সিএনজি ও বোট চালকদের মধ্যে মারামারি, আহত ৯
রাঙ্গামাটিতে সিএনজি ও বোট চালকদের মধ্যে মারামারিতে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা করা হবে বলেও জানান সমিতির নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে পুরাতন বাস স্টেশনে পর্যটকদের ভাড়া নিয়ে সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. গফুরের সঙ্গে বোট চালক মো. আবুর মধ্যে বাকবিতণ্ডা বাধে। এ সময় আশেপাশে থাকা বোট চালক ও সিএনজি চালকরা এসে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত হয়ে সিএনজি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও পরে মারামারি লেগে যায়। হামলার আশংকায় এ সময় আশেপাশের কয়েকটি দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারামারিতে বোট মালিক সমিতির ৬ জন ও সিএনজি চালক সমিতির ৩ সদস্য আহত হয়েছে বলে সমিতির নেতৃবৃন্দ দাবি করেন।
রাঙ্গামাটি ট্যুরিস্ট টেম্পু বোট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম দিদার জানান, সিএনজি চালক ও বোট চালক মো. আবুর মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। এতে তাদের ২৫জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে সে দাবি করে। তদ্মধ্যে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শের আলী, অর্থ সম্পাদক রাশেদ, সদস্য নজরুল, সুমন ও বাদশাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে সিএনজি চালক সমিতির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু জানান, সিএনজি চালক আবদুল গফুরের সাথে এক বোট চালকের বাকবিতণ্ডা বাধে। এ সময় ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে সিএনজি বন্ধ করে দিতে হুমকি দিতে থাকে। তিনি বলেন, সিএনজি বন্ধ করলে আমরা করবো, সিএনজি বন্ধ করার সে কে। তুচ্ছ ঘটনা চায়লে কথাবার্তার মাধ্যমে সমাধান করা যেতো। কিন্তু নজরুল উত্তেজিত হয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তার কারণেই মারামারি লেগে যায়। মারামারিতে চালক মো. গফুর, মো. রফিক ও মিজানুর রহমান আহত হয়েছে। তাদেরকে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোট চালকরা মামলা করলে তারাও পাল্টা মামলা করবে বলে জানান তিনি।
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মোহাম্মদ শওকত আকবর জানান, দুপুরের দিকে বেশ কয়েকজন আহত রোগী হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে মো. গফুর (৩৩), মো. রফিক (৩৫) ও মিজানুর রহমানকে (৩৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আলী জানান, দুপুরে পুরাতন বাস স্টেশনে সিএনজি চালক ও বোট চালকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কোনো পক্ষই এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৪