• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অতিরিক্ত সচিব পদে ১২৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি
জনপ্রশাসনে ১২৭ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে। প্রায় এক বছর পর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।  সোমবার (২২ এপ্রিল) পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, এবার নিয়মিত বিসিএস ব্যাচ হিসেবে ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। ১৮তম ব্যাচ ছাড়াও এবার আগেরবার পদোন্নতি না হওয়া একাধিক ব্যাচের কর্মকর্তাদেরও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সবশেষ গত বছরের মে মাসে প্রশাসনের ১১৪ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছিল। প্রায় এক বছর পর এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রক্রিয়া চলছিল। নিয়মানুযায়ী পদোন্নতি পাওয়া অতিরিক্ত সচিবদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। এখন তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে যোগ দেবেন। তারপর পৃথক আদেশে তাদের পদায়ন করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে উপসচিব পর্যায়েও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই পদে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ৩০তম বিসিএসের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। উপসচিব পদে সাধারণত প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৫

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব যেদিন আসতে পারেন ঢাকায়
আগামী মে মাসের শুরুর দিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকায় আসতে পারেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। রোববার (২১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের স্থগিত হওয়া সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তাদের কিছু সমস্যার কারণে আপাতত সফর স্থগিত হয়েছে। কিন্তু আগামী মাসের প্রথম দিকেই রিশিডিউল হওয়ার কথা রয়েছে। বিনয় কোয়াত্রা ঢাকায় এলে তার মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। বৈঠকে আলোচনায় বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের লেভেলে যখন বসা হয়, তখন আমরা সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে আসছেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তা বলতে পারব না। গত ২০ এপ্রিল এক দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের। কিন্তু হঠাৎ করেই সফরটি স্থগিত করে দিল্লি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৬

শনিবার ঢাকা আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা আগামী শনিবার (১৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ সফরে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে হিসেবে তিনি এ সফরে আসছেন বলে জানা গেছে। সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিনয় মোহন কাত্রা। কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, জুনের প্রথম সপ্তাহে ভারতের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন।  প্রধানমন্ত্রীর এই সফর আগামী জুন অথবা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হবে। কূটনৈতিক সূত্রে আরও জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের আগে ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে।  সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমস্ত দিক, সম্ভাব্য এমওইউ এবং চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন বিনয় মোহন কাত্রা। দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুদেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত-সম্পর্কের সব দিককে এগিয়ে নিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৮

সিইসির বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে যা জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তবে তা আরও বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে কথা বলেছে মন্ত্রিসভা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং নির্বাচন কমিশনারদের জন্য উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা নির্ধারণের বিধান রেখে খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদেরকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৪ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান এবং নির্বাচন কমিশনারদের জন্য উচ্চ আদালতের বিচারপতির সমপরিমাণ বেতন-ভাতা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাবেক সিনিয়র সচিব ছিলেন। সর্বশেষ তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। সেখান থেকে ২০১৭ সালে অবসরে যান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগ মুহূর্তে কাজী হাবিবুল আউয়াল সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেদিক থেকে হাবিবুল আউয়াল একজন সৎ এবং দক্ষ আমলা হিসেবে সুপরিচিত। বিসিএসের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা তার আগে ধর্ম, সংসদ সচিবালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছিলেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৯

ইসরায়েলে ইরানের হামলা : প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর বিশ্বজুড়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।  সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হামলার ঘটনার পর এর প্রতিক্রিয়া মোকাবিলায় যার যার খাত, সবাইকেই প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বাণিজ্য কিংবা অর্থনীতির কথা সুনির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি। সবাইকেই প্রস্তুতি নিতে বলেছেন এবং এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। এক্ষেত্রে যাতে কোনোকিছু ‘রিঅ্যাকটিভ’ না হয়, বরং ‘প্রোঅ্যাকটিভ’ হতে বলেছেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, যেমন—তেলের দাম বাড়লে প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কী করব, সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৫

প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন দুই মেয়র
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এতে বলা হয়েছে, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, স্ব স্ব পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন) প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাপ্রাপ্য হবেন।    তাদের সম্মানিভাতা ও অন্য সুবিধা স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।   প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩১

‘ঈদে ছুটি না বাড়লেও ঐচ্ছিক নেওয়ার সুযোগ থাকবে’ 
আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ হলেও ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।  সোমবার (১ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মাহবুব হোসেন বলেন, এবারের রমজান ৩০ দিন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর ফলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। আর সে হিসেবেই ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল সরকারি ছুটি। আগামী ৮ ও ৯ তারিখ নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকছে না। তবে কেউ চাইলে এই ‍দুইদিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারেন।  এর আগে, এদিন সকালে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের ছুটি একদিন (৯ এপ্রিল) বাড়ানোর সুপারিশ করলে তা নাকচ করে দেয় মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিসভা বলেছে, এমনিতেই এবার অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯ এপ্রিলও যুক্ত করা হলে ছুটি দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। তবে যারা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা চাইলে ছুটি নিতে পারেন। তাদের সেই অধিকার আছে। উল্লেখ্য, এবারের ঈদে টানা ৫ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল ছুুটির পাশাপাশি ১৩ এপ্রিল (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। পরের দিন আবার বাংলা নববর্ষের (১৪ এপ্রিল) ছুটি। এভাবে টানা ৫ দিন ছুটি থাকবে।  
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৪

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যু যেন এক নক্ষত্রের পতন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদান করেছি দু’দিন হলো মাত্র; আমার রিপোর্টিং বস প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব স্যারের সঙ্গে পরিচয়ের পর খুব ফর্মাল কিছু কথাবার্তা হয়েছে। অফিসে কাজ করছি এমন সময় স্যারের টেলিফোন। রাশভারী কণ্ঠস্বর, ‘ইমরুল, তুমি কি অফিসে?’ তটস্থ হয়ে উত্তরে বললাম, ‘ইয়েস স্যার।’ আবার সেই মায়াবী কণ্ঠ, ‘তোমার গাড়ি কি অফিসে আছে?’ আমার প্রত্যুত্তর, ‘ইয়েস স্যার।’ স্যারের আবারও প্রশ্ন, ‘তুমি কি এখন বাইরে কোথাও যাবে?’ আমার উত্তর, ‘নো, স্যার।’ অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে স্যার আমাকে আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ভাবি দেশের বাইরে থেকে কিছুক্ষণের মধ্যে এয়ারপোর্টে নামবে; তোমার গাড়িটি কি একটু পাঠাতে পারবে?’ ক্যাডার সার্ভিসের অফিসার হিসেবে বসের সার্বক্ষণিক নির্দেশ পালন করতেই অভ্যস্ত আমরা; এ পরিস্থিতিতে স্যারের ভদ্রতা পরম মুগ্ধতায় গ্রাস করল আমাকে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম হেলাল স্যারের সঙ্গে আমার পথ চলা শুরু। ১০ মার্চ। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে প্রেস সচিব স্যারের মিসেস আমাকে ফোন করে জানালেন, স্যারের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাবির কণ্ঠস্বর আমাকে উতলা না করে পারল না। আবার মনে মনে এটাও ভাবছিলাম-স্যার তো গ্রেট ফাইটার, বারবার নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে তিনি ফিরে এসেছেন, এবারও নিশ্চয়ই আমাদের হতাশ করবেন না। কিন্তু রাত ৮টার দিকে বাস্তবিকভাবেই সেই নির্মম সংবাদটা পেলাম! টানা ২ মাস ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে আমাদের প্রিয় স্যার ইহসানুল করিম হেলাল মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি অবিশ্বাস করার জন্য বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম, ডাক্তাররা কনফার্ম করেছে কিনা। নিরুপায় হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম। নিঠুর হৃদয়ে অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে প্রধানমন্ত্রীর শোক বার্তাটি টাইপ করা শুরু করলাম। দু’চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরছিল, কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না! হন্তদন্ত হয়ে ছুটলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দীর্ঘ প্রায় ৫২ বছরের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার। ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান দুই ব্যক্তি মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উভয়েরই প্রেস সচিব। তার আপন চাচা জাওয়াদুল করিমও ছিলেন ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব। ১৯৭২ এ যে প্রতিষ্ঠানে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন, সেই বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান হন ২০০৯ সালে। তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যুরো চিফ ছিলেন। বিবিসি, জাতিসংঘ, ওআইসি এবং কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। ভারতীয় পত্রিকা দি স্টেটসম্যান, ইন্ডিয়া টুডে এবং প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া নিউজ এজেন্সিতে কাজ করেছেন। এছাড়া ইহসানুল করিম অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড এবং বেলারোট কুরিয়ার পত্রিকায়ও কাজ করেন। ইহসানুল করিম পড়াশোনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব নিউজ এজেন্সি জার্নালিজম এর ডিগ্রি নিয়েছেন, সেখানে পেয়েছেন বেস্ট অ্যাওয়ার্ড। কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়নের বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায়ও পড়ালেখা করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে তিনি তৎকালীন কুষ্টিয়া সদর মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। আমাদের জীবনের মহোত্তম অর্জন বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়; সেই স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। দীর্ঘ ৮ বছর ৩ মাস স্যারের সঙ্গে কাজ করেছি আমি। তিনি ছিলেন আমার ডাইরেক্ট বস, অথচ কোনদিন ঘুণাক্ষরেও বসিং অনুভব করিনি। আমার পিতার চেয়ে বছর কয়েকের বড় হয়েও তিনি আমাদের সঙ্গে মিশেছেন বন্ধুর মতো অথচ কাজকর্মে ছিলেন দায়িত্বশীল। প্রেস ম্যাটারগুলি বুঝিয়ে দিতেন সহজ সাবলীলভাবে। আমাদের ভুলত্রুটি নির্দ্বিধায় শোল্ডারিং করতেন পরম মমতায়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, চরম পরোপকারী ও প্রচণ্ড ক্ষমাশীল একজন মানুষ। আমার নিজের চোখে দেখা, স্যারকে নিয়ে কটূক্তি করা কিংবা তার অমঙ্গল কামনা করা ব্যক্তির জন্যও তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নির্দ্বিধায়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস টিমকে নেতৃত্ব দিয়েছেন একজন যোগ্য ও দক্ষ ক্যাপ্টেনের ন্যায়। দেশে-বিদেশে স্যারের সঙ্গে আমার শত শত স্মৃতি! কোনটা রেখে কোনটা বলি! অফিসে প্রায়ই তিনি আমার রুমে আসতেন; তার বিশাল অভিজ্ঞতার গল্প শুনাতেন। কতবার বলেছি, স্যার আপনার এই বিরল অভিজ্ঞতাগুলি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য লিখে রেখে যান। ছাত্র জীবনে তিনি ক্রিকেট ও ফুটবল দু’টিই খেলতেন সমান তালে; ছিলেন ফার্স্ট ডিভিশনের প্লেয়ার। মঞ্চ নাটকেও করতেন অভিনয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতিটি খেলা দেখতেন খুব আগ্রহ নিয়ে। দলের যে কোন বিজয়ে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন বার্তা দিতে দেরি করতাম, সঙ্গে সঙ্গে স্যারের ফোন-‘ইমরুল, সবকিছুই কি আমার খেয়াল রাখতে হবে?’ কোন বিষয়ে শোক বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটতো।  বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের প্রতি ছিল তার নিখাদ দরদ ও অনুভব। জাতির পিতাকে হত্যার পর শেখ হাসিনা যখন পরিবার নিয়ে ভারতে ৬ বছর বাধ্যতামূলক নির্বাসিত জীবন যাপন করেন, তখন স্যার বঙ্গবন্ধুকন্যাদ্বয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাদের নয়াদিল্লির বাসায় যেতেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি তার ছিল নিরন্তর ভালোবাসা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিটি নির্দেশ পালন করতেন অক্ষরে অক্ষরে। নেত্রীর ব্র্যান্ডিং ও সংবাদ প্রচারের জন্য প্রতিনিয়ত আমাদের দিকনির্দেশনা দিতেন। কীর্তিমান ইহসানুল করিম ১৮ জুন ২০১৫ হতে ১০ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ৯ বছর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন এই কারণে যে, এ বিশেষ সময়টাতে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুণে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল; বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশে; জাতিসংঘ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আর সারাবিশ্বে আমরা আজ আত্মমর্যাদাশীল জাতির পরিচিতি পেয়েছি। মহান সৃষ্টিকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিম হেলাল স্যারের ইহকালের সকল নেক কর্মকাণ্ডের পুরস্কার নিশ্চয়ই পরজনমে পরিপূর্ণভাবেই দেবেন-এ প্রার্থনা করি। লেখক: প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৫

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।   রোববার (২৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন প্রশান্ত কুমার। তারপক্ষে জামিন শুনানি করেন রফিকুল হোসেন। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মদ আলী সালাম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রোববার (২৪ মার্চ) দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের বাড়ি খুলনার বাটিয়াঘাটা থানার গোপ্তমারী গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত বিমলেন্দু রায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির এ-৫ ফ্ল্যাটে থাকেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’র প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি এক কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা দেওয়া ছাড়াও অবৈধ উপায়ে অর্জিত ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সোমবার (৫ মে) এ মামলা দায়ের করা হয়। ড. প্রশান্ত কুমার রায়ের উল্লেখযোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে— খুলনার বটিয়াঘাটা থানায় দুই দশমিক চার একর জমি। যা এক কোটি ৬৫ লাখ টাকায় কিনেছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কাদিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়ির যে ফ্ল্যাটে (এ-৫) থাকেন সেটা কিনেছেন ৪২ লাখ তিন হাজার ৮৪১ টাকায়। মোহাম্মদপুরে ৩৭৯, পুলপাড় রোড, পূর্ব জাফরাবাদে ১২০০ বর্গফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন ৫০ লাখ টাকায়। রাজধানীর ১৪৩ গ্রিন রোডের ঠিকানায় গ্রিন সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ৩০০ বর্গফুটের একটি কক্ষ কিনেছেন ১১ লাখ টাকায়। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমির ওপর দ্বিতীয়তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। ২৩ লাখ টাকায় একটি জাপানি প্রিমিও কার কিনেছেন। ১৬ লাখ টাকায় কিনেছেন একটি এক্সক্যাভেটর (ভেকু)। এছাড়াও সোনালী ব্যাংকের রমনা করপোরেট শাখায় ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে ১০ লাখ টাকার। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে সাত লাখ টাকার। ২০২২-২৩ অর্থ বছর শেষে তিনি এক কোটি ৪১ লাখ টাকা ঋণ বাদে তার নিট সম্পদ রয়েছে এক কোটি ৮৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬৪ টাকার। ২০২৩ সালের ৫ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান। সাবেক এই সচিবের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এক কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৪৭ টাকার সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আর নেই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দেড় মাস ধরে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত সপ্তাহে বিএসএমএমইউতে আসেন তিনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন ইহসানুল করিম। ২০২২ সালের ১৯ জুন দুই বছরের জন্য নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি।  ইহসানুল করিম রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ২০:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়