• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফাটল ধরিয়ে ‘দরবেশ’ সেজে নিজেই দিতেন সমাধান
দরবেশ বাবা সেজে বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মাগুরা জেলা ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় পৃথক অভিযানে গ্রেপ্তারের সময় চক্রটির কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪১টি মোবাইল ফোন, বিপুলসংখ্যক সিমকার্ড ও ডিজিটাল আলামত উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় তারা। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, খিলগাঁও থানার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। তিনি বলেন, চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে প্রতারণা করত। এই চক্রটি স্বামী-স্ত্রীর নম্বর সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে কলহ তৈরি এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলুব্ধ করে প্রতারণা করত। বিজ্ঞাপনে ভাগ্যবদল, পাওনা টাকা আদায়, মামলায় জেতানো, পারিবারিক সমস্যা সমাধান এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারার কথা বলা হতো। এরপর বিজ্ঞাপনে দেওয়া নম্বরে কেউ যোগাযোগ করলে শুরু হতো পকেট কাটা। চমকপদ এমন বিজ্ঞাপন দেখে সম্প্রতি প্রতারণার শিকার হয়েছেন এক নারী চিকিৎসক।  সিআইডি জানায়, বিজ্ঞাপনে দরবেশ বেশধারী এক ব্যক্তি নিজেকে সৌদি আরবের মসজিদে নববীর ইমাম পরিচয় দিয়ে বলছেন, তিনি কোরআন হাদিসের আলোকে মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করেন। বিজ্ঞাপনটি মন কাড়ে ওই নারী চিকিৎসকের। পরে বিজ্ঞাপনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। অপর প্রান্তে থাকা ‘দরবেশ বাবা’ বেশধারী ব্যক্তি সুন্দরভাবে কথা বলে তার পারিবারিক সমস্যা শুনতে চান। ভুক্তভোগী চিকিৎসক তার পরিবারের সমস্যার কথা কথিত দরবেশ বাবার কাছে তুলে ধরলে তিনি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বাবার ওপর আস্থা রাখো। তোমাকে মা বলে ডাকলাম। আজ থেকে তুমি আমার মেয়ে। তবে কিছু খরচ লাগবে। খরচের কথা কাউকে জানালে সমস্যার সমাধান তো হবেই না, বরং সমস্যা আরও বাড়বে। ‘এরপর ওই নারী চিকিৎসক ভণ্ড দরবেশের কথায় তার ভক্ত হয়ে যান। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন সময়ে অলৌকিক সমস্যার কথা বলে প্রলোভন ও ভয়-ভীতির মাধ্যমে মোট ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক চক্র। পরে এমএফএস নম্বরের সূত্র ধরে মাগুরা জেলা থেকে আশিকুর রহমান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তার দেওয়া তথ্যমতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে কথিত দরবেশ পরিচয়দানকারী ১৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, চক্রটি ২০২০-২১ সাল থেকে এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে চক্রটি এমএফএস নম্বরে টাকা হাতিয়ে নিত।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৪

কালার করে চুলের দফারফা, যে উপায়ে করবেন সমাধান
ফ্যাশানের যুগে অনেকেই চুলে পছন্দের রঙ করান। আর এতেই তৈরি হয় সব ঝামেলা। সঠিক পরিচর্চা না করলে চুলের হাল বেহাল হয়ে যায়, চুল একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। চুল রুক্ষ হয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায় চুলের মানও। শুরু হয় চুল পড়া। একই সঙ্গে হারাতে শুরু করে চুলের সৌন্দর্য। তাই এই সময় চুলের প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। এক্ষেত্রে ঘরোয় উপায়েই নিতে পারেন চুলের যত্ন। তার জন্য কী করতে হবে জেনে ঝটপট যত্ন নিন চুলের। জেনে নিন উপায়গুলো- >> সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হলো চুলের রুক্ষভাব কাটানো। তার জন্য মাথায় তেল ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল অনেকেই তেলের নাম শুনলে নাক সিঁটকোন ঠিকই। তবে তারা হয়তো জানেন না যে চুলের জন্য তেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে দু থেকে একদিন ক্যাস্টর অয়েল গরম করে চুলে লাগালে দূর হবে রুক্ষভাব। >> এ ছাড়া ব্যবহার করতে পারেন কারিপাতার তেল। নারকেল তেলের মধ্যে কয়েকটি কারিপাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এ বার এটি ছেঁকে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে তারপর চুলে প্রয়োগ করুন। >> মাথায় মাখতে পারেন ডিম। এতে চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে। হেনার সঙ্গে মিশিয়েও ডিম মাখতে পারেন। এতে আরও ভালো ফল পাবেন। >> সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শ্যাম্পু করুন। এবং শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। এ ছাড়া ব্যবহার করতে ভুলবেন না হেয়ার মাস্কও। 
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৫

অল্প বয়সে মুখে বলিরেখা? সমাধান এই ঘরোয়া ফেসপ্যাকেই
কফি এবং কলা, এই দুই উপাদান কিন্তু ত্বকের জন্য খুব উপকারি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কফি এবং কলার তৈরি ফেসপ্যাকের জুড়ি মেলা ভাড়। কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। এই মিশ্রণের ফেসপ্যাক মুখমন্ডলের মধ্যে জমে থাকা মৃতকোষগুলোকে দূরে সরিয়ে ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কফি ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না। আর কলা ত্বক করে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। আর এই দুই উপাদান যখন মিলে যায়, তখন ম্যাজিক তৈরি হয়।  সব ধরনের স্কিনের জন্যই কলা-কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করা যায়। ঘরোয়া উপায়েই বানিয়ে নিতে পারেন কলা-কফির ফেসপ্যাক। ত্বকের যেকোনও সমস্যার সমাধান ঘটবে এই ফেসপ্যাকের গুণে, এমনটাই আশ্বাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন ফেসপ্যাক তৈরির নিয়ম জেনে নেওয়া যাক- ১) হালকা গরম পানিতে এক চামচ কফি মিশিয়ে নিন। রাতে শোয়ার আগে এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের বলিরেখা কমবে। ২) শুষ্ক ত্বকে দারুণ কাজ করে কলা। একটা কলাকে চটকে নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে নিন। তার মধ্যে কফি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ঝকঝকে হয়ে উঠবে। ৩) হাঁটু, কনুই, বগলে যদি কালো ছাপ পড়ে তাহলে কলার খোসায় মধু, লেবুর রস মিশিয়ে ঘষে নিন। দেখবেন দ্রুত কালো ছোপ দূরে হবে। ৪) দিন দিন ঠোঁটের রং কালো হয়ে যাচ্ছে? কোনও চিন্তা নেই। কলার ছোট টুকরো করে নিন। তার মধ্যে অল্প কফি মিশিয়ে নিয়মিত ঠোঁটে লাগালেই কালো ছোপ দূর হবে। ৫) চোখের তলায় কালো ছোপ দেখা দিলে কফির সঙ্গে মধু মিশিয়ে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ভাল করে ধুয়ে নিন। ৬) কলার খোসার মধ্যে কিছু পরিমাণ কফি এবং মধু ঢেলে দিন। সেই খোসাটা নিয়ে স্ক্রাবারের মতো করে মুখে ঘষতে থাকুন কয়েক মিনিট। এতে ত্বক ঝকঝকে হবে এবং বলিরেখা পড়বে না। ৭) শুধু ত্বকের যত্ন নয়, চুলের যত্নেও কফি আর কলা দারুণ কাজ করে। উষ্ণ পানিতে কফি মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের গোড়া শক্ত হবে।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩১

উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভোটাধিকার প্রয়োগই একমাত্র সমাধান
মা, মাটি ও মানুষের আস্থা ভালোবাসার নীড় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। শত সঙ্কট মোকাবেলায় বাঙালি জাতি কখনো তাবেদার, দখলদারদের কাছে মাথা নত করেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সমাগত। ৭ জানুয়ারি এ মহারণ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ যেনো নির্বিঘ্নে ও উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাই এখন কাম্য। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের উদ্যোগও প্রশংসনীয়। ইতোমধ্যেই এ উদ্যোগ নির্বিঘ্ন করতে সরকার বিজিবি, র‌্যাব ও আনসারসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে  এ লক্ষ্যে নিরলস ভাবে তারা কাজ করে যাচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এসব উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে। হয়রানি ছাড়াই এবার জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।  রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন ও রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে থাকতে হলে, প্রয়োজন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যেখানে সকল গণতন্ত্রকামী দল ও মতের লোকদের অংশগ্রহণ থাকবে। গণতন্ত্রে এর বিকল্প নেই।  বাংলাদেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এই দলগুলোর মধ্যে ৩০টি দলেরমত এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। বিএনপির সাবেক বেশ কিছু নেতা নিজ দল ও বিশ্বাস ছেড়ে এতে অংশগ্রহণ করছে। তবে বিএনপি সরাসরি নির্বাচনে আসলে, গণতন্ত্রের জন্য ভালো হতো। নির্বাচন একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধক প্রক্রিয়া। তাই বিএনপি এতে না এলেও, সুষ্ঠুভাবে তা সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের প্রধান দায়িত্ব। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ছাড়াও এতে, জাতীয় পার্টিসহ অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সুতরাং একটি প্রতিযোগিতা পূর্ণ নির্বাচন আমরা  দেখতে পাব ইনশাআল্লাহ। অতীতে দেখা গেছে সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায়, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবেও কাজ করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই আধা সামরিক বাহিনী বিপদসংকুল ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় নির্বাচনের সময় জনগণের অণুকুলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে ভোটে অংশগ্রহণ সহায়ক হয়। গত ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে ১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত সেনাবাহিনী নির্বাচনী মাঠে থাকবে। নির্বাচন কমিশনের সভায় সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ফ্রি, ফেয়ার ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে তারা নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। নির্বাচন কমিশনকে ওনারা আশ্বস্ত করেছেন যে, সশস্ত্র বাহিনী জাতির যেকোন সংকট মোকাবেলায় সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ২০২৪ সালের নির্বাচনে ২০১৪ অথবা ২০১৮ সালের প্রদত্ত ভোটারের সংখ্যা থেকে অনেক বেশি হবে।  একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে বিএনপি অবরোধ কর্মসূচিও পালন করছে এবং নির্বাচনে যাতে জনগণ ভোট না দেয়, তার জন্য প্রচারণার মাধ্যমে প্রয়াস চালাচ্ছে। অবরোধ কর্মসূচির সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহনে এবং রেলওয়েতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সরকার বারবারই বলছে যে বিএনপির অবরোধের ফলে জনজীবনে এর কোন প্রভাব নেই এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমি আশাবাদী নির্বাচনে জয়ী হয়ে, আগামীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের নেতৃত্বে ইনশাআল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। এর ফলে দেশের নাগরিকরা তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং এতে টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত হবে। এ উন্নয়নটা কোন একটা গোষ্ঠী বা শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। সমাজের একেবারে প্রান্তিক স্তরের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এর সুবিধা পৌঁছে যাবে। প্রতি বছর সাধারণত ৫ লাখ থেকে ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট করা হয়। এর মধ্যে এক থেকে দেড় লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করা হয় শুধুমাত্র সামাজিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে। এই অর্থ ব্যয় করা হয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে দারিদ্র পীড়িত মানুষের কাজে। এখানে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। উক্ত অর্থ গৃহহারাদের জন্য গৃহায়ণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যা চলমান। প্রধানমন্ত্রী এই কাজগুলো সরাসরি তত্ত্বাবধানও করছেন এবং উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে একটি সবুজ বাংলাদেশ, একটি টেকসই উন্নয়নের বাংলাদেশ, একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নকে বলতে পারি এবং এর উন্নয়নের ফলে সকলের কাছে সুফল পৌঁছবে। সেই বাংলাদেশ আমরা আগামীতে অবশ্যই দেখতে পাব।  নির্বাচনের পর নানা ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ বা স্যাংশন আসতে পারে, বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। যারা স্যাংশনের কথা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে স্যাংশন সম্পর্কে তাদের ধারণা অনেক কম। আমার বিশ্বাস, কোনো বাধা আমাদের অগ্রগতিকে থামিয়ে রাখতে পারেনি ১৯৭১ সালে এবং এখনও পারবে না। সুতরাং এগুলো নিয়ে চিন্তিত হবার কিছুই নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ। অনেক ইনডেক্সে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শক্তিই হচ্ছে দেশের জনগণ। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কষ্টসহিষ্ণু, সাহসী, দৃঢ় প্রত্যয়ী মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা তরুণ ভোটারদের প্রতি রইলো, আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা। পরিপূর্ণ আস্থার সঙ্গে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ অতীতের অন্ধকার পেছনে ফেলে এখন আলোকিত ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন আলোর পথের যাত্রী, উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিশারী, যা আমাদের ২০৪১ সালের উন্নত দেশে রূপান্তর করবে ইনশাআল্লাহ।  আসুন আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হই। লেখক: উপাচার্য, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এবং সাবেক উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়