• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আর সত্যি কথা বলবেন না আবুল কালাম আজাদ
নাটোর-১ (লালপুর) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনে খরচ করা এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তোলার ঘোষণা দিয়ে এখন তোপের মুখে৷ সংবিধান ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তার শাস্তি দাবি করছেন অনেকে৷ এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি যে কথা বলেছি তা সত্য এবং সরল বিশ্বাসে বলেছি৷ তবে এখন মনে হচ্ছে সব সত্য কথা এভাবে বলতে নাই৷ ভবিষ্যতে এভাবে সত্য কথা বলবো না৷ আবুল কালাম আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন৷ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ নাটোরের লালপুর উপজেলায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য আবুল কালম আজাদ বলেন, নির্বাচনে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ এটা আমি তুলবো, যেভাবেই হোক৷ এটুক অন্যায় আমি করবোই৷ তাপর আর করবো না৷ তিনি আরো বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি৷ ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি কিনেছি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে৷ ইচ্ছা করলে আমি এক কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারতাম৷ কিন্তু আমার যেহেতু টাকা নাই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম৷ এবার আমি কিনবো, ওই টাকা দিয়ে কিনবো৷ ওই টাকা আমি তুলে নেবো৷ পরে আর কিছু করবো না৷ খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলবো৷ সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার বলেন, আমি একজন আইনজীবী৷ এছাড়া আমার আয়ের আর কোনো উৎস নাই৷ অনেক লোককে সহায়তা করতে হয়৷ করোনার সময় অনেককে সহায়তা করেছি৷ এখন আবার পাঁচ বছর করতে হবে৷ আমি কোথায় টাকা পাবো? এক প্রকল্পের টাকা আরেক প্রকল্পে নেবো৷ এক প্রকল্প থেকে টাকা বাঁচিয়ে সেই টাকা দিয়ে মানুষকে সহায়তা করবো৷ এগুলোও দুর্নীতি, অনিয়ম৷ কিন্তু এছাড়া তো আর উপায় নাই৷ তার কথা, সংসদ সদস্য হিসেবে আমার পাঁচ বছরের বেতন-ভাতা এক কোটি ২৬ লাখ টাকা৷ সেই টাকা তো নির্বাচনে খরচ করে ফেলেছি৷ তাই আমি সেই টাকা তোলার কথা বলেছি৷ আর এটা সত্য যে, নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের সীমা থাকলেও আমার এক কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে৷ সেটা তো আমি বলতে পারবো না৷ তবে আমি ওই কথা বলেছি মানুষকে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝানোর জন্য৷ এটা ছিল কথার কথা৷ আমি শেষে বলেছি যে, আমি দুর্নীতি করবো না৷ তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে আমি বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছি৷ আমি ছাড়া আর কোনো প্রার্থী ছিল না৷ তখন আমার নির্বাচনে কোনো টাকা খরচ হয়নি৷ এবার তো হয়েছে৷ ওই ধরনের কথা আইন ও সংবিধানের লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে সব সত্য কথা এভাবে প্রকাশ্যে বলতে নেই৷ এটা আমি বুঝতে পেরেছি৷ বুঝতে পেরেছি যে, কিছু কথা গোপন রাখতে হয়৷ ভবিষ্যতে এভাবে সত্য কথা আর বলবো না৷ ওই আসনের সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মো. শহীদুল ইসলাম বকুল এবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান৷ তিনিও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি৷ তার মতে, এমপি সাহেব যা বলেছেন তাতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত৷ আমি নিজেও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ দেখি তার বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কিনা৷ তার কথা, আবুল কালাম সাহেব এরকম কথা আগেও বলেছেন৷ ২০১৪ সালে বিনা ভোটে এমপি হয়ে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর লালপুরের প্রধানমন্ত্রী আমি৷ এরপর তিনি দল থেকে আর মনোনয়ন পাননি৷ তিনি বলেন, একজন আইন প্রণেতা হয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি যা বলেছেন, তা আমাদের স্বাধীনতার চেতনা এবং সংবিধানের লঙ্ঘন৷ আশা করি, দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে৷ বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আসলে দেশে যে আইনের শাসন নেই সেটা ওই এমপি সাহেবের বক্তব্যের পর আবারও প্রমাণিত হলো৷ কারণ, তিনি সংবিধানের অধীনে শপথ নেয়ার পর দুর্নীতি করার কথা বলেছেন, এটা সংবিধান লঙ্ঘন ছাড়াও ফৌজদারি অপরাধ৷ তিনি একজন আত্মস্বীকৃত অপরাধী৷ কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷ যেখানে তিনি ওই কথা বলেছেন, সেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেছেন ইউএনও৷ তিনিও কোনো আইনগত উদ্যোগ নেননি৷ দেশে এখন আইনের শাসন নাই৷ আওয়ামী লীগ যা করবে, তাই আইন৷ ওই এমপি সাহেব স্বতন্ত্র হলেও তিনি আওয়ামী লীগেরই লোক৷ তার কথা, এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়৷ তাই এদের কোনো জবাবদিহিতা নাই৷ এরা দুর্নীতি করে৷ এবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতি শুরু করেছে৷ আর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হেসেন বলেন, এমপি সাহেব ওই কথা যদি বলে থাকেন, তাহলে তা দুঃখজনক৷ তারপরও তিনি কী ব্যাখ্যা দেন তা দেখার আছে৷ তার কথা, এখন নির্বাচন কমিশন দেখতে পারে যে, তার ওই কথার ওপর ভিত্তি করে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কিনা৷ আর দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি৷ হয়ত পরবর্তী সভায় বিষয়টি নিয়ে আলাপ হবে৷ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ৷ তারপরেও সব পর্যায়ে দুর্নীতি আছে৷ সেটা রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সবখানেই৷ সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ওই এমপি যেহেতু নিজেই স্বীকার করছেন যে, তিনি ২৫ লাখ টাকার বেশি নির্বাচনে খরচ করেছেন৷ আর হিসাব দিচ্ছেন ২৫ লাখ টাকার৷ এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারেন৷ আর দুর্নীতি করার ঘোষণা দিয়ে তিনি দেশের প্রচলিত আইনেই অপরাধ করেছেন৷ এটা স্পিকার বা অন্য কোনো সংস্থা দেখতে পারে৷ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক বলেন, তিনি সংবিধান ও আইনের লঙ্ঘন তো করেছেনই, একই সঙ্গে আমাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্ব তার কথায় প্রকাশ হয়েছে৷ তার মতে, সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ মতে, ওই এমপির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে পারেন স্পিকার৷ তিনি বিষয়টি সংসদেও তুলতে পারেন অভিশংসনের জন্য৷ আর নির্বাচন কমিশন ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করার কথা তিনি যেহেতু স্বীকার করছেন, তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে৷ দলেরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন৷ আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যেভাবেই হোক ওই এমপি সাহেব মুখ ফসকে সত্য কথা বলে ফেলেছেন৷ বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও খারাপ৷ তার কথা, উনি যেহেতু নির্বাচনে নির্ধারিত সীমার বেশি খরচ করেছেন এবং সেই টাকা আবার দুর্নীতির মাধ্যমে তোলার কথা বলেছেন এটা নৈতিক স্খলন৷ এটার জন্য তিনি দণ্ডিত হতে পারেন৷ যেহেতু তিনি শপথ নিয়েছেন তাই সংসদকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ স্পিকার যদি নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাঠান, তাহলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে বাধ্য৷
৩০ মার্চ ২০২৪, ১১:১৬

অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা খবরটি সত্যি নয়
মিয়ানমার সীমান্তে চলমান উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রকাশিত খবরটি সত্যি নয়। সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে এবং কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইয়ামিন হোসেন।  এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়ামিন হোসেন জানান, সেন্টমার্টিন পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাকী রুটে পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন। এদিকে, টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আদনান চৌধুরী বলেন, পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। টেকনাফ রুটে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং এই রুটে অন্য কোনো উপায়েও চলাচল করা যাবে না। তবে, কক্সবাজার বা চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এই রুটে যেতে পারবে। নোট: উক্ত বিষয়ে ভুল তথ্যের কারণে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ হয়। সঠিক তথ্য জানার পরে আরটিভি অনলাইন সংবাদটি সংশোধন করে। একই সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার’ বিষয়টি শনাক্ত করে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৮

বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির উদ্বোধনের আতশবাজির ট্রাকে আগুনের খবরটি সত্যি নয়
ভারতের বাবরি মসজিদের জায়গায় বহুল আলোচিত রামমন্দির উদ্বোধনের আগেই অনুষ্ঠানের আতশবাজির ট্রাকে আগুন লেগেছে। প্রকাশিত খবরটি সত্যি নয়।  ট্রাকটি অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের জন্য আতশবাজি বহন করছিল না বরং উত্তর প্রদেশের দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি পরিবহন করছিল। ভারতীয় গণমাধ্যম ও স্থানীয় পুলিশ ট্রাকটি উত্তর প্রদেশের দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি পরিবহণ করছিল বলে নিশ্চিত করেছে। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফারণের এ দৃশ্য ধারণ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আগামী সোমবার অযোধ্যার আকাশে যে আতশবাজি জ্বলার কথা ছিল তা এক সপ্তাহ আগেই দেখে ফেলেন উন্নাওবাসী। জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি আতশবাজি বোঝাই ট্রাক নম্বর TN 28 AL 6639 পূর্বা থানার অন্তর্গত খড়গিখেদা গ্রামের কাছে অজ্ঞাত কারণে আগুন ধরে যায়। ট্রাকটি তামিলনাড়ু থেকে বাহরাইচ যাচ্ছিল এবং এতে দোকানে সরবরাহের জন্য আতশবাজি, শিশুদের পোস্টার, চলচ্চিত্র শিল্পীদের পোস্টার এবং ধর্মীয় পোস্টার বোঝাই করা ছিল। অর্থাৎ ট্রাকটিতে অযোধ্যার মন্দিরের অনুষ্ঠানের আতশবাজি পরিবহন করা হচ্ছিলনা। নোট: উক্ত বিষয়ে ভুল তথ্যের কারণে ‘বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির উদ্বোধনের আতশবাজির ট্রাকে আগুন’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ হয়। সঠিক তথ্য জানার পরে আরটিভি অনলাইন সংবাদটি সংশোধন করে। একই সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান ‘বুম বাংলাদেশ’ বিষয়টি শনাক্ত করে।  
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৩

অবশেষে শাকিবের নায়িকাকে নিয়ে ওঠা গুঞ্জন সত্যি হলো
ওপার বাংলার নায়িকা ইধিকা পাল। বাংলাদেশে শাকিব খানের সাথে একটি সিনেমা করে বেশ আলোচনায় চলে আসেন। সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ দিকে তাকে নিয়ে নতুন গুঞ্জন শুরু হয়। শোনা যায়, ঢালিউড সুপারস্টারের পর টলিউড সুপারস্টার দেবের নায়িকা হতে চলেছেন তিনি। আরও পড়ুন: ছবি প্রকাশ করে তোপের মুখে ‘মা’ নাটকের সেই ঝিলিক সেসময় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে পরিচালক সুজিত দত্ত ওরফে রিনোর পরবর্তী ছবিতে জুটি বাঁধবেন দেব-ইধিকা। পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ছবি হবে এটি। নাম ‘খাদান’। তখন বিষয়টি নিয়ে তেমন কিছু বলেননি এই অভিনেত্রী। তবে, নতুন বছরের প্রথম দিন-ই অবসান টেনেছেন জল্পনার। সামাজিক মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন, গুঞ্জনটি সত্য। ‘খাদান’ ছবিতে দেবের সঙ্গে পর্দা ভাগ করতে চলেছেন তিনি। আরও পড়ুন: নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করছেন অপু বিশ্বাস বছরের পয়লা দিন-ই প্রকাশ্যে এসেছে ‘খাদান’-এর ফার্স্ট লুক। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে সেটি শেয়ার দিয়ে ইধিকা লিখেছেন, টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ডেবিউ কাজের প্রথম লুক পোস্টার শেয়ার করছি। এখানে সুপারস্টার দেবের বিপরীতে অভিনয় করছি আমি। অ্যাড্রেনালাইন-পাম্পিং থ্রিলস ও হার্ট-স্টপিং অ্যাকশনের জন্য প্রস্তুত হোন। কারণ, আমরা সবচেয়ে বড় অ্যাকশন ও বিনোদনমূলক ছবি নিয়ে আসছি। এই বছরই আসছে ‘খাদান’। প্রসঙ্গত, জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল রিমলির হাত ধরে ছোট পর্দায় প্রথম অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল ইধিকার। পরবর্তীতে জি বাংলারই  আরো একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক পিলুতে দ্বিতীয় প্রধান নায়িকা রঞ্জা চরিত্রে অভিনয় করে নিজের সাবলীল অভিনয় গুণেই তিনি মন জয় করে নিয়েছিলেন বাংলা সিরিয়ালের দর্শকদের। কলকাতার বাংলা টেলিভিশনে মাত্র দুই সিরিয়াল করেই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ইধিকা।  
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়