• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের মধ্যেও ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ : বিশ্বব্যাংকের এমডি
বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকটের মধ্যেও ঋণ পরিশোধ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ড।  রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দপ্তরে তার সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।  বাংলাদেশের সমসাময়িক ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চলমান প্রকল্প নিয়ে বৈঠক করেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পরে সংবাদকর্মীদের  তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশ্বব্যাংক কীভাবে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া সামাজিক সুরক্ষা, এসএমই খাতের উন্নয়ন নিয়েও কথা হয়েছে। অ্যানা বেজার্ড বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি সংকটের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ যার বাইরে না। এসবের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।’ বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যানা বেজার্ডের এটি তার প্রথম  বাংলাদেশ সফর। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম। দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে। এই ঋণের বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণ। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) সমর্থিত বৃহত্তম কর্মসূচি চলমান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হয়। ওই বছর অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে প্রথম ঋণ নেয়। যার পরিমাণ ছিল ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা নেওয়া হয় জরুরি অগ্রাধিকার খাতে। একই বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়া হয়। পরে ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে পানি সরবরাহ খাতের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে আন্তর্জাতিক অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানটি। এর পর থেকে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ নেয় বিশ্বব্যাংক থেকে। বাংলাদেশে দুটি বড় অবকাঠামো প্রকল্প বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু (যমুনা সেতু) এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (দুই লেন) নির্মাণসহ এ পর্যন্ত ৩০০টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। এখন নতুন করে চলমান রয়েছে আরও ৫৭টি প্রকল্প।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১২

রমজানে খেজুরের তীব্র সংকটের শঙ্কা
দেশের আকাশে হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১২ অথবা ১৩ মার্চ শুরু হতে পারে ২০২৪ সালের রমজান মাস। এ মাসে রোজাদারদের জন্য ইফতারের প্রধান আইটেম খেজুর। ধনী-গরিব সবাই একটা হলেও খেজুর দিয়ে ইফতার করতে চেষ্টা করে। এরই মধ্যে বাজার থেকে খেজুর উধাও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাড়তি শুল্কের কারণে খেজুর আমদানি করা যাচ্ছে না। জানা গেছে, পাইকারি বাজারে গত বছর রোজায় ৯০-১১০ টাকা দরের খেজুর এবার ১৪০-১৫০ টাকা, ১২০-১৩০ টাকার খেজুর ২৫০ টাকারও বেশি, ২০০ টাকার খেজুর ৪০০ টাকার বেশি এবং ৩০০-৩৫০ টাকার খেজুর ৬০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আতিকুর রহমান রাজধানীর চকবাজারে তিনটি দোকানে দরদাম করলেন। কিন্তু খেজুর কিনলেন না। এ বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দুই মাসের ব্যবধানে খেজুরের দাম কেজিতে ২০০টাকা বেড়েছে। খেজুর কেনার জন্য যে টাকা এনেছিলাম তা যথেষ্ট নয়। এ জন্য খেজুর কেনা হলো না। খেজুর বিক্রেতা মকসুদ মোল্লা বলেন, গত ২ মাসে হাজার টাকার নিচের খেজুরের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমাদের ক্রেতা ছাড়তে ইচ্ছে করেনা। দাম বাড়ায় এক কার্টন খেজুর বিক্রি করতে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সময় লেগে যাচ্ছে। এদিন রাজধানীর পাইকারি বাজার বাদামতলীতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সবগুলো দোকান খেজুর শূন্য। হাতে গোনা কয়েকটিতে খেজুরের কার্টন সাজানো। সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন তারা কবে খেজুর পাবেন? এ বিষয়ে পাইকারি দোকান সাফওয়ানা ফ্রুটস ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফআইএ) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানান, আমার দোকানে খেজুর নেই বললেই চলে। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে খেজুর আমদানিও করতে পারছি না। আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, গত রমাজানে যে খেজুর পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, এবার সেই খেজুরের ওপরই আমদানি শুল্ক গুনতে হচ্ছে ২০৮ টাকা। এতে পাইকারি বাজারেই খেজুরটির দাম দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে। এদিকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে বিএফএফআইএ নেতারা দাবি করেন, খেজুরের দাম বাড়ার কারণ কাস্টমসের শুল্কায়নের অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ। তারা এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাজারের দাম অনুযায়ী শুল্কায়ন করার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইরাক থেকে কার্টুনে ৮০০-৯০০ ডলারে যে খেজুর আমদানি করছি, সেটার অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০০ ডলারে। প্রায় তিন গুণ বেশি দাম দেখিয়ে যে খেজুরটার শুল্ক নেওয়া হচ্ছে। এটি কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। কাস্টমস আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণ ও আমাদের সঙ্গে কথা বলে প্রকৃত দামের ওপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ করুক, এটাই আমরা চাই। না হলে খেজুরের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। দামের কারণে মানুষও খেজুর কিনতে পারছে না। তিনি বলেন, প্রতি বছর রোজায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি খেজুরের চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা রোজার আগে বাড়তি খেজুর আমদানি করেছে। এবারও ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছে এবং শুল্কায়নের অপেক্ষায় ৪০০-৫০০ কন্টেইনার খেজুর বন্দরে আটকে আছে, যেখানে ১৫ হাজার মেট্রিক টনের বেশি খেজুর রয়েছে। বাড়তি অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালুর কারণে এই খেজুরগুলো ব্যবসায়ীরা ছাড়াচ্ছে না। আর নতুন করে আমদানিও করতে চাচ্ছে না। বিএফএফআইএ সভাপতি বলেন, বাজারে ইতোমধ্যেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা রোজায় আরও বাড়তে পারে। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষগুলো এবার খেজুর কিনতে পারবে কি না তা নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থার নিরসনের একমাত্র উপায় প্রকৃত দামে অ্যাসেমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ করা। তিনি বলেন, প্রকৃত দামের ওপর অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু নির্ধারণ না করার কারণে আমদানিকারকদের অযৌক্তিকভাবে শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। গত রোজার আগে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরে যেখানে শুল্ক দিতে হতো ৫.৪৫ টাকা থেকে ২১.৮৪ টাকা, সেটি এবার দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা থেকে ২০৮ টাকা। ব্যবসায়ীদের দাবি, গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। কিন্তু এতেও খরচের খুব বেশি হেরফের হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি মেট্রিক টন খেজুর ৫০০-১৩০০ ডলার দিয়ে কিনে দেশের তার অ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু ধরা হয়েছে ক্যাটাগরি ভেদে ১০০০-২৭৫০ ডলার। অর্থাৎ প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম ধরে শুল্ক আদায় করছে কাস্টমস। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, খেজুর আমদানিতে ব্যবসায়ীদের কাস্টমস শুল্কসহ মোট ৫৩ শতাংশের মতো বিভিন্ন শুল্ককর দিতে হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে- কাস্টমস শুল্ক ২৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ৫ শতাংশ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, বিগত রমজানে ৬-৭টা আইটেমের ওপর কড়া নজরদারি থাকত। এবার রমজানের অনেক আগেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষ কষ্টে আছে। যদি রমজানে পণ্যের দাম বাড়ে, তাহলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। অথচ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেই দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা বলা হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৮

তীব্র সংকটের মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র গ্যাস সংকট। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকায় প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিলছে না গ্যাস। কিছু কিছু এলাকায় দিনে গ্যাস মিললেও তা একবারেই চাপ-শূন্য। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। এরই মধ্যে আবাসিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব এসেছে। তা  বিবেচনায় নিয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গ্যাস সংকট নিয়মিত সমস্যা ছিল রাজধানীর মান্ডা, মানিকনগর, জুরাইন, কামরাঙ্গীচর, মালিবাগ, বাসাবো, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী ও মুগদা এলাকায়। তবে এখন তা ধানমন্ডি, কলাবাগান, কমলাপুর, মগবাজার, ইস্কাটন, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকাতেও শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৫-৬টা পর্যন্ত গ্যাস থাকছে না। দিনের বেলায় রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না, রাতের রান্না করা খাবারও দিনের বেলায় গরম করা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করছেন। রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা সানজিদা আক্তার বলেন, কিছুদিন ধরে গ্যাস একেবারেই থাকছেনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকছে, দুপুরের মধ্যে তা একদম শূন্য। রান্না করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে সিলিন্ডার গ্যাস নিতে বাধ্য হয়েছি। পশ্চিম রাজাবাজারের হিমেল দেব বলেন, কিছুদিন ধরে দিনের বেলায় গ্যাস থাকছেনা। গ্যাস এলেও তা দিয়ে পানিও গরম করা যাচ্ছেনা। আমরা ব্যাচেলার মানুষ, সকালে কাজের লোক এসে গ্যাস পায় না, রান্না না করে চলে যায়। ফলে না খেয়েই অফিসে যেতে হয়। বাসাবো এলাকার মোহন লাল বলেন, আগে সকালের দিকে গ্যাস থাকলেও এখন সকালেও থাকছেনা। আগে ১১টার পরে আসত, এখন সেটাও বন্ধ হয়েছে। সায়দাবাদ এলাকার সাদ্দাম হোসেন বলেন, বহুদিন ধরেই গ্যাসের সমস্যা। মাস-খানেক আগে সকাল-সন্ধ্যা একটু থাকতো। এখন সেটাও আসেনা। তিতাস অফিসে বারবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।  রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলো ঘুরে দেখা গেছে, গ্যাসের চাপ কম থাকায় গাড়িতে পর্যাপ্ত জ্বালানি নেওয়া যাচ্ছেনা। ফলে বারবার যানবাহনগু‌লোকে গ্যাসের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, প্রতি মাসে দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩ হাজার ৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে জানুয়ারিতে চাহিদার বিপরীতে দেশে ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে, যা ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বনিম্ন। তীব্র সংকটের মধ্যেই জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) আবাসিক গ্রাহকদের বিল ৫১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। বর্তমানে দুই চুলার জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা ও এক চুলার জন্য ৯৯০ টাকা বিল দিতে হয়। মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব মানা হলে দুই চুলার জন্য মাসে ১ হাজার ৫৯২ টাকা এবং এক চুলার জন্য ১ হাজার ৩৮০ টাকা বিল দিতে হবে। এদিকে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করেছে বিইআরসি। দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ সংস্থাকে গত সোমবার চিঠি দিয়েছে ওই কমিটি। চিঠিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের সপক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত যাচাইয়ের পর জানুয়ারির মধ্যেই নিজেদের সিদ্ধান্ত কমিশনকে জানাবে কারিগরি কমিটি। সম্প্রতি গ্যাস সংকটের জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী মার্চ মাস নাগাদ গ্যাসের সংকট সমাধান হয়ে যাবে। তবে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের জন্য দেশবাসীকে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।  তিনি বলেন, আমরা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের একটা টাইমলাইন ঠিক করে ফেলেছি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সাপ্লাই থাকবে। আমরা যেভাবে বিদ্যুতে করেছি, গ্যাসের ব্যাপারেও সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়