• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা 
বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে এ দম্পতির বিরুদ্ধে।  সোমবার (২৫ মার্চ) দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুই মামলার একটিতে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য। অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রেজাউল করিম বাবলুর স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুন একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার বিরদ্ধে ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে নিট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার নিট আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। বাকি ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে বেরিয়ে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে। গত ২০ মার্চ এ বিষয়ে পৃথক দুটি মামলার অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। রেজাউল করিম বাবলু একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। বগুড়া-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:১০

সরকারি চাকরিজীবীদের সম্পদ বিবরণী নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর দাবি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা সংশোধন করে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে দেশের প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারী জবাবদিহি থেকে দায়মুক্তির পাশাপাশি দুর্নীতি সুরক্ষিত ও উৎসাহিত হবে। এতে সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো সংস্থাটির এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বিধি বাতিলে অসাধু সরকারি কর্মকর্তাদের আরও বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হবে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি চাকরিজীবী (আচরণ) বিধিমালার প্রস্তাবিত সংশোধনী সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ও শীর্ষ পর্যায়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা ঘোষণার ঠিক উল্টো। প্রথমে প্রতি বছর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও সরকারি কর্মচারীদের অনীহার মুখে পরে তা শিথিল করে তা পাঁচ বছর পর পর দেওয়ার বিধান করা হয়। সেই বিধানও সঠিকভাবে পালনে অনাগ্রহ ছিল তাদের। চাকরির শুরুতে সম্পদের বিবরণী দিলেও পাঁচ বছর পর পর হিসাব হালনাগাদের বাধ্যবাধকতার গুরুত্বই দেন না সরকারি কর্মচারীরা। এখন এই বাধ্যবাধকতা সরিয়ে দেওয়ার অর্থ প্রকারান্তরে সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে উঠতে উৎসাহ দেওয়া বলে মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি মনে করেন, সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার মতো কোনও বিধান না থাকলে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নির্ভয়ে দুর্নীতি ও এর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুযোগ বাড়বে। একইসঙ্গে প্রাপ্য সেবা পেতে সরকারি অফিসে ভোগান্তি বাড়বে জনগণের। অবৈধ অর্থ লেনদেন বহুগুণে বাড়বে এবং সুশাসিত সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিতের স্বপ্ন ব্যর্থ হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পদের হিসাব সরাসরি নিয়মিত জমা ও হালনাগাদের পরিবর্তে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে দেওয়া বার্ষিক আয়কর রিটার্ন থেকে নেওয়ার যে যুক্তি, বাস্তবে তা অর্থহীন দাবি করে বলেন, ‘আয়কর আইন, ২০২৩’ অনুযায়ী তা সম্ভব নয়। আইনের ৩০৯(২) ও ৩০৯(৩) ধারা অনুযায়ী কোনও কর্তৃপক্ষ কোনও সরকারি কর্মচারীকে এই আইনের অধীনে কোনও ট্যাক্স রিটার্ন, অ্যাকাউন্ট বা নথি উপস্থাপন, সাক্ষ্য বা প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপনের আদেশ দিতে পারে না। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি বা বৈধ আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ আহরণের অভিযোগে কোনও ব্যক্তির আয়কর বিবরণী আদালতের নির্দেশ ছাড়া দেখতে পারবে না। ফলে জবাবদিহির মুখোমুখি হওয়ার বদলে এই সংশোধনীর মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারীরা নতুন সুরক্ষা পাবে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বিবৃতিতে বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বিধান রহিত করে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের খসড়া সংশোধনী যাচাইয়ের পর এটি এখন প্রশাসনিক উন্নয়নবিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ : স্টোর কিপারের ৩ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সাবেক স্টোর কিপার হামিদুর রহমান মণ্ডলকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও ৭ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় দেন। এ দিকে আসামি আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার আগেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান। বিচারক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আসামি হায়দার আলীর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা রংপুরের গুড়াতিপাড়া। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিশেষ পিপি হারুন উর রশীদ। তিনি জানান, আসামি হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।  মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডল রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত থাকা কালে অবৈধভাবে নিজের ও স্ত্রীর নামে কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। রংপুর নগরীতে তার তিন তলা আলিশান বাড়ি, বেশ কয়েকটি প্লট এবং নওগাঁয় বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কিনে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ঘটনায় রংপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১১ সালের ২৭ জুলাই দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন।  পরে তার নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানার অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৫

দাম বাড়ল গ্যাসের, বিদ্যুতেও আছে দুঃসংবাদ
গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে জ্বালানি বিভাগ। আর সচিবালয়ে বিদ্যুতের নতুন দাম নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।  নতুন দাম নির্ধারিত হলেও গ্রাহক পর্যায়ে অবশ্য আগের মতোই থাকবে গ্যাসের দাম। গ্যাসের এই দাম বাড়ানো হয়েছে শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে। তবে, বিদ্যুতের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হতে যাচ্ছে গ্রাহকদের ওপরও।   জ্বালানী বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে৷ একইসঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের গ্যাসের দামও প্রতি ঘনমিটার ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার। ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ দাম কার্যকর বলে গণ্য হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের নতুন দাম হবে ১৪ দশমিক ৭৫ টাকা। অন্যদিকে শিল্পের ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম হবে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা। প্রজ্ঞাপন জারির আগে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।  তার বক্তব্য অনুযায়ী, গ্রাহক পর্যায়েও প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। আর এ নতুন দাম কার্যকর হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই। প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এই নতুন দাম কার্যকর হবে। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩১

রমজানের আগেই দাম বাড়ছে বিদ্যুতের 
আসন্ন মার্চ থেকে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুতের দাম। এই দফায় দাম বাড়বে ৫ শতাংশ। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে আগামী মাস থেকেই। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে দেশেও ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম।  এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দামও বাড়ানো হবে। তবে আবাসিকে গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।   আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করার প্রয়াস হিসেবে রমজান শুরুর আগেই এ পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।   মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে বাড়লেও গ্যাসের দাম শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদনেই বাড়বে।  মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়ে গেছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে। আগে ডলার ৭৮ টাকায় পাওয়া যেত, এখন প্রায় ১২০ টাকার মতো হয়ে গেছে। প্রতি ডলারে প্রায় ৪০ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। এতে বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দাম সমন্বয় জরুরি হয়ে পড়েছে।  তবে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বড় গ্রাহকদের জন্য দাম বাড়ানো হবে যাতে কম ব্যবহারকারীরা ভর্তুকি মূল্যে বিদ্যুৎ পায়। জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, মার্চ মাস থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত করা হবে জ্বালানি তেলের দাম। নতুন দর মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কার্যকর হবে। আইএমএফের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পুরোপুরি ভর্তুকিমুক্ত করতে হবে। সরকারও এ ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ
বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজার ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যে তিনি ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি নিয়ে গড়ে তুলেছেন রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে লন্ডনের উত্তর-পশ্চিম এলাকায় একটি প্রপার্টি ১১ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে একদমই কাছে অবস্থিত ওই প্রোপার্টিটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের সবথেকে ধনী এলাকায় অবস্থিত। এই প্রপার্টির মালিক বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বর্তমানে ওই প্রোপার্টির দাম ১৩ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি।  বাংলাদেশে যে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে, এর অধীনে কোনো নাগরিক, বাসিন্দা ও সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি দেশের বাইরে পাঠাতে পারেন না। এ ছাড়াও নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ ও অনুমোদন ছাড়া কোনো করপোরেশনও বিদেশে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে না। ২০১৬ সাল থেকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্যে প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি প্রোপার্টির রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। এসব প্রোপার্টির মধ্যে রয়েছে লন্ডনের একদম কেন্দ্রে থাকা বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার কয়েকটি অ্যাপার্টমেন্টও। ইংল্যান্ডের সবথেকে বড় বাংলাদেশি কমিউনিটির বাস এই টাওয়ার হ্যামলেটসেই। লিভারপুলে কিছু ছাত্রাবাসও রয়েছে তার। গত ডিসেম্বরে প্রাক-নির্বাচনী ঘোষণায় সাইফুজ্জামান তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫৮ দশমিক তিন মিলিয়ন টাকা (দুই দশমিক চার মিলিয়ন ডলার) এবং তার স্ত্রী রুখমিলা জামানের মোট সম্পদের পরিমাণ নয় লাখ ৯৩ হাজার ডলার বলে জানান। তিনি বাংলাদেশে সম্পদের ঘোষণাপত্রে তার যুক্তরাজ্যের সম্পদের পরিমাণ দেখাননি। মন্ত্রী হিসেবে ২০২২-২৩ সালে তার বেতন প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড হিসাবে দেখানো হয়। যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর প্রায় আড়াইশ প্রপার্টির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছে ব্লুমবার্গ। যখন এই প্রপার্টিগুলো কেনা হয়, তখন যুক্তরাজ্যজুড়ে তীব্র আবাসন সংকট চলছিল এবং এর ৯০ ভাগই ছিল সদ্য তৈরি নতুন বাড়ি। এই লেনদেনগুলি এমন একটি সময়ের মধ্যে ঘটেছিল যখন বৃটিশ সরকার বিদেশি সম্পত্তির মালিকানাকে আরও স্বচ্ছ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হকের সঙ্গে কথা বলছে ব্লুমবার্গ। মেজবাউল হক সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য না করে বলেন, ‌‘বাংলাদেশে বসবাসরত অবস্থায় একজন ব্যক্তির বিদেশে সম্পদ অর্জনের কোনো বিধান নেই। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, আমরা ব্যক্তিদের এ ধরনের কিছু করার অনুমতি দিই না।’ ব্লুমবার্গ তাদের প্রতিবেদনে উল্লিখিত কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, যাদের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর জন্য সম্পত্তি কেনার সঙ্গে জড়িত আর্থিক সেবা ও আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। যে সংস্থাগুলো এর জবাব দিয়েছে তারা জানায়, এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তবে বাণিজ্যিক গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিস্তারিত মন্তব্য দেয়নি তারা। বাংলাদেশের বাইরে তার সম্পত্তির মালিকানা বা তার সম্পদের ঘোষণা নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে ব্লুমবার্গ কোনো সাড়া পায়নি। তবে, ২০১৪ সালে ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন, ‘আমি খালি হাতে এসেছি এবং আমি খালি হাতে চলে যাব।’ পরে ২০১৯ সালে তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৪০

‘ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আ.লীগকে বিজয়ী করেছে’
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে দেখিয়ে দিয়েছেন। জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছেন এদেশের জনগণ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।  শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে শরীয়তপুরের সখিপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ফলে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বে অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন।  তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নতি হয়েছে। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দুর্বার ছুটে চলা এক বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। এক নতুন বাংলাদেশের রূপকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দিয়ে ক্যারিশমেটিক এ নেত্রী পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরেক রেকর্ড গড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নড়িয়া-সখিপুরের মানুষ প্রমাণ করেছে, তারা বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও নৌকার প্রশ্নে কখনো আপস করে নাই। আগামী দিনেও আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নড়িয়া-সখিপুরকে স্মার্ট এলাকায় রূপান্তরিত করবো, ইনশাআল্লাহ। সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এরআগে সকাল থেকেই সখিপুর ও চরভাগা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে কর্মকাণ্ড দেখেন এবং এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এনামুল হক শামীম।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৩

পঞ্চগড় প্রাণী সম্পদ হাসপাতাল / ভুল চিকিৎসায় ছাগলের মৃত্যুর অভিযোগ
পঞ্চগড়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে কম্পাউন্ডারের ভুল চিকিৎসায় ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় চত্তরে চিকিৎসকের অবহেলায় তার ছাগলের মৃত্যুর অভিযোগ তুলেন সদর উপজেলার মীরগড় এলাকার দরিদ্র রংমিস্ত্রী আব্দুর রহমান লিটন। পরে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। লিটন জানান, অসুস্থ হয়ে পড়লে দুটি ছাগল চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপতালে। তবে সেখানে কোনো চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। অফিসের ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট এসে চিকিৎসা দেয়। সেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু তাতে কোন উন্নতি না হওয়ায় আবারো মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ছাগল দুটি নিয়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে হাজির হন লিটন। দুই ঘন্টা পরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কম্পাউন্ডার রেজাউল করিম এসে তার ছাগলের চিকিৎসা শুরু করে।  ব্রঙ্কোভেট নামের একটি সিরাপ এনে খাওয়াতে বলেন। ওই সিরাপ খাওয়ানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই মারা যায় একটি ছাগলটি। ছাগলটির পেটে ৫ মাসের বাচ্ছা ছিলো।  নিজের কষ্টে পালিত ছাগলটির এমন মৃত্যুতে চোখে জল চলে আসে লিটনের। সেই সাথে ক্ষোভ ঝারতে থাকেন প্রাণী সম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের প্রতি। পরে মৃত ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি। তিনি বলেন, এই অফিসে দুই দিনেও আমি কোন ডাক্তার পাইনি। ডাক্তারের সহকারীরা এসে চিকিৎসা দেয়। তাদের ভুল চিকিৎসা আর অবহেলায় আমার ছাগলটি মারা গেলো। গরু ছাগল আমাদের গরিবের সম্পদ। ছাগলটি বাজারে নিলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা দাম হতো। এতো কষ্ট করে পালন করা পর চিকিৎসার অভাবে পশু মারা গেলে কি কষ্ট, যার যায় সেই জানে। আমি এর বিচার চাই। এদিকে রেজাউল করিম স্বাক্ষর করে ঔষুধের লিস্ট লিটনের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। শুধু লিটনই না প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা আর অনিয়মে ক্ষুব্ধ জেলার খামারিরাও। খামারিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম ঠিক মতো অফিস করেন না। ভেটেনারি সার্জন ডা. মরিয়ম রহমান আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। তাই হাসপাতালে অসুস্থ পশু নিয়ে আসলে চিকিৎসা দেন কমাউন্ডার বা ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্টরা। এভাবেই চলছে হাসপাতালটির কার্যক্রম।  অন্যদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামকে খামারিরা চিকিৎসার জন্য ডাকলে মোটা অঙ্কের ভিজিট দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন খামারিরা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বড় খামারিদের বিশেষ সুবিধা দেয়া, ব্যক্তিগত কাজে মোবাইল ভেটেনারি ক্লিনিকের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে গণ অভিযোগ করেন খামারিরা। পঞ্চগড় সদর উপজেলার জালাসী এলাকার খামারি মো. সোহেল বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে ডাকলে ১০০০ টাকা ভিজিট দিতে হয়। ভিজিট না দিলে তারা আসে না। মডেলহাট এলাকার এক গরিব খামারি তাকে ভিজিটের টাকা দিতে না পারলে গাড়ি চালক দিয়ে তার খাসি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে রেখে যেতে বাধ্য হন। ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট রেজাউল করিম বলেন, আমি ইউএলও স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করি। স্যারের নির্দেশনায় চিকিৎসা দেই। শ্বাসকষ্টের কারণে ছাগলটি মারা গেছে। আমি স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে আছি। চিকিৎসা দেয় স্যার আমি জাস্ট স্যারের এডভাইস ফলো করি। এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা  ডা. শহিদুল ইসলামের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। এমনকি তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:০৪

‘গ্যাসের সংকট দু-একদিনের মধ্যে দূর হবে’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও ঢাকার গ্যাস সংকট আগামী দু-একদিনের মধ্যে দূর হবে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের (এফএসআরইউ) মধ্যে একটিকে মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। তা দেশে ফিরেছে তবে কাজ শুরু করার সময় কিছু সমস্যা দেখা গেছে। আমাদের দ্বিতীয় এফএসআরইউটিতেও সমস্যা দেখা গেছে। আজকে দুটি এফএসআরইউ-ই চালু থাকলেও একটি আবার ডকিংয়ে চলে যাবে। যেটি মেরামত হয়ে এসেছে, সেটি পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, আশা করি আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট পরিস্থিতি ভালো হবে। সংকটটি একটা আকস্মিক বিষয়। এমনিতেই শীতের সময় বিশেষ করে বাসা বাড়িতে গ্যাসের রান্নাবান্নার কাজে সমস্যা দেখা দেয়। নসরুল হামিদ বলেন, এ মুহূর্তে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৮০০ এমএমসিএফ। আমরা ৩ হাজার ২০০ এমএমসিএফের মত সরবরাহ দিতে পারি। শিল্প এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের একটা গ্যাপ রয়েছে। গ্যাস না থাকায় আমাদেরকে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। আমরা আশা করছি, এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। ‘নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের শিল্প কারখানাগুলো কোনো গ্যাসই পাচ্ছে না’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,  আজকের দিনটা একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীকাল সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই এলপিজি ব্যবহার করে। শিল্প কারখানা বাদে আমাদের গ্যাসের গ্রাহক ২০ থেকে ২৫ লাখ। তাদেরকে ধীরে ধীরে আমরা মিটারের মধ্যে নিয়ে আসছি। ইতোমধ্যে সাড়ে চার লাখ মিটার লাগানো হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে সব মিটার লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থের জন্য গ্যাস মিটার লাগাতে দেরি হচ্ছিল, সেই অর্থের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি এবং জেবি ফাইন্যান্স করছে। এরই মধ্যে ঢাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ, জালালাবাদ ৫০ হাজার ও কর্ণফুলীতে আড়াই লাখ মিটার লাগানোর কাজ চলছে। নসরুল হামিদ বলেন, বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপরও আবার অবৈধ লাইন হচ্ছে। এসব অবৈধ লাইনের কারণে বড় এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির পাইপ লাইনের গ্যাস এবং এলপিজির সিলিন্ডারে দামের মধ্যে পার্থক্য নিরসনে বিইআরসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া ১০০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি খবর নিব।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৫

‘মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয়’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহে জ্বালানি তেলের দামে স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় চালু হবে। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও গ্যাসের জন্য স্বয়ংক্রিয় দাম নির্ধারণ শুরু হবে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ও যুদ্ধের কারণে জ্বালানি আমদানিতে ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, আমদানি কমিয়ে লোডশেডিং দিতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে গোলযোগ শুরু হলে পরিস্থিতি অন্যদিকে যেতে পারে। তিনি বলেন, সামনের গ্রীষ্মে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ছাড়াতে পারে। বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি দিতে পারলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে। আর এর জন্য অর্থের জোগান একটা বড় বিষয়। এ মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ মোটামুটি একটা জায়গায় আসবে। আগামী সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।  গ্যাস সংকটের বিষয়ে নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাস আমাদের সামনে একটি বৃহৎ চ্যালেঞ্জ। শীতের প্রকোপে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এফেসারিও (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) চালু হবে। আমাদের টার্গেট হচ্ছে আগামী মার্চের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা। সামনে আমাদের রমজান মাস আসছে, রমজানকে সামনে রেখে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, কোনো দিন বা তারিখ ঠিক না করে আমরা কাজের গুরুত্বের স্তর ঠিক করে ফেলছি। বিশেষ করে জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভালো সংবাদ এই যে, ইতোমধ্যে আমরা যে কয়টি কূপ খনন করেছি সবগুলোতেই গ্যাস পেয়েছি। অনেক কূপ ছোট হলেও ভালো অবস্থায় রয়েছে। ভোলা থেকে বরিশাল পাইপলাইন তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমরা এ কাজ এ বছরই শুরু করব। তিনি আরও বলেন, ভোলা থেকে সিএনজি গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে আরও বাড়বে। নিজস্ব গ্যাসের উত্তোলন ও সরবরাহ বৃদ্ধিতে এ বছর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। আমরা চাইছি আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে এ ৪৬টি কূপের খনন কাজ শেষ করতে, পরে আরও ১০০ কূপ খনন করতে। ২০২৪ ও ২৫ সালের মধ্যে আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাসের জোগান দিতে পারব। ২০২৬ ও ২৭ সালের দিকে আমাদের আরও দুটি এফেসারিও সংযুক্ত হবে। নসরুল হামিদ বলেন, আমরা মনে করছি ২০২৭ সালের দিকে আমাদের চাহিদা প্রায় ৬ হাজার এমএমসিএফডি বাড়বে। যেভাবে শিল্পকারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের চাহিদা থাকবে সেভাবে ম্যানেজমেন্ট করা হবে। পেট্রোবাংলা এ সংক্রান্ত ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন মাস্টারপ্ল্যানে হাত দিয়েছে। আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে এটা শেষ হবে। নতুন করে আমাদের আরও ১.৬ টিসিএফ গ্যাসের সম্ভাবনা দেখা গেছে। এগুলো নিয়েও কাজ চলছে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়