• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এপ্রিলে ভোক্তা ঋণের সুদ সাড়ে ১৪ শতাংশ
এপ্রিল থেকে ঋণের সুদহার ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে ভোক্তা ঋণে গুনতে হবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ সুদ। রোববার (৩১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়। বর্তমানে যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ তথা– সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে ‘স্মার্ট’র সঙ্গে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ হবে, যা এতদিন ছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ও কৃষি ও পল্লী ঋণের ‘স্মার্ট’ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক হারে মার্জিন যোগ হবে। যা আগে ছিল ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। সেই হিসাবে, এপ্রিলে বড় অঙ্কের ঋণে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শতাংশ সুদ নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। আর প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে ব্যাংক সুদ নিতে পারবে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। কারণ সিএমএসএমই, ব্যক্তিগত ও গাড়ি কেনার ঋণে অতিরিক্ত ১ শতাংশ তদারকি বা সুপারভিশন চার্জ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এর আগে, ঋণ ও ভোক্তা ঋণের সুদহার মার্চে ছিল যথাক্রমে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। জানুয়ারিতে এই সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সাধারণত গাড়ি, আবাসন, শিক্ষা, ফ্রিজ, টিভি ও কম্পিউটার ইত্যাদি কেনার জন্য ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত যে ঋণ নেওয়া হয় সেগুলো মূলত ভোত্তা ঋণ।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৭

যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পাচ্ছে :  প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
দরিদ্র মানুষকে যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পাচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের জন্য শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেছেন  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়ায় প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ক্ষুদ্র খামারিদের মাঝে মিল্কিং মেশিন বিতরণ করার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। বেসরকারি সংস্থার ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, মানুষকে ঋণের নামে টাকা-পয়সা দিয়ে ১৪ গুণ সুদসহ ফেরত নেওয়া হচ্ছে। তারপরও ঋণ শোধ হয় না। এভাবে বহু মানুষ তাদের সর্বস্ব হারাচ্ছে। তিনি বলেন, যারা ঋণ দিয়ে সুদ নিচ্ছে, তারাই আবার নোবেল পুরস্কার পাচ্ছে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এই দেশের মাটি, ঘাস, প্রকৃতির ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে কোন মানুষ একটু কষ্টে আছে, কোন মানুষ বিষণ্নতায় আছে, কোন মানুষের একটা কাজ জোগানো যায়, সেসব খুঁজে খুঁজে বের করেন; সেই শেখ হাসিনার উপরই অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের হস্তক্ষেপ আসে। এরপর মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে মো. আব্দুর রহমান বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে সারা দেশ উন্নয়নে ভরপুর করে দেওয়া হবে। মধুখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এলডিপিপি প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডা. গোলাম রব্বানী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনূন আহমেদ অনিক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুদেব কুমার দাস।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:১৭

‌‘ঋণের সুদ পরিশোধে কিছুটা চাপে আছে দেশের অর্থনীতি’
বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে দেশের অর্থনীতি কিছুটা চাপে আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে কিছুটা চাপে আছে দেশের অর্থনীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে, কিন্তু মানুষ তো না খেয়ে মারা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, অর্থনীতিতে নানামুখী চাপ আছে, সেসব নিয়েই চলতে হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজও করা হচ্ছে। ডলার সংকট ছিল, কিন্তু তাতে সবকিছু আটকে নেই। এলসিও খোলা হচ্ছে। এর আগে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)- এর বাংলাদেশে নিযুক্ত আইওএম চিফ অব মিশন আবদুসাত্তর এসয়েভ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

ব্যাংক ঋণের সুদ বাড়ল
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো ঋণের সুদের হার আরও বাড়াতে পারবে। পাশাপাশি ছয় মাস উত্তীর্ণ হওয়া ঋণ এবং ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারও বাড়াতে পারবে ব্যাংকগুলো। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদ হার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, এর সঙ্গে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে নতুন ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে। এর ফলে সুদ হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি খাতের প্রি-শিপমেন্ট ঋণ, পল্লী ও কৃষি ঋণের সুদের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে নতুন ঋণের সুদ নির্ধারণ করতে হবে। এ হিসাবে এসব খাতে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাশাপাশি ঋণের সুদের হার বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলো আমানতের সুদ হারও বাড়াতে পারবে। কারণ আগে আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করা থাকলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমানতের সুদ হারের কোনো সীমা নেই। এ ছাড়া ছয় মাস উত্তীর্ণ হওয়া ঋণের সুদ নতুন হারে বাড়ানো যাবে। তবে যেসব ঋণের মেয়াদ ছয় মাসের কম রয়েছে সেগুলোর সুদ বাড়ানো যাবে না। ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও ঋণ এবং আমানতের সুদ হার বাড়াতে পারবে। এসব প্রতিষ্ঠান ছয় মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হারের সঙ্গে ঋণ বা লিজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে। সে হিসাবে সুদের সর্বোচ্চ হার হবে ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পাশাপাশি আমানতের ক্ষেত্রে তারা সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করতে পারবে। এতে আমানতের সর্বোচ্চ সুদ হবে ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের নিয়ম চালু করতে গত বছরের জুন থেকে স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) সুদহার চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে প্রতি মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার ঘোষণা করছে। এর আলোকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ ও আমানতের সুদ হার নির্ধারণ করছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়