• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে বৈশাখী উৎসব
নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপি বৈশাখী উৎসব। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উৎসবের ৬ষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা। এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। স্বাগত বক্তব্য দেন পাভেল রহমান। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা। ১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সাহিত্য একাডেমি সাত দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব পালন করে আসছে, যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়েছে। সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে। গত পহেলা বৈশাখ শুরু হয় সপ্তাহব্যাপি এ উৎসব, যা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংস্কৃতিকর্মীরা এ উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। মেলা প্রঙ্গণে নানান ধরনের ২০টি লোকজ পণ্যের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

জবি সাহিত্য সংসদের নেতৃত্বে আলিমুল-শাহরিয়ার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাহিত্য সংসদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন এই কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী আলিমুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ শাহরিয়ার হোসেন। বুধবার (৬ মার্চ) সংগঠনটির মডারেটরদের স্বাক্ষর সংবলিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়াও সহসভাপতি হিসেবে আছেন আব্দুল কাদির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক রিদুয়ান ইসলাম ও উবায়েদুল হক শুভ, দপ্তর সম্পাদক আবু সুফিয়ান সরকার শুভ, অর্থ সম্পাদক উম্মে তাহমিনা জারিফ মিশু, পাঠচক্র সম্পাদক রিপা বানু, সাহিত্য সম্পাদক মো. শাহিন আলম শেখ, পাঠাগার সম্পাদক মোশফিকুর রহমান ইমন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গৌরাঙ্গ দাস, প্রকাশনা সম্পাদক মো.আজাদ মিয়া। কার্যকরী সদস্য হিসেবে মো. রুবেল রানা, আব্দুল্লাহ মোমিন খান, আকরাম আহমেদ শিশির, মাহজুবা তানিজ রুমা, মো. আব্দুল্লাহ ওয়াহিদ, রাবেয়া আক্তার বহ্নি, মো: হাবিবুর রহমান, নিরব মোহন্ত, চৈতি আক্তার, জুনায়েদ মাসুদ, ফেরদৌসি ফিরোজ ফ্লোরা, মো. আল ইমরান, রাশিদ আল মুয়ীদ, হৃদয় হাসান মুন্না, সুরাইয়া অনু, শিহাব সরকার, সুমাইয়া আক্তার স্মৃতি, রিজওয়ানা রহমান ভূঁইয়া, মো. শহিদ খান দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। সংগঠনটির সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের গঠনতন্ত্রের ৭ নং ধারা অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার্যনিবাহী কমিটির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পরবর্তীতে সাধারণ সদস্যের মধ্যে থেকে ১৮ জন কার্যকরী সদস্য মনোনীত হবেন। সভাপতি আলিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহিত্যানুরাগী করার চেষ্টা চালাচ্ছি। সাহিত্য চর্চা একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাব। সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘বুড়িগঙ্গা’ সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। সাহিত্যকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে আরও পরিকল্পনা আছে।’ সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে দেশবরেণ্য সাহিত্যিকদের আঁতুড়ঘর ছিল। আমাদের লক্ষ্য হবে অতীতের সেই সোনালী সময় ফিরিয়ে আনা। একটি সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ও দেশীয় সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাব। আমাদের বিশাল এক দেশীয় সংস্কৃতির ভাণ্ডার আছে। সেগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। এ প্রজন্মের কাছে সেগুলোকে পরিচয় করাতে চাই।’ উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাহিত্য চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে তারা সাহিত্য চর্চামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। নানামাত্রিক জ্ঞানার্জন ও তরুণ লেখক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিয়মিত পাঠচক্র ও সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে আসছে সংগঠনটি।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২১:১৫

কুয়েতে প্রবাস বাংলার বিশেষ সম্মাননা ও সাহিত্য বিতরণ 
কুয়েতে প্রবাস বাংলা মিডিয়ার উদ্যোগে বাংলা ভাষার চর্চা ও শিক্ষাদানে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননা ও সাহিত্য বিতরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে প্রবাস বাংলার উদ্যোগে সম্পাদক আ ক ম আজাদের সভাপতিত্বে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আমির হোসেন মজুমদারের পরিচালনায় বাংলা ভাষার চর্চা ও শিক্ষাদানে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননা ও সাহিত্য বিতরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, মো. রুহুল আমিন নুর, ইঞ্জিনিয়ার মো. আলমগীর, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন হাওলাদারসহ অনেকে। বিশেষ সম্মাননা প্রাপ্তরা হচ্ছেন- মাওলানা মুস্তাকুর রহমান, মো. শওকত আলী, এ কে এম শামসুদ্দোহা, আল-আমিন রানা, কবি সঞ্জীব চন্দ্র ভদ্র। অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার চর্চা ও লালনে রেমিটান্স যোদ্ধাদের সামাজিক উন্নয়ন, চরিত্র গঠন, দেশাত্মবোধক, সমাজ সংস্কার মূলক দি পাথফাইন্ডার পাবলিকেশন্স এর বাংলা বই উপহার দেওয়া হয়। কুয়েতে বৃষ্টি মুখর সন্ধ্যায় কবিতা আবৃতি এবং ইসলামী সংগীতে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে রাখেন কবি ও শিল্পীগণ।  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৬

‘খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কাজ বন্ধ করেছিলেন’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার পর খালেদা জিয়া সে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার পর রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি যখন আমরা পেলাম, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই- এখানে একটা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলব। ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করি। আমার সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান ছিলেন। কাজ শুরু করি, কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। তখন খালেদা জিয়া সেই কাজটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই তাকে (খালেদা জিয়া), বন্ধ করে দিয়েছিলেন, ভালো হয়েছিল। কারণ, দ্বিতীয়বার যখন আমি সরকারে আসি, সেটা প্রতিষ্ঠা করি। এখন সেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। এটা যেন আরও সমৃদ্ধ হয়, সেটা আমি চাই। শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এবার সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই ভাষা সাহিত্যসহ সবকিছু স্মার্ট করতে হবে। প্রকাশনায় ডিজিটাল ও অডিও মাধ্যম সংযোজনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব ছড়িয়ে দিতে অনুবাদের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলা একাডেমি অনেক আন্দোলনের সূতিকাগার মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধীনতা এসেছে। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনুসরণ করে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বাবার পথ অনুসরণ করে এ পর্যন্ত যত ভাষণ দিয়েছি। অন্তত ১৯-২০ বার হবে। আমি কিন্তু বাংলা ভাষায় বক্তব্য দিয়েছি। বইমেলা উদ্বোধনের আগে ১৬ বিশিষ্টজনের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন শেখ হাসিনা। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১৬ বিশিষ্টজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান: ভলিউম-২’সহ কয়েকটি নতুন গ্রন্থ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ বাইরে থেকে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আর শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৮

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী ১৬ জনের হাতে সম্মাননা তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‌‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। মোট ১১ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কথাসাহিত্য, নাটক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণা এবং ফোকলার ক্যাটাগরিতে এবার যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছর যারা পুরস্কার পেয়েছেন- কবিতায় শামীম আজাদ, কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, প্রবন্ধ/গবেষণায় জুলফিকার মতিন, অনুবাদে সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক, শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞানে ইনাম আল হক, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে ইসহাক খান এবং ফোকলোরে তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ। পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও লেখকদের হাতে দুই লাখ টাকার চেক, একটি করে সম্মাননা পত্র ও সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। ১৯৬০ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।  
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৭

বাংলা একাডেমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন জাকির তালুকদার
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি এই তথ্য জানান। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বরাবর এক লাখ টাকা অর্থমূল্য ফেরতের ব্যাংক চেকের ছবি এবং পুরস্কার ফেরত দেওয়ার চিঠি সংযুক্ত করে দিয়ে স্ট্যাটাসের ক্যাপশনে জাকির তালুকদার লিখেছেন, ‌‘পাঠিয়ে দিলাম। খুব ভারমুক্ত লাগছে।’ কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার তার ‘মুসলমানমঙ্গল’ গ্রন্থের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১০ বছর পর তিনি এটি ফেরত দিলেন।  জাকির তালুকদার বলেন, বাংলা একাডেমির গণতন্ত্রহীনতা, প্রতিষ্ঠানের মানের নিম্নগামিতা, আমলাতান্ত্রিকতা, ২৫ বছর ধরে কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন না দিয়ে নিজেদের পছন্দমত একাডেমি চালানোর জন্য বাংলা একাডেমি সচেতন মানুষের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের মান যখন নিম্নগামী হতে থাকে, তখন এই পুরস্কার অর্থহীন হয়ে যায়। এজন্যই আমি পুরস্কার ফেরত পাঠিয়েছি। এদিকে গত ২৪ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ বছর ১৬ জন পুরস্কার পাচ্ছেন। কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের ২৪টির বেশি সাহিত্যকর্ম আছে। এর মধ্যে ‘পিতৃগণ’, ‘কুরসিনামা’, ‘কবি ও কামিনী’, ‘ছায়াবাস্তব’, ‘রাজার সেপাই’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩

এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন যারা
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ ঘোষণা করা হয়েছে। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ বছর ১৬ জন পুরস্কার পাচ্ছেন। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। মোট ১১ ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কথাসাহিত্য, নাটক, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণা এবং ফোকলার ক্যাটাগরিতে এবার যৌথভাবে পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এ বছর যারা পুরস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন- কবিতায় শামীম আজাদ, কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, প্রবন্ধ/গবেষণায় জুলফিকার মতিন, অনুবাদে সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক, শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞানে ইনাম আল হক, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনিতে ইসহাক খান এবং ফোকলোরে তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ। অমর একুশে বইমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পুরস্কার প্রদান করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৬

শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদ্দীন আর নেই
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক খালেক বিন জয়েনউদ্দীন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) রোববার (১৪ জানুয়ারি)  দুপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি আরটিভি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ছড়াকার জিয়া  হক। খালেক বিন জয়েন উদ্দীন ১৯৫৪ সালের ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার চিত্রাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  বাংলা সাহিত্যে তিনি ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। পড়াশােনা করেন ঢাকা কলেজও। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। যুদ্ধকালে যশােরের বারােবাজারে ধৃত হয়ে পাকিস্তানি সেনা ছাউনিতে অকথ্য নির্যাতন ভােগ করেন এবং সাতমাস বন্দী থাকেন। তার কয়েকটি গ্রন্থ– ধান সুপারি পান সুপারি, আপিল চাপিল ঘন্টি মালা, চিরকালের ১০০ ছড়া, হৃদয় জুড়ে বঙ্গবন্ধু, নলিনীকান্ত ভট্টশীল, হুমায়ুননামা, মায়ামাখা শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল। সাহিত্যচর্চার জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু সাহিত্য পরিষদ, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, অগ্রণী ব্যাংক, সাউন্ডবাংলা সম্মাননা, তরিকত মিশন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স্মৃতি পরিষদ, কোটালীপাড়া গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ লাভ করেছেন।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়