• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিএসএমএমইউয়ের বিদায়ী ভিসির সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষের মুহূর্তে তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন আওয়ামীপন্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সংগঠনের শিক্ষকরা। এতে আরও অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরা। এ সময় শরফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ডাক্তার রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি বিষয়টা শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব। ২৮ মার্চ উপাচার্য শরফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক। মেয়াদ শেষের আগে উপাচার্য শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা। সংগঠনটির চিকিৎসকদের অভিযোগ, আগের নিয়োগগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিদায়ের মুহূর্তে আরো শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অ্যাডহকের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ বাণিজ্যের এই অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার থেকে স্বাচিপের নেতারা বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, “বেশ কিছুদিন আগে ভিসি হিসেবে নতুন ভিসি দীন স্যারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি আসার কারণে একটি অংশ বিরোধীতা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কেন্দ্রীয় ও বিএসএমএমইউয়ের স্বাচিপের নেতৃত্ব দিচ্ছি, এ সকল স্বাচিপ কর্মীদের সবার কথা একটাই- নেত্রী যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাকেই আমরা ভিসি হিসেবে মন থেকে মেনে নিয়েছি, স্বাগত জানিয়েছি। তিনি বলেন, সাধারণত ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর আগের ভিসি শুধুমাত্র দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতোপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে এই নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কোনোক্রমেই সিন্ডিকেট বসতে দিব না, যার কারণে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ করছি। বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠানে কোনো দুর্নীতি করতে দেওয়া হবে না। আগামী ভিসি স্যার সুন্দরভাবে দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ তৈরি করে ক্যম্পাস পরিচালনা করবেন বলে আমরা আশা করছি। উনার প্রতি আস্থা আছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তটাও আগেই নেওয়া হয়েছে। এখন যারা বিরোধীতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসে নাই। সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫

তুরস্কে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মারামারি, ফিফার কড়া হুঁশিয়ারি
ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে ঘটে থাকা নানা ধরনের ঘটনার সাক্ষী হয় দর্শকরা। এবার তুরস্কের সুপার লিগের ম্যাচ শেষে মাঠে ঢুকে খেলোয়াড়দের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছে সমর্থকরা। এই ঘটনা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  গত রোববার (১৬ মার্চ) ত্রাবজোন্সপোর বিপক্ষে ফেনেরবাচের ৩-২ গোলে জয়ের পর ঘটে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোর পরপরই মাঠ ঢুকে পড়েন স্বাগতিক ত্রাবজোন্সপোরের সমর্থকরা।  তারা সফরকারী দলের খেলোয়াড়দের ওপর আক্রমণ শুরু করে। আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা আক্রমণ করেন ফেনেরবাচের খেলোয়াড়রাও। এতে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় মারামারি।  ঘটনার সময় তোলা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একদল সমর্থক মাঠে ঢুকে জয়ের উচ্ছ্বাস করতে থাকা ফেনেরবাচের খেলোয়াড়দের দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ খেলোয়াড়দের মারতে উদ্যত হন। ফেনেরবাচের খেলোয়াড়েরাও কয়েকজন সমর্থকের দিকে তেড়ে যান। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনেরবাচের বেলজিয়ান ফুটবলার মিচি বাতসুয়াই এক সমর্থককে লাথি মারছেন। একই সময় দলটির নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় ব্রাইট ওসাই–স্যামুয়েল ঘুষি মেরেছেন ত্রাবজনস্পোরের এক সমর্থককে। ত্রাবজনস্পোরের সমর্থকেরাও থেমে থাকেননি। এক সমর্থক কর্নার ফ্লাগ হাতে নিয়ে ফেনেরবাচের এক খেলোয়াড়কে শাসাতে থাকেন। একজন তো ফেনেরবাচের গোলকিপার দমিনিক লিভাকোভিচের মুখে ঘুষি বসিয়ে দেন। এমন ঘটনার পর তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন এ ঘটনাকে ‘মেনে নেওয়ার মতো নয়’ বলে উল্লেখ করেছে। তবে তুরস্কের ফুটবলে চলতি মৌসুমে এমন ঘটনা প্রথম নয়। গত ডিসেম্বরে আঙ্কারাগুকু ও রিজেস্পোর ম্যাচে রেফারি উমুত মেলেরকে মাঠে আক্রমণের পর এক সপ্তাহ লিগ স্থগিত ছিল। অন্যদিকে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো বলেন, ত্রাবজোন্সপোর ও ফেনেরবাচের মধ্যকার ম্যাচের যে সহিংসতা দেখা গেছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। মাঠে বা মাঠের বাইরে, আমাদের খেলায় বা সমাজে এর কোনো স্থান নেই।  তিনি বলেন, যে খেলা সারা বিশ্বের অনেক মানুষের জন্য আনন্দ বয়ে আনে, সেটা খেলার জন্য সব খেলোয়াড়কে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখতে হবে।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:২৮

সমর্থকদের থানা থেকে মুক্ত করেই অবরোধ তুলে নিলেন লতিফ সিদ্দিকী 
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিজয়ী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর চার সমর্থক‌‌কে গ্রেপ্তারের পর আন্দোলনের মুখে ছে‌ড়ে দিয়েছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৯ জানুয়া‌রি) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর ছোট ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কা‌দের সি‌দ্দিকী পুলিশের সঙ্গে মধ্যস্ততা করে গ্রেপ্তার ছয় সমর্থকের মধ্যে চারজনকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন।  এর আগে গতকাল সোমবার রাতে কা‌লিহাতী উপ‌জেলার নাগবাড়ী ইউনিয়‌নের চেয়ারম‌্যান কাইয়ুম বিপ্লবের বা‌ড়ি ভাঙচুর ও বল্লা এলাকায় অফিস ভাঙচু‌রের মামলায় সা‌বেক ইউপি চেয়ারম‌্যান হাসমত আলী, সমর্থক নুর, হৃদয় ও খোকাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  এ ঘটনায় দুপুর ১২টার দিকে সা‌বেক মন্ত্রী ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকে বিজয়ী আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী তার সমর্থক হাসমত আলীসহ ছয়জন‌কে গ্রেপ্তা‌রের প্রতিবা‌দে নেতাকর্মীদের নিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মন‌সিংহ মহাসড়ক ও থানা ঘেরাও ক‌রেন। এ সময় টাঙ্গাইল-ময়মন‌সিংহ মহাসড়‌কের প্রায় ১০ কি‌লো‌মিটার এলাকাজু‌ড়ে যানজটের সৃ‌ষ্টি হ‌য়।  চরম ভোগা‌ন্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালক‌রা। দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে আসেন ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর ছোট ভাই বঙ্গবীর কা‌দের সি‌দ্দিকী। তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে থানায় ঢুকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তিনি গ্রেপ্তার হাসমত আলী, নুর, হৃদয় ও খোকাকে নিয়ে থানা থেকে বের হয়ে আসেন। পরে আন্দোলনরত বড় ভাই আবদুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকীর কা‌ছে তা‌দের বু‌ঝি‌য়ে দেন। এ সময় তিনি উত্তে‌জিত কর্মী-সমর্থক‌দের কর্মসূচি প্রত‌্যাহার ক‌রে স‌রে যে‌তে ব‌লেন। তারা থানা ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।  এ সময় কা‌দের সি‌দ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সি‌দ্দিকীসহ উপ‌জেলা আওয়ামী লীগ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লী‌গের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  কা‌লিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ফারুক বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরু‌দ্ধে মামলা ছিল। আসামি‌দের গ্রেপ্তা‌রের পর কেন ছাড়া হলো—এমন প্রশ্ন করা হলে ওসি কোনো মন্তব‌্য ক‌রতে রাজি হননি। বঙ্গবীর কা‌দের সি‌দ্দিকী ব‌লেন, নির্বাচন পরবর্তী উত্তেজনা কাম্য নয়। এখানে উভয়পক্ষের ভুল-বোঝাবুঝি ছিল। ছে‌ড়ে দেওয়া চারজন‌কে স‌ন্দেহমূলকভা‌বে আটক করা হ‌য়ে‌ছিল। বা‌কি দুইজন‌কে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌বে তা‌দের আজ‌কেই জা‌মি‌নের ব‌্যবস্থা হ‌য়ে যা‌বে। 
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৭

ঝিনাইদহে নৌকার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা
ঝিনাইদহে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১০ জন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও সুরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর সদরের ওই ৩টি গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে সোমবার সকালে মহুলের সমর্থক পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের অনুসারীরা পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থক জেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়িসহ তার অনুসারীদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও শুরাপাড়া গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দেওয়ায় তাদের হামলায় নারীসহ আহত হন অন্তত ১০ জন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, ৩টি গ্রামে কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

নৌকা ও স্বতন্ত্র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ২
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনের আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এবং কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে  দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ভোটকেন্দ্রের বাইরে পুলিশ বিজিবি ও র‌্যাবের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেয়ামত উল্লাহ। তিনি বলেন, আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মিজান উদ্দীন খান জানান, এ কলেজের চার কেন্দ্রে মোট ভোটার ১১ হাজার ১৫৩ জন। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‌্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৪

নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে জাল ভোটের অভিযোগ ডলি সায়ন্তনীর
আজ সকাল ৮টা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। ভোট শুরুর পর অভিযোগ করেছেন পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএমের প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী।  তিনি বলেন, আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে জোরপূর্বক নৌকায় ভোট নেওয়া হচ্ছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে লাইভে এসে এই অভিযোগ করেন ডলি। ফেসবুক লাইভে এই গায়িকা বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত কাগজ দেওয়া হচ্ছে। ভোটাররা সেই কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় গ্রাম প্রধানরা তাদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে বলছে। সুজানগরের মোহাম্মদদীয়া দাখিল মাদরাসা, মানিকহাট, সুজানগর পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছে। জোর করে ভোট কেটে নিচ্ছে। নোঙর মার্কার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে। লাইভে ডলি এমন ভোট বন্ধ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি যে সকল কেন্দ্রে এভাবে ভোট নেওয়া হয়েছে সেই কেন্দ্রগুলো বন্ধের দাবি জানান এই গায়িকা। ফেসবুক লাইভের পর গণমাধ্যমে ডলি বলেন, সব জায়গায় নৌকার লোকজন জাল ভোট দিচ্ছে। সব জায়গায় আমি গিয়ে নিজ হাতে ধরেছি। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি কেন্দ্রে সকাল ১০টার মধ্যেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে গেছে। এভাবে চললে কোনোভাবেই এটাকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যায় না। আমরা এমন ভোট বন্ধ চাই।   এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ আহম্মেদ ফিরোজ কবির বলেন, এভাবে আন্দাজে অভিযোগ না দিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। কোনো কেন্দ্রেই নৌকার পক্ষে জোরপূর্বক ভোট নেওয়া হচ্ছে না। আর জোরপূর্বক ভোটের অভিযোগ করলে সেটা আমার দিকে নয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অন্যদিক বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি একটি কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। কোনো প্রকার অনিয়ম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। 
০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৮

নিক্সন চৌধুরীর গাড়ি বহর দেখে জাফর উল্লাহর সমর্থকদের বৈঠা মিছিল
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের গাড়ি বহর দেখে আচমকাই বৈঠা মিছিল করেছে নৌকার প্রার্থী জাফর উল্লাহর সমর্থকরা। বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিক্সন চৌধুরী সদরপুর উপজেলার ঢেউখালি থেকে পথসভা শেষে মানিকদহ ইউনিয়নে যাচ্ছিলেন। তখন নৌকা স্লোগান দিয়ে নিক্সন চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। আরও পড়ুন : ইতিহাসে আজকের এই দিনে   এ বিষয়ে নিক্সন চৌধুরী বলেন, কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব পরাজয় জেনে আজকে আমার গাড়ির সামনে বৈঠা মিছিল করে। তাদের কাছে রাম দাসহ ধারালো অস্ত্র ছিল, এটা কি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না? পেয়াজখালির শিশু খার নেতৃত্বে মিছিল হয়। তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসী। এটা আচরণ বিধি লঙ্ঘন না? যদি হয় তাহলে এটার ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা আমাকে অবরুদ্ধ করে আমার গাড়ি বহরে হামলার চেষ্টা করে। এ সময় আমার লোকজন ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে। আরও পড়ুন : প্রয়োজনে প্রশাসনকে সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী : ইসি সচিব   তিনি বলেন, আমি প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করেছি। এতে যদি আইনশৃঙ্খলার অবস্থার অবনতি হয়, তাহলে কিন্তু দায় প্রশাসনের। আমরা ধৈর্য ধরে আছি, কোনো ষড়যন্ত্র হলে কিন্তু ঘরে বসে থাকব না। আমরা কিন্তু খেলতে জানি, পরিস্থিতি অন্যদিকে নিয়েন না। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে দেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩

চাঁদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে আবারও নির্বাচনী প্রচারে বাধা ও হামলার অভিযোগ করেছেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান। এ হামলায় ঈগল প্রতীকের পাঁচজন আহত হয়ে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।  বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্ল্যাপুর ইউনিয়নের পাঠান বাজারে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাশার বাবুল, রাশেদ মেম্বারের নেতৃত্বে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থীর। আরও পড়ুন : ডিএমপির কাছে যা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদল   জানা যায়, আজ সন্ধ্যায় মতলব উত্তর উপজেলার পাঠান বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসানের অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্পের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থকরা। এ সময় তারা এম ইসফাক আহসানের ১০ থেকে ১৫ জন কর্মী-সমর্থককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে ৫ জন গুরুতর আহত মুক্তিরকান্দি গ্রামের মো. শরিফ সরকার (৩৮), একই গ্রামের জাকির হোসেন সরকার (৫১), আলমগীর সরকার (৩০), রাহিম সরকার (২২) এবং উত্তর শ্যামনগর গ্রামের মো. হারুন রশিদ প্রধানকে গুরুতর আহত অবস্থায়  মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি করা হয়। আরও পড়ুন : রেললাইনের ফিস প্লেট খোলার সময় ২ সহোদর আটক এছাড়াও বিকেলে বাগান বাড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসানের গালিমখাঁ এলাকায় উঠান বৈঠকে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করলে, সেখানে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে উঠান বৈঠক শেষে সেখানে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে নৌকার সমর্থিত কর্মীরা।  এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার নিজ বাড়ি উপজেলার লতরদী গ্রামে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি বলেন,  ৪ ডিসেম্বর থেকে মতলবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে নৌকার সমর্থকরা। দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ভাংচুর করছে তারা। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে নৌকা সমর্থকরা। তাই এখনি মতলবকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হোন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিস্কার নির্দেশনা, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে হবে। সুতরাং আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। আমাকে যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে ঈগল প্রতীকে একটি করে ভোট দিয়ে মতলবকে সন্ত্রাস থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন।  
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩২

নৌকা ও ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, থমথমে অবস্থা
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের ঈগল প্রতীকের প্রচারণায় অংশ নেওয়া লোকজনের ওপর হামলা ও গুলি বর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ অভিযোগ করেন, নৌকা প্রাতীকের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে কয়েকশ কর্মী এই হামলা চালিয়েছেন। হামলাকারীরা রামুর জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্সকে মারধর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় চেয়ারম্যান আহত হয়েছেন।  বুধবার (৩ জানুয়ারী) বিকেলে রামুর জোয়ারিয়ানালা মাদরাসা গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জোয়ারিয়ানালার চেয়ারম্যান কামাল শামসুউদ্দিন আহমদ প্রিন্স অভিযোগ করেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মাদরাসা গেইটে তিনিসহ অন্যান্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই সময় কয়েকটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে নৌকার প্রার্থী এমপি কমলের নেতৃত্বে কয়েক শত কর্মী গাড়ি থেকে নেমে লাঠিসোটা হাতে এগিয়ে এসে মারধর শুরু করেন। এ সময় জনতা তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেলে এমপি নিজেই ৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান। ঘটনার জেরে উত্তেজিত জনগণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘটনাস্থলে পুলিশ-বিজিবি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।   চেয়ারম্যান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, জোয়ারিয়ানালা এলাকায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি এখন শান্তিপূর্ণ। রামু থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু তাহের দেওয়ান জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। জড়ো হওয়া লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম পালের নেতৃত্বে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। উল্লেখ্য, এর আগে ২৭ ডিসেম্বর রামু বাইপাস এলাকায় ঈগলের একটি প্রচারগাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন ১২ জনকে আসামি করে রামু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।    
০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়