• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
৪৩৯ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার
সরকার ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার, ডিএপি সার ও ফসফরিক এসিড কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ডিএপি সার, ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকার ইউরিয়া সার এবং ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকার ফসফরিক এসিড রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত তিনটি আলাদা প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় জি টু জি পদ্ধতিতে সৌদি আরবের মা আদেন থেকে দ্বিতীয় লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৫৭৬ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮৯ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১৪তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১২২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৭১.৩৭৫ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৩১৬.৬২৫ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিকটনের দাম পড়বে ৫৭২ মার্কিন ডলার। যা আগে ছিল ৫৮২ ডলার। প্রধান সরবরাহকারী বা প্রস্তুতকারক চায়নার জুনজুয়াই ইকো টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকার প্রতিনিধি হিসেবে মেসার্স বেস্ট ইস্টার্ন সরবরাহ করবে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮

সরকারি সার চুরি : বিএডিসির গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) প্রায় তিন কোটি টাকার সরকারি সার চুরি করার অভিযোগে গুদামরক্ষক (সার) মো. আল আমিনের (৩৪) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ মামলাটি দায়ের করেন কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) মো. ফজলুল বারী। আল আমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানাধীন মায়ারামপুর উত্তর পাড়া গ্রামের মো. মোকারম হোসেনের ছেলে। বর্তমানে দুবাইয়ে পালিয়ে আছেন এ গুদামরক্ষক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত। তিনি জানান, বিএডিসির গুদামরক্ষক (সার) মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা হয়েছে। মামলার সূত্রে জানা যায়, বিএডিসি চট্টগ্রামের সার গুদাম টিজি-১ এর গুদামরক্ষক ছিলেন মো. আল আমিন। গত বছরের ২৪ মার্চ মায়ের অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে ই-মেইলে মিথ্যা ছুটির আবেদন করেন তিনি। ওইদিনই আল আমিন দুবাইয়ে চলে যান। এরপর তিনি যে গুদামের দায়িত্বে ছিলেন, সেটি সিলগালা করে দেয় বিএডিসি। পরে প্রতিষ্ঠানটির যুগ্ম পরিচালককে (সার) আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ২০২৩ সালের ২৮ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ৯০ লাখ ১২ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের ১৩৬ টন ৫৮৫ কেজি টিএসপি সার এবং ১ কোটি ৯৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৭৭ টাকার ১৯১ মেট্রিক টন ৭৬৫ কেজি ডিএপি সারসহ মোট ২ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৭ টাকার সারের ঘাটতি পাওয়া যায়। তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, গুদামরক্ষক আল আমিন প্রতারণার মাধ্যমে এসব সার আত্মসাৎ করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৬

কালিয়াকৈরে জৈব সার কারখানায় আগুন
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জৈব সার কারখানায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে উপজেলার জামালপুর এলাকায় সার কারখানায় এ আগুনের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার জামালপুর এলাকায় একটি সবুজ বাংলা জৈব সার কারখানায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মুহূর্তের মধ্যে ওই কারখানা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কালিয়াকৈরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান রায়হান জানান, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে আগুনে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:১৭

‘সার সরবরাহের জন্য বরাদ্দ ১৭ হাজার কোটি টাকা’
কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, কৃষককে যাতে আমদানিমূল্যে সার ক্রয় করতে না হয়, সে লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে ১৭ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন সহায়তা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্ন উত্তর পর্বে তিনি কৃষক পর্যায়ে সাশ্রয়ীমূল্যে সার সরবরাহ অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।  বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে কৃষি মন্ত্রী জানান, আমদানিকৃত সার কৃষক পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ভর্তুকিমূল্যে টিএসপি প্রতি কেজি ২৭ টাকা, এমওপি প্রতি কেজি ২০ টাকা এবং ডিএপি প্রতি কেজি ২১ টাকায় বিক্রয় করছে। ২০০৯ সালের পূর্বে প্রতি কেজি টিএসপি, এমওপি এবং ডিএপি সারের বিক্রয়মূল্য যথাক্রমে ৮০, ৭০ ও ৯০ টাকা ছিল। মন্ত্রী আব্দুস শহীদ জানান, কৃষি উৎপাদন ব্যয় যাতে ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে সরকার সার ও কৃষি যন্ত্রপাতিতে উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করছে। সেচ ও ভালো মানের বীজ সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ করছে। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শীর্ষক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে হাওর ও উপকূলীয় এলাকায় ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ৫০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তায় মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের ও পরিবেশ সুরক্ষার লক্ষ্যে কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর প্রক্রিয়া চলছে। জৈব কৃষি ও জৈব বালাইনাশকের ব্যবহারসহ সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের রোগ ও পোকামাকড় দমন ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার প্রতিনিয়ত হ্রাস পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কৃষিমন্ত্রী জানান, সমগ্র দেশের প্রান্তিক কৃষকদের এবং কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫০টি প্রকল্প ধারণাপত্র (পিসিপি) যাচাই করা হচ্ছে, যা থেকে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। কৃষক ও কৃষির উন্নয়নে নতুন পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে- দুই কোটি ২৭ লক্ষ কৃষককে স্মার্ট কার্ড দেওয়া, ১০ লাখ কৃষককে উত্তম কৃষি চর্চার প্রশিক্ষণ দেওয়া, ৫০ লাখ কৃষককে সম্প্রসারণ সহায়তা, উন্নয়ন সহায়তা ও ঋণ সহায়তা দেওয়া, ২০ হাজার কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি, ১০টি অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাব স্থাপন, ১০ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ উন্নয়ন, দুই লাখ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের অ্যাডাপটেশন, ক্লাইমেট স্মার্ট ও কৃষির প্রবর্তন।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৯

৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার
কাতার ও সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে ২২৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।   বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের কাছে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক প্রিন্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি মেট্রিকটনের দাম পড়বে ৩৩০ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, এ ছাড়া অপর এক প্রস্তাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক অ্যাগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩৪৭ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৯

ফসলে কী পরিমাণ সার প্রয়োজন এবার জানাবে অ্যাপ
নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং সালফার উদ্ভিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক পুষ্টি উপাদান। ফসলে এই উপাদানগুলোর অভাবপূরণ করতে অজৈব সার জমিতে প্রয়োগ করা হয়। এই উপাদানগুলোর অভাব যেমন ফসলের পুষ্টিহীনতার কারণ তেমনি অতিরিক্ত প্রয়োগ ফসলের জন্য ক্ষতির কারণ। তাই ফসলের সঠিক উৎপাদন নিশ্চিত করতে পরিমিত অনুপাতে সারের ব্যবহার যেকোনো ফসলের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফসল অনুযায়ী জমিতে অজৈব সারের পরিমিত অনুপাত নির্ণয়ের জন্য ‘নিউট্রিয়েন্ট ব্যালেন্স’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। তাদের উদ্ভাবিত এই অ্যাপটির মাধ্যমে আলু, বোরো ধান, রোপা আউশ ধান, রোপা আমন এবং ভূট্টা এই পাঁচটি ফসলের ক্ষেত্রে জমিতে সারের পরিমাণ কম বা বেশি আছে সেটি জানতে পারবেন কৃষক। অ্যাপটি বাংলা এবং ইংরেজি ভাষায়ই ব্যবহার করা যাবে। ‘নিউট্রিয়েন্ট ব্যালেন্স’ অ্যাপটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান প্রকল্পের প্রধান গবেষক বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর।  তিনি আরও জানান, ‘ডেভেলপমেন্ট অফ এ ফিল্ড লেভেল স্কেল নিউট্রিয়েন্ট ব্যালেন্স ক্যালকুলেটর ফর ক্রপস অফ অ্যান ইনটেনসিভলি ম্যানেজড এগ্রিকালচারাল সিস্টেম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়। সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. জহির উদ্দীন। তিন বছরের ওই গবেষণা প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি (বিএএস) এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)। উদ্ভাবিত মোবাইল অ্যাপটির কার্যকারিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, সারের হিসাব করে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে। কিন্তু অন্য অ্যাপের সঙ্গে আমাদের তৈরি অ্যাপের বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। সারের হিসাব দেওয়ার পাশাপাশি এই অ্যাপ আরও জানাবে কতোটুকু সার গাছ গ্রহণ করলো, কতোটুকু সার ভূগর্ভস্থ ও নদীর পানিতে অপচয় হলো, কতোটুকু সার অ্যামোনিয়া গ্যাস হিসেবে বায়ু দূষণে যুক্ত হলো এবং কতোটুকু সার নাইট্রাস অক্সাইড হিসেবে গ্রিনহাউজ গ্যাস তৈরি করলো। গবেষক আরও জানান, এ পর্যন্ত দেশের তিনটি স্থানে (বগুড়ার শেরপুর, কুমিল্লার চান্দিনা, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা) এই অ্যাপ দিয়ে প্রাথমিক গবেষণা করা হয়েছে। তিনটি স্থানেই আশানুরূপ ফলাফল দিয়েছে অ্যাপটি। অ্যাপটির এখনো উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। এটি সম্পূর্ণ কৃষকবান্ধব করে কৃষক পর্যায়ে প্রচারণা করা হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো দেশের সবগুলো জেলার কৃষকদের কাছে এই অ্যাপটি পৌঁছে দেওয়া। বর্তমানে প্রযুক্তির এই যুগে আমাদের তৈরি এই অ্যাপটি স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৪

সরিষাবাড়ীতে যমুনা সার কারখানায় ফের উৎপাদন বন্ধ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানায় ফের উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে।  সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে গ্যাস-সংকটের কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যমুনা সার কারখানা দেশের একমাত্র দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত চাপে গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর উৎপাদন বন্ধ করেছিল কর্তৃপক্ষ। টানা ৭২ দিন বন্ধ থাকার পর সংকট কাটিয়ে একই বছরের ১ নভেম্বর গ্যাস সরবরাহ পেলে ২ নভেম্বর ফের উৎপাদনে শুরু করে কারখানাটি। এ ঘটনার ৭৫ দিন পর সোমবার সকাল থেকেই গ্যাস-সংকট দেখা দেয়। দুপুরে গ্যাসের চাপ একেবারে নেমে গেলে বিকাল ৩টায় উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। শুরুতে কারখানাটির ১৭০০ মেট্রিক টন উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও গ্যাস-সংকটের কারণে বর্তমানে ১৩৫০ মেট্রিক টন উৎপাদন করতে পারছে। এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় বেলা ৩টায় উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে আবারও উৎপাদনে যাবো।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়