• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জাবিতে অনশনরত ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংহতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে ফেলার ঘটনায় অনশনরত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এনামের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেন ও সদস্য সচিব অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।   এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোতাহার হোসেন সংহতি জানিয়ে বলেন, আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করি তারা এ ন্যক্কারজনক ঘটনা মেনে নিতে পারিনি। আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছি। অনশনরত ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে আমরা একমত প্রকাশ করে দোষীদের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি দুরাতে গ্রাফিতি আঁকার কাজ হয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় একেবারে সদর দরজায় সারা রাত কাজ হলো। এখানে কেউই দেখতে পেল না? নাকি এখানে অন্য কিছু আছে? সংগঠনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, যেখানে জাতির পিতাকে অবমাননা করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করা হয়েছে, সেখানে তারা বিচারে শৈথিল্য দেখিয়েছে। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। এ ঘটনা ঘটে যাওয়ার ১৪-১৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও উপাচার্য প্রশাসনের অন্যদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন কিনা আমার সন্দেহ। উনি কেন এ বিষয়টিকে এত হালকাভাবে নিলেন? এ অবমাননাকে তিনি মোটেই গুরুত্ব দেননি। এ বিষয়টি আমাদের আহত করেছে। এখানে কারা গ্রাফিতি এঁকেছে এটা তো স্পষ্ট। এর পেছনে কুশীলব কারা; দায়ী কারা আর কারা শৈথিল্য দেখিয়েছে এটা খুঁজে বের করা দরকার। এ সময় অনশনরত ছাত্রলীগ নেতা এনাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লেবাসধারী অনেক শিক্ষক আছে। তারা মুখোশ ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অবমাননা করে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত করে বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী ও আইবিএর অধ্যাপক ড. আইরিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের বেদিতে আমরণ অনশন শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম। ৫৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অনশন অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননাকারীদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় আইনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৮ দিন পার হলেও জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা তদন্ত করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মুছে একটি গ্রাফিতি অঙ্কন করেন জাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে এ গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। গ্রাফিতিতে একটি নারীর অবয়ব, ছয়টি মাথার খুলিসহ একটি পতাকা আঁকা হয়। এর পাশেই লেখা হয় ‘ধর্ষণ ও স্বৈরাচার থেকে আজাদী’।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৪

ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে জাবিতে সংহতি সমাবেশ
ধর্ষণ, নিপীড়ন ও মাদকমুক্ত ক্যাম্পাসসহ পাঁচ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সংহতি সমাবেশ করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।  শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।  এ সময় পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন আন্দোলনকারীরা। দাবিগুলো হলো- ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে; নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনিসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে; নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করতে হবে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে হবে; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণাপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমাবেশ থেকে রোববার সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  সমাবেশে সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, এত সব ঘটনার পরও প্রশাসন কতটা নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে। অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে মাদকের ব্যবহার পুরোপুরি কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু সেল গঠন করে বসে থাকলেই চলবে না। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জড়িত। এখনো বিভিন্ন হলে যাদের ছাত্রত্ব অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে তারা বহাল তবিয়তে আছেন। যারা রাজনৈতিকভাবে কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, যাদের খুঁটির জোর কম তাদেরই কেবলমাত্র হলছাড়া করার মাধ্যমে আইওয়াশ করা হচ্ছে।  পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট একেবারে অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য আসা শিক্ষার্থীদের আচরণ আমাদের ব্যথিত করে। এটা আমাদের সিস্টেমের সমস্যা। হলে হলে গণরুম শুধু শিক্ষার পরবেশ নষ্ট করেনি, বিকৃত মানুষ তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবির ওপর গ্রাফিতি অঙ্কন করে এ আন্দোলনকে ডাইভার্ট করার নানা চেষ্টা চলছে। এই গ্রাফিতি মুছে দেওয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ইউজিসি তদন্ত কমিটি গঠন করার পরও প্রশাসনের বোধদয় হয় নাই। তারা ভাবছে কিছুদিন পর ভর্তি পরীক্ষার কারণে আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যাবে। আপাতত তারা রুমগুলোতে যাচ্ছে আর ফিরে আসছে। হল খালি করার নামে আমাদের আইওয়াশ করছে। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলি বলেন, এ সাধারণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ কখনো তাদের স্বপক্ষে একবারও দাঁড়ায়নি। এ যাবতকালে ধর্ষক মানিক থেকে মোস্তাফিজ পর্যন্ত সব জায়গায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। যতই বলেন, মোস্তাফিজ আমাদের দলের কেউ না তাতে ছাত্রলীগ এ ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না। যারা ছাত্রজীবনে নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাই হলগুলোতে প্রভোস্টের দায়িত্ব পাচ্ছেন। তারা কিভাবে হলের নির্যাতন বন্ধ করবেন? অছাত্রদের হল থেকে বের করার নামে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছেন। প্রভোস্টদেরকেও এ ঘটনায় জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘৭ তারিখে সিন্ডিকেটে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, নিপীড়ক শিক্ষককে শাস্তি দিতে হবে। ভিসি বলেছিলেন, স্ট্রাকচারাল কমিটির তদন্ত শেষ হয়নি, পরবর্তী সিন্ডিকেটে করতে হবে। একজন নিপীড়ক শিক্ষককে বাঁচিয়ে রাখবার যে পাঁয়তারা চলছে, আমরা সেটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছি—তাকে বাঁচানো যাবে না। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে শিক্ষাঙ্গনে মাদক এবং ধর্ষণের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ৪২তম ব্যাচকে বগলদাবা করে ৪৫, ৪৬, ৪৭ ব্যাচকে বের করে দেওয়ার এ নাটক কি আমরা বুঝি না? আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার, এ ক্যাম্পাসকে আমরা অবৈধ ছাত্রমুক্ত, ধর্ষকমুক্ত ও মাদকমুক্ত করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আলিফ মাহমুদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল থেকে অছাত্রদের বের করার জন্য ৫ কর্মদিবসের সময় নিয়েছিল। সেই সময়ের ৪ কর্মদিবস অতিবাহিত হয়ে গেছে। তাদের কাজ দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, তারা সেসব শিক্ষার্থীদেরকে আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি করতে চান। আমরা আরও এক কর্মদিবস দেখব, আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো। এ সময় অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। 
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৭

বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের লং মার্চে অনেকের সংহতি
বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টার শনিবার বালুচ নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের জন্য লং মার্চের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। জার্মানিতে বসবাসরত বেলুচ সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক সদস্য এই বিক্ষোভে অংশ নেন। বেলুচিস্তানে পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বেলুচ গণহত্যার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ লং মার্চের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বিক্ষোভ সমাবেশে। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাম্মাল খান বিক্ষোভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বালাচ মোলা বখশের ভুয়ো এনকাউন্টারের পরে তুরবাতে শুরু হওয়া এই আন্দোলন কোনও ব্যক্তি বা কোন পরিবারের জন্য নয়। বরং এটি সমগ্র বেলুচ জাতির জন্য। কারণ কোনও আন্দোলন কোনও ব্যক্তি বা কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য নয় বা কোনও দলের নয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি সমগ্র জাতির আন্দোলন। মাতৃভূমি থেকে আমরা যতই দূরে থাকি না কেন, জাতীয় স্বকীয়তা বোধ আমরা আমাদের ভেতরে বহন করি। হাম্মাল খান আরও বলেন, আজ আমরা এখানে আছি এবং আমাদের জনগণের কণ্ঠস্বর হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। তিনি আরও সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যেদিন আমরা জাতীয় স্বকীয়তা বোধ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নেব, সেই দিনটি হবে আমাদের মৃত্যুর দিন। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের সভাপতি আসগর আলী এমন একটি শক্তিশালী আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য বেলুচ মহিলাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি ২০০৯ সালে অপহৃত বেলুচ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের নেতা জাকির মজিদের মায়ের উদ্ধৃতি দেন। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, যতদিন বেঁচে আছি, হয়তো আমার ছেলে জাকির জানকে ফিরে পাব না। তবে আমি বিক্ষোভে অংশ নিতে থাকব, কারণ আমি যখন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব, তখন কেউ জাকির জানকে এই ছবিগুলি দেখাতে পারে এবং তাকে বলতে পারে, দেখো! তোমার মা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তোমার জন্য লড়াই করে গেছেন। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি সামুল বালুচ স্পষ্টভাবে তার মতামত ব্যক্ত করে বলেন, মিডিয়া হয়তো দুর্দশার সত্য প্রকাশ করবে না, তথাকথিত রাজনীতিবিদরা অন্ধ ও বধির হতে পারে, বিশ্ব হয়তো বেলুচ জনগণের আশা ও হতাশা সম্পর্কে অজ্ঞ হতে পারে, কিন্তু বিশ্বকে শুনতে বাধ্য না করা পর্যন্ত আমরা চিৎকার করব। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের যুগ্ম সম্পাদক শার হাসান বলেন, পাকিস্তান একটি নিষ্ঠুর রাষ্ট্র, যার মানবাধিকারের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই। পাকিস্তান কেবল সহিংসতায় বিশ্বাস করে এবং তাদের নীতিগুলি ঔপনিবেশিক। বেলুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন চরমে পৌঁছেছে যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী বেলুচিস্তানকে একটি বর্ধিত কারাগারে পরিণত করেছে। আর পাকিস্তানে মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলা অপরাধ এবং যারা মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলবে তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। বেলুচ ন্যাশনাল মুভমেন্ট জার্মানি চ্যাপ্টারের সদস্য সাফিয়া মনজুর বলেন, মানবাধিকারের বৈশ্বিক অভিভাবক হিসেবে জাতিসংঘের উচিত বেলুচিস্তানে সংঘটিত নৃশংসতার প্রতি চোখ খোলা রাখা। মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত নীতিগুলি অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই বেলুচ জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে হবে। বেলুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত করা এবং দায়ী পক্ষগুলোকে তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ফেলিক্স জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য লং মার্চের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং তিনি ইসলামাবাদে বেলুচ কর্মীদের শান্তিপূর্ণ লং মার্চের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগের নিন্দা করেছেন।
০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়