• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধর্ম-কর্মে সময় কাটছে চিত্রনায়ক মেহেদির
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোট দিতে এসেছিলেন একসময়ের আলোচিত চিত্রনায়ক মেহেদি। এ সময় তিনি কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জানান দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের আঙিনায় না থাকার কারণও। মেহেদি বলেন, ধর্মীয় কাজে এখন সময় দিচ্ছি। যাচ্ছি নিয়মিত তাবলিগ জামাতেও। মানুষ হয়ে যেহেতু জন্মেছি, ধর্ম-কর্ম তো করতেই হবে। সেটা এখন খুব মনোযোগ সহকারে করছি।  ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে নিজের প্রতিভার আলো ছড়ানো এই অভিনেতা এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। তবে চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাননি। তিনি বলেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে আমার চারটি চলচ্চিত্র মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে

‘রিয়াল মাদ্রিদে আমার বিদায়ের সময় কেঁদেছিলেন আনচেলত্তি’
লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। যেখানে ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছে এক ঝাঁক তারকা ফুটবলার। তবে ডিফেন্ডিং মিডফিল্ডে ভরসার অন্যতম প্রতীক ছিলেন ক্যাসেমিরো। প্রতিপক্ষের আক্রমণকে রুখে দিয়ে দলের আক্রমণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। ক্লাব ক্যারিয়ারে একটি দীর্ঘ সময় রিয়ালে কাটিয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। ৯ বছর ক্লাবটির সঙ্গে থাকার পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন ক্যাসেমিরো। সম্প্রতি রিয়াল থেকে নিজের বিদায়ের মুহূর্তের কথা স্মরণ করে ক্যাসেমিরো জানিয়েছেন, তার ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে কেঁদেছিলেন রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ক্যাসেমিরো বলেন, আমি এটি আগে কাউকে বলিনি। আমি শুধুমাত্র একবার ম্যানচেস্টারে যাওয়ার বিষয়ে ভাবছিলাম। আমার মনে আছে, এটা ছিল শুক্রবারের বিকেল এবং এটা (ইউনাইটেড ট্রান্সফার) আমার স্বাক্ষর ছাড়াই করা হয়েছিল। মানুষ জানতো যে, এটা (চুক্তি) সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আনচেলত্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তার অফিসে গিয়েছিলাম এবং সে ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতো। আমি দরজা খুললাম এবং যখন তার দিকে ঘুরে তাকালাম, দেখলাম আনচেলত্তি কাঁদছিলেন। আমি তাকে বলেছি, আপনি কাঁদতে পারেন না। অন্য কেউ কাঁদতে পারে কিন্তু আপনি কাঁদতে পারেন না। সে সময় রিয়াল বস আনচেলত্তি ক্যাসেমিরোকে বলেছিলেন, আমি কেন কাঁদছি জানি না। তবে আমি তোমাকে খুব পছন্দ করি এবং আমি চাই না তুমি চলে যাও।   ক্যাসেমিরো আরও বলেন, সেই মুহূর্তে আমি বুঝতে পেরেছি, এখানে কত মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আমি আগেই আমার কথা দিয়ে ফেলেছিলাম। আমার কথা অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৬

‘এই চরিত্রের জন্য মেকআপ নিতে এবং তুলতে ৫ ঘণ্টা সময় লাগত’
গেল ঈদে মুক্তি পেয়েছে ঢালিউডের ১১টি সিনেমা। এর মধ্যে অন্যতম হিমেল আশরাফ নির্মিত সিনেমা ‘রাজকুমার’। এতে শাকিব খানের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।  তবে এই সিনেমায় মাহির চরিত্রটি করার বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল। এমনকি সেসময়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এটা নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। তবে ছবিটি মুক্তির আগেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর থেকেই পর্দায় মায়ের চরিত্রে মাহিকে দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন দর্শকরা।   সিনেমাটি মুক্তির পর মাহির চরিত্রটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। অনেকেই বৃদ্ধ মায়ের চরিত্রে অভিনেত্রীর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। তবে মেকআপ নিয়ে মন্তব্য করেছেন সিনেমাপ্রেমীদের একাংশ।  সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মাহি। চিত্রনায়িকা বলেন, ফেসবুকে অনেকেই আমাকে নিয়ে রিভিউ দিয়েছেন, অনেকেই তো দেখছি প্রশংসা করছেন। দু-একজন মেকআপের ব্যাপারে কথা বলেছেন। কিন্তু শুটিংয়ের সময় মেকআপ নিয়ে আমার কাছে সমস্যা মনে হয়নি। তাছাড়া এই চরিত্রের জন্য আমার মেকআপ নিতে আড়াই ঘণ্টা লাগত, তুলতেও আড়াই ঘণ্টা। উপযুক্তভাবেই মেকআপ করা হয়েছিল। জানা গেছে, মাহিকে নিয়ে শুটিং হয় রাঙ্গামাটির সাজেকের লোকেশনে। শাকিবের ৬৫ বছরের মায়ের চরিত্রে মাহিকে তৈরি করতে ভারত থেকে মেকআপশিল্পীকে আনা হয়েছিল। চরিত্রটি নিয়ে মাহি বলেন, আমি গতানুগতিক চরিত্র থেকে একটু বের হয়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। বলিউডে দীপিকা যদি মায়ের চরিত্র করতে পারে, তাহলে আমি করলে সমস্যা কোথায়?  আমার কাছে মনে হয়, হিমেল আশরাফ নির্মাতা হিসেবে নিজেকে যথেষ্ট প্রমাণ করেছেন। তিনি আমাকে যখন চিন্তা করেছেন, আমার বিশ্বাস তিনি আমাকে ওইভাবেই উপস্থাপন করবেন। তাই কাজটি করেছি। এছাড়া সিনেমার প্রযোজক আরশাদ আদনান আমাকে কাজটি করার জন্য বলেছেন, তাই করেছি। বৃদ্ধ মায়ের চরিত্রটি করতে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে জানিয়ে মাহি বলেন, সিনেমায় সন্তানের সঙ্গে বৃদ্ধ মায়ের কথোপকথনের জায়গাটা খুবই আবেগময়। চরিত্রটি করার সময় আমার সন্তান ফারিশকেই কল্পনায় রেখেছি। ফলে সহজেই পর্দায় চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।    
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫

খতনার সময় শিশুর পুুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল হাজাম, ঢামেকে ভর্তি
ময়মনসিংহে শিশুর (১১) খতনা করার সময় যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন হাজাম। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোববার জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। হাজামের বিরুদ্ধে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে গ্রামের বাসিন্দা হাজাম মো. আকবর (৪৮) যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে জন্য তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান আশরাফ উল হক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটির যৌনাঙ্গের কর্তিত অংশ সময়মতো নিয়ে এলে মাইক্রোসার্জারি করে মেরামতের চেষ্টা করা যেত। স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদস্যরা শিশুটির খতনা করার উপলক্ষে রোববার বাড়িতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শিশুটিকে গোসল করিয়ে হাজামের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর শিশুটিকে একটি ছোট খাটিয়ার ওপর বসানো হয়। হাজাম মো. আকবর তার কাজ শুরু করার সময় শিশুটি চিৎকার দিয়ে ওঠে। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। তারা দেখেন, খতনা করানোর সময় হাজাম আকবর শিশুর যৌনাঙ্গ গোড়া থেকে কেটে ফেলেছেন। যন্ত্রণায় শিশুটি কাতরাচ্ছে। ব্যাপক রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ার পর শিশুটিকে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়ার মতো চিকিৎসক না থাকায় শিশুটিকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এদিকে সোমবার শিশুটির মামা মেহেদি হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যৌনাঙ্গ জোড়া দেওয়া হয়েছে। তবে তা সফল হয়েছে কি না, এখনো বোঝা যাচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি। গ্রাম্য হাজাম আকবরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি চিকিৎসার সফলতার ওপর নির্ভর করছে।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০

সিজারের সময় গৃহবধূর মৃত্যু, জীবিত নবজাতক
বাগেরহাট মোরেলগঞ্জে সিজারের অপারেশনের সময় মোসা. খুকু বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে মোরেলগঞ্জ পৌর সদরের রাইসা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।  খুকু বেগম মোরেলগঞ্জ উপজেলার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের আবু সুফিয়ানের স্ত্রী। তার আরও একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মোরেলগঞ্জ পৌর সদরের রাইসা ক্লিনিকের চিকিৎসক রাহুল দেব বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে সিজারের সময় একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর খুকু বেগম মারা যান। ঘটনার পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে স্বামীর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ওই নারীর লাশ ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়। তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, অপচিকিৎসায় এই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর বিশেষ কায়দায় সবকিছু ম্যানেজ করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য বিভাগের উপজেলা পর্যায়ের উচ্চ কর্মকর্তার আর্শিবাদ ও ক্ষমতাধর এক নেতার মালিকানাধীন এই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না। নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে ডা. রাহুল দেব বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে কয়েক বার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। রাইসা ক্লিনিকের ম্যানেজার চুন্নু মিয়ার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় জানান, খবরটি তিনি শুনেছেন। তবে কেউ তার কাছে অভিযোগ দেয়নি। এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, সিজারের সময় প্রসূতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে মৃতের স্বামীর কোনো অভিযোগ নেই।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৯

রং খেলার সময় অটোচাপায় শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পূর্ণচন্দ্র রায় নামে চার বছর বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ভোমরাদহ ইউনিয়নের জনগাঁও গেন্ডাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পূর্ণচন্দ্র গেন্ডাবাড়ি এলাকার সুভাস রায়ের ছেলে।   স্থানীয়রা জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রতিবেশীদের সঙ্গে রং খেলার সময় বাড়ি পাশের রাস্তায় একটি ব্যাটারি চালিত আটোরিকশা পূর্ণ চন্দ্রকে চাপা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৮

রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক চাপায় আইনজীবী নিহত
জামালপুরের বকশীগঞ্জে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকের চাপায় গোলাম মোস্তফা আজাদ (৬০) নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গোলাম মোস্তফা আজাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কামালপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়া চেয়ারম্যানের ছেলে। তিনি শেরপুর জেলা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌর শহরে ব্যক্তিগত কাজ শেষে পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন আইনজীবী আজাদ। এসময় তিনি মালিবাগ মোড় পার হতে গেলে বিপরীত দিক আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকসহ চালক গোলাপ মিয়াকে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আটক করেছেন। বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান,  ট্রাকের চাপায় আইনজীবী নিহতের ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৩

চায়ের দোকানে আড্ডার সময় আ. লীগ নেতাসহ তিনজনকে গুলি
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় হেলমেট পরা দুর্বৃত্তদের চালানো গুলিতে খুলনার এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিন জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলার রাজঘাট এলাকায় একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হলেন- খুলনার ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মোল্যা হেদায়েত হোসেন ওরফে লিটু (৫০), দামোদর গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা খায়রুজ্জামান সবুজ (৩২) এবং একই এলাকার যুবলীগ কর্মী নাছিম ভুঁইয়া (২৮)।  জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে আহতরা অভয়নগর উপজেলার রাজঘাটে এসে বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটি চায়ের দোকানে চান পান করে আড্ডা দিচ্ছিলেন।  রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলে করে হেলমেট পরা দুই ব্যক্তি সেখানে এসে তিনজনকে লক্ষ করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করেন। এরপর তাদেরকে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়। হেদায়েত হোসেনের পেটে, খায়রুজ্জামানের মুখে ও পেটে এবং নাছিম ভুঁইয়ার হাতে গুলি লেগেছে। অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শুভ্র প্রকাশ দাস এ ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, কী কারণে এবং কারা গুলি করেছে, এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তারা ঘটনাস্থলে আছেন। তিনজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।    
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১২

সূর্যগ্রহণের সময় রাসূল (সা.) যা করতে বলেছেন
জাহিলি যুগে মানুষ ধারণা করত, বিশ্বে কোনো মহাপুরুষের জন্ম বা মৃত্যু কিংবা দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতির বার্তা দিতে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। ইসলাম এটাকে একটি ভ্রান্ত ধারণা আখ্যায়িত করেছে এবং ‘গ্রহণ’কে সূর্য ও চন্দ্রের ওপর একটি বিশেষ ক্রান্তিকাল বা বিপদের সময় বলে গণ্য করেছে। এ জন্য সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় মুমিনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এ সময়ে অন্য কাজকর্ম বন্ধ রেখে আল্লাহর তাসবিহ পাঠ, দোয়া, সালাত আদায় প্রভৃতি আমল করে থাকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র’ আল্লাহর অন্যতম দুটি নিদর্শন। এগুলো কারো মৃত্যু কিংবা জন্মের জন্য ‘গ্রহণ’ হয় না, অতএব তোমরা যখন তা দেখবে তখন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে, তাকবির বলবে, সালাত আদায় করবে এবং সদকা করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম) সোমবার (৮ এপ্রিল) ভরদুপুরে বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সময় চাঁদের ছায়া সূর্যকে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড সম্পূর্ণ ঢেকে রাখবে। পূর্ণগ্রাস এই সূর্যগ্রহণের সময় উত্তর আমেরিকার তিন দেশে দিনের বেলাই নামবে রাতের অন্ধকার। অধিকাংশ সময়ই আমাদের দেশের মানুষেরা অত্যন্ত আনন্দ আর কৌতূহল নিয়ে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করে থাকে। অথচ বিষয়টি আনন্দের নয়, ভয় ও ক্ষমাপ্রার্থনার। সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহণের সময় হয়, তখন আমাদের হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেত। তখন তিনি সাহাবিদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। আরবিতে সূর্যগ্রহণকে ‘কুসুফ’ বলা হয়। আর সূর্যগ্রহণের নামাজকে ‘নামাজে কুসুফ’ বলা হয়। দশম হিজরিতে যখন পবিত্র মদিনায় সূর্যগ্রহণ হয়, রাসুল (সা.) ঘোষণা দিয়ে লোকদের নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাধিক দীর্ঘ নামাজের জামাতের ইমামতি করেছিলেন। সেই নামাজের কিয়াম, রুকু, সিজদাহ মোটকথা, প্রতিটি রুকন সাধারণ অভ্যাসের চেয়ে অনেক দীর্ঘ ছিল। অবিশ্বাসী বিজ্ঞানীরা প্রথমে যখন মহানবী (সা.)-এর এ আমল সম্পর্কে জানতে পারল, তখন তারা এটা নিয়ে বিদ্রূপ করল (নাউযুবিল্লাহ)। তারা বলল, এ সময় এটা করার কি যৌক্তিকতা আছে? সূর্যগ্রহণের সময় চন্দ্রটি পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে বলে সূর্যগ্রহণ হয়। ব্যস এতটুকুই! এখানে কান্নাকাটি করার কী আছে? মজার বিষয় হলো, বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় যখন এ বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু হলো, তখন মহানবীর (সা.) এই আমলের তাৎপর্য বেরিয়ে এলো। আধুনিক সৌরবিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহ দুটি কক্ষপথের মধ্যবলয়ে রয়েছে এস্টিরয়ে (Asteroid), মিটিওরিট (Meteorite) ও উল্কাপিণ্ড প্রভৃতি ভাসমান পাথরের এক সুবিশাল বেল্ট, এগুলোকে এককথায় গ্রহাণুপুঞ্জ বলা হয়। গ্রহাণুপুঞ্জের এইবেল্ট (Belt) আবিষ্কৃত হয় ১৮০১ সালে। এক একটা ঝুলন্ত পাথরের ব্যাস ১২০ মাইল থেকে ৪৫০ মাইল। বিজ্ঞানীরা আজ পাথরের এই ঝুলন্ত বেল্ট নিয়ে শঙ্কিত। কখন জানি এ বেল্ট থেকে কোন পাথর নিক্ষিপ্ত হয়ে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানে, যা পৃথিবীর জন্য ধ্বংসের কারণ হয় কি না? গ্রহাণুপুঞ্জের পাথর খণ্ডগুলোর মাঝে সংঘর্ষের ফলে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথরখণ্ড প্রতিনিয়তই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে। কিন্তু সেগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এসে জ্বলে ভস্ম হয়ে যায়। কিন্তু বৃহদাকার পাথর খণ্ডগুলো যদি পৃথিবীতে আঘাত করে তাহলে কী হবে?  এই দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় মহানবীর (সা.) সেজদারত হওয়া এবং সৃষ্টিকুলের জন্য পানাহ চাওয়ার মধ্যে আমরা একটি নিখুঁত বাস্তবতার সম্পর্ক খুঁজে পাই। মহানবীর (সা.) এ আমলটি ছিলো যুক্তিসংগত ও একান্ত বিজ্ঞানসম্মত। তাই এটিকে উৎসব না বানিয়ে আল্লাহকে ভয় করুন। সালাত আদায় করুন।  সূর্যগ্রহণের নামাজ কিভাবে পড়ব- আরবিতে সূর্যগ্রহণকে ‘কুসুফ’ বলা হয়। আর সূর্যগ্রহণের নামাজকে ‘সালাতুল কুসুফ’ বলা হয়। দশম হিজরিতে যখন পবিত্র মদিনায় সূর্যগ্রহণ হয়, রাসুল (সা.) ঘোষণা দিয়ে লোকদের নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। সেই নামাজের কিয়াম, রুকু, সিজদাসহ সব রুকন সাধারণ অভ্যাসের চেয়ে অনেক দীর্ঘ ছিল। সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকালে মুমিনদের করণীয় হচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে একত্র হয়ে সালাত আদায় করা এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকা। এ সালাত আদায় করা নফল। এই নামাজে আজান ও ইকামত দিতে হয় না। তবে লোকজন ডাকার জন্য ‘আস-সালাতু জামিয়া’ (নামাজ সমাগত) বা এ জাতীয় বাক্য ব্যবহার করে ডাকার অবকাশ রয়েছে। সমাবেশস্থলে জুমার নামাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম উপস্থিত থাকলে তিনি সূর্যগ্রহণের সালাত জামাতে আদায় করাবেন। আর ইমাম বা তাঁর প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকলে একা একা সালাত আদায় করা যাবে। এ সালাত অন্য সালাতের চেয়ে অধিক দীর্ঘ হওয়া উচিত। রাসুল (সা.) এ সালাতের কিরাত, কিয়াম, রুকু, সিজদাসহ অন্য আমলগুলোও অনেক দীর্ঘ করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এ সালাতে কিয়াম, রুকু ও রুকু থেকে দাঁড়ানো অবস্থা অত্যধিক দীর্ঘায়িত করেছেন। এমনকি কিয়াম অবস্থায় প্রায় সুরা বাকারা তিলাওয়াত করার মতো সময় অতিবাহিত করেছেন এবং রুকু থেকে দাঁড়িয়ে এর চেয়ে তুলনামূলক কম সময় অবস্থান করেছেন। আর দ্বিতীয় রাকাত প্রথম রাকাতের চেয়ে ছোট করেছেন। তিনি কিয়ামের মধ্যে কিরাত ছাড়াও তাসবিহ, তাহলিল, তাকবির, তাহমিদ, দোয়া পড়েছেন বলে অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে। সালাত আদায় শেষ হলে সূর্য পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত দোয়া করতে হয়। হানাফি মাজহাবে অন্য সালাতের মতো এ সালাতেও প্রতি রাকাতে একটি মাত্র রুকু আদায় করতে হয়। শাফিয়ি মাজহাবে প্রতি রাকাতে দুটি রুকু করতে হয়। অবশ্য হাদিসের বর্ণনাগুলোতে এ সালাতে রাসুল (সা.) দুই বা ততোধিক রুকু করেছেন বলেই উল্লেখ রয়েছে। এ সালাতের রাকাত সংখ্যা দুই। তবে চার রাকাত বা তার বেশিও আদায় করা যায়। সে ক্ষেত্রে প্রতি দুই বা চার রাকাতের পর সালাম ফিরাতে হবে। সালাতের শেষে কোনো খুতবা পড়তে হয় না। কোনো কোনো বর্ণনায় রাসুল (সা.) কর্তৃক খুতবা পাঠের কথা বর্ণিত থাকলেও তা সালাতের সংশ্লিষ্ট হিসেবে নয়; বরং তা ছিল ‘গ্রহণ’ সম্পর্কে জাহিলি যুগের ভ্রান্ত ধারণা নিরসনের জন্য দেওয়া বিশেষ বিবৃতি। (আল-আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বুখারি)
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১২

নিউইয়র্ক টাইমস হয়ে উঠবে নিউইয়র্ক সময় : এরিক এডামস
জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির কণ্ঠস্বর হতে যাত্রা শুরু করেছে নতুন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘নিউইয়র্ক সময়।’  গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিসব উপলক্ষে উদ্বোধনী সংখ্যা প্রকাশ হলেও ২ এপ্রিল অনুষ্ঠানিকভাবে পত্রিকাটির উদ্বোধন করেন নিউইয়র্ক নগরীর বর্তমান অভিবাবক সিটি মেয়র এরিক এডামস। অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র এরিক এডামসকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান আইবিটিভি ইউএসএ’র সিইও ও নিউইয়র্ক সময়ের সম্পাদক জাকারিয়া মাসুদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিলা হোসেন। পরে উডসাইডের গুলশান টেরেসে ফিতা কেটে পত্রিকার উদ্বোধন করেন এরিক এডামস। এসময় তিনি বলনে, নিউইয়র্কের বাঙ্গালি কমিউনিটি দিন দিন আরও বড় হচ্ছে। ব্রঙ্কস, কুইন্স, ব্রুকলিনে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। আরও শক্তিশালী হচ্ছে কমিউনিটি।   এরিক এডামস বলেন, আইবিটিভি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘নিউইয়র্ক সময়’ নামে সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশ করেছে। এটা কমিউনিটির উন্নয়ন, শক্তি এবং সামর্থের বহিঃপ্রকাশ। আশাকরি বাঙ্গালি কমিউনিটির ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ হয়ে উঠবে ‘নিউইয়র্ক সময়’। এখন থেকে প্রতি শুক্রবার নিউইয়র্কবাসীর হাতে পৌঁছাবে নিউইয়র্ক সময়। পত্রিকাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারম্যান নাঈমা খান ও সিইও ডা. ইভান খান, ডেমোক্রেটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর বাশার, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান,  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজাদ, মিনা সুইটসের চেয়ারম্যান রিফাতী ফারুকসহ কমিউনিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়