্বাস্থ্যকর জিনিস : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, রমজানে রোজা রাখার সময় অসুখ থেকে ক্লান্তি সমস্ত কিছু থেকে দূরে রাখতে পাতে রাখুন ড্রাই ফ্রুটস, বেশি বেশি ফল, ডেয়ারি প্রোডাক্ট, শাক সবজি, ডালের মতো খাবার। শরীরের ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, ফ্যাট সহ বাকি জরুরি পুষ্টির উৎস যেন থাকে সেহরি ও ইফতারের পাতে, এমনই পরামর্শ দিচ্ছে WHO। বেশি করে পানি পান: রোজার মাঝে যাতে ডিহাইড্রেশন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, শরীর ফিট রাখতে এই সময় দিনে আট লিটার পানি খাওয়া উচিত। এছাড়া নারকেলের পানি, রস, সবজির স্যুপও খেলে কমবে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি। চিনিতে দরকার রেশনিং: রমজান মাসে রোজার সময়ে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে মিষ্টিজাতীয় জিনিস খাওয়া কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। ফলাহারের পরিমাণ বাড়ালে মিলবে উপকার। পাতে আপেল, কলা, পেঁপে, তরমুজের মতো ফল থাকলে সমস্যা কম হবে। লবণের পরিমাণ কমান: লবণ ছাড়া খাবার খাওয়া অসম্ভব। কিন্তু লবণের পরিমাণ বেশি হলেই পড়তে হবে সমস্যায়। এতে করে কিডনি থেকে হার্ট সবেরই বিপদ বাড়ে। রক্তচাপ বাড়ার কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। শরীরচর্চা: শরীর ফিট রাখতে এক্সারসাইজ বন্ধ করলে চলবে না। স্বাস্থ্যের সুস্থতা ফেরাতে দিনে অন্তত ২০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:১০

জিম্মিদের সুস্থ ও নিরাপদে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের সুস্থ ও নিরাপদভাবে ফেরত আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী নাবিকরা সুস্থ এবং ভালো আছেন। অপহরণ হওয়া জাহাজ উদ্ধারে আমাদের কথা হচ্ছে যেকোনো মূল্যে আমাদের নাবিকদের বাংলাদেশে ফেরত আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। অপহৃত ক্রুদের পরিবারগুলো উদ্বিগ্নের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সামাজিক জীব, পরিবার নিয়ে বসবাস করি। যে পরিবারগুলোর সদস্যরা সেখানে আটকে আছে, সেই পরিবারগুলোর কীভাবে দিন যাচ্ছে সেটা আমরা ফিল করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। অন্যান্য জায়গাগুলোতে তিনি কথা বলেছেন। নাবিকদের নিরাপদে বাংলাদেশে ফেরত আনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে দুবাইয়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় জাহাজটিতে ২৩ জন ক্রু ছিলেন। ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর এর পূর্বে ৩ দিন ও ঈদের পরে ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরীতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে; আবহাওয়া সংকেত অনুসরণ পূর্বক লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে; ঈদ-উল-ফিতর, ২০২৪ কালবৈশাখী মৌসুমে বিধায় অধিকতর সতর্কতার সাথে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে; রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিন-রাত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেস বিহীন নৌযান ও ফেরী চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের নিমিত্ত ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলাকাভিত্তিক/পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর- ১৬১১৩ যোগাযোগ করবেন। সকল প্রকার যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; কোন ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না; ঈদের আগে ৫ (পাঁচ) দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমন কারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫(পাঁচ) দিন অন্যান্য নদী বন্দর হতে সদরঘাটে আগমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে; ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মটর সাইকেল পরিবহণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে গত বছরের ঈদ-উল-আযহা, ২০২৩ উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নির্ধারিত হারে প্রতিটি লঞ্চে মটর সাইকেল পরিবহনের জন্য ভাড়া আদায় করতে হবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাতের বেলায় স্পীডবোট চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার এবং দিনের বেলায় স্পীডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট পরিধানের বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে; নদীর মাঝপথ থেকে নৌকা দিয়ে লঞ্চে/নৌযানে যাত্রী উঠানো যাবে না। উঠতে না পারে তার জন্য নৌপুলিশ বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক সার্বক্ষণিক টহল দিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর মাঝপথে নৌকাযোগে যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আসন্ন ‘পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযানসমূহ সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা  নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৩০

একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম, সবাই সুস্থ
সিলেটে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ফৌজিয়া বেগম নামে এক নারী। মা ও চার শিশু সবাই সুস্থ রয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শিশু চারটির বাবার নাম রুহুল আমিন। তাদের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জে। একসঙ্গে চার সন্তান সুস্থভাবে জন্ম নেওয়ায় বাবা-মা দুজনেই অনেক খুশি। সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মিনহাজ ফয়সাল জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫১ মিনিটে ফৌজিয়া বেগমকে প্রফেসর ডা. রাশিদা আকতারের তত্ত্বাবধানে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই অপারেশন করা হলে চারটি সন্তানের জন্ম হয়। পরে শিশু চারটিকে নবজাতক নিবিড় যত্ন ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা হয়। বর্তমানে শিশু চারটি ও তাদের মা ফৌজিয়া বেগম সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে উইমেন্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫

নাভালনি শতভাগ সুস্থ ছিলেন জানিয়ে পুতিনের শাস্তি দাবি স্ত্রীর
রাশিয়ার প্রধান বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি অসুস্থ হয়ে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেননি বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়া ও সমর্থকরা। একইসঙ্গে নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্যি হয়ে থাকলে পরিকল্পিত খুনের দায়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউলিয়া। নাভালনির স্ত্রী বলছেন, ‘আমি জানি না নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সত্য কি না। আমরা পুতিন এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সবসময় মিথ্যা বলে। তবে যদি এটি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে পুতিন, তার সব অনুগামী-অনুসারী, পুতিনের মিত্র এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সবাইকে এর দায় বহন করতে হবে।  আমাদের দেশ, আমার পরিবার এবং আমার স্বামীর সঙ্গে তারা যা কিছু করেছে তার জন্য শাস্তি ভোগ করতে হবে তাদের।’ শুক্রবার জার্মানির মিউনিখ শহরে ইউরোপভিত্তিক জোট দাভোসের প্রতিরক্ষা বিষয়ক সম্মেলন শুরু হয়েছে। ‘দাভোস অব ডিফেন্স’ নামের তিন দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিতে ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে মিউনিখে উপস্থিত হয়েছেন শত শত রাজনীতিবিদ, সামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনীতিক। যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে ইসরায়েল ও ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে— এ নিয়ে ইতোমধ্যে দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইউরোপ। দাভোস অব ডিফেন্স সম্মেলন আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য এটিই। কিন্তু নাভালনির মৃত্যু সংবাদ সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়। সম্মেলন শুরুর দিন শুক্রবার নির্ধারিত আলোচানা স্থগিত রেখে ইউলিয়া নাভালনায়াকে মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান দাভোস অব ডিফেন্সের আয়োজকরা।  তিনি যখন বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে ওঠেন, সে সময় সম্মেলনে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান জানান তাকে। নাভালনায়া বলেন, ‘এখানে আসার আগে দীর্ঘ সময় ধরে আমি ভেবেছি যে আমার কি এখানে আসা উচিত, না কি শিগগিরই মস্কোতে আমার ছেলে মেয়েদের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু তখন আমার মনে হলো, এই অবস্থায় অ্যালেএক্সি থাকলে কী করতেন। আমি নিশ্চিত, তিনি এই মঞ্চে উপস্থিত থাকতেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। কমলা বলেন, অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যু সংবাদ যদি সত্য হয়, তাহলে এটি হবে পুতিনের নিষ্ঠুরতার আরও একটি উদাহারণ। যদি সত্যিই এটি ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই রাশিয়া এর জন্য দায়ী— এটা আমরা স্পষ্টভাবে বলছি। প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের ইয়ামালো নেনত্স কারাগারে পাঠানো হয় নাভালনিকে। এই কারাগারটিকে রাশিয়ার সবচেয়ে কঠিন কারাগার বলে মনে করা হয়। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইয়ামালো নেনত্স কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওইদিন সকালে কারাগারের ভেতর হাঁটার সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ বোধ করেন নাভালনি এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কারা চিকিৎকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়; তবে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাভালনিকে মৃত ঘোষণা করেন। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে নাভালনির মৃত্যু হয়েছে—সেকথা বিশ্বাস করতে পারছেন না তার মা ও স্ত্রীসহ অনেকেই। কারণ, মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনায়ার উদ্দেশে একটি আবেগপূর্ণ ভিডিওবার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে বেশ হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত মনে হয়েছে। এছাড়া রুশ সংবাদপত্র নোভায়া গ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুসারে, নাভালনির মা ল্যুডমিলা নাভালনায়া বলেছেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি যখন তিনি নাভালনিকে শেষবার দেখেছিলেন তখনও তিনি শতভাগ সুস্থ এবং হাসিখুশি ছিলেন।  নাভালনির সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ, কারাগারে খুন করা হয়েছে নাভালনিকে এবং প্রশাসন সেটি আড়াল করতে অসুস্থতাজনিত আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করছে। নাভালনির প্রধান সহকারী লিওনিদ ভলকোভ বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের প্রচারণা বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই। তার মৃ্ত্যুর খবর যদি সত্য হয়, তাহলে নাভালনি মরেননি। পুতিনই তাকে খুন করেছেন।’ উল্লেখ্য, রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন।  ২০২০ সালেও তাকে সাইবেরিয়ায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। সে সময় পশ্চিমা দেশগুলো জানায় যে, তার ওপর স্নায়ুবিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল।  
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫

সুস্থ থাকতে যেভাবে খাবেন সবেদা-শাঁকালু
শীতের বাজার সবসময় বাহারি শাক-সবজি আর ফলে সুসজ্জিত হয়ে থাকে। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই রঙিন। গাজর, বিট, বিনস, ব্রকোলি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, শিম এসব যেমন একদিকে থাকে তেমনই অন্যদিকে থাকে কমলা, লেবু, আপেল, পেয়ারা, আঙুর, ডালিম-সহ একাধিক ফল। শীত মানেই ফল আর ফুলের মেলা। কমলা ছাড়াও শীতকালে আরও যে সব ফল বাজার মাতিয়ে রাখে তা হলো শাঁকালু, সবেদা। দেশি এই ফল খেতে যেমন ভালো তেমনই পুষ্টিগুণও অনেক।  মাটির নীচে হওয়া সাদা এই ফলটি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। অনেকের আবার মনে ভয় থাকে বেশি খেলে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার। তবে সব মৌসুমের ফলই খাওয়া উচিত। জেনে নিন সবেদা-শাঁকালুর উপকারিতা- >> শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্যাস, অম্বলও হয় না। যাদের আইবিএস বা পেটের অন্যান্য কোনও সমস্যা রয়েছে তার জন্যেও খুব উপকারী হলো শাঁকালু। শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে সেই সঙ্গে হজম করতেও সাহায্য করে। যে কারণে শীতের দিনে যদি শুধুমাত্র ফল ডায়েট করেন তাহলে শাঁখালু অবশ্যই খাবেন নিয়ম করে। এতে তাড়াতাড়ি ফ্যাট কমবে। অল্পেই পেট ভরে যাবে। >> সবেদার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতে এই ফল পাওয়া যায় সবচাইতে বেশি। প্রাকৃতিক ভাবেই সবেদার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্রুকটোজ। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ই, সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা চুল আর ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষাতেও খুব ভাল কাজ করে। এসব বাদ দিলেও সবেদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভাল উৎস। এছাড়াও সবেদা সহজপাচ্য। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ফসফরাসের খুব ভাল উৎস হল এই সবেদা। যে কারণে অন্য যে কোনও ফল খাওয়া হোক বা নাই হোক সবেদা, শাঁকালু অবশ্যই খাবেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২০

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কতবার আলিঙ্গন করবেন, জানালেন গবেষকরা
খুব খুশিতে থাকলে অথবা দুঃখে থাকলে আমরা আমাদের প্রিয় ব্যক্তিদের আলিঙ্গন করতে পছন্দ করি। সেই প্রিয় মানুষটি যে কেউ হতে পারে। হতে পারে মা বা বাবা। হতে পারে ভাই বা প্রেমিক। বলা হয় আলিঙ্গন মনের কষ্ট কমায় এবং অনেক স্বস্তি দেয়। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হতেই জড়িয়ে ধরলে অদ্ভুত শান্তি পাওয়া যায়। যেন দূর হয়ে যায় যাবতীয় খারাপ লাগা। গবেষণা এই জড়িয়ে ধরার বেশ কিছু উপকারিতা খুঁজে পেয়েছে। আলিঙ্গন শুধুমাত্র অনুভূতি প্রকাশের মাধ‍্যম নয়। নিবিড়ভাবে জড়িয়ে ধরলে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানাভাবে সাহায্য করে। একটি গবেষণা অনুসারে, আলিঙ্গন শুধুমাত্র একাকীত্বের অনুভূতি দূর করতে পারে না, তবে  মানসিক চাপের কারণে শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবও কমাতে পারে। কাউকে আলিঙ্গন করলে মানুষ আনন্দ অনুভব করে, যা সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 'আলিঙ্গন' করলে শরীর ও মন বিশ্রাম পায়। অনুভূতি-গুড হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।  গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, আলিঙ্গন যে কারো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। আলিঙ্গন অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে খুব কাছের কোনো বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে। জেনে নিন আলিঙ্গন করলে কী ধরনের উপকার পাওয়া যায়- ১. আলিঙ্গন নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসের অনুভূতি তৈরি করে। 'আলিঙ্গন' করলে অক্সিটোসিনের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ২. একাকীত্ব, বিচ্ছিন্নতা এবং রাগের অনুভূতি হ্রাস পায়। ৩. আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। এটি শরীরে শ্বেত রক্ত ​​কণিকার উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ব্যক্তি সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১০

বাসায় হাঁটছেন খালেদা জিয়া, আগের চেয়ে সুস্থ
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৫৬ দিন হাসপাতালে থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায়  গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ফেরেন তিনি। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাতেই তার চিকিৎসা চলছে। এভারকেয়ার থেকে ফেরার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর কোনও রোগের নতুন উপসর্গ দেখা দেয়নি। চিকিৎসকদের পরামর্শে বাসাতেই হালকা হাঁটাচলা করছেন তিনি। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক, মেডিকেল টিমের সহকারী ও চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভাল। বিদায়ী বছরের ২৬ অক্টোবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার চিকিৎসা করেন। তাদের চিকিৎসার পরই  বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে বলে জানান তার চিকিৎসক দলের এক সদস্য। গত বছরের ৯ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে অনেকটাই হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন। সেদিন হুইল চেয়ারে নেমে আসেন গাড়ির সামনে। এরপর দাঁড়িয়ে উঠে গাড়িতে প্রবেশ করেন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়াকে সচকিত পেয়ে নেতাকর্মীরাও উৎফুল্ল। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বাসায় ফেরার পর বেগম জিয়াকে উৎফুল্ল দেখা গেছে। গাড়ি থেকে নেমেই ভাগ্নে অভীক ইস্কান্দারের মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। পরিবারের ঘনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ম্যাডামের শরীর আগের চেয়ে অনেক ভালো। বিশেষ করে আমেরিকার তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা করার পরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেই চিকিৎসকরাই তাকে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা একটু উন্নত রয়েছে। ২৬ অক্টোবর বাসায় ফেরার পর থেকে নতুন কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া বর্তমানে বাসায় থাকলেও পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য দেশের বাইরে রয়েছেন। বর্তমানে শামীম ইস্কান্দারের পরিবার রয়েছে তার দেখাশোনায়।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়